ইংরেজি শেখার সহজ উপায় - সহজে ইংরেজি শেখার ৪০টি উপায়
প্রিয় পাঠক যারা ইংরেজিতে দুর্বল গ্রামাটিক্যাল সমস্যার জন্য ইংরেজি শিখতে
পারছেন না শুধুমাত্র তাদের জন্যই আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি।
কারণ আমরা আজকের এই পোষ্টের মধ্যে ইংরেজি শেখার সহজ উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি। এমনকি এই পোস্টের মধ্যে সহজে ইংরেজি শেখার ৪০ টি উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি যদি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি একজন ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে উঠবেন। তাই আমাদের দেয়া এই ৪০টি উপায় মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং খুব সহজেই ইংরেজি শিখে ফেলুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ইংরেজি শেখার সহজ উপায় এবং সহজে ইংরেজি শেখার ৪০টি উপায়
ইংরেজি শেখার সহজ উপায়
আপনি যদি ইংরেজি শিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি শেখার জন্য প্রচুর
পরিমাণে আগ্রহী হতে হবে। কারণ আপনাকে শুধু যদি ইংরেজি শেখার সহজ উপায় গুলোই
পড়ে যান তাহলে আপনি হয়তো ইংরেজিতে ভালো দক্ষ হয়ে উঠতে পারবেন না কারণ আপনার
যদি মনের ভেতর থেকে চেষ্টাই না আসে তাহলে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। তাই
অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি শেখার প্রতি আগ্রহটা বেশি করে উদ্ভব করতে হবে।
এমনকি আপনাকে একটি রুটিন তৈরি করতে হবে যে রুটিন এর মাধ্যমে আপনি ইংরেজি ইংরেজি শিখতে পারেন। এবং আপনার প্রতিদিনের রুটিনের মধ্যে অন্যান্য পড়াশোনার মাঝেও এই ইংরেজির অনুবাদ মুখস্ত করার একটি সময় বের করে নিতে হবে। যে সময়গুলোতে আপনি প্রতিদিন ১০টি থেকে ২০ টি করে শব্দ অনুবাদ সহ মুখস্ত করতে পারে। এমনকি আমাদের দেয়া নিম্নে যে ৪০ টি উপায় সম্পর্কে জানিয়েছি সেই উপায়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত যদি পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে উঠবেন।
সহজে ইংরেজি শেখার ৪০টি উপায়
ইংরেজি একটি ইন্টারন্যাশনাল ভাষা বা ল্যাঙ্গুয়েজ আর এই ভাষাটি প্রায় প্রতিটি
দেশরোই শিক্ষক অথবা শিক্ষার্থী থেকে শিখে রাখা অত্যন্ত জরুরী। কারণ
পড়াশোনার ক্ষেত্রে অথবা কোন বিদেশী লোকজনের সাথে কথাবার্তার জন্য অবশ্যই আপনাকে
এই ইন্টারন্যাশনাল ভাষাটি শিখে রাখতে হবে। কারণ আপনি একজন শিক্ষার্থী আপনাকে
অবশ্যই ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা প্রয়োজন কিন্তু আপনি গ্রামাটিকাল অথবা টেন্স এর
কারণে এই ইংরেজি সঠিকভাবে শিখতে পারছেন না। তাই আমরা আজকে আপনাকে সহজেই ইংরেজি
শেখার জন্য ৪০ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।
আরো পড়ুনঃ আজকের শিক্ষা খবর বা দৈনিক শিক্ষা খবর
আমাদের দেয়া এই ৪০টি সহজ উপায় যদি আপনি নিয়মিত গ্রহণ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি
একজন ইংরেজি প্রকৌশলী বা দক্ষ হয়ে উঠবেন। কারন আমরা এই ৪০টি উপায় খুবই
সহজভাবে আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি কারণ আপনারা যেন অতি দ্রুতই ইংরেজি শিখে
ফেলে। আমাদের পোস্টটি লেখার মূল লক্ষ্যই হলো আপনাদের ইংরেজিতে দুর্বল থেকে সবল
করে তোলা। তাই আমাদের এই পোস্টটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং সহজেই ইংরেজি
শিখুন।
১। নতুন শব্দ শেখাঃ ধরুন, প্রতিদিন বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ছোট্ট একটা চিরকুটে ১০টি শব্দ লিখে সঙ্গে নিয়ে বের হলেন। লক্ষ্য ঠিক করলেন, নতুন এই ১০টি শব্দ আপনি আয়ত্ত করবেন। পথে যেতে যেতেই মনে মনে শব্দগুলো ব্যবহার করে বাক্য গঠন করুন। সারা দিনের ক্লাস বা কাজ শেষে ফেরার পথে আবার ঝালাই করে দেখুন, শব্দগুলো আপনার মনে আছে কি না। একই ধরনের শব্দও একসঙ্গে শেখার চেষ্টা করতে পারেন। যেমন বড় বা ছোট তুলনা করার সময় আপনি হয়তো সব সময় Big ও Small শব্দ দুটি ব্যবহার করেন। little, tiny, mini, miniature, micro, huge, large, enormous, gigantic… এ ধরনের শব্দগুলোও শিখে নিতে পারেন। এতে আপনার ইংরেজি শব্দভান্ডার (ভোকাবুলারি) সমৃদ্ধ হবে।
