ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় - ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কি কি লাগে
প্রিয় পাঠক যারা চাচ্ছেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে বা ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি শেখা লাগে এই সম্পর্কে জানতে তাহলে আজকের পোস্ট আপনার জন্যই।
কারণ আমরা আজকের এই পোষ্টের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইল দিয়ে করা যায় এই প্রশ্নের উত্তর দেব এমনকি ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে বা কি কি শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে আপনার সেই সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে। তাই আমাদের এই সম্পূর্ণ পশ্চিম মনোযোগ সহকারে পূরণ এবং জানুন ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইল দিয়ে করা যায় এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগে।
সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কি কি লাগে
- ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়
- ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কি কি লাগে
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজগুলো বেশি চাহিদা
- নতুন ফ্রিল্যান্সার দের জন্য কয়েকটি কাজ
- ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস
- সর্বশেষ কথা-ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়
আজকাল মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও সহজ উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। ২০২৪ সালে কিভাবে খুব সহজ উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন, যদিও ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজ মবাইল ফোনের মাধ্যমে করা সম্ভব নয় কিন্তু কিছু কিছু কাজ আছে যা আপনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে ইনকাম করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে মোবাইলে টেকনোলজি উন্নত হওয়ায় অনেক ধরনের কাজ মোবাইল দিয়েও করা সম্ভব হচ্ছে।
নিম্নে মোবাইলের মাধ্যমে করা যাবে এমন কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং কাজের তালিকা নিচে দেওয়া হল। আর এই তালিকার মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন মোবাইলে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় বা ফিন্যান্সিং শিখে কিভাবে মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায়।
আরো পড়ুনঃ দারাজ থেকে টাকা আয় করার উপায়
১। কন্টেন্ট/আর্টিকেল রাইটিং - ফ্রিল্যান্সিং জগতের কাজের মধ্যে একটি হল কন্টেন্ট রাইটিং। বিভিন্ন ধরনের টপিকের উপর লিখতে হয় এই সকল কন্টেন্ট। যা ফাইবার, আপওয়ার্ক, ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে পাওয়া যায়। বাংলা, ইংরেজী দুই ধরনের কন্টেন্ট আপনি চাইলে লিখতে পারেন। তার জন্য আপনাকে সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নামকরা কোম্পানি অর্ডিনারি আইটি বাংলা আর্টিকেল রাইটিং বা লিখালিখির অফার দিয়ে মাসে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ দিচ্ছে। অর্ডিনারি আইটিতে আর্টিকেল রাইটিং কোর্সে আবেদন করতে হলে অর্ডিনারি আইটির ওয়েবসাইট থেকে নিচে দেখানো নিয়ম অনুযায়ী মেনু বারে গিয়ে লিখালিখির চাকরির অফারে ক্লিক করুন। তাহলেই বাংলা আর্টিকেল রাইটিং কোর্সে আবেদন করতে পারবেন খুব সহজেই।
২। ব্লগ রাইটিং - বর্তমান সময়ে মানুষ ব্লগিং সাইটের উপর বেশী ঝোক দিচ্ছে। প্রায় ১০ জন লোকের মধ্যে ১জন লোকের একটি ব্লগার সাইট আছে। তারা তাদের ব্লগার সাইটে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট সাবমিট করে ও কিছু টিপস ফলো করে ইনকাম করে সফল হতে পারছে। আর এই ব্লগ লেখার কাজটি আপনি আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও করতে পারবেন।
৩। কাস্টমার সাপোর্ট - আপনি আপনার ব্যবহৃত এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যে কোনো কোম্পানির পক্ষে যেমন- বাংলালিংক, গ্রামীন, রবি, এয়ারটেল, এছাড়াও যেকোনো ধরনের বড় কোম্পানির কাস্টমার সাপোর্ট দিতে পারেন। কাস্টমারেরা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ফোন দিলে আপনাকে সেই সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে, এটাই হল কাস্টমার সাপোর্ট।
