ব্যায়াম করার পর কি কি ধরনের প্রোটিন খাওয়া উচিত

প্রিয় পাঠক আপনি কি আপনার শরীরের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে চাচ্ছেন এমনকি জানতে চাচ্ছেন ব্যায়াম করার পর কি কি প্রোটিন খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণটাই আপনার জন্যই। 

exercise

কারণ এই পোষ্টির মধ্যে ব্যায়াম করার পর কি ধরনের প্রোটিন খাওয়া উচিত বা কোন প্রোটিন গুলো শরীরের পক্ষে ভালো এমনকি জিম করা বা ব্যায়াম করার পর কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্নটা পড়তে পারেন তাহলে জানতে পারবেন জিম করার আগে এবং পরে কি করা উচিত। তাই দেরি না করে চলুন সম্পন্ন পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেয়া যাক।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ব্যায়াম করার পর কি কি ধরনের প্রোটিন খাওয়া উচিত 

ব্যায়াম করার পর কি ধরনের প্রোটিন খাওয়া উচিত

আপনি কি জানেন ব্যায়াম করার পর কি ধরনের প্রোটিন খেলে আপনার স্বাস্থ্যের উপকার হবে যদি না জানেন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন। অনুশীলন বা ব্যায়াম করার পর প্রোটিন আপনাকে প্রতিমাসে পুনরুদ্ধার করতে অনেকটাই সহায়তা করে থাকে। ব্যায়াম করার পরে আপনি ২০ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন খেতে পারেন। প্রোটিন শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত ক্রসগুলিকে মেরামত করতে এবং নতুন কোচ তৈরি করতে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে।

ব্যায়াম করার পর আপনি যে প্রোটিন গুলো গ্রহণ করবেন বা যে খাবারগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রোটিন তৈরি করবেন সেই খাবারগুলো হল। আপনি ব্যায়াম করার পর শুকনা কিছু যেমন বাদাম খেতে পারেন। এ বাদামে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে প্রোটিন এই প্রোটিন গুলো আপনার শরীরে সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হবে। এমন কি আপনি ব্যায়াম করার পর ছোলা গ্রহণ করতে পারেন ছোলাতেও রয়েছে ফলিক অ্যাসিড যা বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আরো পড়ুনঃ কাঠবাদামের ৬০টি অসাধারণ উপকারিতা

আবার আপনি প্রোটিন গ্রহণ করার জন্য ডিম এবং দুগ্ধ জাত পণ্য গ্রহণ করতে পারেন। এই খাবারগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যেগুলো গ্রহণ করার মধ্যে আপনার শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে মেরামত করতে সাহায্য করবে। এরপর আপনি শাকসবজি অথবা ফলমূল গুলো গ্রহণ করতে পারেন। তাহলে এখন আপনি জানতে পেরেছেন করার পর কি ধরনের প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত বা কোন খাবারগুলোতে প্রোটিন রয়েছে।

জিম করার আগে ও পরে কি করা উচিত

আপনি কি জানেন জিম করার আগে এবং পরে কি করা উচিত। অর্থাৎ জিমের প্রস্তুতি গুলো কি জানেন। আপনি হয়তো ভাবছেন যে জিমের আবার কিসের প্রস্তুতি জিম ট্রেনিং সেন্টারে যাব এবং বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট নিয়ে জিম করা শুরু করে দেব। কিন্তু এটা আপনার একেবারেই ভুল ধারণা কারণ আপনাকে জিম করার পূর্বে কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে এমনকি কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে যে খাবারগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি ব্যায়াম করবেন বা জিম করবেন তাতে আপনার শক্তি গ্রহণ করতে পারবেন।

অর্থাৎ আপনি যখন জিম করার পূর্বে কোন কিছু খাবেন অর্থাৎ প্রোটিনযুক্ত খাবারগুলো গ্রহণ করে ব্যায়াম করতে শুরু করবেন তখন আপনি ব্যায়াম করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন কারণ আপনি যে খাবারগুলো গ্রহণ করেছেন তার মাধ্যমে আপনার পেশিশক্তি অর্জন হয়েছে। আর এই শক্তিটা অর্জন করেই আপনি যখন ব্যায়ামে লিপ্ত হবেন তখন আপনি অল্পতেই হাঁপিয়ে পড়বেন না বা ক্লান্ত হয়ে যাবেন না। অল্প কিছু প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করে ব্যায়াম করতে লাগলে আপনি শক্তি পাবেন এবং অনেকক্ষণ ধরে ব্যায়ামে লিপ্ত থাকতে পারবেন।

