ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার ১০টি উপায়
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেল বা ব্লগ পোষ্টটি ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় বা ইনকাম করার কয়েকটি সেরা উপায় সম্পর্কে।
আশা করছি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ফেসবুক পেজ সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা বা তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন। এমনকি এই পোস্টটির মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন ফেসবুক পেজ থেকে কত রকম উপায়ে আয় করা যায় বা। গুরুত্বপূর্ণ উপায় গুলো সম্পর্কেও এই পোস্টটির মধ্যেই জানতে পারবেন। এছাড়াও আমাদের পোস্টে আপনাদের ফেসবুক পেজ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের করা প্রশ্নগুলোর উত্তরও পেয়ে যাবেন। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করার সেরা উপায়সূমহ
- ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার ১০টি উপায়
- ফেসবুকে কত ভিউ কত ডলার আসে
- ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করা কি হালাল
- ফেসবুক পেজে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়
- শেষ কথা-ফেসবুকপেজ থেকে টাকা ইনকাম
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার ১০টি উপায়
২। ইন-স্ট্রিম অ্যাডঃ ভিডিওর মধ্যে যে বিজ্ঞাপন গুলো থাকে এগুলো দর্শকদের বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ইন-স্ট্রিম অ্যাড ফিডের যে কোনো স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপনের চাইতে বেশি কার্যকর কারণ স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপন গুলো দর্শক স্কিপ করে চলে যেতে পারে। কিন্তু ইন-স্ট্রিম অ্যাড গল্প আকারে উপস্থাপনা করতে হয়। ফেসবুকের সমস্ত শর্ত গুলো মেনে বিজ্ঞাপনটি এক মিনিটের বেশি দীর্ঘ হতে হবে এবং ইন-স্ট্রিম অ্যাড চালানোর জন্য পেজটিতে অবশ্যই ১০ হাজারের বেশি ফলোয়ার থাকতে হবে।
৩। পেইড সাবস্ক্রিপশনঃ টাকার বিনিময়ে পেজে সাবস্ক্রিপশন বাড়িয়ে ইনকাম করা যায়। এই সুবিধাটি এখন শুধু ফেসবুক ইনভাইটেশন ফিচারের সাহায্যে পাওয়া যায়। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য ১০০০০ ফলোয়ার বা ২৫০ জনের বেশি রিটার্ন ভিউয়ার কিংবা ৫০০০০ পোস্ট এঙ্গেজমেন্ট বা এক লক্ষ আশি হাজার ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
৪। অনলাইন ক্লাস করিয়ে ইনকামঃ আপনি যদি একজন টিচার না হন বা আপনার ইচ্ছা থাকে আপনি একজন টিচার হবেন আপনার অভিজ্ঞতা নাই কিভাবে টিচার্স করতে হয় কিন্তু আপনি আপনার ছাত্রদের বোঝানোর ক্ষমতা রাখেন বা তাদেরকে কিভাবে তাদের পড়া বুঝিয়ে দিতে হবে সেই সম্পর্কে আপনার মোটামুটি একটি ধারণা আছে। তাহলে আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস করিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। মনে করেন আপনি একজন কেমিস্ট্রি স্টুডেন্ট। এখন অনেক স্টুডেন্ট কিন্তু কেমিস্ট্রিতে প্রাইভেট বা অনলাইন ক্লাস করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক পেজ খুঁজে থাকে। আর ঠিক তখনই যদি আপনার ফেসবুক পেজটি তাদের চোখে পড়ে তাহলে সেই পেজে রেজিস্ট্রেশন করে আপনার অনলাইন ক্লাসগুলো করবে এবং আপনার যে একটি নির্দিষ্ট মূল্য দেয়া থাকবে প্রাইভেটের জন্য সেই মূল্যটি তারা প্রদান করে দেবে।
৫। ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজঃ পেজের রিচ বাড়াতে বা নতুন নতুন আকর্ষণীয় কনটেন্ট পেতে, প্রাসঙ্গিক অন্য কারো সঙ্গে কাজ করতে পারেন। নতুন নতুন দর্শক টানতে এবং ব্র্যান্ডের প্রচার বাড়ানোর জন্য অনেক কোম্পানি, নির্মাতা ও বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ড আছে, যাদের অনেক বেশি ফলোয়ার আছে সে সব কোম্পানি তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। সেই সব সঙ্গে আপনি কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। সেই সব কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার আগে তাদেরকে অ্যাক্সেসের জন্য অনুরোধ করতে পারেন।