২। নতুন ভোকাবুলারি নোট করুনঃ আপনি প্রতিদিন নতুন কয়েকটি ওয়ার্ড মুখস্থ করার চেষ্টা করুন। এটলিস্ট একটি শব্দ হলেও শিখে নিন। অবশ্য সেই শব্দগুলো ভুলে যাওয়াও অসম্ভব নয়। আর সেজন্য যে নতুন ওয়ার্ড শিখছেন তা নোট করে রাখুন। তাহলে পরবর্তীতে তা আবার রিভাইস করতে পারবেন। অবশ্য ওয়ার্ড নোট করার সাথে সাথে তার একটি-দুটি এক্সামপল বা উদাহরণ লিখে রাখতে পারেন। বিশ্বাস করুন, এই পদ্ধতি খুব কার্যকর। প্রথম দিকে একটু বোরিং হবে ব্যাপারটা, তবে ধীরে ধীরে আপনার নোট সাথে রাখাটা মজার অভ্যাস হয়ে যাবে। আবার যখন আপনি ফ্রি টাইম পাবেন বা জার্নিতে থাকবেন আপনি নোট থেকে পূর্বে শেখা ওয়ার্ডগুলো প্রাকটিস করতে পারবেন। এভাবে অভ্যাস করলে আপনি ৬ মাস পরে অনেক নতুন শব্দ শিখে ফেলবেন যা আপনার ইংলিশ শেখার জার্নিকে সুন্দর করবে। সব মিলিয়ে এই ভোকাবুলারি নোট করার পদ্ধতি আপনার অনেক সময় সেভ করে নতুন শব্দ শিখতে সাহায্য করবে।
৩। সরাসরি কারও সাথে ইংরেজিতে কথা বলুনঃ কথা বলতে পারা ছাড়া অর্থাৎ স্পিকিং ছাড়া একটি ভাষার আর কি গুরুত্ব আছে! যদিও ইন্টারনেটের যুগে স্যোশাল মিডিয়া, ইমেইল, ইনস্টান্ট মেসেজিং অনেক মাধ্যমেই কথা বলা যায়। তবে সরাসরি মানুষের সাথে কথা বলেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজ মেটাই। আর যেকোন ভাষা শেখার ক্ষেত্রে সরাসরি কোন ব্যক্তির সাথে ইন্টারেক্ট করে কথা বলতে পারলেই বেশি শেখা যায়। আপনার ভেতরের জড়তা কেটে যায়। এজন্য আপনার একজন স্পিকিং পার্টনার বের করুন, যার সাথে আপনি যেকোন বিষয়ে কথা বলতে পারবেন। আর অবশ্যই তার সাথে ইংলিশে সকল বিষয় শেয়ার করুন। নতুন নতুন টপিকস্ ঠিক করে কথা বলুন। সেই টপিকসের ভালো খারাপ সব আলোচনা করুন। ইন্টারনেটের যুগে অবশ্য ভয়েস কলের (WhatsApp) মাধ্যমেও কথা বলতে পারেন। নির্দিষ্ট টাইম সেট করে প্রতিদিন একই সময় আধা ঘন্টা বা তার বেশি সময় ডিসকাস করুন। দেখবেন আপনার ইংলিশ শেখা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
৪। ইংরেজি পডকাস্ট বা ইউটিউব শুনুনঃ প্রতিটি মানুষের কিছু পছন্দের বিষয় থাকে যা সে কন্টিনিয়াসলি জানতে ভালোবাসে। যেমন, ট্রাভেলিং, টেকনোলজি, গার্ডেনিং এমনকি রান্না-বান্না। এভাবে পছন্দের বিষয় খুঁজে নিয়ে নিয়মিত পডকাস্ট শুনুন। আবার এখন ইউটিউবের মাধ্যমেও দারুণ সব জিনিস শেখা যায়, সেখান থেকে আপনি ইংলিশও আয়ত্ত্ব করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার পছন্দের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং নিয়মিত শুনতে থাকুন দেখতে থাকুন। ইংরেজি পডকাস্ট বা ইউটিউব ভিডিও আপনাকে ইংরেজি লিসেনিং স্কিল বৃদ্ধি করবে এবং নতুন নতুন শব্দও আপনি আয়ত্ত্ব করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি কীভাবে একটি বিষয় এক্সপ্লেইন করতে হয়, সেন্টেন্স মেকিং করতে হয় এবং নতুন কারও সাথে সে বিষয়ে কীভাবে স্পিকিং করতে হয় তা জানতে পারবেন।
৫। আপনার পছন্দের বিষয়ে নিজে নিজে কথা বলুনঃ আপনি প্রতিদিন আপনার পছন্দের বিষয়ে পডকাস্ট শুনছেন, আবার ইউটিউব ভিডিও দেখছেন। এখন আপনি সেসব বিষয়ে নিজে নিজে কথা বলুন। আপনার পছন্দের বিষয়টি অন্যের সাথে কীভাবে ডিসকাস করবেন, কীভাবে বর্ণনা করবেন তা নিজের মনে মনে গল্প তৈরি করে ফেলুন। তাহলে আপনার নিজের এক্সপ্লেইন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার কথা বলার জড়তা দূর হবে। তাছাড়া সেসব বলার সময় যেসব নতুন ওয়ার্ড প্রয়োজন হয় তা আপনি বের করে ফেলতে পারবেন। এভাবে যদি আপনি প্রতিনিয়ত নিজের সাথে নিজে কথা বলেন তাহলে আপনার ইংলিশে চিন্তা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার ইংলিশ দূর্বলতা অনেকাংশে কমে যাবে। আপনার নতুন সব বিষয়ে কথা বলা বা ব্যাখ্যা করার আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে।
৬। শেখার ইচ্ছা বা মনোযোগঃ ছোট থেকে আমরা মাতৃভাষায় কথা বলে বা শুনে বড় হয়েছি সুতরাং এই বাসাটি রপ্ত করা আমাদের জন্য কোন কঠিন কাজ না হলেও আমরা যখন ইংরেজি সহ অন্য ভাষাগুলো রক্ত করতে চাইবো তখন আমাদের একটু কষ্ট তো অবশ্যই করতে হবে শুধু কষ্ট নয় ইংরেজি সহ অন্যান্য ভাষা শিখতে হলে প্রথমেই যে বিষয়টি থাকতে হবে সেটি হলো শেখার প্রবল ইচ্ছা এবং মনোযোগ। আপনি যদি কোন বিষয়ে শিখতে চান তাহলে সেটে শেখার উপরে আপনার যদি যথেষ্ট ইচ্ছা বা মনোযোগ থাকে তাহলে একটু দেরিতে হলেও অবশ্যই আপনি বিষয়টি ভালোভাবে শিখতে পারবেন এবং এর উপরে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। সুতরাং বুঝতে পারছেন ইংরেজি শিখতে হলে প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে শেখার ইচ্ছায় এবং মনোযোগের, আপনি যদি ইংরেজির উপরে যথেষ্ট মনোযোগ দিতে পারেন তাহলেই সহজেই ইংরেজি শিখতে পারবেন।