৪। আর্টিকেল রি-রাইটিং - আর্টিকেল রি-রাইটিং হল বায়ার আপনাকে একটি আর্টিকেল দিবে আপনাকে সেটি মডিফাই করে বায়ারের পছন্দ মত লিখে দিতে হবে।
আশা করছি এই চারটি অপশন পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন মোবাইলের টেকনোলজি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে কিনা এই সম্পর্কে। এমনকি আপনি মোবাইলে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয় সেই সম্পর্কেও মোটামুটি একটি ধারণা পেয়েছে। তাই আশা করছি এখন আপনি এই বিষয়গুলো জানার পর আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই ফ্রিল্যান্সিং করতে শুরু করবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কি কি লাগে
উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় বা ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় এই সম্পর্কে এখন জানুন ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনার কি কি লাগবে বা আপনার কতটুক যোগ্যতা থাকলে বা কতটুকু ইচ্ছা থাকলে আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হলে কিছু জিনিস প্রয়োজন যেটা ছাড়া ফিল্যান্সিং করা অসম্ভব। সেগুলো হলঃ
- কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
- অবশ্যই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালানোর দক্ষতা
- সফটওয়্যার ইন্সটল-আনইন্সটল করা
- লেখা-লেখি করা
- MS Word, MS Excel, MS PowerPoint ইত্যাদি ছোট ছোট কাজ করতে পারার দক্ষতা থাকতে হবে।
এগুলো ছাড়া যে জিনিসগুলো খুবই প্রয়োজন তার নিম্নে তালিকার মাধ্যমে প্রকাশ করা হলো। নিম্নে যে বিষয়গুলো তালিকার মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে উপরোক্ত বিষয়গুলো চেয়ে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই স্কিল গুলো যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভালো কিছু করতে পারবেন না।
১। ইন্টারনেট কানেকশন - বাসা বা কাজের স্থান ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। ইংরেজীতে দক্ষতা- ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য যেহেতু বিভিন্ন দেশের বায়ারদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলার প্রয়োজন হয় তাই ইংরেজীভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। ইংরেজী বোঝার ও বলার ক্ষমতা থাকতে হবে।
২। প্রবলেম সল্ভিং স্কিল - ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে যেকোনো সমস্যা সমাধান করার স্কিল থাকতে হবে। কারণ এই কাজ করতে গেলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন, আর সে সকল সমস্যা আপনাকেই সল্ভ করতে হবে। তাই আপনার মধ্যে যেকোনো প্রবলেম সল্ভিং স্কিল থাকা প্রয়োজন।
৩। আত্নবিশ্বাস - আপনাকে নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাসী হতে হবে। কোনো কাজ করছেন না বা করতে পারবেন না এমন হওয়া যাবে না। যেকোনো কাজ আপনি করতে পারবেন এবং তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে পারবেন এমন ভাবে নিজের প্রতি নিজের আত্নবিশ্বাস দৃঢ় করতে হবে।
৪।ফ্লেক্সিবিলিটি - ক্লায়েন্টের যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধান করার মন মানসিকতা থাকতে হবে। ক্লায়েন্টকে একই ধরনের কাজ না দিয়ে মাঝে মাঝে কাজের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করতে হবে। কাজকে বিরক্তবোধ করা যাবে না।
উপরোক্ত তালিকাগুলোর মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন আপনাকে একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে
উঠতে হলে আপনার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কি হবে বা আপনার ফ্রিল্যান্সিং
করতে কি কি লাগবে এই সম্পর্কে। তবে আপনাকে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে উপরোক্ত
তালিকা ছাড়াও যে জিনিসটি আপনার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে ধৈর্য আর
পরিশ্রম। এই দুইটি জিনিস আপনার যদি থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে
বড় কিছু করতে পারবেন এটা আশা করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজগুলো বেশি চাহিদা
আপনি যদি না জেনে থাকেন ফ্রান্সিং সেক্টরে কোন কাজগুলোর বেশি চাহিদা বা বিদেশি বায়ার রা কোন কাজগুলো করানোর জন্য ফ্রান্সার খুজে তাহলে আজকের এই পোষ্টির মাধ্যমে জেনে নিন। এখন আপনাকে কয়েকটি তালিকা দেয়া হবে যে তালিকার গুলোর মাধ্যমে জানতে পারবেন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কোন কাজগুলোর বেশি চাহিদা হয়। অনলাইনের সকল ধরনের কাজ দিয়েই আপনি সহজ উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কিছু কাজ হলঃ
