নিয়মিত সেভ করলে গালের দাড়ি বৃদ্ধি পায় কি না

প্রিয় পাঠক আপনি কি আপনার দাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন এমনকি ভাবছেন কেন আমার দাড়ি বৃদ্ধি হয় না এমনকি আপনি জানতে চাইছেন নিয়মিত শেভ করলে গালের দাড়ি বৃদ্ধি পায় কিনা তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণটাই আপনার জন্যই।

beard growth

কারণ আজকের এই পোষ্টের মধ্যে নিয়মিত সেভ করলে গালের দাড়ি বৃদ্ধি পায় কিনা এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এমনকি শক্ত দাড়ি নরম করার উপায় আর দাড়ি হয় না কেন এমনকি কি খেলে বা কি ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে দাড়ি গজাবে এই ধরনের সমস্ত তথ্য নিয়ে এই পোস্টটির মধ্যে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাই এই সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলেই আপনার গালির দাড়ি গজানো  সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ নিয়মিত সেভ করলে গালের দাড়ি বৃদ্ধি পায় কি না

নিয়মিত সেভ করলে গালের দাড়ি বৃদ্ধি পায় কি না

আপনি কি জানেন আপনার দাড়ি বা আপনার গালে দাড়ি নিয়মিত সেভ করলে সেটি বৃদ্ধি পায়। তবে যদিও অনেক ধরনের গবেষণার ফলে জানা যায়নি যে নিয়মিত শেভ করলে গালের দাড়ি বৃদ্ধি পায় কিনা। তবে যাদের হরমোন জনিত সমস্যা নেই এমনকি শরীরে হরমোনের পরিমাণ ঠিক রয়েছে তাদের যদি নিয়মিত সেভ করা হয় তাহলে গালের দাড়ি বৃদ্ধি পায়।

আপনি যদি আপনার মাথার চুলগুলো ঘন ঘন কেটে ফেলেন তাহলে দেখবেন খুব দ্রুতই সেই চুলগুলো বৃদ্ধি পায়। তাই আপনার গালে দাড়িগুলো যদি ছোট ছোট থাকে আর সেই দাড়িগুলো যদি আপনি নিয়মিতভাবে সেভ করেন বা কেটে ফেলেন তাহলে সেখান থেকে দ্রুত আবার দাড়ি গজাতে শুরু করবে। 


গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় চুলের বৃদ্ধির সাথে দিনের তাপমাত্রা তারতম্যের কোন সম্পর্ক নেই তবে চুলের বৃদ্ধির পরিমাণ সময়ের সাথে সাথে বাড়ে তবে সময় বারার সাথে সাথে প্রতি ইউনিট চুলের গড় বৃদ্ধি হ্রাস পায়। সেভ করার ফলে দাড়ির বৃদ্ধি প্রবাহিত হয় এমন কোন প্রমাণ গবেষণাটি থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। শেভিং এর মাধ্যমে ত্বকের কোন পরিবর্তন আনে না এমনকি দাড়ি গজানোর সাথে ঘন ঘন শেভিং এর কোন সম্পর্ক নেই।

তবে আপনি যদি নিয়মিত ঘন ঘন সেভ করেন তাহলে আপনার গালে দাড়ি খুবই ঘন হবে এবং খুব দ্রুত সেই দাড়িগুলো বৃদ্ধি পাবে। তাহলে আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন ঘনঘন সেভ করার মাধ্যমে বা প্রতিদিন সেভ করার মাধ্যমে গালের দাড়ি গজায় বা বৃদ্ধি পায় কিনা এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো।

দাড়ি হয় না কেন

অনেকেই অনেক রকম ভাবে চিন্তা করে থাকেন সবারই মুখে দাড়ি আছে কিন্তু আমার মুখে কেন নেই? হয়তো এই প্রশ্নের জবাবের জন্য আপনি অনেক রকম ভাবে অনেক চেষ্টাই বা অনেক রকম ভাবে অনেকের কাছেই জানতে চেয়েছেন। কিন্তু আজকে আপনাকে আমরা কিছু সঠিক তথ্য দেব যে তথ্যটি পাওয়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার কেন দাড়ি হয় না বা দাড়ি না হওয়ার কারণগুলো কি কি। পুরুষের দাড়ি না হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য।

