দ্বীন কায়েমের জন্য এবং ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য ১০টি নসিহত
প্রিয় পাঠক আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি হচ্ছে দ্বীন কায়েমের জন্য এবং ইসলামকে
প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কয়েকটি নসিহত সম্পর্কে।
যে নসীহত গুলো আপনি বিস্তারিত পড়লে জানতে পারবেন কিভাবে আপনি দিনকে কায়েম করতে পারবেন এবং আপনার যে ধর্ম বা ইসলামকে কিভাবে আপনি প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন এই সম্পর্কে। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং দিন কায়েমের জন্য বা ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোন নসিহত গুলো অর্জন করা প্রয়োজন সেই সম্পর্কে জানুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ দ্বীন কায়েমের জন্য এবং ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য ১০টি নসিহত
দ্বীন কায়েমের জন্য এবং ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য (বিশেষ করে যুবকদের উদ্দেশ্যে) Abu Taw Haa Muhammad Adnan হাফিযাহুল্লাহ'র ১০টি নসিহত।
১। সর্বপ্রথম তওবা করে আল্লাহর রাস্তায় ফিরে আসতে হবে।
২। তওবা করার পরেই বাকি জিন্দেগী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।
৩। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহ পাকের জিকিরসমূহ অবশ্যই করতে হবে।
(বই:- হিসনুল মুসলিম, কিতাবুল দোয়া, আল আজকার এমন সব দোয়া ও জিকির বইসমূহ থেকে জিকির গুলো শিখে নিবেন।)
৪। অন্তত একজন (একাধিক হলেও ভাল) হক্কানি মুহাক্কেক আলেমের সাথে সম্পর্ক রেখে পরামর্শ করে দ্বীনের পথে চলবেন।
৫। একটি আদর্শ জান্নাতী পরিবার গড়তে হবে।
৬। অবশ্যই রিজিক হালাল হতে হবে। (বিশেষ করে সুদ,ঘুষ,দুর্নীতি,অন্যকে ঠকানো থেকে বাচঁতে হবে।)
৭। একটি নির্ধারিত ইসলামিক সিলেবাসে কমপক্ষে ৪-৫ বছর পড়াশোনা করতে হবে। যে যেখানেই পড়ছেন পড়েন তবে তার পাশেই এই সিলেবাসে কমপ্লিট করতে হবে।
সিলেবাসে যে যে সাবজেক্টগুলো থাকবেঃ-
- কোরআন।
- হাদিস
- আরবি ভাষা ও সাহিত্য।
- ইসলামের ইতিহাস।
- নবি (স) এর জীবনী।
- ইসলামি অর্থনীতি
- আকিদা
- ফিকহ্
এরপর অনেকে পড়ে থাকে ওসুল(মূল নীতি)
৮। সৎ কাজে আদেশ করা।
(যত কাজ ভাল সে সকল কাজে আমরা মানুষকে উৎসাহিত করবো ইন-শা-আল্লাহ)
৯। সৎ কাজের আদেশের সাথে সাথে অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করা। (অসৎ কাজের নিষেধ করা)
- যাদের হাত দিয়ে প্রতিবাদ করার সামর্থ্য তারা হাত দিয়ে প্রতিবাদ করবে।
- যাদের হাত দিয়ে প্রতিবাদ করার সামর্থ্য নাই তারা মুখ দিয়ে করবে।
- মুখ দিয়েও যদি সম্ভব না হয় তবে অন্তত থেকে ঘৃণা করবে।
- তাও যদি সম্ভব না হয় এর পর ইমানের আর কোনো স্তর বাকি নেই।
১০। আল্লাহ পাক যাকে যা যা দিয়েছে, যাকে যে প্রতিভা দিয়েছেন
যেমন: (ক্ষমতা, সামাজিক ক্ষমতা,অর্থনৈতিক সামর্থ্য, জমিজমা, বুদ্ধি, লেখার ক্ষমতা, বলার ক্ষমতা ইত্যাদি।)
ঐ জিনিসটাকে আপনি আল্লাহর জন্য ওয়াকফ করে দিন ঢেলে দিন। যে যে স্থানে আছেন সেখান থেকেই ইসলামের খেদমত করবেন।
ইন-শা-আল্লাহ দ্বীন কায়েম হয়ে যাবে।
শেষ কথা-দ্বীন কায়েম এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা
এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লেন সেই পোস্টটি ছিল দ্বীন কায়েমের জন্য এবং ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য ১০টি নসিহত সম্পর্কে, আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে যে দশটি নসিয়ত সম্পর্কে আলোচনা করলো সেই ১০ টি নসীহতের ওপর ভিত্তি করে আপনি আপনার দিনকে কায়েম করতে পারবেন এবং আপনার ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
এখন যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমরা আমাদের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি, তাহলে অবশ্যই আমাদের পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এমন কি আপনি চাইলে আমাদের এই পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন কারণ তারা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে দ্বীন কায়েমের জন্য এবং ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য ১০টি নসিহত সম্পর্কে জানতে পারবে। এছাড়াও এই ধরনের আরো পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url