তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম - তারাবির নামাজের নিয়ত

প্রিয় পাঠক, আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন না। অনেকে আছেন যারা তারাবির নামাজ ভুল পড়ে আসছেন।

tarabi namaz
অনেকে ভুল করার কারণে আল্লাহতালা কবুল করেন না। তাই আজকে তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য তুলে ধরবো। চলুন তাহলে শুরু করি। একবার কি ভেবে দেখেছেন আপনি যেভাবে নামাজ পড়ছেন তা সঠিক কিনা। আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনি যেভাবে নামাজ পড়েন তা সঠিক কিনা। কিভাবে নামাজ পড়লে তারাবির নামাজ কবুল হবে তা জানতে হলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

সূচিপত্র:তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন 

  • তারাবির নামাজ কি
  • তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম
  • তারাবির নামাজ পড়ার সময়
  • তারাবির নামাজ কত রাকাত
  • তারাবির নামাজের নিয়ত
  • তারাবির নামাজের মোনাজাত
  • তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল
  • শেষ কথা-তারাবির নামাজ

তারাবির নামাজ কি

আপনি যদি তারাবির নামাজ কি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।রমজান মাসের একটি বিশেষ ইবাদত হলো তারাবির নামাজ আদায় করা। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াব এর উদ্দেশ্যে রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়বে তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে’।(বুখারী, হাদিস : ৩৬) [সূত্র:prothomalo.com]

তারাবির নামাজ শুরু হয় রমজানের চাঁদ দেখার করে পরে অর্থাৎ রোজার আগের রাতে তারাবির নামাজ আদায় করা রমজানের সুন্নত। কেউ যদি কোন বিশেষ কারণবশত রোজা পালন করতে না পারে তারাও সুযোগ ও সমর্থ্য থাকলে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবেন। আপনারা যারা পুরুষ আছেন তাদের জন্য তারাবির নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করা সুন্নত। আর মহিলারা বাড়িতে আদায় করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে

চেষ্টা করবেন শিশুদেরকে সাথে নিয়ে যতটুকু সম্ভব তারাবি নামাজ পড়া। তাহলে সেই শিশুটির নামাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে। তারাবির অর্থ হচ্ছে বিশ্রাম নেওয়া। এটি এমন একটি ইবাদত যা বিশ্রাম এর সহিত আদায় করতে হয়। রমজান মাসে এশার নামাজের পর বেতের নামাজের আগে যে সুন্নত নামাজ আদায় করা হয় তাকে তারাবির নামাজ বলে। ২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা হচ্ছে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।

এই তারাবির নামাজ রোজার সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন , 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের উপর তারাবির নামাজকে সুন্নত করেছি।যে ব্যক্তি ঈমানের সহিত সওয়াবের আশায় রমজানে দিনে রোজা পালন করবে এবং রাতে তারাবির নামাজ আদায় করবে, তাকে নবজাতক শিশু মতো নিষ্পাপ করে দিবেন।

(নাসায়ি,পৃষ্ঠা:২৩৯)  সূত্র:prothomalo.com

আপনারা এতক্ষণে তারাবির নামাজ কি এই সম্পর্ক সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন, আপনি যদি তারাবি সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, তাহলে চলুন এবার জেনে নিই তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে।

তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম

তারাবির নামাজ অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। এ নামাজ পড়ার জন্য বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাগিদ দিয়েছেন হাদিসে এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে রাতে বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়াবের আশায় দাঁড়িয়ে না যে আদায় করে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। ( বুখারী ও মুসলিম)

তারাবি শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশ্রাম করা। তারাবির নামাজ ২ রাকাত ২ রাকাত করে পড়তে হয়। এভাবে দুই রাকাত করে পড়ে মোট ৪ রাকাত পড়ার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম গ্রহণ করা হয়। ৪ রাকাত পড়ার পর একটি দোয়া পাঠ করা হয়। দোয়াটি হচ্ছে,সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি।সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।(সূত্র:jagonews24.com)

এই বিশ্রাম নেওয়ার কারণ হচ্ছে পরবর্তী চার রাকাতের জন্য শক্তি অর্জন করা। অনেকে আছে যারা প্রতি চার রাকাত পড়ে মোনাজাত করে। আবার অনেকে আছে একেবারে নামাজ শেষ করে তারপর মোনাজাত করেন। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা খুব তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ খুঁজে বেড়ান।যে কোন মসজিদটিতে আগে নামাজ পড়ানো শুরু করে।