১। ব্লগিং (Blogging) : বর্তমানে ব্লগিং ফ্রিল্যান্সিং এর #১ নাম্বারে আছে। ব্লগিং করে খুব সহযেই কম সময়ে ও দ্রুত ইনকাম করা যায়। আপনার যদি একটি ব্লগার সাইট থাকে তাহলে আপনি কিছুদিন যাবৎ কাজ করার পর পরবর্তীতে কাজ না করলেও আপনার ইনকাম হতেই থাকবে, যাকে বলে প্যাসিভ ইনকাম। আপনি আপনার ব্লগারে কন্টেন্ট/আর্টিকেল লিখে রাখবেন যেটা থেকে আপনার ইনকাম হতেই থাকবে। এটি এক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং যেটা থেকে বসে থেকে ও কম কাজ করেও ইনকাম হতেই থাকবে।
২। গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design) : ফ্রিল্যান্সিং করার আরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ এখন অনলাইন - অফলাইন দুই মাধ্যমেই ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে লোগো ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, বইয়ের কভার ডিজাইন, ম্যাগাজিন, টেমপ্লেট ইত্যাদি সকল ধরনের ডিজাইন করে ইনকাম করা সম্ভব। গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিছু ওয়েবসাইট আছে তা হল- Fiverr, 99designs, Envato Market ইত্যাদি।
৩। ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) : প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বাড়ানোর জন্য যারা কাজ করে তারাই ডিজিটাল মার্কেটার। ফ্রিল্যান্সিং হিসাবে কত কষ্টে বেশী ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে সেরা উপায় ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে, ইমেইল মার্কেটিং, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং ইত্যাদি।
৪। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development) - ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েব ডেভেলপার হলো প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে সব থেকে বেশী ইনকাম করার সোর্স। বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ তৈরি করা হয় ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে। ওয়েব ডেভেলপিং করে প্রতি ঘন্টাতে প্রায় ১৫ থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যায়।
৫। এসইও (SEO) - এসইও (SEO) এর পূর্ণরূপ "সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন"। যেকোনো ধরনের লিখা, ওয়েবসাইট বা প্রোফাইল একটি ভালো পজিশনে বা র্যাংকিং এ নিয়ে যাওয়ার জন্য মূলত এসইও করা হয়। এসইও কাজ শিখতে হলে আপনাকে একটি ভালো ও সেরা প্রতিষ্ঠানে এই সম্পর্কে একটি কোর্স করতে হবে।
৬। এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) - অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। মূলত পন্যের পরিষেবা প্রচার করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার কোনো ইউটিউব বা ওয়েবসাইট থাকার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন হবে একটি সক্রিয় ফেসবুক পেজ ও অনেক বেশি ফলোয়ার।
৭। ফেসবুক মার্কেটিং (Facebook Marketing) - আপনার পন্য সম্পর্কে সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অবগত করে ফেসবুক মার্কেটিং। এছাড়াও পেজের ভিজিটর বাড়াতে, বর্তমান ও সম্ভাব্য সকল গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য, গ্রাহকের আগ্রহ বাড়ানোর ও ধরে রাখার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং একটি যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে পন্য সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, যাতে করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ পন্যের গুনগতমান ও সাইট সম্পর্কে জানতে পারে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায়
৮। কন্টেন্ট রাইটিং (Content writing) - কন্টেন্ট রাইটিং করে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন টপিক নিয়ে বিভিন্ন ব্লগ রাইটিং, কপি রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট রাইটিং ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং করে আপনি ইনকাম করতে পারেন। কন্টেন্ট রাইটিং ঘরে বসে আপনার হাতের ব্যবহৃত মোবাইল/স্মার্ট ফোনের দ্বারাও করা সম্ভব। কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে হলে আপনি বিশ্বস্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে শিখতে পারেন। আমার পরিচিত একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হল অর্ডিনারি আইটি, যেটা বাংলাদেশের সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি। এখানে আর্টিকেল রাইটিং ৩ মাসের কোর্সে করানো হয়।