৬। ফলোয়ারদের কাছ থেকে আয়ঃ ফেসবুকে ঘোষণা অনুযায়ী আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েট করে বা রিল করে, নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিউয়ার্স ও ফলোয়ার তৈরি করে মাসে ৪০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। তবে এ ফিচারটি শুধু ইনভাইটেশনের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
৭। পেইড ইভেন্টঃ আপনার পেজে টাকা বিনিময়ে পেইড ইভেন্ট পরিচালনা করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি পেইড ইভেন্টের সাহায্যে পেজ দিয়ে ইভেন্টের সময়সূচি নির্ধারণ করা এবং পরিচালনা করতে পারবেন। সেজন্য আপনার পেজে ফেসবুক ইভেন্টের ফিচারটি চালু করুন, নতুন ইভেন্ট তৈরি করতে ইভেন্ট ট্যাবটিতে ক্লিক করুন, সেখান থাকা ইভেন্ট অপশনটি সিলেক্ট করে ইভেন্টের মূল্য এবং অন্য কোন হোস্টের ইনফরমেশন চাই তা দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন।
৮। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্য লোকদের পণ্য বা সেবার প্রচারের মাধ্যমে নিজের অর্থ উপার্জনের প্রক্রিয়া। অন্য মানুষের পণ্য বিক্রি করে প্রতিটি পণ্যের বিনিময় কমিশন নেয়াকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে আখ্যায়িত করা হয়। মূলত ওয়েবসাইট বা ব্লগ খুলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়। তবে ফেসবুক পেজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও অর্থ উপার্জণ করা যায়। এই পদ্ধতিটি নিজের পণ্য বিক্রির মতোই কাজ করে। এখানে শুধুমাত্র আপনার পণ্যগুলোর লিংক যুক্ত করার পরিবর্তে, যেখানে আপনি রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাদের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে হবে।
৯। ফলোয়ারদের অনলাইন স্টোরে নিয়ে যাওয়াঃ সোশ্যাল কমার্স ফিচারটির মাধ্যমে ক্রেতাদের আপনি সরাসরি পেজ থেকে অনলাইন স্টোরে নিয়ে যেতে পারেন। যারা ইতিমধ্যে ফেসবুকে ছোটখাটো ভাবে ব্যবসা শুরু করেছেন তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত মাধ্যম। যে সমস্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা স্ক্রল করে বেড়াই। তাদের কাছে সহজেই অ্যাড দেখিয়ে পন্যটি কেনার জন্য আগ্রহ বাড়াতে পারেন, এজন্য আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে ফেসবুকের ক্যাটালগ ম্যানেজারের ক্যাটালগ যোগ করতে হবে। এরপর একটি ছবি বা ভিডিও পোস্ট করে, তার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক পণ্যটির লিঙ্ক অ্যাড করে দিন। লাইভ স্ট্রিম চলাকালীন সময়েও পন্য লিংক করতে পারবেন।
১০। পেজ বিক্রি করে আয়ঃ প্রথমত আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। সেই সাথে আপনার ফেসবুক পেজের লাইক সংখ্যা বাড়াতে হবে। লাইক বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনার পেজে ভালো মানের পোস্ট করতে হবে। আপনার পেজে যদি লাইক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তখন আপনি চাইলে আপনার পেজটি অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। কোন সন্দেহ নেই আপনি ফেসবুক পেজ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি ধৈর্য এবং শ্রম দিতে হবে।
আশা করছি উপরোক্ত দশটি উপায়ে সম্পর্কে পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ফেসবুক পেজ থেকে কিভাবে কিভাবে আয় করতে পারবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। এমনকি এই ধারণাগুলো আপনি কাজে লাগিয়ে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে বা বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আয় করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে এখনো আপনার ফেসবুক পেজ থেকে এই উপায়গুলো অবলম্বন করে আয় করা শুরু করুন।
ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা
এখন তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ফেসবুক পেজে ভিডিওগুলো কত ভিউ হলে কত টাকা আয়
ইনকাম হয় এই সম্পর্কে। আপনারা অনেকেই অনেক রকম ভাবে প্রশ্ন করে থাকেন আমার
যে একটি ফেসবুক পেজ আছে সেই পেজে আমি রেগুলার ভিডিও পাবলিক করি কিন্তু ভিডিও
পাবলিশ করার পর ঠিকমতো ভিউ হয় না যদিও একশ দেড়শ ভিউ হয় এবং সেই ভিউ গেলে থেকে
কি ইনকাম আসবে।
এই ধরনের প্রশ্নগুলো যখন আমরা পাই তখন তাদেরকে আমরা পরামর্শ দিই যে আপনি আপনার
ফেসবুক পেজে রেগুলার ভিডিও পাবলিস্ট করতে থাকেন এক সময় দেখবেন কোন একটি
ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে এবং সেই ভিডিও থেকেই আপনার ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বৃদ্ধি
হতে শুরু করবে এবং আপনার কন্টেন্ট ভিডিও গুলোতে ভিজিটরও বেশি আসতে শুরু করবে।
এখন আপনাদের প্রশ্ন থাকে যে আমাদের এই ভিজিটর গুলো বা ভিউ থেকে কত টাকা আয় হয়
অর্থাৎ কত ভিউ হলে কত টাকা ইনকাম হয়। ফেসবুক পেজের ভিউ থেকে কান্ট্রি
ওয়াইজ ভাগ করা আছে মনে করেন আপনি আজকের একটি ভিডিও পাবলিস্ট করেছেন এবং সেই
ভিডিওটি শুধু বাংলাদেশের ভিউয়ার রায় ভিউ করেছে। তাহলে আপনার সেই ভিউ গুলো
থেকে একরকম ইনকাম আছে। আবার মনে করেন সেই ভিডিওতে বাইরের দেশ থেকে অনেক
ভিজিট হয়েছে বা ভিউ করেছে সেই ক্ষেত্রে আরেক রকম আয় ইনকাম হবে।
আপনি যদি প্রতিদিন ভিডিও পাবলিস্ট করেন এবং আপনার সেই ভিডিও গুলোতে প্রতিদিন ৫
লাখ বা এক মিলিয়ন করে ভিউ হয় তাহলে কান্ট্রি ওয়াইজ ভাবে আপনার ইনকামটা আসবে।
দেখা যাবে কোন ভিডিওতে যদি এক মিলিয়ন ভিউ হয় এবং সেই ভিডিওর ভিজিটর গুলো প্রায়
বাইরের দেশেরই ছিল সেই ক্ষেত্রে আপনার ১ মিলিয়ন ভিজিটর থেকে ১০,০০০ টাকা ইনকাম
হবে। আবার এমনও হবে সেই ভিডিওটি এক মিলিয়ন ভিউ হয়েছে কিন্তু শুধু বাংলাদেশ
থেকেই ভিউ হয়েছে সে ক্ষেত্রে আপনার সেই এক মিলিয়ন ভিউ থেকে ৫০০০ টাকা ইনকাম
হবে।
আশা করছি তাহলে আপনি বুঝতে পেরেছেন বা জানতে পেরেছেন আপনার ফেসবুক পেজের
ভিডিওগুলো থেকে কিভাবে বা কত রকম উপায়ে ইনকাম আসে। অর্থাৎ সেই ভিডিওগুলোতে কোন
দেশ থেকে কেমন ভিউ হলে। কেমন ইনকাম আসে এই সম্পর্কে।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করা কি হালাল
আমরা যারা ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করতে যাই এবং বিভিন্ন পর্যায়ে অতিক্রম
করার পর যখন শুনি যে অনলাইন থেকে অনেক ইনকাম গুলোই হারাম হয় তখন আমরা এই ধরনের
প্রতিক্রিয়ায় আটকা পড়ে যায় এবং নিজে থেকেই প্রশ্ন আসে বা অনেককেই করে থাকে যে
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করা কি হালাল হবে না হারাম হবে এই সম্পর্কে অনেকেই অনেক
রকম চিন্তা ভাবনা করে থাকে।
তবে আজকে আপনাদের চিন্তাভাবনা দূর করার জন্য আমার এই পোস্টটি লেখা আপনি যদি
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েন তাহলেই জানতে পারবেন আপনি যে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয়
করবেন সেই আইডিটি হালাল হবে কি হারাম হবে সেই সম্পর্কে। আপনি যদি আপনার
ফেসবুক পেজে কনটেন্ট ক্রিয়েট করেন বা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের বা প্রতিনিয়ত নতুন
নতুন ব্লগ পাবলিশ করে এবং সেই ব্লগগুলো যদি আপনার মানসম্মত ও ইসলাম সম্মত হয় এবং
সেই ব্লগগুলো থেকে যে ইনকামটা আসবে সেই ইনকাম গুলো হালাল বলা যাবে।
এবং আপনি যে কনটেন্ট বা ব্লক গুলো তৈরি করছেন সেই ব্লগ গুলো যদি ইসলাম বিরোধী হয়
এবং এই ব্লক গুলো দেখার মাধ্যমে মুসলমান অথবা মানুষদের অনেক ধরনের ক্ষতি হচ্ছে আর
সেই ইনকাম টাই হবে আপনার হারাম ইনকাম। তবে যেই ব্লকগুলো আপনি মানুষের খুশির