৭। নতুন নতুন ইংরেজি শব্দ শেখাঃ ইংরেজি ভাষা শেখার সহজ উপায় হল নতুন নতুন ইংলিশ ওয়ার্ড শেখার চেষ্টা করা কারণ আপনি যত বেশি ইংরেজি শব্দ জানবেন ইংরেজি শেখাটা আপনার জন্য তত সহজ হয়েছিল। তাই চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু ইংরেজি শব্দ শেখার। আপনি যদি নিজে নিজেই চেষ্টা করেন যে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৫ টি বা ১০ টি করে নতুন ইংরেজি শব্দ শিখবেন তাহলে এই বিষয়টি ইংরেজি শেখার বিষয়ে আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে আর এই কাজটি করার জন্য আপনি সাহায্য নিতে পারেন গুগল ট্রান্সলেটর , ডিকশনারি বা এ ধরনের সোর্সগুলো থেকে।
৮। Phrase শিখুনঃ Phrase শিখুন , কেননা Phrase গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে এবং অল্প ওয়ার্ড এর মধ্যেই সেন্টেন্স তৈরি করতে পারবেন তাই ভালোভাবে Phrase জানা থাকলে সহজে ইংরেজি শিখতে পারবেন।
৯। ইংলিশ নিউজ , মুভি , আর্টিকেল দেখাঃ বাস্তবিক জীবনে দেখা যায় যে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা বা চর্চা করে থাকি ধীরে ধীরে সে বিষয়টির উপরে আমরা পারদর্শী হয়ে উঠি ইংরেজি শেখাও এর ব্যতিক্রম নয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ইংরেজি শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি ইংরেজি মুভি , নিউজ আর্টিকেল এসব বিষয়ে চর্চা করতে হবে অর্থাৎ এই বিষয়গুলো দেখতে হবে এবং বোঝার চেষ্টা করতে হবে। শুধুমাত্র ইংরেজি মুভি বা নিউজই নয় ইংরেজি শেখার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি ছোটদের ইংলিশ কার্টুন গুলো দেখতে পারেন , এই কার্টুনগুলোতে খুব সহজ ভাষায় ছোটদের ইংরেজি শেখানো হয় আর এই কার্টুন গুলো দেখলে আপনি খুব সহজে ইংরেজি শিখতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
১০। ইংলিশ বুক , আর্টিকেল বা ম্যাগাজিন পড়াঃ শুধুমাত্র নিউজ ,আর্টিকেল দেখলেই চলবে না এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ইংলিশ শুধু , ইংলিশ ম্যাগাজিন পড়তে হবে। আপনি যতই এই বিষয়গুলো পড়ার বা জানার চেষ্টা করবেন আপনার নলেজ ততই বাড়িবে। সুতরাং বুঝতে পারছেন ইংলিশ শেখার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ইংলিশের উপরে ফোকাশ করতে হবে এবং আপনার সামনে ইংলিশ সংক্রান্ত যা থাকবে সেটাই পড়ার , দেখার এবং বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
১১। পডকাস্ট ও ইংলিশ সং শোনাঃ আপনি যদি রেগুলার কিছুটা সময় ইংলিশ পডকাস্ট ও ইংলিশ সং শোনার ব্যাপারে ব্যয় করেন তাহলে এটিও আপনার ইংলিশ শেখার ব্যাপারে অনেক সহায়ক অবদান রাখবে। তবে শুধুমাত্র পডকাস্ট ও সং শুনলেই হবে না পাশাপাশি এগুলো বোঝারও চেষ্টা করতে হবে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো পডকাস্ট মানে বোঝেন না পডকাস্ট এক ধরনের অডিও সিরিজ। কোন বিষয়ের উপরে কন্টেন্টগুলো যখন ভয়েস আকারে পাবলিশ করা হয় তখন সেগুলোকে পডকাস্ট বলে। অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে পডকাস্ট পাওয়া যায় আপনি ডাউনলোড করে অবসর টাইমে সোনার মাধ্যমে আপনার ইংরেজিতে উন্নত করতে পারেন
১২। ইংলিশ গ্রামারের উপরের জোর দিনঃ ইংরেজি ভাষা শেখা বা জানার জন্য সর্বপ্রথমে যে বিষয়টি চলে আসে সেটি হল ইংলিশ গ্রামার। ইংলিশ গ্রামার এর উপরে বেসিক জ্ঞান না থাকলে আপনি কখনোই ভালোভাবে ইংরেজি ভাষায় আয়ত্ত করতে পারবেন না তাই সঠিক এবং নির্ভুলভাবে ইংরেজি ভাষা শিখতে হলে প্রথমে আপনাকে ইংলিশ গ্রামারের বেশি জ্ঞানগুলো অর্জন করতে হবে। ইংলিশ গ্রামারে জ্ঞান থাকলে আপনি খুব সহজেই ইংরেজি শিখতে পারবেন।
১৩। Tense এর উপরে গুরুত্ব আরোপ করাঃ আপনাদের আগে জানানো হয়েছে যে ইংরেজি ভালোভাবে শেখার জন্য অবশ্যই ইংলিশ গ্রামারের উপরে যোগ দিতে হবে আর ইংলিশ গ্রামারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হল Tense , অর্থাৎ ইংরেজি শেখার জন্য যে বিষয়টি ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে সেটি হল Tense. Tense সম্পর্কে যদি আপনার পর্যাপ্ত নলেজ না থাকে তাহলে আপনি কোনভাবেই সহজে এবং নির্ভুলভাবে ইংরেজি শিখতে পারবেন না তাই অবশ্যই ইংরেজি ভাষা শিখতে হলে জানতে হবে Tense. আর Tense করতে পারলে আপনি sentence তৈরির স্ট্রাকচার ভালোভাবে রক্ত করতে পারবেন এতে করে আপনি নির্ভুলভাবে ইংরেজি শিখতে পারবেন।