৯। ইউটিউব ভিডিও তৈরি (YouTube video creation) - আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে ভালো পরিমানের ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু ইনকাম রানিং হতে আপনার ২-১ বছরের মত সময় লাগতে পারে। বর্তমানে ইউটিউব ভিডিও অনলাইনে দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। সার্চ ইঞ্জিনে গুগোলের পরে ইউটিউব জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
১০। রিভিউ করে (Review) - আপনি যদি একজন ভালো লেখক হন তাহলে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর রিভিউ দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। গান শুনে, বই পড়ে, পন্য পর্যালোচনা করে আপনাকে রিভিউ দিতে হবে। এই কাজটি করে আপনি ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে গান শুনে, বই পড়ে ও পন্য পর্যালোচনা করে ভূল বের করার দক্ষতা থাকতে হবে। যদি আপনি এই কাজটি করতে না পারেন তাহলে কাজটি আপনার জন্য না।
১১। ওয়েবসাইট ডিজাইনার (Website Designer) - আপনি যদি একজন ভালো ওয়েবসাইট ডিজাইনার হন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের বড় এনজিও, প্রযুক্তি ও কোম্পানির জন্য কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই নজরকাড়া ওয়েবপেজ তৈরি করার দক্ষতা দেখাতে হবে। তাহলেই আপনি ঘরে বসে ওয়েবসাইট ডিজাইনার হয়ে প্রতি ঘন্টায় $30-50 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
১২। অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেটার (Appointment setter) - অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেটাররা মূলত বিক্রয় প্রতিনিধিদের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেট করার জন্য ক্লায়েন্টদের কল করে। কোম্পানির দেওয়া লিড অনুসরণ করে ক্লায়েন্ট কল করা হয়। এই কাজটি করে আপনি প্রতি ঘন্টায় $12.65 ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
১৩। অনলাইন মডারেটর (Online Moderator) - আপনি একজন অনলাইন মডারেটর হয়ে প্রতি ঘন্টায় $15-40 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে অনলাইন ফোরাম, সোশ্যাল মিডিয়া গোষ্ঠী ও অনলাইন ইন্টারঅ্যাকশন সংযত করতে হবে।
১৪। ফটোগ্রাফার (The photographer) - আপনি যদি খুব ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য। আপনি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। অনলেইন কাজের মধ্যে এটি সবচেয়ে সহজ কাজ। এই কাজটি করে আপনি কোনো প্রকার কষ্ট ছাড়ায় ভালো পরিমান অর্থ উপার্যন করতে পারবেন।
১৫। ডাটা এন্ট্রি (Data Entry) - ডাটা এন্ট্রির কাজ হলো ডাটা বেজে বিভিন্ন ধরনের ডাটা যোগ করা। ডাটা বেজে সাধারনত ইলেক্ট্রিক ডেটা যোগ করে রাখতে হয়। বিভিন্ন ধরনের অফিস-আদালত সহ সকল প্রতিষ্ঠানে ডাটা এন্ট্রি করে রাখার প্রয়োজন হয়। এখনকার এই ডিজিটাল যুগে এসে সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ধরনের তথ্য কাগজে কলমে না রেখে বেশীভাগ ক্ষেত্রে তা ডাটাবেজে সংরক্ষন করে রাখা হয়। ডাটা এন্ট্রির কাজ করেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ডাটা এন্ট্রির একটি কোর্স করতে হবে।
১৬। সিপিএ মার্কেটিং (CPA marketing) - সিপিএ (CPA) মার্কেটিং বা Cost per action marketing হল ক্লিক করার সাথেই কাজ, এটি একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মডেল। এটিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত করে পন্য বিক্রি করতে হয় না কিন্তু এর মাধ্যমে আপনার সাইটে আসা সকল ভিজিটরকে নির্ধারিত সাইটে নিয়ে যাওয়া হয় আর এটিই সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ। সিপিএ মার্কেটিং বর্তমানে সকল ধরনের অনলাইন কাজে ব্যবহার করা হয়। সিপিএ মার্কেটিং তাদের জন্যই কাজ করে যারা প্ল্যাটফর্মে অনুমোদিত পন্য প্রচার করেতে চায় তাদের পন্যগুলোকে প্রচার করে ইনকাম করার জন্য কাজ করে এই সিপিএ মার্কেটিং।
