এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ১৮টি সেরা উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি বা এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে
কোন কোন বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে হয় যদি না জানেন তাহলে আজকের এই পোষ্টটি
আপনার জন্যই।
কারণ আমরা আমাদের এই পোষ্টের মধ্যে এপেলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই পোস্টটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন এমনকি এফিলিট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়গুলো জানা আবশ্যক সেই বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই দেরি না করে চলুন আমাদের লেখা এই পোস্টটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে নেয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ১৮টি সেরা উপায়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য জানা প্রয়োজন
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
- আজকের এই পোস্টের উপসংহার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য জানা প্রয়োজন
আপনি যদি একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হতে চান তাহলে আপনার কোন বিষয়গুলো
সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা প্রয়োজন সে বিষয়গুলো নিয়েই এখন আলোচনা করা হবে।
কারণ আপনি যখন এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে গিয়ে মার্কেটিং করার চেষ্টা করবেন
তখন যদি আপনি এই বিষয়গুলো না জানেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন
হতে পারেন তাই মার্কেটিং শুরু করার পূর্বেই এই বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে
নিন।
১। নিস সিলেক্ট করুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিস সিলেক্ট করা। আপনি যদি সঠিক নিস সিলেক্ট না করতে পারেন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হতে পারবেন না। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিস সিলেক্ট করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব মার্কেটিং করে ইনকাম করার ১৫টি সেরা সহজ উপায়
২। কিওয়ার্ড রিসার্চ করুনঃ নিস সিলেক্ট করার পরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ না করে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করলে সফল হতে পারবেন না। তাই সফল হতে চাইলে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
৩। প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুনঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে কোন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন। হতে পারে তা ব্লগিং, ইউটিউবিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি। অর্থাৎ যে কোন একটি প্ল্যাটফর্ম আপনাকে দাঁড় করাতে হবে, যে প্লাটফর্মের সাহায্যে আপনি এফিলিয়েট লিংক প্রমোট করবেন।
৪। দরকারী সামগ্রী তৈরি করুনঃ পেশাদার মানের দরকারী সামগ্রী তৈরি করুন। কারণ প্রয়োজনীয় এবং শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু সবার পছন্দ। তাই আপনাকে এই ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রচার করতে হবে।
৫। ইউজফুল কন্টেন্ট তৈরি করুনঃ প্রফেশনাল মানের প্রয়োজনীয় কনটেন্ট তৈরি করুন। কেননা প্রয়োজনীয় এবং শিক্ষামূলক কন্টেন্টগুলো সকলেই পছন্দ করে থাকে। তাই এই ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে এর মাঝে আপনাকে এফিলিয়েট লিংক প্রমোট করতে হবে।
৬। অ্যাফিলিয়েট সাইট নির্বাচন করুনঃ আপনি কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে সেই সেই ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করতে পারেন।
৭। প্রোডাক্ট সিলেক্ট করুনঃ এফিডিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা। কেননা সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট না করলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা কঠিন হয়ে যেতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব
আমরা অনেকেই জানিনা এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়? বা কিভাবে শুরু করতে
হয়? এমনকি কোন বিষয়গুলোর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হয়? তাহলে আপনি
এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন নিম্নে দেয়া কয়েকটি তথ্যের মাধ্যমে। যে
তথ্যগুলো আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লে এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় সেই
সম্পর্কে জানতে পারবেন।
৮। ব্লগিংঃ ব্লগিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আপনার ব্লগের কনটেন্টে রিলেভ্যান্টলি অ্যাফিলিয়েট লিংক বসাতে পারেন।
৯। ইউটিউবিংঃ ইউটিউবে যদি আপনার অনেক বেশি সাবস্ক্রাইবার হয়ে থাকে তাহলে ইউটিউবের মাধ্যমেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট অডিয়েন্সদের মাঝে প্রমোট করতে হবে।