এখন আপনাকে ব্যায়াম করার পরে কাজগুলো কি কি করতে হবে সেটা জেনে নিন। আপনি বিয়াম শেষ করার পর আপনার টাওয়েল দিয়ে আপনার শরীরের ঘাম গুলো মুছে নিতে পারেন তারপর আপনি গ্লুকোজজনিত পানীয় পান করতে পারেন। গ্লুকোজ যুক্ত পানীয় পান করার পর আপনাকে কিছু শুকনা খাবার গ্রহণ করতে হবে যে খাবারগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আপনাকে প্রত্যেকদিন ব্যায়াম শেষ করার পর ২০ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।

আর এই খাবারগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমেই আপনার স্বাস্থ্যের উপকারিতা আসবে। তাহলে আশা করছি আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরে গেছেন ব্যায়াম করার আগে ও পরে কি করা উচিত বা কোন বিষয়গুলো ফলো করে ব্যায়ামে লিপ্ত হওয়া উচিত এমনকি ব্যায়াম শেষ করে কোন বিষয়গুলো ভালোভাবে মাথায় রাখা উচিত এই সম্পর্কে।

সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করা কি ভালো  

আপনি যখন খালি পেটে ব্যায়াম করবেন তখন আপনার অনেক শক্তি খরচ হবে এবং আপনার ফ্যাট বা শরীরের ওজন বার্ন করবে। সেই সাথে খালি পেটে ব্যায়াম করা পেশির জন্য খুবই উপকারী একটি বিষয়। এছাড়াও খালি পেটে ব্যায়াম করলে বেশি শক্তিশালী হয় এবং আপনাকে অনেক শক্তি দেয়। সকালে যখন আপনি খালি পেটে ব্যায়াম করবেন তখন আপনার শরীর অনেকটাই ফিট থাকবে।

এবং পরীক্ষিত হয়ে জানা যায় যে আপনি যদি খালি পেটে ব্যায়াম করেন তবে আপনার ওজন কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে। তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন সকালে খালি পেটে যখন বা যদি আপনি ব্যায়াম করেন তাহলে আপনি কত রকমের উপকারিতা লাভ করতে পারবেন। আবার আপনি যদি সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করেন যেমন উপকারিতা লাভ করবেন তেমন অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই আপনাকে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করার মাধ্যমে আপনি এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করবেন।

অনেক সময় আপনি যখন অসুস্থ থাকেন আপনার খাওয়ার মত কোন রুচি থাকে না তখন আপনি অনেকদিন থেকে না খাওয়া অবস্থায় যখন ব্যায়ামে লিপ্ত হবেন তখন আপনি অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই এমন সময় অবশ্যই হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করে অর্থাৎ শুকনা কিছু খাওয়া-দাওয়া করার পর আপনি ব্যায়ামে লিপ্ত হবেন তাহলে আপনি শক্তি পাবেন এমনকি অনেকক্ষণ থেকে আপনার জিম করতে পারবেন।

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়

আপনি যদি নিয়মিত জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। কারণ আছে বিভিন্ন ধরনের ফলিক অ্যাসিড যার দ্বারা মানুষের দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গবেষণার ফলে জানা যায় যে ব্যক্তি প্রতিদিন বা নিয়মিতভাবে জিম করার পর কাঁচা ছোলা গ্রহণ করবে সেই ব্যক্তির বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়ে যাবে।তাই অবশ্যই আপনাকে বা আপনি যদি পারেন তাহলে জিম করার পর কাচা ছোলা খাবেন বা গ্রহণ করবেন।

তবে এতটুকু জেনে রাখেন যে আপনি যখন নিয়মিত ভাবে কাঁচা ছোলা খাওয়ার অভ্যাস করবেন তখন আপনার যে ধরনের রোগ গুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে সেগুলো হল ক্যান্সারের মতো মারাত্মক একটি রোগ। তারপর ছোলার মধ্যে থাকা ফলিক এসিড কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে অনেকটাই সাহায্য করে। এছাড়াও ছোলা খাওয়ার মাধ্যমে আপনার রক্তকে শুদ্ধ করে তুলবে। তারপর এলার্জিজনিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করবে যার ফলে অ্যাজমার মত সমস্যাকে দূর করে দেবে। এমনকি ছোলার মধ্যে থাকা ভিটামিন হার্টকে ভালো রাখে।