১৭। ইমেইল মার্কেটিং (Email marketing) - ইমেইল মার্কেটিং হলো সেই মার্কেটিং যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার প্রচার করতে পারবেন। বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে আপনার পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বা অফার সম্পর্কে অবগত করা হয় ইমেইলের মাধ্যমে।
১৮। ভিডিও এডিটিং (Video editing) - ভিডিও এডিটিং মূলত সেই কাজ যার মাধ্যমে একটি ভিডিওকে কাট, ট্রিম ও সকল ক্লিপগুলোকে সিকোয়েন্স আকারে সাজিয়ে একটি পরিপূর্ণ ভিডিওতে রূপান্তর করাকে ভিডিও এডিটিং বলে। অনেকে আছেন যারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখতে খুব আগ্রহী, তারা ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভিডিও এডিটিং কোর্স করতে পারেন এবং ঘরে বসে যেকোনো অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ-উপার্যন করতে পারেন।
১৯। ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট (Virtual assistant) - আজকাল অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অফিসের সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে এসিস্ট করা হয় আর যে মাধ্যমে এসিস্ট করা হয় তাই ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট। এই ভার্চুয়াল এসিস্টেন্টের মাধ্যমে এখন বাইরের দেশের ক্লায়েন্টদের এসিস্ট করে ইনকাম করা হচ্ছে। যা একধরনের ফ্রিল্যান্সিং। এই ধরনের কাজে কোনো প্রকার ধরা-বাধা নিয়ম নেই। ক্লায়েন্টকে এসিস্ট করাই ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট এর কাজ।
২০। এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট (Android app development) - একটি সফটওয়্যার বাহ্যিক দিক থেকে দেখতে কেমন হবে সেটা উল্লেখ করা হলো এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডিজাইনের কাজ। আর অ্যাপ এর মধ্যে থেকে কিভাবে কাজ করবে সেটা নির্ধারণ করা হলো এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডিজাইনের ও এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ করে থাকেন আবার অনেক সময় কিছু কোম্পানি আছে যারা অ্যাপ তৈরি করিয়ে নিবেন তারা অ্যাপের পের্টান বলে দেয় এবং সে অনুযায়ী অ্যাপ তৈরি করতে হয়। আপনি যদি এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডিজাইন ও এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে এন্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পর্কিত কোর্স করতে হবে। একজন এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে মাসে প্রায় ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা ইনকাম করেন।
২১। অটোক্যাড 2D/3D (Auto CAD) - অটোক্যাড হলো একটি অটোডেস্ক ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক উদ্ভাবিত দ্বি-মাত্রিক ও ত্রি-মাত্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং যা একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার। অটোক্যাডের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বাড়ির, অফিস-আদালতের নকশা, ইন্টোরিয়র ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, গ্রীল ডিজাইন সহ সকল ধরনের ডিজাইন করা খব সহজ। এছাড়াও অটোক্যাডের মাধ্যমে আপনার করা ডিজাইন দেখতে কেমন হবে সেটাও আপনি দেখতে পারবেন এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে। আজকাল অটোক্যাডের কাজ করেও ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এবং ইনকাম ও করা যায়।
২২। সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social media marketing) - সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল সেই মার্কেটিং যার মাধ্যমে আপনি আপনার যেকোনো সার্ভিস অথবা পন্য শেয়ারিং বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন। এখান থেকে আপনি বিভিন্ন সেক্টরে যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, লিংকডইন, ইউটিউব বা ইন্সটাগ্রামের একটিভ থাকা সকল ধরনের লোকদের টার্গেট করতে পারবেন। সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে মূলত বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ও শেয়ার করে ইনকাম করা হয়। কারণ আপনার পন্য সম্পর্কে যত বেশী লোক জানবে আপনার পন্য ততবেশী সেল হবে।