১৪। বাচ্চাদের ইংলিশ গল্পের বই পড়ুনঃ আপনি বাজারে বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা ছোট ছোট ইংলিশ গল্পের বইগুলো পেয়ে যাবেন এই গল্পের বইগুলো যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে ইংলিশের অনেক কিছু শিখতে পারবেন। বাচ্চাদের এই বইগুলো পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সহজ শব্দের মাধ্যমে ইংরেজি শেখা যায়। বাজারের এই গল্পের বইগুলো ছাড়াও আপনি ইউটিউবে সার্চ দিলে দেখবেন বাচ্চাদেরকে শেখানোর জন্য কার্টুন আকারে ইংরেজি ছোট গল্প গুলো তৈরি করা হয় এগুলো মনোযোগ সহকারে দেখলেও আপনি ইংরেজি শিখতে পারবেন।
১৫। সহজ ওয়ার্ড দিয়ে ছোট ছোট সেন্টেন্স তৈরি করুনঃ আপনি যখন বিভিন্ন ধরনের ইংরেজি Word জানবেন এবং Tense শিখে যাবেন তখন দেখবেন আপনি খুব সহজেই কথা বলার জন্য সেন্টেন্স তৈরির স্ট্রাকচার সঠিক হবে তৈরি করতে পারছেন এই সময় আপনি চেষ্টা করবেন সহজ শব্দগুলো দিয়ে ছোট ছোট সেন্টেন্সগুলো তৈরি করার। প্রথমে যদি আপনি ছোট ছোট শব্দ তৈরি করার ব্যাপারে সচেতন হন তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে খুব সহজেই ইংরেজিতে বড় সেন্টেন্সগুলো তৈরি করতে পারছেন এবং খুব সহজে আপনি এই ভাষা শিখে ফেলেছেন।
১৬। একা একা ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করাঃ যেহেতু ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা নয় সুতরাং এর বাঁচাতে আমরা সবসময়ই কথোপকথন করি না বলেই এই ভাষাটি আমাদের কাছে খুব একটা কমফোর্টেবল নয়, আর এই ভাষা সহজে শেখা বা জানার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই যথেষ্ট প্র্যাকটিসের প্রয়োজন পড়বে সে ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার কোন পার্টনার না পান তাহলে নিজের সাথে নিজেকে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে অর্থাৎ ইংরেজি শেখার জন্য একা একা ইংরেজিতে কথা বলার প্র্যাকটিস করুন। একা একা ইংরেজি প্র্যাকটিস করার সময়ই নিজেকেই প্রশ্ন করুন এবং নিজে থেকেই সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো দেয়ার চেষ্টা করুন অথবা ও কাজটি আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়েও প্রশ্ন উত্তর করার মাধ্যমে করতে পারেন তবে যেভাবেই করুন না কেন এই বিষয়ে আপনাকে যথেষ্ট প্র্যাকটিস করতে হবে এবং প্র্যাকটিসের উপরে যোগ দিতে হবে।
১৭। নিজের ভয়েস রেকর্ড শুনুনঃ শুরুর দিকে আপনি হয়তো খুব ভালোভাবে ইংরেজি বলতে না পারার কারণে সহজে অন্যের সাথে কথা বলতে চাইবেন না বা অন্যের সাথে কথা বলতে আপনার একটু হেভিটেশনবোধ হতে পারে আর এটি কাটানোর জন্য আপনি নিজের ইংরেজি কথাবার্তা রেকর্ড করে এগুলো পুনরায় শুনুন এতে করে আপনার ভুল ত্রুটিগুলো আপনি নিজেই ধরতে পারবেন এবং সংশোধন করতে পারবেন। আপনি যখন প্রথম অবস্থায় কথা বলবেন তখন হয়তোবা নিজের ভুল ত্রুটিগুলো সহজে ধরতে পারবেন না কিন্তু যখন আপনি ভয়েস রেকর্ড করার মাধ্যমে নিজের বলা কথাগুলো ভালোভাবে অবজারভেশন করবেন তখন কোথায় ভুল হয়েছে সেগুলো সহজেই ধরতে পারবেন এবং সংশোধন করতে পারবেন। এভাবে নিজের ভয়ের সোনার মাধ্যমেও ইংরেজি শেখা সম্ভব এবং এর মাধ্যমে খুব সহজে জড়তা কাটিয়ে ওঠাও সম্ভব হবে।
১৮। অন্যের সাথে সাথে ইংরেজিতে কথা বলাঃ আপনাদের আগেই বলেছি যে এটি যেহেতু আমাদের নিজস্ব ভাষা নয় তাই এ বিষয়ে চর্চা আমাদের খুবই কম হয় সুতরাং একা একা কথা বলার পাশাপাশি অন্যদের সাথেও ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন প্রয়োজনে পরিবারের সদস্যদের সাথে , বন্ধু বান্ধবের সাথে ইংরেজিতে কথা বললে এ বিষয়টি শেখা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে এবং আপনি অনর্গল কথা বলতে পারবেন।
১৯। ইংরেজি বই পড়ুনঃ আপনার বাহন যদি বাস, রিকশা বা গাড়ি হয়, তাহলে যানজটে বসে কিন্তু নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস করতেই পারেন। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সাবীহা সালেক বলেন, ‘দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলাটা খুব উপকারী। ব্যাগে সব সময় ২-৩টি ছোটখাটো বই রাখতে পারেন। দেখবেন যানজটের বিরক্তি অনেকটা কমে যাবে।’ কাগজের বই সঙ্গে রাখার পাশাপাশি মুঠোফোনেও পিডিএফ আকারে বই সংরক্ষণ করতে পারেন। এ ছাড়া ইংরেজি পত্রিকা পড়লেও দক্ষতা বাড়ে।
২০। ইংরেজিতে ভাবুনঃ অবসরে অনেক সময়ই আমরা আকাশ-পাতাল চিন্তা করি। ভাবনার অংশটাও কিন্তু ইংরেজিতে করতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইংরেজি বলার বা লেখার সময় আমরা মনে মনে বাংলায় বাক্যটা সাজাই, তারপর ইংরেজিতে লিখি বা বলি। ইংরেজিতে ভাবার চর্চা করলে কাজটা অনেকখানি সহজ হয়ে যায়।