এছাড়াও আপনি যতক্ষণ ব্যায়াম করবেন ততক্ষণ আপনার হার্টের পেশিগুলো কাজ করবে। আর তাই আপনি জিম বা ব্যায়াম থেকে ফিরেই ভারী কোন কাজে লিপ্ত হয়ে যাবেন না। যেহেতু আপনি ব্যায়াম করার মাধ্যমে অনেকটাই শক্তি ব্যয় করে ফেলেছেন তাই আপনার প্রথমেই প্রয়োজন হবে শরীরকে সঠিক পুষ্টি দেয়ার। আর এই পোস্টটি হচ্ছে ছোলা এই ছোলার মধ্যে থাকা ভিটামিন হার্টকে ভালো রাখে। তাই অবশ্যই আপনাকে ফির থাকতে ছোলার সাথে গুর খেতে হবে। তাহলে আশা করছি আপনি এতক্ষণে জানতে পেরেছেন জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি ধরনের উপকারিতা এই সম্পর্কে।

সকালে ব্যায়াম করার পর কি খাওয়া উচিত

আপনি কি জানেন সকালে ব্যায়াম করার পর কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন। আপনি হয়তো ভাবছেন মেদ কমাতে জিমে গেলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় ব্যাপারটা ঠিক এমন না। বরং জিমে যাতায়াত শুরু হলে বিশেষ নজর দিতে হয় খাবার এর উপর অর্থাৎ আপনি যখন জিম ট্রেনিং শুরু করবেন তখন আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই আপনার খাবারের দিকে নজরদারিটা বাড়ি দিতে হবে এবং খাবারের তালিকায় অবশ্যই প্রোটিনযুক্ত খাবার গুলো রাখতে হবে। 

যেহেতু আপনি জিম ট্রেনিংয়ে জয়েন করেছেন সেহেতু আপনার শ্রম বেড়ে যাবে আর তাই আপনার শরীরে জোগাতে হবে বাড়তি শক্তি, নয়তো আপনার বেড়ে যাবে ক্লান্তি। লাবণ্য কমে যাবে, পেশি ঠিকভাবে তৈরি হয় না। কাজেই ব্যায়ামের আগে পরে খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে জানা যায়। আপনি যখন নিয়মিত ভাবে ব্যামে লিপ্ত হয়ে যাবেন তখন আপনার শরীরে এক্সট্রা প্রোটিন বা শক্তি যোগান দেয়া আবশ্যক। কারণ আপনার শরীরে যদি শক্তি বৃদ্ধি না পায় তাহলে আপনি প্রেম করতে অক্ষম হবেন বা অযোগ্য হবেন।

আপনাকে অবশ্যই ব্যায়াম করার ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে অল্প করে কমপ্লেক্স কার্বোহাইডেট খেতে হবে। এটি খাওয়ার কারণে আপনার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকবে অনেকক্ষণ বা বহুক্ষন। এমনকি ভালো করে অনেকক্ষণ ধরে ব্যায়াম করতে পারবেন। এর সাথে সাথে পেশির জোর বাড়াতে প্রোটিন খেতে পারেন। অর্থাৎ যে খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে সেই খাবারগুলো আপনি খেতে পারেন তাহলে আপনার পেশীর শক্তি বৃদ্ধি পাবে। যেমন মনে করেন দুধের সঙ্গে ওটস/মুসলি/ব্রাউন ব্রেড/আটার রুটি এগুলো খেতে পারেন। 

এবার চলুন ব্যায়াম করার পরে কি খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে জেনে নিন। ব্যায়াম করার পরেই প্রথমেই আপনাকে গ্লুকোজ, কলা বা ফলের রস গ্রহণ করতে হবে বা খেতে হবে। এরপর আপনি ডিম বা বাটার মিল্ক এর সঙ্গে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খেতে পারেন। তারপর আবার দয়ের সঙ্গে পোহা বা উপমা, দুধ দিয়ে মুসেলি বা ওটস, চিকেন স্যান্ডউইচ, এমনকি অনেক ধরনের সবজি মিশিয়ে খিচুড়ি এই ধরনের খাবার গুলো খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি ব্যায়াম শেষ করার ৪৫ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে এই খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন। 

