অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার সহজ উপায় ২০২৪
প্রিয় পাঠক আপনি কি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই।
কারণ আমরা আপনাকে জানাতে চলেছি কিভাবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সহজ উপায়ে আয় করতে পারবেন। এমনকি বিভিন্ন ই-কমার্স বিজনেস সাইড গুলো থেকে এফিলিয়েট লিঙ্ক কালেক্ট করে সেটি দিয়ে মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। তাই দেরি না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার সহজ উপায় ২০২৪
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কোথায় করতে হয়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কেমন ইনকাম করা যায়
- শেষ কথা-এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
আমরা অনেকেই জানিনা এফিলেট মার্কেটিং কি বা এফিলেট মার্কেটিং মূলত কোন কাজে ব্যবহার হয়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নিন। এফিলেট মার্কেটিং হচ্ছে একটি কাজ যে কাজের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন বা বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তুগুলো অন্যের কাছে উপস্থাপন করতে পারবেন।
আপনি যদি একটি বিজনেস করেন এবং সে বিজনেস গুলো বিভিন্ন মানুষের সাথে শেয়ার করেন বা বিভিন্ন কাস্টমার খোঁজার জন্য অ্যাড করেন সেই এডগুলোকেই বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনার প্রোডাক্টের ধরন বা গঠন কাঠামো গুলো কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয়ায় এফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত লিংক নিয়েই করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ফুড ডেলিভারি করে মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে চাপ দিন
আপনি যেই প্রোডাক্টটি নিয়ে কাজ করবেন সেই প্রোডাক্টের একটি লিংক সংগ্রহ করতে হবে এমনকি সেই লিং নেই আপনি মার্কেটিং করবেন তখনই সেই মার্কেটিং টাকে বলা হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এমনকি যখন কাস্টমাররা সেই লিংকের উপর ক্লিক করে প্রোডাক্টগুলো ক্রয় করবে তখন ঐ আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টা সফল হবে।
তাহলে আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন এফিলেট মার্কেটিং কি বা এটি কোন কাজে ব্যবহৃত হয়। এফিলেট মার্কেটিং করে আদৌ কোন আই ইনকাম হবে কিনা এই সম্পর্কে জানার জন্য নিম্নে লেখা সমস্ত তথ্য গুলো বিস্তারিতভাবে পড়তে হবে। চলুন তাহলে পড়ে নেয়া যাক।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় সম্পর্কে যদি আপনাকে জানাতে চাই তাহলে আপনাকে একটি স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করতে হবে সেই স্বচ্ছ ধারণাটির মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন যে এফিলেট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় সম্পর্কে। তাই আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় জানতে চান তাহলে নিম্নে লেখা তথ্য গুলো বিস্তারিতভাবে পড়ুন।
মনে করেন আপনি amazon.com এই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকউন্ট তৈরি করেছেন। এখন আপনার এই ওয়েবসাইটে কাজ হবে প্রোডাক্ট সেল করা আর এই প্রোডাক্ট সেল করতে হলে অবশ্যই আপনাকে যে দেশগুলোতে বাজেই স্থানগুলোতে বেশি প্রোডাক্ট সেল হয় সেই দেশগুলোকেই টার্গেট করে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে। নচেৎ আপনি আপনার প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করতে পারবেন না তাই অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন প্লেস রিসার্চ করে প্রোডাক্ট সেল করতে হবে।
এখন মনে করেন আপনি বাংলাদেশে প্রোডাক্ট সেল করতে চাইলেন কিন্তু অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট সেল করতে পারছেন না আপনার দেশ বাংলাদেশ এখন আপনাকে কি করতে হবে বাইরে দেশগুলো টার্গেট করতে হবে যদি দেখেন বাইরের দেশগুলোতে প্রোডাক্ট সেল করা সম্ভব তাহলে আপনি সেই দেশগুলোতে কিভাবে প্রোডাক্ট সেল করবেন। আপনি তো আর প্রতিদিন সেই প্রোডাক্টগুলো নিয়ে বিদেশ-বিদেশ সেল করে বেড়াতে পারবেন না তার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই আপনার অ্যামাজন ডটকমের মার্কেটপ্লেসের যে একাউন্টে আছে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে আপনি যে প্রোডাক্টটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন সেই প্রোডাক্ট এর লিংক আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। প্রোডাক্টের লিংক সংগ্রহ করার পর সেই লিংক নিয়ে আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে সেই লিংকটি যদি আপনার বায়ারদের কাছে বা কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন তাহলে তারা সেই লিংকে ক্লিক করেই আপনার দেয়া প্রোডাক্টটি কিনবে।
এখন আপনি এই প্রোডাক্ট লিংক কিভাবে আপনার কাস্টমারের কাছে পৌঁছাবেন এর জন্য অবশ্যই আপনাকে ইমেইল মার্কেটিং করতে হবে। আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় না জানেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে আর একটি পোস্ট আছে বা নিম্নে দেয়ার লিংকে ক্লিক করুন তাহলে আপনি ইমেইল মার্কেটিং করার বিভিন্ন উপায় গুলো জানতে পারবেন। এখন সেই লিংক গুলো নিয়ে আপনি যখন ইমেইল মার্কেটিং করবেন তখন আপনার বায়ারের কাছে সেলিংগুলো পৌঁছে যাবে এবং আপনার দেয়া প্রোডাক্টটি যদি তাদের কাছে পছন্দ হয় তাহলে সেই লিংকে ক্লিক করে amazon থেকে প্রোডাক্টটি কিনবে এবং আপনি সেই প্রোডাক্ট এর ওপর কমিশন অর্জন করবেন।
আরো পড়ুনঃ ইমেইল মার্কেটিং করার উপায়