১। জেনেটিক কারণ বা জিনগত বা বংশগত কারণেঃ পুরুষের দাড়ি না ওঠার পেছনের অন্যতম কারণ হচ্ছে বংশগত কারণ। অনেক সময় দেখা যায় ফ্যামিলির প্রধানের গালে দাড়ি যদি না থাকে সেক্ষেত্রে তার বংশগত বা জিনগত পুরুষ হবে তাদেরও দাড়ি না হওয়া সম্ভাবনা বেশি। আমাদের শরীর অনেকটাই বংশগত কারণেই বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। 

২। অপরিষ্কারভাবে চলাফেরার কারণেঃ পুরুষের দাড়ি না ওঠার পেছনের আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে অপরিষ্কারভাবে চলাফেরা করা যেমন মনে করেন আপনি রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছেন সেই চলাফেরার মাধ্যমে আপনার মুখে বা ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ধুলাবালি লাগে সেক্ষেত্রে সেই ধুলাবালি গুলো যদি আপনি না পরিষ্কার করেন তাহলে আপনার গালে বা মুখে সেই ধুলাবালি গুলোর কারণে দাড়ি উঠতে বা দাড়ি গজাতে পারে না। তাই অবশ্যই নিয়মিত মুখ ধৌত করতে হবে তাহলে আপনার মুখের সেলগুলো কাজ করবে এবং দাড়ি গজাবে। 

৩। হরমোন জনিত সমস্যার কারণেঃ পুরুষের গালে দাড়ি না ওঠার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে হরমোর জনিত সমস্যা। মূলত এই সমস্যার কারণেই অনেকেরই মুখে বা গালে দাড়ি বাড়ে না বা হয় না। যাদের শরীরে হরমোন জনিত সমস্যা রয়েছে বা হরমোন কম রয়েছে তাদের গালে দাড়ি উঠে না। তাতে করে আপনি যদি হরমোন জনিত সমস্যার সমাধান করার জন্য হরমোন ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন তাহলে আপনার দাড়ি গজাতে পারে।

৪। খাবার গত সমস্যার কারণেঃ পুরুষের গালে দাড়ি না ওঠার আরেকটি কারণ হচ্ছে খাবার গত সমস্যার কারণে। আপনি যদি আপনার দেহের সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আপনার গালে দাড়ি উঠানোর ক্ষেত্রেও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারন আপনি যখন নিয়মিতভাবে ফাস্টফুড বা তৈলাক্ত জাতীয় খাবার গুলো সেবন করবেন তখন আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন এমনকি আপনার গালের দাড়ি ওঠার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।

৫। শারীরিক সমস্যার কারণেঃ পুরুষের গালে দাড়ি না ওঠার পাঁচ নাম্বার কারণটি হচ্ছে শারীরিক সমস্যা যেটি হচ্ছে আপনি যদি সারাদিন শুয়ে বসে পার করে দেন এমনকি আপনার শরীরের মাসেলগুলো ঠিকমতো সঞ্চালন না হয় সে ক্ষেত্রে আপনার গালে দাড়ি ওঠার সম্ভাবনা খুব কমে যায়। তাই আপনাকে নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করতে হবে এবং পরিশ্রমের মধ্যে থাকতে হবে। ইত্যাদি।

উপরোক্ত এই পাঁচটি কারণেই মূলত ছেলেদের গালে দাড়ি উঠে না। আশা করছি উপরোক্ত পাঁচটি পয়েন্ট পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন ছেলেদের দাড়ি না ওঠার কারণ গুলো কি কি বা কোন কোন দিকগুলোর কারণে ছেলেদের গালে দাড়ি উঠে না বা গজায় না। এখন আপনি নিজেও জেনেছেন এবং অন্য কেউ জানাতে পারবেন। 