রাতে খাওয়ার পর ব্যায়াম করা উচিত

রাতে খাওয়ার পর ব্যায়াম করা উচিত কিনা এ ধরনের প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘোর পাক খাচ্ছে। এখন যদি আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিই তাহলে অবশ্যই আপনি জেনে যাবেন রাতে খাওয়ার পর ব্যায়াম করা উচিত কিনা। হ্যাঁ রাতে খাওয়ার পর ব্যায়াম করা উচিত তবে বেশি টাইম ধরে না অল্প টাইমে। অর্থাৎ আপনি খাওয়া দাওয়ার পর যদি একটু হাটাহাটি করেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে। রাতে খাওয়া দাওয়া করার পর হাঁটাহাঁটি করাও এক প্রকারের ব্যায়াম। আর এই ব্যায়ামের ফলে শরীরের অনেক ধরনের উপকার হয় এবং অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

যেমন আপনি যদি প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পর একটু হাটাহাটি করেন তাহলে আপনার পেপটিক আলসার, অন্ত্র সিনড্রোম, ডাইভার্টিকুলার ডিজিজ, কোষ্ঠকাঠিন্য ও  কোলেস্টেরল ক্যান্সারের মতো সমস্যা থেকে আপনি দূরে থাকবেন। এমনকি এগুলো ছাড়াও হাটার মাধ্যমে বিপাক শক্তিশালী হয় যা আপনার দেহকে শক্তি যোগান দেয়। আবার গবেষণা অনুসারে জানা যায় যে খাওয়ার পর কেউ যদি হাঁটাহাঁটি করে তাহলে তার রক্তের শর্করা মাত্রা বাড়াতে দেয় না। তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন রাতে খাওয়ার পর হাটাহাটি করার আপনার শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী।

রাতে খাওয়ার পর ব্যায়াম সম্পর্কে যদি আরেকটু জানতে চান তাহলে আপনাকে আরেক ধরনের তথ্য প্রদান করছি যেটি হচ্ছে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সন্ধ্যার পরে ব্যায়াম করার চেষ্টা করে বা করেন। তবে গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় বা গবেষকরা বলেছেন রাতে ভারী ব্যায়াম এড়ানো উচিত বা না করাই ভালো কারণ এটি একজন ব্যক্তির ঘুমের ধরনকে প্রভাবিত করে অর্থাৎ রাতে যদি আপনি কোন ভারী ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার ঘুমানোর সময় টা হ্রাস পেয়ে যাবে। জার্নাল অফ ফিজিওলজি তে প্রকাশিত একটি 2019 এর একটি সমীক্ষা বলছে যে সন্ধ্যা সাতটার পরে ব্যায়াম করলে ঘুমাতে দেরি হয়ে যায় তাই বিশেষজ্ঞরা রাতের বেলায় যোগাভ্যাসের মতো মানসিক চাপ উপশমকারী সরিরচর্চার পরামর্শ দেন। 

তাই আপনি রাতে খাওয়ার পর ভাই কোন ব্যায়াম না করে হাটাহাটি করতে পারেন হাঁটাহাঁটি করলেই আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এমনকি আপনার ঘুমের কোন সমস্যা হবে না। আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন রাতে খাওয়ার পর ব্যায়াম করলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কোন ধরনের ব্যায়ামগুলো রাতে খাওয়ার পর করা উচিত। এখন তাহলে আপনি নিয়মিত ভাবে খাওয়ার পর রাতে হাটাহাটি করবেন। 

জিম করার পর ছেড়ে দিলে কি হয়

জিম করতে করতে ছেড়ে দিলে কি হয় এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের কাছে প্রায় এসে থাকে, অনেকেই বলেন আমি আগে প্রতিদিন জিম করতাম এখন জিম ছেড়ে দিয়েছি এমনকি আমার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং স্বাস্থ্যের অনেকটাই অবনতি হয়েছে। এখন আমার কি করা উচিত বা জিম ছাড়ার পর কি করলে আগের মত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারব। আর আজকে ঠিক আপনাদের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার জন্যই আমাদের পোস্টটি লেখা হয়েছে তাই পোস্টটি কন্টিনিউ করুন তাহলেই সমস্ত তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। 