২১। স্পোকেন ইংলিশ কোর্স করাঃ ইংরেজি শেখার আরেকটি সহজ উপায় হলো স্পোকেন ইংলিশে ক্লাস বা কোর্স করা। স্পোকেন ইংলিশের কোর্সগুলো দ্রুত ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে আপনাকে অনেকটা সাহায্য করবে। এই কোর্সগুলো আপনি অনলাইন বা অফলাইন দুই ভাবেই করতে পারেন। এছাড়াও অনলাইনে অনেক সময় স্পোকেন ইংলিশে ফ্রি ক্লাস গুলো করানো হয় সেগুলোতেও যুক্ত হয়ে আপনি সহজে স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করার মাধ্যমে ইংরেজি শিখতে পারেন।
২২। ইংলিশ রাইটিং বেশি করাঃ সহজে ইংরেজি শিখতে চাইলে অবশ্যই ইংলিশ রাইটিং এর উপরে বেশি যোগ দিন কারণ আপনি যে জিনিসটি শিখছেন সেটি যদি বেশি বেশি লিখতে থাকেন তাহলে এটি আপনার মেমোরিতে দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং আপনি সহজে ভুলবেন না। তাই প্রতিনিয়ত আপনি ইংলিশের যে বিষয়গুলো শিখছেন সেগুলো ডায়েরি আকারে লিখার চেষ্টা করুন।
২৩। বন্ধুদের সাথে অনলাইনে ইংলিশে চ্যাট করুনঃ বর্তমানে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো অনলাইন । আপনি যদি অনলাইনে বন্ধুদের সাথে নিজের ভাষায় চ্যাট না করে ইংরেজি ভাষাতে চ্যাট করার চেষ্টা করেন তাহলে দেখবেন আপনার জড়তা কেটে যাবে এবং এই ভাষা শেখা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। এছাড়াও অনলাইনে আপনি বন্ধুদের সাথে ইংরেজিতে গ্রুপ চ্যাট করার মাধ্যমেও সহজেই এ বিষয়টি শিখতে পারেন।
২৪। সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগানঃ বর্তমানে আমাদের অধিকাংশই বেশিরভাগ সময় কাটে সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটাঘাটি করার মাধ্যমে এবং বিভিন্ন কাজ করার মাধ্যমে। আর বর্তমানের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়গুলো শেখা অত্যন্ত সহজ হয়ে গিয়েছে কারণ কর্মব্যস্ত দিনের মধ্যেও আপনি যদি অল্প একটু সময় পান তাহলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটির সাহায্যে google , youtube এ সার্চ দেওয়ার মাধ্যমে ইংরেজি বিভিন্ন বিষয়গুলো খুব সহজেই শিখে নিতে পারেন। এমনকি ইংরেজি ওয়ার্ড মিনিং শেখার জন্য ডিকশনারি সব জায়গায় ক্যারি না করে আপনার স্মার্টফোনে ডিকশনারি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারেন , এছাড়াও যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে অন্যান্য দেশের মানুষের সাথে খুব সহজে কমিউনিকেশন করা যায় তাই আপনি দেশের বাইরের কিছু ফ্রেন্ড আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে এড করতে পারেন এবং এদের সাথে ইংরেজিতে চ্যাট শুরু করতে পারেন। তাছাড়া ও সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আপনি স্পোকেন ইংলিশের কোর্স , ইংলিশ শেখার ক্লাস , ইংলিশ মুভি , নিউজ , আর্টিকেল গুলো আপনার সুবিধা মতন সময়ে দেখা ও পড়ার মাধ্যমে সহজে ইংলিশ শিখতে পারেন। এভাবে আপনি ইংরেজি শেখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগাতে পারেন।
২৫। ইংরেজি নিয়ে চিন্তাভাবনা করুনঃ সহজে শেখার জন্য সবকিছুর ব্যাপারে ইংরেজিতে চিন্তাভাবনা করার চেষ্টা করুন। যেমন আপনি কোন কাজ করার পূর্বে সেই কাজটি ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করলে কি দাঁড়াবে নিজে নিজে এটা বের করার চেষ্টা করুন। আপনি যখন এভাবে প্রত্যেকটা জিনিসের ইংরেজি করার চেষ্টা করবেন তখন বিষয়টি শেখ আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
২৬। অডিও বইঃ যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলব্রাইট বিজনেস ফেলো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহযোগী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ মনে করেন, এখনকার সময় ইংরেজি শেখার জন্য অডিও বই বেশ কাজের। তিনি বলেন, ‘ব্যবসাসংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বই আছে। অনুপ্রেরণাদায়ক ঘটনা, আলোচিত ব্যক্তিদের জীবনীও অডিও বই আকারে পাওয়া যায়। ইউটিউবে অডিও বইয়ের বেশ কয়েকটি চ্যানেল আছে। এ ছাড়া অডিবলের মতো অ্যাপ থেকেও অডিও বই শোনা যায়। গল্প, উপন্যাস, নন-ফিকশন—সবই পাবেন। অনলাইন শিক্ষাসহায়ক প্ল্যাটফর্ম শিখোর ইংরেজি প্রশিক্ষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর স্নাতক তাশফিকাল সামি বলেন, ‘অডিও বইয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি অন্য কোনো কাজ করার পাশাপাশি শুনতে পারবেন। এতে সময় বাঁচে, আবার দক্ষতাও অর্জিত হয়।’