মূলত এই ভাবেই আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন প্রোডাক্ট সেল বা প্রোডাক্ট এর লিংক সেল করে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনি এপিলের মার্কেটিং করে আই ইনকাম করতে পারবেন বা ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনার কোন লিংকগুলো প্রয়োজন পড়বে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে পেয়ে গেছেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কোথায় করতে হয়
এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসছে যে এফিলিয়েট মার্কেটিং টা কোথায় করতে হয় এবং কোথায় এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে আমি বেশি প্রফিট বা বেশি লাভ বা আয় করতে পারবো। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কোথায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে বেশি পরিমাণে লাভ বা ইনকাম করা সম্ভব হয়।
যেমন মনে করেন আপনি যদি amazon.com থেকে লিংক প্রোভাইড করেন অর্থাৎ অ্যামাজনের প্রোডাক্ট লিংক গুলো যদি আপনি সেল করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিদেশি দেশগুলোতে টার্গেট করতে হবে কারণ বাংলাদেশের মানুষ এই ধরনের লিংকে ঢুকে প্রোডাক্ট খুব কমই কিনে। আপনি জেনে অবাক হবেন বাংলাদেশের মানুষ অনলাইন শপিং করতে জানে না বললেই চলে।
তবে আপনি যদি বাইরের দেশগুলো খোঁজ করেন তাহলে জানতে পারবেন বাইরের দেশের মানুষেরা প্রায় অনলাইন থেকেই শপিং করে। তাই আপনাকে অবশ্যই বাইরের দেশগুলোকে টার্গেট করে এফিলেট মার্কেটিং লিগ বিক্রি করতে হবে। মনে করেন একটি আমেরিকান প্রোডাক্ট সেই প্রোডাক্টটি যদি আপনি শেয়ার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার একাউন্টের প্রোডাক্ট লিংকটি সেই বায়ারের কাছে বা আমেরিকান পারসনদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
এই ধরনের দেশগুলোতে যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে আপনি বেশি পরিমাণে লাভের মুখ দেখতে পাবেন নচেৎ ও অন্যান্য দেশগুলো যেমন আমাদের দেশ বাংলাদেশে যদি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চান তাহলে খুব একটা লাভ করতে পারবেন না তাই অবশ্যই আপনাকে বাইরের দেশগুলোকে টার্গেট করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে তাহলে বেশি পরিমাণে প্রফিট করতে পারবেন।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কোথায় অ্যাফিলেট মার্কেটিং করলে আপনি বেশি পরিমাণে লাভ পাবেন এই সম্পর্কে। আপনি যদি কাজে নামেন বা কাজটি শুরু করেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোথায় আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক সেল হচ্ছে আর কোথায় হচ্ছে না এ ধরনের ধারণাগুলো নেয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে মাঠে নেমে কাজ করতে হবে বাস্তব অভিজ্ঞতাটা অর্জন করতে হবে তাহলেই বুঝতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কেমন ইনকাম করা যায়
আপনি যদি জানতেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কেমন ইনকাম করা যায় তাহলে আপনি এই কাজের ওপরেই সব সময় থাকতেন। আপনি হয়তো জানেন না যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় যদি জানতেন তাহলে অবশ্যই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর ভালো অনেক কিছু ধারণা রাখতেন।
কারণ বর্তমান সময়ে এফিলেট মার্কেটিং করে অনেক ফ্রিল্যান্সার বা আউটসোর্সিং করে প্রচুর টাকা আয় করছে। এই ধরনের সেক্টরগুলোতে যারা কাজ করছে তারাই জানে যে এই ধরনের সেক্টরে কাজ করে কত টাকা আয় করা যায় বা কত ধরনের লাভ পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি এই কাজে না লাগতে পারেন তাহলে জানতে পারবেন না যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আসলে কত টাকা আয় করা সম্ভব।
অ্যাফিলিয়েট লিংক বলতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট লিংকগুলো যেমন amazon এর প্রোডাক্ট এর লিংক যদি আপনি বিভিন্ন বাজারের কাছে সেল করতে পারেন তাহলে আপনাকে amazon সেই প্রোডাক্ট থেকে একটি ভালো মানের কমিশন প্রদান করবে এমনকি সেই কমিশন দিয়েই আপনার মাসের ইনকাম হয়ে যাবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন একটি অপিলিয়েট লিংক বিক্রি করে আপনি আপনার মাসের ইনকাম তুলে নিতে পারছেন তাহলে আরও যদি লিংক বিক্রি করেন তাহলে কত টাকা আয় করতে পারবেন এটা আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ বলতে পারবে না।
আশা করছি আপনাকে আমি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে এফিলেট মার্কেটিং করে কেমন ইনকাম করা সম্ভব এমনকি আপনি যদি মার্কেট না নামেন তাহলে বুঝতে পারবেন না যে এ ধরনের সেক্টরগুলো থেকে আসলে কেমন ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে তাই আপনাকে ইনকাম সম্পর্কে ধারণা আনতে হলে অবশ্যই মার্কেটপ্লে এসে কাজ করতে হবে এমনকি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
শেষ কথা-এফিলিয়েট মার্কেটিং
এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়। এমনকি আপনি জানতে পেরেছেন এই অ্যাপিলিয়েট
মার্কেটিং করার যে স্টাটিজি গুলো আছে সেই স্টাটেজিগুলো কাজে লাগিয়ে কিভাবে আয়
করা যায়। আশা করছি এখন আপনি আসিলিয়েট মার্কেটিং করার সমস্ত প্রক্রিয়া এবং
প্রসেস গুলো জানতে পেরে গেছেন।
এখন যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমরা আমাদের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার
প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই আমাদের এই
পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোষ্ট লেখার
আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এমন কি আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার
বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে পারেন কারণ তারা এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই ধরনের
আরো পোস্ট করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url