২৩। গুগোল এডভার্টাইজমেন্ট (Google Advertisement) - আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি গুগোল এডভার্টাইজমেন্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন অন করে রাখেন তাহলে সেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ইনকাম হতেই থাকবে। আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট বা ইউটিউবের ভিডিও দেখার সময় সকলে বিজ্ঞাপনও দেখবে বিধায় আপনার সেখান থেকে ইনকাম হবে।
২৪। লিড জেনারেশন (Lead generation) - তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়াকে লিড জেনারেশন বলে। যেকোনো ধরনের প্রডাক্ট বিক্রি করার জন্য একটি টার্গেট কোম্পানির ও ব্যাক্তিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, মেইল, ফোন নাম্বার সংগ্রহ করা। লিড জেনারেশন হল একটি ক্রিয়েটিভ প্রক্রিয়া। এই কাজ সব সময় একই নিয়মে করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের আইডিয়া থেকে এই কাজটি করতে পারেন।
২৫। ড্রপ শিপিং (Drop shipping) - ড্রপ শিপিং হলো আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে আপনি আপনার সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের পন্যের ছবি ও বিস্তারিত পোস্ট করবেন। আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকে যার যে পন্যটি পছন্দ হবে সে সেটি অর্ডার করবে আপনার কাছে, তারপর আপনি সেই পন্যটি অন্য আরেকটি ওয়েবসাইট থেকে কম দামে অর্ডার করে তার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন। এটিই মূলত ড্রপ শিপিং। ড্রপ শিপিং এর এই কাজটি আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন কারণ এই কাজটি করার জন্য আপনাকে কোনো অফিস, বা গুদাম ঘরের প্রয়োজন নেই কারণ আপনার কাছে কোনো মালামাল নেই। আপনি ঘরে বসেই অর্ডার নিয়ে সেই অর্ডার ডেলিভারি দিতে পারছেন। ড্রপ শিপিং এর কাজ করে বর্তমানে অনেকে বেশ ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারছে।
২৬। এসএমএস মার্কেটিং (SMS marketing) - এসএমএস মার্কেটিং হলো ব্যবসায় প্রমোশনের জন্য টার্গেট করা কিছু কাস্টমারদের ফোনে টেক্সট ম্যাসেজ পাঠিয়ে মার্কেটিং করা। আজকাল বেশীভাগ মানুষের হাতে সবসময় ফোন থাকে। তাই আপনি যদি একটি ফোন ম্যাসেজ পাঠান তাহলে কম বেশী সকলেই ম্যাসেজটা দেখবে এবং আপনাদের সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে করে আপনাদের পন্যের মার্কেটিং হবে এবং ভালো ইনকামও সম্ভব হবে। আর এই কাজটি আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন।
২৭। এনিমেশন করে (Animation) - এনিমেশন হল জীবন্ত করা বা প্রাণসঞ্চার করা। আপনি কোনো একটি জড় বস্তু এঁকে সেটাতে প্রাণসঞ্চার বা গতিশীল করার জন্য মূলত এনিমেশন করা হয়। আমরা টিভিতে যে কার্টুন ভিডিওগুলো দেখি মটু-পাতলু, টম এন্ড জেরি, বেন টেন, ডোরেমন সেগুলো সব মূলত এনিমেশনের মাধ্যমে করা। আপনি যদি খুব ভালো এনিমেশনের কাজ জানেন তাহলে আপনি ঘরে বসেই এই কাজটি করতে পারবেন। আজকাল এনিমেশনের কাজ করে খুব ভালো ইনকাম করা যাচ্ছে।
২৮। ডোমেইন ট্রেডিং (Domain trading) - আমরা সকলেই কমবেশি ডোমেইন ট্রেডিং সম্পর্কে জানি। বাজারে বর্তমানে ডোমেইন ট্রেডিং এর অনেক বেশী চাহিদা আছে। ডোমেইন ট্রেডিং নিয়ে কাজ করার জন্য আপনার সবচেয়ে বেশী সহায়ক হবে নেমবিও ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন এর দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। ডোমেইন কেনা-বেচা করার জন্য আপনি Sedo, Flippa ইত্যাদি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারবেন।
২৯। ই-কমার্স ব্যবসা (E-commerce business) - আজকাল ই-কমার্স ব্যবসা একটি সহজ ও দূর্দান্ত ব্যবসা। Daraz, kaymu, rokomari, priyoshop, ajkerdeal এগুলো সব বাংলাদেশী অনলাইন ইনকাম ই-কমার্স সাইট। প্রতিদিন প্রায় ৩০,০০০ এর বেশী মানুষ এই সকল ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে পন্য ক্রয় করছে। আপনিও এভাবেই নিজের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুলে ইনকাম করতে পারেন।
৩০। কন্ঠ শিল্পী (Voice artist) - আপনি যদি একটি সুন্দর ভয়েসের অধিকারী হন তাহলে আপনি আপনার ভয়েসটি ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন কার্টুন, ফিল্ম, অ্যাপস, পডকাস্ট, অডিও রেকর্ডিং, বিদেশী ছবির বাংলা ডাবিং করতে আপনার কন্ঠটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি করার জন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট সংযোগ, হেডফোন, কম্পিউটার, অডিও সফটওয়্যার। এই কাজটি করে আপনি ঘন্টায় $20-60 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