২৭। ইংরেজিতে প্রশ্ন করা উত্তর দেওয়া শিখুনঃ যেকোন নতুন পরিবেশে সব থেকে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো প্রশ্ন করা এবং উত্তর দেওয়া। আপনি সঠিকভাবে প্রশ্ন করতে না পারলে আপনার নতুন পরিবেশে অনেক কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে। সেজন্য আপনার আশপাশে প্রতিদিন যেসব ব্যাপার ঘটছে তা থেকে প্রশ্ন তৈরি করুন এবং নিজে নিজেই তার উত্তর দিন। এভাবে আপনার বেসিক প্রশ্ন করা এবং উত্তর দেওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার যেকোন কনর্ভাসেশনে এই দক্ষতা বেশ হেল্প করবে।
২৮। সেন্টেন্স স্ট্রাকচারে নজর দিনঃ যেকোন ভাষায় দক্ষ হতে সেন্টেন্স স্ট্রাকচার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সেন্টেন্স স্ট্রাকচার যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনার এক্সপ্রেস করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে যখন আপনি সে ভাষায় লিখবেন তখন সেন্টেন্স স্ট্রাকচার ঠিক রেখে লেখাটা খুব প্রয়োজন। তাহলে লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। আপনার স্পিকিং ও সুন্দর হবে।
২৯। লোকের কথায় কান না দেয়াঃ আপনি যদি হুট করে ইংরেজি শেখার চেষ্টা শুরু করেন বা শিখতে চান তাহলে অবশ্যই এর জন্য অন্যের কাছে আপনাকে হাসি ঠাট্টার পাত্র হয়ে উঠতে হবে কেননা আমাদের সমাজটা এরকম , যে আমরা কোন কিছুর পরিবর্তন সহজে মেনে নিতে পারি না। তাই ইংরেজি শিখতে হলে লোকের কথায় কান না দিয়ে আপনার প্রচেষ্টা আপনাকে চালিয়ে যেতে হবে। হ্যাঁ হতে পারে আপনি যখন ইংরেজি চর্চা করার জন্য বাড়িতে বা আপনার বন্ধুবান্ধব , কাজিনদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করতেন তখন তারা আপনাকে এই বিষয়টি নিয়ে হাসি ঠাট্টা করবে এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে কিন্তু তাদের কথায় কান দিয়ে আপনি যদি আপনার প্রচেষ্টা থামিয়ে দেন তাহলে কখনোই আপনার পক্ষে ইংরেজি শেখা সম্ভব নয়।
৩০। শেখার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াঃ ইংরেজি ভাষা শিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয় কারণ এই ভাষাটি জানা অত্যন্ত প্রয়োজন এবং এটি ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত কিন্তু তারপরেও যখন এই ভাষা শেখার জন্য আমরা বিভিন্ন স্টেপগুলো গ্রহণ করব তখন মানুষ আমাদেরকে উৎসাহ দেওয়ার পরিবর্তে আমাদের নিয়ে হাসি ঠাট্টা শুরু করবে আর এসব বিষয়গুলো আমলের না নিয়ে ধৈর্যের সাথে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি শেখার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন তাহলে শুধু ইংরেজি কেন যে কোন কিছুই আয়ত্ত করতে সফল হবেন তাই অবশ্যই এই ভাষা শেখার জন্য চেষ্টা বন্ধ রাখলে চলবে না অন্যের কথা উপেক্ষা করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং একসময় দেখবেন যখন আপনি ভাষা ভালোভাবে শিখে যাবেন তখন যারা আপনাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছিল তারাই আপনাকে বাহবা জানাবে।
৩১। শুনুন পডকাস্টঃ পডকাস্ট একধরনের অডিও অনুষ্ঠান। বিনোদনমূলক আয়োজন থেকে শুরু করে অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তৃতা, রাজনৈতিক আলোচনা কিংবা দক্ষতা উন্নয়নসংক্রান্ত আধেয়—পডকাস্টে সবই থাকে। অনেক তরুণ ইংরেজি শেখার জন্য পডকাস্ট শোনেন। প্রতিদিনের অবসর সময়টা কিন্তু পডকাস্ট শোনার পেছনে ব্যয় করতে পারেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল, বিবিসির পডকাস্ট থেকে ইংরেজি শেখা ও বোঝার নানা কলাকৌশল সম্পর্কে জানতে পারবেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পডকাস্টের লিংক পাবেন এখানে।
৩২। আছে টেড টকঃ টেড টক বক্তৃতার মঞ্চ। এই মঞ্চে বক্তারা তাঁদের ভাবনা উপস্থাপনের সুযোগ পান। টেড টকের ওয়েবসাইটে গান, নৃত্যকলা, অ্যানিমেশন থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বক্তব্যও আপনি পাবেন। মার্কিন লেখক ও মনোবিদ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক এমি ক্যাডি, পেশাসংশ্লিষ্ট বিশ্লেষক সিমন সিনেক, মার্কিন লেখক ও অধ্যাপক ব্রেনে ব্রাউন, স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের বক্তব্য বেশ কাজে আসবে। এসব বক্তব্য শুনলে শুধু ইংরেজি শোনার দক্ষতাই বাড়ে না, বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নিজের ধারণা (আইডিয়া) কীভাবে উপস্থাপন করতে হয়, সে সম্পর্কেও জানা যায়। টেড টকের ওয়েবসাইট (www.ted.com/talks) কিংবা ইউটিউবেও ভিডিওগুলো পেয়ে যাবেন।