জন্য এবং তাদের কিছু মোটিভেশনাল বা শিক্ষা দানের জন্য পরিশ্রম করছেন এবং ঘাম
ঝরাচ্ছেন সেই পরিশ্রমের যে ইনকামগুলো আসবে সেগুলো হালাল হবে।
আশা করছি আপনাকে আমি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে আপনার ফেসবুক পেজে যে কনটেন্ট ব্লক
তৈরি করবেন সেভ ব্লক গুলো থেকে যে ইনকামটা আসবে সেই ইনকাম গুলো হালাল হবে না
হারাম হবে এই সম্পর্কে। এখন আপনি বুঝতে পেরেছেন আপনার কোন ধরনের কনটেন্ট গুলো
তৈরি করলে আপনার ইনকাম টি হালাল হবে এবং কোন ধরনের কনটেন্ট গুলো তৈরি করলে আপনার
ইনকামটা হারাম হবে।
ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়
আপনি যদি না জেনে থাকেন facebook পেজে কত ফলোয়ার হলে কত টাকা বা কত ডলার
ইনকাম করা যায় তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই। কারণ এখন আপনাকে আমরা
জানাতে চলেছি আপনার ফেসবুক আইডিতে বা ফেসবুক পেজে কত ফলোয়ার হলে আপনি কত টাকা বা
কত ডলার ইনকাম করতে পারবেন সেই সম্পর্কে।
আপনার ফেসবুক পেজটিতে বর্তমান সময়ে বা ২০২৪ সালের নতুন নিয়ম অনুসারে যদি ৫
হাজার ফলোয়ার থাকে এবং আপনার ভিডিও থেকে ৬০ হাজার ওয়াচ টাইম হয় তাহলে আপনি
ফেসবুক মনিটাইজেশন বা অ্যাড মনিটাইজেশন চালু করতে পারবেন বা এর জন্য আবেদন করতে
পারবেন। আবেদন করার পর যদি ফেসবুক কোম্পানি আপনার আবেদনটি আপ্রুভ করে তাহলে
আপনার প্রতিটি কন্টেন্ট ভিডিওতে অ্যাড শো করবে।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহী কয়েকটি সেরা ফ্রিল্যান্সিং সেন্টার
এবং আপনার সেই অ্যাডগুলোতে যত ভিউ হবে আপনি তত ইনকাম করতে পারবেন। এখানে ফলোয়ার দিয়ে কোন ইনকাম হয় না আপনার ভিডিওতে যত ভিউ হবে আপনি তত ইনকাম করতে পারবেন। তবে একটাই কি আপনার যখন ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার ফেসবুক পেজে ভিজিটর বা ভিউয়ার্স ও বেশি হবে। তাই ফেসবুক পেজে ফলোয়ার বাড়ানো খুবই ইম্পরট্যান্ট।
আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন বা বুঝতে পেরেছেন আপনার ফেসবুক পেজে কত ফলোয়ার হলে
আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন এই সম্পর্কে। এখন আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন আপনার
ফেসবুক পেজের যেন ফলোয়ার বৃদ্ধি পায় এবং আপনার কন্টেন্টের ভিজিটর গুলো বেশি
হয়। তবে অবশ্যই এই কথাটি মাথায় রাখবেন আপনার যে ফেসবুক কন্টেন্টগুলো হবে
সেগুলো যেন ভিজিটররা দেখে মজা পাই এবং অনেকক্ষণ ধরে আপনার সেই ভিডিওটি দেখে।
শেষ কথা-ফেসবুকপেজ থেকে টাকা ইনকাম
এতক্ষণ যে পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লেন সেই পোস্টটি ছিল ফেসবুক পেজ থেকে
টাকা আয় করার প্রায় ১০ টি সেরা উপায় সম্পর্কে। আশা করছি এতক্ষন আপনি
মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় অনেকগুলো তথ্যই পেয়ে
গেছেন। এমনকি আপনি জানতে পেরেছেন ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করার অনেকগুলো উপায়
সম্পর্কে। এখন আপনি এই উপাগুলো কে কাজে লাগিয়ে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম
করতে পারবেন।
এখন যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমরা আমাদের এই পোষ্টির মধ্যে আপনার
প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য গুলো উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই আমাদের এই
পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন। কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট
লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক আইডি
অথবা আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি
পড়ার মাধ্যমে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করা ১০টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা
পেয়ে যাবে। এমনকি এই ক্যাটাগরির আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url