যদিও মসজিদটা কাছের মসজিদের চেয়ে দূরে হয় তাও তারা সেখানেই গিয়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন।তাই  অনেকেই তারাবির নামাজ প্রতিযোগিতামূলকভাবে আদায় করেন। যা সুন্নতের পরিপন্থী। তাই আমরা তাড়াহুড়ো না করে তারাবির নামাজ আদায় করব। আশা করি আপনি উপরের আলোচনা থেকে তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে এবার চলুন জেনে নেই তারাবির নামাজ পড়ার সময় সম্পর্কে।

তারাবির নামাজ পড়ার সময়

তারাবির নামাজ অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি ইবাদত।এটি আমাদের জীবনের গুনাহ মাফের একটি বিশেষ মাধ্যম।যে ব্যক্তি ঈমানের সহিত সওয়াবের আশায় তারাবির নামাজ আদায় করে আল্লাহ তাআলা তার সকল গুনাহ মাফ করে দেন। তাই তারাবির নামাজ অনেক ফজিলতপূর্ণ। তাই এই ইবাদতটিকে সঠিকভাবে আদায় করার জন্য সঠিক নিয়মকানুন জানা প্রয়োজন। আর আজকে তারাবি নামাজ পড়ার সময় সম্পর্কে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল

তারাবির নামাজ পড়ার সময় হচ্ছে এশার নামাজের ৪ রাকাত ফরজ ও ২ রাকাত সুন্নত নামাজ এর পরে অর্থাৎ বিতর নামাজের আগে ২ রাকাত ২ রাকাত করে ১০ সালামে  ২০ রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। এই সময়ে এভাবে নামাজ আদায় করাকে তারাবির নামাজ বলে। এবার চলুন তারাবির নামাজ কত রাকাত জেনে নিই।

তারাবির নামাজ কত রাকাত

পবিত্র রমজান মাসের রাত্রে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের পর বিতর নামাজের আগে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয় তাকে তারাবির নামাজ বলা হয়ে। রমজান মাসে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত নাকি ৮ রাকাত এ নিয়ে অনেক মতবিরোধ আছে। আপনি তারাবির নামাজ কত রাকাত পড়বেন তা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করাই ভালো। আমরা অনেকে আছি এ বিষয় নিয়ে অনেকেই সাথে মতোবিরোধ করে থাকি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়েননি এমন অনেক দলিল রয়েছে।

তিনি দুই রাকাত করে মোট আর ৮ রাকাত এবং ৩ রাকাত বেতের নামাজ পড়েছেন এমন দলিল রয়েছে। তারাবির নামাজ একটি সুন্নত ইবাদত। তাই সুন্নত নামাজের নির্দিষ্ট কোন কথা বলা হয়নি। আপনি দুই রাকাত করে ৮ রাকাত ২০ রাকাত যতটুকু পড়ুন না কেন আপনার সমর্থ অনুযায়ী পড়বেন। আপনি তারাবির নামাজ ২০ রাকাতও পড়তে পারেন ৮ রাকাত ও পড়তে পারেন। আশা করি তারাবির নামাজ কত রাকাত এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন তারাবির নামাজের নিয়ত জেনে নিই।

তারাবির নামাজের নিয়ত

তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম জানতে হলে তারাবির নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নিই।ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে ইবাদতের সব কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা অন্য মাসের ইবাদতের চেয়ে। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি নফল আদায় করল সে অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করলো সে অন্য মাসের ৭০ টি ফরয আদায় করল।(শুআবুল ঈমান: ৩/৩০৫-৩০৬)

পবিত্র রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল তারাবির নামাজ। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে, নেকি লাভের আশায় ও পরকালের আশায় রমজানের রাতে কিয়ামুল লাইল(তারাবি) আদায় করবে , তার অতীতের সকল পাপ মাফ করে দেয়া হবে।(নাসায়ি, হাদিস:২২০৫)

তারাবির নামাজ শুদ্ধভাবে পড়ার জন্য তারাবির নামাজের নিয়ত জানতে হবে। যেমন প্রত্যেক আমলের জন্য নিয়ত করতে হয়। তেমনি তারাবির নামাজের জন্য নিয়ত করতে হবে। আপনি যদি আরবিতে নিয়ত না করতে পারেন তাহলে বাংলাতেও করতে পারবেন। 

তারাবির নামাজের নিয়ত:

নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।

অর্থ: আমি ক্যাবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবির সুন্নত নামাজের নিয়ত করছি, আল্লাহু আকবার।

তারাবির নামাজ এর নিয়ত শুধু যে আরবিতে করতে হবে তারা অবশ্যক বা বাধ্যতামূলক নয়। আপনি চাইলে আরবিতে না পারলে বাংলাতে বলতে পারেন। আপনি বাংলাতে এভাবে বলবেন যে, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য তারাবির দুই রাকাত সুন্নত নামাজ কেবলামুখী হয়ে জামাতের সাথে ইমামের পিছনে পড়ছি, আল্লাহু আকবার। এইটা বলে আপনি নামাজের নিয়ত করতে পারেন। এবার চলুন তারাবির নামাজের মোনাজাত জেনে নিই।

তারাবির নামাজের মোনাজাত

মোনাজাতে এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে আপনি আল্লাহর খুব কাছে যেতে পারবেন। আল্লাহর কাছে কিছু মন খুলে চাইতে পারবেন। মোনাজাতের মাধ্যমে আপনি আল্লাহর কাছে যা চাইবেন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে তা দেবেন। তারাবির নামাজের মোনাজাত পাঠ করতে হবে আপনাকে। আমরা অনেকে আছি যারা তারাবির নামাজের মোনাজাত জানিনা। তাই তারাবির নামাজের মোনাজাত মুখস্ত করে নেওয়া উত্তম। নিচে তারাবির নামাজ বাংলা উচ্চারণ সহ দেওয়া হল, আশা করি আপনারা তারাবির মোনাজাতটি মুখস্ত করে নিবেন।

আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের মোনাজাত ও দোয়া সমূহ

মোনাজাত: 

للهم إنا نسألك الجنة ونعوذ بك من النارياخالق الجنة والنار برحمتك يا عزيز يا غفار يا كريم يا ستار يا رحيم يا جبار يا خالق يا بار اللهم اجرنا من النار يا مجير يا مجير يا مجير برحمتك يا أرحم الراحمين (সূত্র:bd-journal.com)

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআনুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নার।ইয়া খালিকাল জান্নাতি ওয়ান্নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আজিজু, ইয়া গাফফারু, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রহীমু ইয়া জাব্বারু, ইয়া খালিকু ইয়া বাররু। আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নার। ইয়া মুজীরু ইয়া মুজীরু ইয়া মুজীরু। বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

বি:দ্র: তারাবির নামাজ এর নির্দিষ্ট কোন দোয়া বা মোনাজাত নেই। আমরা সবাই নামাজের ক্ষেত্রে যে দোয়া পড়ে থাকি এগুলো পড়লেও কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়া উপরে দেওয়া মোনাজাতটি পড়লেও হবে। চলুন এবার তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল জেনে নিই।

তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল

আমাদের দেশে তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই নিয়ে অনেক মতোবিরোধ রয়েছে। যে কোন ইবাদত করার আগে অবশ্যই ইবাদতটির সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত। আপনি যদি না জেনে কোন ইবাদত করেন তাহলে তা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই ফরজকে ফরজ, সুন্নতকে সুন্নত, ও নফলকে নফল হিসেবে পালন করতে হবে। রমজান মাসের রোজা যেমন ফরজ তেমনি তারাবির নামাজ সুন্নত।

তারাবির নামাজ নারী পুরুষ উভয় এর জন্যই সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তারাবির নামাজকে যারা সুন্নত হিসেবে অস্বীকার করবে সে বিদআতের পথভ্রষ্ট। আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এরশাদ করেছেন যে, তোমরা আমার সুন্নতকে আঁকড়ে ধরো, এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতকে আঁকড়ে ধরো।তার উপরে তোমরা অটুট থাক।(আবু দাউদ:৪৬০৭, তিরমিজি:২৬৭৬)

আশা করি আপনি তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল তা বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা

আপনারা অনেকেই তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানতেন না। আপনারা অনেকেই তারাবির নামাজ সম্পর্কে না জেনেই তারাবির নামাজ পড়ে যেতেন। আপনি যে ইবাদত করেন না কেন,সেই ইবাদত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে পালন করার চেষ্টা করবেন। যদি না জেনে ইবাদত করেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে তা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

তাই সম্পূর্ণ তথ্য জানার পর ইবাদত বন্দেগী করবেন। আপনি যদি আমার পোস্টটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছে। আর আপনি যদি কোন বিষয়ে না বুঝতে পারেন তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন। আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url