কি খেলে দাড়ি গজাবে

আমরা অনেকেই অনেক রকম ভাবে জানতে চাই যে কি খেয়ে বা কিসের মাধ্যমে আমার গালে দাড়িগুলো বৃদ্ধি করব বা গালের দাড়িগুলো গজাবো। এছাড়াও অনেকেই জানতে চাই কি খাওয়ার মাধ্যমে আমার গালে দাড়িগুলো বৃদ্ধি পাবে বা গজাবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কি খাওয়ার মাধ্যমে বা কোন খাবার গুলো বেশি পরিমাণে গ্রহণ করার মাধ্যমে ছেলেদের গালে দাড়ি গজাবে এই সম্পর্কে।

গালে দাড়ি গজানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে পুষ্টিকর খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে। ছেলেদের গালে বা মুখে দাড়ি গজানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা যাতে করে আপনার হরমোনের সেলগুলো খুব সহজেই কাজ করতে পারে এবং আপনার গালে দাড়ি উঠাতে সাহায্য করে। তাই আপনাকে অবশ্যই দেহের সুস্বাস্থ্যের জন্য যেমন সুনিশ্চিত করেন পুষ্টিকর খাবার কে তেমনি করে আপনার মুখের গালের দাড়ি গজানোর জন্য পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই।

আরো পড়ুনঃ কাঠবাদামের ৬০টি অসাধারণ উপকারিতা

আপনি যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গুলো গ্রহণ করতে পারেন বা আপনার খাদ্যাভেসে বাদাম জাতীয় খাবার গুলো রেগুলার প্রতিদিন গ্রহণ করতে পারে তাহলে আপনার গালের দাড়ি উঠার সম্ভাবনা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি আপনার খাদ্যাভেজ থেকে বা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে তৈলাক্ত জাতীয় যেমন জাঙ্ক ফুড গুলো বাদ দিতে পারেন। এই খাবারগুলো যদি আপনি বাদ দেন তাহলে আপনার গালে দাড়ি উঠতে খুবই কার্যকর একটি উপায় হয়ে দাঁড়াবে।

এখন নিম্নে কয়েকটি খাদ্যের নাম বলা হলো যে খাদ্যগুলো আপনি আপনার খাদ্যাভাসে বা প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় যদি রাখতে পারেন তাহলে আপনার গালে দাড়ি বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী উপায় হয়ে দাঁড়াবে। তাই এমনি দেয়া খাবারের লিস্ট গুলো বা নামগুলো আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখবেন তাহলেই আপনি আপনার প্রচেষ্টায় সফল হতে পারবেন। ছেলেদের গালে দাড়ি উঠার জন্য খাবার যেমন,

  • কিসমিস 
  • ডিম 
  • মাছ 
  • কমলার রস 
  • শাকসবজি

উপরোক্ত এই খাবারগুলো যদি আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার প্রচেষ্টার একটি ভাল ফলাফল পাবেন অর্থাৎ আপনার গালি বা মুখে দাড়ি গজাবে। এমনকি আপনার দেহের পুষ্টি বৃদ্ধি করবে এবং এই বৃদ্ধির কারণেই আপনার গালে দাড়ি বৃদ্ধি পাবে। তাহলে আশা করছি আপনি আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পেয়ে গেছেন।

কিভাবে দাড়ি গজাবে

ছেলেদের মুখের সৌন্দর্য হচ্ছে তার দাড়ি আর যদি সেই দাড়ি আপনার মুখে না থাকে তাহলে আপনার পুরুষত্ব কমে যায়। তাই আপনি আপনার গালে দাড়ি বাড়ানোর জন্য অনেক ভাবে অনেক রকমের চেষ্টা করেছেন তবে আপনি এখন পর্যন্ত সফলতা অর্জন করতে পারেননি চলুন তাহলে আপনাকে কিছু টিপস এন্ড টিপস দিয়ে যে টিপস এন্ড টিপস গুলো ফলো করার মাধ্যমে আপনার গাল ভর্তি দাড়ি গজাবে।

১। আমলকি তেল ছেলেদের গালে দাড়ি বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকরী একটি উপায় বলে আমি মনে করি।এমনকি এই কথাটি ডাক্তারদের গবেষণা দাড়াও জানা গেছে। আমলকির তেল যদি আপনি আপনার গালে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মাসাজ করতে পারেন এবং পরবর্তীতে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন তাহলে আপনার গালে দাড়ি উঠতে সাহায্য করবে।