আপনি হয়তো জানেন যে জিমের কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই বা নির্দিষ্ট বয়স করে জিম করতে হয় না যে কেউ ব্যায়াম করতে পারে। ছয় থেকে সাত বছর বয়স থেকেও আপনি জিম শুরু করতে পারেন। তবে অনেক সময় অনেক ধরনের ব্যায়াম আছে যেগুলো ছোট বাচ্চারা করতে পারে না যেমন ওয়েব লিফটিং করার জন্য পেশী শক্তিশালী হও অনেক প্রয়োজন। আপনি যখন নিয়মিতভাবে জিম করবেন তখন আপনার খাওয়া দাওয়ায় অনেক ধরনের বাধা আসবে বা পরিবর্তন হবে। এমনকি শরীরের অভ্র নির্ভর করে ডায়োট চার্ট ফলো করতে হবে।

আপনি যখন নিয়মিত জিম করবেন এরপর জিম ছেড়ে দেবেন তখন বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয় না। তবে যে ধরনের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে পারেন সেগুলো হলো পেশি টানটান ভাব, জোর কমে যাওয়া। জিম করলে প্রতিদিনের স্ট্রেস অনেকটাই কমে যায়। আর আপনি যখন জেম ছেড়ে দেবেন তখন এই ধরনের চাপ কমানোর রাস্তাটা হারিয়ে যাবে। এরপর জিম ছাড়লে ওজন বেড়ে যাবে তবে এটা নির্ভর করে মেটাবলিজমের উপর। জিম ট্রেনিং করার বা না করার ওপর মোটা বা রোগা নির্ভর করে না এই কথাটি আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। শুধুমাত্র মানুষের ওজন কমানোর জন্যই জিমে যাই আবার ওয়ার্কআউট করা এমনটা নয় অনেকেই আবার ফিট থাকার জন্য জিমে যাই। 

আরো পড়ুনঃ কাঠবাদামের ৬০টি অসাধারণ উপকারিতা

তাহলে আপনি বুঝতে পেরেছেন জিম করতে করতে ছেড়ে দিলে কি ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বা কতটুকু ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তা আপনি বিস্তারিত জানতে পারলেন। এবার আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন যে আপনি জিম করার পর ছেড়ে দেবেন না আপনার জিম টি কন্টিনিউ করবেন। আপনি যদি জিম ট্রেনিং কন্টিনিউ করেন তাহলে যে ধরনের সুবিধা গুলো বললাম সে ধরনের সুবিধাগুলো আপনি অর্জন করতে পারবেন আর যদি আপনি জিম ট্রেনিং ছেড়ে দেন তাহলে আপনি খুব বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না তবে ছোট ছোট কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

সর্বশেষ কথা-ব্যায়াম করার পর কি প্রোটিন খাওয়া উচিত

এতক্ষণ কষ্ট করে আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। যদিও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অনেক তথ্য পেয়ে গেছেন যেমন আপনি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে পেমেন্ট করার পর কি ধরনের প্রোটিন খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে এমনকি সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করা ভালো কি খারাপ এবং জিম করার পর কোন ধরনের খাবারগুলো খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী এই ধরনের সমস্ত তথ্য গুলো এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। 

এবার এখন যদি মনে হয়ে থাকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আপনার যতটুক প্রয়োজন ছিল ততটুক তথ্য উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটির নিম্নে একটি মন্তব্য বাটন আছে সেই মন্তব্য পাঠনে আপনার একটি মূল্যবান মন্তব্য করে যাবেন। কারণ আপনি যদি মন্তব্য করেন তাহলে সেই মন্তব্যের ওপর নির্ভর করে আমরা আমাদের পোস্ট লেখার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন। যদি তারাও এই পোস্টটি পায় তাহলে তারাও জানতে পারবে ব্যায়াম করার পর কি ধরনের প্রোটিন খেলে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারে আসবে। এই ধরনের আরো পোস্ট পড়তে চাইলে অবশ্যই নিচের দেয়া বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url