১০। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি আপনার ভালো পরিমাণে ফ্যান ফলোয়ার থেকে থাকে, তাহলে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এফিলিয়েট প্রোডাক্ট সম্পর্কে পজেটিভ কোন বিষয় সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করলে অনেকেই সেই প্রোডাক্টটি ক্রয় করতে আগ্রহী হবে। যদি কেউ সেই প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে সেখান থেকে আপনি কমিশন পাবেন।
১১। বিজ্ঞাপনঃ ফেসবুক, ইউটিউব বা সার্চ ইঞ্জিনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। কিন্তু বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মার্কেটিং করলে টাকা খরচ করতে হবে। ইমেইল মার্কেটিং এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ইমেইল মার্কেটিং খুবই কার্যকরী তাই আপনি চাইলে ইমেইল মার্কেটিংও করতে পারেন।
১২। এডভারটাইজিংঃ ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা সার্চ ইঞ্জিনে অ্যাডভার্টাইজিং এর মাধ্যমেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যেতে পারে। তবে আপনি যদি এডভারটাইজিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং করেন তাহলে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে।
১৩। ইমেইল মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে ইমেইল মার্কেটিং খুবই কার্যকর, তাই চাইলে আপনি ইমেইলের মাধ্যমেও মার্কেটিং করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
এমনকি আমাদের মনে প্রশ্ন আসে অফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার পর কিভাবে আই
ইনকাম আসবে বা কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে
ইনকাম করতে পারব। এই ধরনের ব্যাপারগুলো আপনি নিম্নে কিছু তথ্য পড়ার
মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাই নিম্নে দেয়া সম্পূর্ণ তথ্য গুলো
মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন এভিলেট মার্কেটিং করে আয় করার কয়েকটি উপায়
সম্পর্কে।
১৪। পিপিএস সিস্টেমঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং করার যে সকল উপায় রয়েছে তার মধ্য থেকে অন্যতম একটি হলো পিপিএস সিস্টেম। পিপিএস মানে হলো "পে পার সেল"। অর্থাৎ আপনি যতগুলো পণ্য বিক্রি করবেন প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য কমিশন পাবেন।
১৫। পিপিসি সিস্টেমঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরেকটি ধরন হলো পিপিসি। পিপিসি এর পূর্ণরূপ হল "পে পার ক্লিক" অর্থাৎ আপনার রেফারেলে যতজন ক্লিক করবে সেখান থেকে, আপনি নির্দিষ্ট হারে একটি কমিশন পাবেন।
১৬। পিপিএল সিস্টেমঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরেকটি সিস্টেম হল পিপিএল " পে পার লিড" অর্থাৎ আপনার প্রচার-প্রচারণা থেকে যত গুলো লিড আসবে তার প্রত্যেকটি লিডের জন্য আপনি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন। অর্থাৎ এখানে ক্লিকের জন্য কোন ধরনের কোন টাকা পয়সা পাওয়া যাবে না।
১৭। রিক্রুটিং কমিশনঃ অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা এফিলিয়েট মার্কেটারদের দিয়ে তাদের পণ্য ক্রয় করার ব্যাপারে রিক্রুটিং করে, এই ধরনের রিক্রুটিং এর জন্যও কমিশন পাওয়া যায়। বিশেষ করে বড় বড় কোম্পানিগুলো এই পদ্ধতি ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার সেরা আইটি সেন্টার
১৮। প্রোডাক্ট রিভিউঃ প্রোডাক্ট রিভিউ পোস্ট কিংবা ভিডিও দেখার মাধ্যমে যদি কোন ব্যক্তি কোন পণ্য ক্রয় করে তাহলে সেখান থেকেও আপনি কমিশন পাবেন। তবে সেই প্রোডাক্ট অবশ্যই আপনার লিংক এর মাধ্যমে ক্রয় করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ভিডিওর মধ্যে প্রোডাক্ট রিভিউ করেন তাহলে ডেসক্রিপশনে এফিলিয়েট লিংক বসাতে হবে। আর যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করেন তাহলে পোষ্টের মধ্যে প্রাসঙ্গিকভাবে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করতে হবে।
আজকের এই পোস্টের উপসংহার
এতক্ষণ যে পোস্টটি পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে।
আশা করছি আমাদের লেখা এই পোস্টটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে বিষয়গুলো অত্যন্ত ভাবে জানা জরুরী সেই
বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি সমস্ত তথ্যগুলো এই পোস্টটির মাধ্যমেই পেয়ে
গেছেন। এমনকি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
সম্পর্কে মোটামুটি আপনার একটি ধারণাও চলে এসেছে।
এখন যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত
তথ্য গুলো উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টে নিচে একটি
মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ
বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার
সব বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার
মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবে। এমনকি
এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url