৩৩। সঙ্গী খুঁজে নিনঃ একজন সঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন, যিনি আপনার মতোই ইংরেজি শিখতে আগ্রহী। দুজন নিজেদের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলুন। এতে জড়তা অনেকখানি কেটে যাবে। তাশফিকাল সামি বলছিলেন, ‘যেকোনো ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। আমরা অনেকে ভয় পাই যে হয়তো আমার ভোকাবুলারি খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। কিন্তু সত্যি বলতে আপনি যে পরিমাণ ইংরেজি শব্দ জানেন, সেগুলো দিয়েই কথা বলা সম্ভব। সমস্যাটা ভোকাবুলারি নয়, মূল সমস্যা হলো অনুশীলনের অভাব।’ যদি মুখোমুখি বসে কারো সঙ্গে কথা বলার সুযোগ না-ই পান, প্রয়োজনে ইংরেজিতে বার্তা বিনিময় (চ্যাটিং) করতে পারেন। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে এই চর্চা করলেও উপকার পাবেন।
৩৪। হাতের কাছে ইংরেজি যা পাবেন পড়ে ফেলুনঃ ইংলিশে যা পাবেন সেটা সাহিত্য, নিউজপেপার, ব্লগ কিংবা স্যোশাল মিডিয়া আর্টিকেল যাই হোক না কেন তা পড়ে ফেলুন। এখানে বেশ নতুন কিছু ভোকাবুলারি পাবেন তা আপনাকে পরবর্তীতে সাহায্য করবে। সেই সাথে পূর্বে জানা অনেক ভোকাবুলারি আপনার প্রাকটিস হয়ে যাবে। আপনি ওয়ার্ড ইউজ শিখে যাবেন এবং একই সাথে আপনার মনে সেই ওয়ার্ডগুলোর কনটেক্সটও আয়ত্ত্বে চলে আসবে। আপনি যতো বেশি পড়বেন ততোই আপনার রিডিং স্কিল বৃদ্ধি পাবে; স্পিকিং এর সময় আপনার জড়তা কেটে যাবে। আপনি পড়া শব্দগুলো শুনতেও অভ্যস্থ হবেন। সুতরাং এভাবে দিনের প্রতিটি কাজে আপনার সামনে যে লেখা চলে আসবে তা পড়তে থাকুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ইংলিশ ভীতি কেটে যাবে।
৩৫। গ্রামার আয়ত্ত্ব করুনঃ পূর্বের পয়েন্টগুলো আপনি রিপিট করতে থাকুন। ২-৩ মাস এভাবে চেষ্টা করুন। এবার সেই সাথে আপনাকে গ্রামারে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে টেন্স (Tense) ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করুন এবং টেন্সের সাথে রিলেটেড গ্রামার যেমন ভার্ব, পার্সন ইত্যাদি শিখে নিন। সেজন্য আপনি ভালো গ্রামার বই পাবেন, অনলাইনে বেশ সমৃদ্ধ কোর্সও পাবেন যেমন ঘুড়ি লার্নিং এর গ্রামার কোর্স। গ্রামার আপনাকে সেন্টেন্স মেকিং এ সাহায্য করবে। সুতরাং আপনার প্রফেশনাল ইমেইল পাঠানো, বিজনেস ডিল ইত্যাদিতে সাহায্য করবে। তাছাড়া আপনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ভালো কান্ট্রিতে যেতে চাইলে গ্রামার জানা থাকলে আপনার বিষয়ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন তৈরি, থিসিস পেপার তৈরি কিংবা যোগাযোগ বা জব সব ক্ষেত্রেই সহায়তা করবে।
৩৬। লোকে কি বলে ভুলে যানঃ প্রথম যখন ইংলিশ শেখা শুরু করবেন তখন আপনার অনেক ভুল হবে। কিন্তু এটা সাময়িক। ধীরে ধীরে আপনি ভালো করতে থাকবেন। সুতরাং পজিটিভ থাকুন এবং মটিভেট থাকুন। বিশেষ করে উপরের নিয়ম অনুসারে চর্চা করলে আপনি ৫-৬ মাসেই একটি ভালো লেভেলে আসতে পারবেন। মাঝে মাঝে মনে হবে, এটি একটি স্লো প্রসেস বাট আপনি নিয়মিত প্রাকটিস করলে অবশ্যই এগিয়ে যেতে পারবেন। সুতরাং অন্যে কি ভাবলো বা কি বললো তা নিয়ে মাথা ঘামাতে যাবেন না। আর তাহলেই আপনি দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবেন। মনে রাখবেন, অন্যেরা কি ভাববে তাও যদি আপনি ভাবেন তাহলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। আর ভুল-শুদ্ধ যাই হোক এগিয়ে যেতে থাকলে আপনার ইংলিশ কমিউনিকিশন উন্নত হবে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হয় এবং অ্যাসাইনমেন্ট লেখার পদ্ধতি
৩৭। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হোনঃ ফেসবুকে অনেক হাজার হাজার গ্রুপ আছে যেখানে প্রতিদিন ইংরেজি শেখার টিপস , সহজে ইংরেজি শেখার উপায় গুলো আলোচনা করা হয়। আপনি সেই গ্রুপ গুলোতে জয়েন হন ফেসবুকে আলতু ফালতু জায়গায় টাইম নষ্ট না করে গ্রুপগুলো একটু ফলো করুন। সেখানে অনেক নোটস ট্রিকস শেয়ার করা হয়। আমি নিচে বাংলায় ইংরেজি শিখার জন্য কিছু গ্রুপের নাম বলছি সেগুলো ফলো করতে পারেন।
- Spoken English জয়ের সহজ কৌশল
- ঘরে বসে Spoken English
- Spoken English – মৌখিক ইংরেজি