২। পেঁয়াজের রস ছেলেদের গালে দাড়ি উঠাতে খুবই কার্যকরী কারণ পেঁয়াজের রয়েছে সালফার। রেগুলার আপনি যদি পেঁয়াজের রস মুখে বা দাড়ি গলায় লাগাতে পারেন তাহলে আপনার গালে দাড়ি দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাই এই উপায়টি আপনি আপনার দাড়ি উঠাতে কাজে লাগাতে পারেন।

৩। গালে দাড়ি বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রোটিন সীমিত খাবার তালিকায় রাখতে হবে। কারণ আপনি যখন প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবারগুলো রাখছেন তখন আপনার গালে দাড়ি বৃদ্ধি করতে খুবই উপকারী হয়ে উঠবে যেমন মাছ মাংস ডিম বাদাম ইত্যাদি এই ধরনের খাবার গুলো প্রতিদিন আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে আপনার দাড়ি দ্রুত গজাবে।

৪। ছেলেদের গালে দাড়ি উঠাতে সাহায্য করে পরিমাণ মতো ঘুম অর্থাৎ আপনি যদি প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে পারেন তাহলে আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পাবে বা ইনক্রিজ হবে। এতে করে আপনার গালে দাড়ি বৃদ্ধি করতে খুবই সাহায্য করবে। 

৫। এছাড়াও আপনি আপনার দাড়ি বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত এক থেকে দুই ঘন্টা ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে এই ব্যায়ামের মাধ্যমে টেস্টোস্টেরন বাড়াবে এবং আপনার দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে।

৬। দাড়ি উঠানোর ক্ষেত্রে সর্বশেষ যে উপায়টি রয়েছে সেটি হচ্ছে মানসিক চাপ দূরে রাখতে হবে। আপনি হয়তো জানেন যে মানুষের সবচেয়ে বড় রোগ হচ্ছে মানসিক রোগ আর এই রোগের মুক্তি পাওয়ার কোন ওষুধ নেই তবে আপনাকে নিজেই তার ওষুধ উদ্ভাবন করতে হবে। আর আপনি যদি এই মানসিক চাপগুলো দূরে রেখে সব সময় হাসিখুশি থাকতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের যত ধরনের রোগ ব্যাধি বা সমস্যা রয়েছে তা থেকে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সফল হয়ে উঠবেন।

তাহলে আশা করছি উপরোক্ত কয়েকটি উপায় দ্বারা জানতে পেরেছেন যে আপনার দাড়ি বৃদ্ধি করার উপায় বা দাড়ি গজানোর উপায় সম্পর্কে। এখন যদি আপনি এই উপায় গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার দাড়ি গজাতে সাহায্য করে তাহলে অবশ্যই আপনি এই উপায় গুলো অবলম্বন করবেন। 

দাড়ি ওঠার ওষুধ

আপনি কি জানেন দাড়ি ওঠার ওষুধ রয়েছে যে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে আপনার গালের দাড়ি খুব সহজেই বৃদ্ধি পাবে বা গজাবে। আপনি যেহেতু এই পোস্টটি পড়ার জন্য এসেছেন তাহলে অবশ্যই আপনি জানেন বা জানতে চাচ্ছেন যে দাড়ি উঠার ওষুধ সম্পর্কে হ্যাঁ আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি জানতে পারবেন দাড়ি ওঠার ওষুধ সম্পর্কে। এমনকি এই ওষুধ কিভাবে সেবন করতে হয় সেই সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

ছেলেদের মুখে দাড়ি গজানোর জন্য একটি ওষুধ রয়েছে যে ওষুধটি আপনি সেবন করার মাধ্যমে আপনার দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে। মিনোক্সিডিল (Minoxidil) নামের এক ধরনের স্প্রে আছে যে ইসপির এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার চুল এবং দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে। অনেক সময় দেখা যায় যাদের মাথায় টাক পড়ে গেছে তারাও এই স্প্রেটি ব্যবহার করে তাদের মাথায় চুল গজায়। এবং এই স্প্রেটি মূলত দাড়ি গজানোর জন্যই আবিষ্কৃত করা হয়েছে তাই আপনি যদি এই স্মৃতি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার গালে দাড়ি গজাবে।

আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন আপনার গালে দাড়ি গজানোর জন্য কোন ওষুধ বা কোন স্প্রে ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার গালে দাড়ি গজাতে পারে। এমনকি এই স্প্রেটি যদি আপনি ব্যবহার করে আপনার গালে বা মুখে দাড়ি গজাতে চান তাহলে নিচের দেয়া লিংকে ক্লিক করে স্প্রেটি অর্ডার করুন। এবং ব্যবহার করে নিজেই ফলাফলটি দেখুন।

শক্ত দাড়ি নরম করার উপায়

আপনি যদি আপনার সত্য দাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তাহলে আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন্যই। কারণ এখন আপনি জানতে পারবেন আপনার শক্ত দাড়িগুলোকে কিভাবে নরম করবেন। কারন সবাই শক্ত দাড়ি চাইতে নরম দাড়ি বেশি তাই। তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে আপনার শক্ত দাড়িগুলোকে নরম করবেন।

ধাপ নাম্বার ১। আপনার শক্ত দাড়িগুলোকে নরম করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি বাড়িতে এক চা চামচ নারিকেল তেল কারণ এই নারিকেল তেলে রয়েছে লাউরিক অ্যাসিড যা আপনার ত্বকের পানি শূন্যতা দূর করবে এবং আপনার দাড়ি কে করবে নরম ও কোমল।

ধাপ নাম্বার ২। এরপর আপনাকে এর মধ্যে এক চা চামচ জোজোবা অয়েল দিতে হবে কারণ জোজবা ওয়েলে রয়েছে ত্বকের অতিরিক্ত শিবাম নিষ্করন রোধ করে দেয় যা ত্বককে তেলতেলে হতে দূরে রাখে এবং এটি দাড়ি গজাতে খুবই সাহায্য করে।

ধাপ নাম্বার ৩। তারপর এর মধ্যেই আপনাকে এক চা চামচ আমন্ড অয়েল মিস করতে হবে কারণ আমন্ড অয়েলের ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে খুবই ভূমিকা পালন করে।

ধাপ নাম্বার ৪। সর্বশেষ যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে এর মধ্যে আপনাকে চার ফোঁটা চন্দনের তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিতে হবে কারণ চন্দনের তেল দাড়ির গন্ধ দূর করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে।

ধাপ নাম্বার ৫। এবার আপনার দাড়িতে যদি চুলকানি জনিত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে এই মিশ্রণের মধ্যে দুই থেকে তিন ফোটা টি ট্রি অয়েল মিস করে দিতে হবে কারণ এই তেল শুধু চুলকানি দূর করে না এর এন্টিব্যাকটেরিয়াল উৎপাদন সংক্রমনের জীবাণু কেউ ভালোভাবে ধ্বংস করে দেয়।

ধাপ নাম্বার ৬। এরপর আপনার করণীয় হবে এই মিশ্রণগুলো একটি বোতলে ভরে এক মিনিট ভালোভাবে ঝাকিয়ে নিতে হবে কারণ এতে করে সব তেল একসাথে ভালোভাবে মিশে যাবে।

ধাপ নাম্বার ৭। এরপর এই মিশ্রিত তেল হাতে নিয়ে দাঁড়িতে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে হবে তারপর ছোট একটি চিরুনি দিয়ে দাড়ি আঁচড়ে নিতে হবে। যদি দাড়িতে অতিরিক্ত তেল হয়ে যায় তাহলে টিস্যু দিয়ে মুছে নিতে হবে।

এতক্ষণ আপনি যে তেলটি এতগুলো উপাদান দিয়ে মিশ্রণ করলেন এই তেলের উপকার হলো দাঁড়িকে নরম করে মসৃণ ও চকচকে করতে সাহায্য করে। আপনাকে প্রতিদিন গোসলের পর এই তেল গাড়িতে মেসেজ করতে হবে তাহলেই দেখবেন দাড়ির খসখসে ভাব দূর হবে এবং চুলকানির সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়াও মিশ্রণ তেল ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং কর্মশক্তি বাড়ে ও ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