আশা করছি আপনাকে আমরা জানাতে সক্ষম হয়েছি যে বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে কোন কাজগুলো বেশি ভ্যালুয়েবল বা বিদেশি ভাইয়েরা কোন কাজগুলোর জন্য বেশি বেশি ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকে। আর তাই আপনি যদি এই কাজগুলো বেশি দক্ষতার সাথে শিখেন তাহলে অবশ্যই আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লে এসে কাজ করে সন্তুষ্ট করতে পারবেন।
নতুন ফ্রিল্যান্সার দের জন্য কয়েকটি কাজ
আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন বা আপনার স্বপ্ন যদি হয়ে থাকে আপনি
একজন বড় ফ্রিল্যান্সার হবেন তাহলে আপনার প্রথম অবস্থায় কোন কাজগুলো করা উচিত বা
কোন কাজগুলো থেকে আপনি প্রথম অবস্থায় ভালো একটি প্রফিট পাবেন সেই কাজ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানানো হবে।
নতুনরা ২০২৪ সালে কিভাবে খুব সহজ উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন ও নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ সহজ তা আমরা অনেকেই জানি না। আজ আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ হবে সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই কি কি কাজ আছে যা নতুনদের জন্য সহজ । নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহজ ১০ টি কাজ হলোঃ
- ফ্রিল্যান্স ডাটা এন্ট্রি
- ব্লগার ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
- টি-শার্ট ডিজাইন
- কপিপেস্ট রাইটিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- এসইও
- লোগো ডিজাইন
- ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
- ফটো এডিটিং
- ভয়েস আর্টিস্ট
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস
আমরা এতক্ষন ২০২৪ সালে কিভাবে খুব সহজ উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন সে কাজ সম্পর্কে জানলাম, এখন আমরা জানবো কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট সম্পর্কে। যে মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করার মাধ্যমে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার টাকে ডেভেলপ করতে পারবেন। এমনকি এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রচুর পরিমাণে বায়ার হয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে আপনি যদি তাদের কাজ করে তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারেন তাহলেই আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়
জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট হলঃ
- Fiverr.com
- Upwork.com
- 99Designs.com
- Freelancer.com
- Guru.com
- PeoplePerHour.com
- Toptal.com
- Speedlancer.com
- FlexJobs.com
- SimplyHired.com
- belancer.com
- truelancer.com
- problogger.com
- behance.net
- kajkey.com
- scripted.com
আশা করছি উপরোক্ত লিংক গুলোতে প্রবেশ করার মাধ্যমে তাদের বড় বড় মার্কেটপ্লেস
গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এমনকি সেই মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার কাজ
করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে। এখন যদি আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে
অবশ্যই আপনাকে এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে হবে সততার সহিত এবং খুবই পরিশ্রম
আর ধৈর্যের সাথে। আপনার টার্গেট হবে আপনার বায়ার কে সন্তুষ্ট করা। আর আপনি
যদি আপনার ভাইয়ের কে সন্তুষ্ট করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার মার্কেটপ্লেস
একাউন্টে টিকে থাকতে পারবেন।
সর্বশেষ কথা- ফ্রিল্যান্সিং
এতক্ষণ যে পোস্টটি আপনি ধৈর্য সহকারে এমনকি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কি কি লাগে এই সম্পর্কে। আশা করি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমাদের আজকের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার প্রশ্নের সমস্ত উত্তর গুলো আমরা দিতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক আইডিতে এমন কি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায় এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কি কি লাগে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাগুলো পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url