- Everyday English to Bangla
- Bangla to English
৩৮। ইউটিউব এ ফ্রি ক্লাস করুনঃ সহজে ইংরেজি শেখার উপায় ইউটিউব। আপনি ইউটিউবে অনেক ইংরেজি শিক্ষার ফ্রি ক্লাস পেয়ে যাবেন সেখানে আপনারা ভিডিও দেখে ইংলিশ শিখতে পারেন।অনেক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে তারা 30 দিনে স্পোকেন ইংলিশ চ্যালেঞ্জ বা 60 দিনে স্পোকেন ইংলিশ চ্যালেঞ্জ এরকম ভিডিও আপলোড করে। আপনিও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে প্রতিদিন ইংলিশ পরিচর্যা করতে পারেন। এইভাবে ঘরে বসে আপনি ইংরেজি শিখতে পারবেন।আমি নিচে কতগুলো ইউটিউব চ্যানেলের নাম বলছি সেখান থেকে আপনারা ফ্রিতে ঘরে বসে ইংরেজি শিখতে সাহায্য করবে।
ইংলিশ চ্যানেলের নাম :
- learn english with let’s talk – free english lessons
- learn english lab
- Easy English
- BBC Learning English
- learn english with tv series
হিন্দি চ্যানেলের নাম :
- spoken english guru
- learnex-english lessons through hindi
- TSmadaan
- DSL english
- english connection
বাংলা চ্যানেলের নাম :
- dadar i school
- adis teaching learn – english through bengali
- Munzereen Shahid
- Shafins
- Bangla to English Speaking Course
৩৯। Writing skill বাড়ানোর চেষ্টা করুনঃ আপনি ইংরেজিতে যেটা পড়ছেন সবসময় সেটা নোট করে রাখার চেষ্টা করবেন তাহলে কিন্তু আপনার রাইটিং স্কিলটা পারবে। এর জন্য আপনারা বেশি বেশি ভিন্ন দেশের লোকের সঙ্গে ফেসবুকে বা অন্য কোনো মাধ্যমে চ্যাটিং করার চেষ্টা করুন দেখবেন যে আপনার writing skill বেড়ে যাবে। আপনার রাইটিং স্কিল যত বেশি হবে তত ভালো আপনি ইংলিশে কথা বলতে পারবেন।
৪০। ইংলিশে কথা বলার জন্য সঙ্গী খুঁজুনঃ আপনি রোজ ইংরেজি শিখছেন কিন্তু কথা বলছেন না আপনি হয়তো ইংলিশে চ্যাট করতে পারবেন কিন্তু কথা বলতে পারবেন না আপনাকে রোজ ইংলিশে কথা বলতে হবে প্রশ্ন হলো আপনি কথা কার সঙ্গে বলবে ইংরেজিতে কথা বললে তো আপনি আটকে যাবেন সেটাও তো একটা লজ্জার ব্যাপার মনে হয় আপনাদের কাছে তো সেটির একটি দারুন উপায় আপনাদের কি শেয়ার করছি।অনেক অ্যাপ রয়েছে সেই অ্যাপগুলো প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে বিভিন্ন দেশের লোকের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে পারবেন। যারা মূলত নতুন ইংরেজিতে কথা বলা শিখছে তারাই ওই অ্যাপস ডাউনলোড করে। আপনি হয়তো ভাবছেন আমি যার সঙ্গে কথা বলছি সে হয়তো ইংরেজিতে অনেক জানে সেটা কিন্তু ব্যাপার না সেও কিন্তু ইংরেজিতে সেইরকম ভাবে কথা বলতে পারে না বলে ওই অ্যাপসটি ডাউনলোড করেছি সুতরাং এখানে লজ্জার কোনো ব্যাপার নয় আপনিও শিখছেন এবং আপনি যার সঙ্গে কথা বলছেন তিনিও কিন্তু শিখছে। ইংলিশে কথা বলার জন্য নিচে কয়েকটি ইংরেজি শেখার সেরা অ্যাপ এর নাম বলছি চাইলে আপনি সেই গুলো ডাউনলোড করে ইংলিশে কথা বলা practice করতে পারবেন।
শেষ কথা-ইংরেজি শেখার সহজ উপায়
এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি আশা করি কি সম্পর্কে ছিল
তা আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি
যদিও জানতে পেরেছেন আমাদের পোস্টটি কি সম্পর্কে তারপরও আমি একবার বলছি এই পোস্টটি
ছিল যারা ইংরেজিতে দুর্বল এবং সহজে কিভাবে ইংরেজি শিখবেন সেই ইংরেজি শেখার সহজ
উপায় নিয়ে। আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে
আপনার ইংরেজি শেখার আগ্রহ কয়েকগুণ বৃদ্ধি হয়ে গেছে। কারণ এই পোষ্টের মধ্যে আমরা
ইংরেজি শেখার প্রায় ৪০টি সহজ উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।
এখন যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমরা আমাদের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার
প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি, তাহলে অবশ্যই আমাদের এই
পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ, আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখা
আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার
ফেসবুক আইডি অথবা যত সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট আছে সমস্ত অ্যাকাউন্টে এবং আপনার
মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। কারণ তারাও
এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে ইংরেজি শেখার সহজ উপায় গুলো জানতে
পারবে। এমনকি এই এই শিক্ষা সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url