শেভ করার পর করণীয়

অনেকেই আমরা আমাদের দাড়িগুলো ক্লিন শেভ করে থাকি কিন্তু আমরা জানিনা এ ক্লিন সেভ করার মাধ্যমে আমাদের ত্বকে কি ব্যবহার করা উচিত বা কোন ক্রিমগুলো ব্যবহার করলে ত্বকের ভালো হয় এবং কোন ক্রিম গুলো ব্যবহার করলে তাকে ক্ষতি হয়। তাহলে চলুন জেনে নিই শেভ করার পর আপনার করণীয় কি হবে বা কোন ক্রিম ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের উপকার আসবে।

আরো পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা এবং কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

আপনি আপনার গাল শেভ করার পরে ঘনীভূত পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন কারণ এর ফলে তাৎক্ষণিক আপনার ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। শেভ করার পর  এমন অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। কারণ এটি আপনার ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করবে এবং মসৃণও রাখবে। এমনকি আপনি চাইলে আপনার পছনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।  তাহলে আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন সেভ করার পর আপনার করণীয় কি হবে এই সম্পর্কে। 

ক্লিন সেভ করার মেশিন 

বর্তমান বিশ্বে বা আধুনিক এই যুগে কোন কিছুই হাত দিয়ে করার প্রয়োজন পড়ে না এখন আপনি হয়তো জানেন যে ক্লিন সেভ করার জন্য অনেক ধরনের মেশিন রয়েছে যে মেশিনগুলো আপনি ইউজ করার মাধ্যমে আপনার গালে দাড়িগুলো খুব সহজেই ক্লিন করে ফেলতে পারবেন।

এখন যদি আপনি সেই ক্লিন সেভ করার মেশিনটি ক্রয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিচের দেয়া লিংকটিতে ক্লিক করে ক্রয় করতে হবে। কারন আপনি যখন আপনার দাড়িগুলো ক্লিন সেভ করতে চাইবেন তখন আপনার প্রয়োজন পড়বে এই ক্লিন সেভ করার মেশিনটি। তাই আপনি নিচের দেয়া লিংকটিতে ক্লিক করে লেপ কিনে ফেলুন ক্লিন সেভ করা মেশিন।

উপরোক্ত যে মেশিনটির ক্রয় লিংক প্রদান করা হয়েছে সেই মেশিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যাধুনিক এই মেশিন দ্বারা আপনার গালে দাড়িগুলো খুব সহজেই ক্লিন সেভ করতে পারবেন। এমনকি এই মেশিনের খুবই ভালো দিক রয়েছে যে দিকগুলো আপনি ব্যবহার করার মাধ্যমে খুবই উপকার পাবেন। এই মেশিনটির চার্জিং ব্যাকআপ প্রায় অনেকক্ষণ। দাম হিসেবে মেশিনটি খুবই ভালো আপনি চাইলে উপরের দেয়া লিংকটিতে ক্লিক করে মেশিনটি ক্রয় করতে পারেন।

সর্বশেষ কথা-গালের দাড়ি বৃদ্ধি করার উপায়

উপরোক্ত যে পোস্টটি এতক্ষণ আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লেন সেই পোস্টটি ছিল গালে দাড়ি বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে। আশা করছি উপরোক্ত তথ্যগুলো বিস্তারিত পড়েছেন এবং গালে দাড়ি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে অনেক ধরনেরই তথ্য পেয়েছেন এমনকি যে তথ্যগুলো আপনার প্রয়োজন ছিল সেগুলো পেয়েছেন আবার যেগুলো প্রয়োজন ছিল না সেগুলো পেয়েছেন।

এখন যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমরা আমাদের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এমনকি আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক আইডি অথবা মেসেঞ্জারের বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন কারণ এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে নিয়মিত সেভ করলে গালের দাড়ি বৃদ্ধি পায় কি না সম্পর্কে জানতে পারবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url