ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা আয়
আপনি কি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার চিন্তা করছেন তাহলে আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্যই। কারণ এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং করে কিভাবে মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যায়।
এমনকি এই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে বা ব্লগিং করে adsense approve করে কিভাবে ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাগুলো এই পোস্টটির মধ্যে প্রদান করা হবে। এছাড়াও এই পোষ্টের মধ্যে ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই দেরি না করে চলুন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেয়া যাক এবং জেনে নেয়া যাক ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা আয়।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়
- ওয়েবসাইটের নাম বা ডোমেইন নির্বাচন করুন
- এসিও সম্পূর্ণ আর্টিকেল লেখার নিয়ম কানুন
- সার্চ কনসোল এবং গুগল অ্যানালিটিক সেটআপ
- ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভাল নিয়ম কানুন
- সর্বশেষ কথা-ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাছে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়
ওয়েবসাইটের নাম বা ডোমেইন নির্বাচন করুন
ওয়েবসাইটে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ওয়েবসাইটের একটি নাম নির্বাচন করতে হবে বা ডোমেইন নির্বাচন করতে হবে যে ডোমাইনটি কারো সাথে মিল না হয়। এমনকি সেই ডোমাইনের বয়স সীমা জানুক খুবই অল্প এবং জনপ্রিয় হয়। আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি অর্ডিনারি বা জনপ্রিয় ডোমেইন নির্বাচন করবেন তখন সার্চ কনশলে আপনার নামটি বেশি গুরুত্ব পাবে।
আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটের বা একটু মেইন নির্বাচন করা হয়ে যাবে তখন আপনি Namechep নামক এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার পছন্দমত ডোমেইন নির্বাচন করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে যদি আপনার পছন্দের ডোমেইন নামটি দিয়ে সার্চ করেন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন এমনকি আপনার পছন্দের ডোমিন নামটি কেউ যদি রেজিস্টার করে রাখে তাহলে আপনি সেটি ক্রয় করতে পারবেন না তার জন্য আপনাকে পরবর্তী আরেকটি ডোমেইন নির্বাচন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ জীবনকে পরিবর্তন করার মত কয়েকটি অনলাইন কাজ
এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন পাওয়া যায় .com .xyz ডোমেইন ইত্যাদি ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই পেয়ে যাবেন। এমনকি এই ওয়েবসাইটটি খুবই বিশ্বস্ত এবং সবারই পরিচিত। এই ওয়েবসাইট থেকেই অনেকেই ডোমেন ক্রয় করে তাদের ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করেছে। তাই এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার পছন্দনীয় একটি জনপ্রিয় ডোমিন নাম নির্বাচন করুন।
আপনার ডোমেইন নাম নির্বাচন করা হলে সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনি আপনার পছন্দনীয় ডোমাইনটি ক্রয় করতে পারেন। এছাড়াও এই ধরনের প্রক্রিয়াগুলো আপনি চাইলে ইউটিউবে ভিডিও দেখার মাধ্যমে সমস্ত প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এমনকি আপনার ওয়েবসাইটটি নির্মাণ করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং আইটি সেন্টার গুলোতে গিয়ে যদি অনলাইন কোর্স বা অফলাইন কোর্স করেন তাহলে আপনাকে এই ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের মাধ্যমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট নির্মাণ করা এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে যত ধরনের কাজ আছে সমস্ত কাজগুলো আপনাকে এই কোর্সের মাধ্যমে শিখিয়ে দেবে।
এখন আপনার ডোমেন নির্বাচন করা হয়ে গেছে এমনকি আপনার ওয়েবসাইট নির্মাণ করাও হয়ে গেছে এখন এই ওয়েবসাইটে আপনি আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করবেন কিংবা এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের থিম পাওয়া যায় যে থিমগুলো আপনি ক্রয় করতে পারেন এছাড়াও ব্লগ আরে কিছু ডেমো থিম দিয়া থাকে সেই থিমগুলো আপনি সেটআপ করে কাজ করতে পারবেন।
এখন আপনার একটি ওয়েবসাইট নির্মাণ করা হয়ে গেছে এখন সেই ওয়েবসাইটে আপনাকে কিছু আর্টিকেল বা মালামাল তুলতে হবে মনে করেন আপনি একটি দোকান তৈরি করলেন এখন সেই দোকানে আপনাকে মালামাল তুলতে হবে। তাহলে চলুন এখন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল বা দোকানে মালামাল তোলার বন্দোবস্ত করি।
SEO সম্পূর্ণ আর্টিকেল লেখার নিয়ম কানুন
উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে আশা করি জানতে পেরেছেন একটি ওয়েবসাইট কিভাবে নির্মাণ করা যায় এখন সে ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্লগ বা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে পারেন। উপরোক্ত যে উদাহরণটি দিলাম আপনার একটি দোকান তৈরি হয়েছে এখন সেই দোকানে আপনি মালামাল তুলবেন।
আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ বা আর্টিকেল লিখতে পারেন যে আর্টিকেলগুলো লেখার নিয়ম কানুন আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও দেখেন তাও শিখতে পারবেন আবার কোন আইটি সেন্টারে গিয়ে যদি কোর্স করেন তাও শিখতে পারবেন। তবে আপনাকে একটি স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করছি যে কিভাবে একটি এসিও করা আর্টিকেল লেখা যায়।
আপনি যখন একটি আর্টিকেল লিখবেন বলে ঠিক করবেন তখন আপনি google এ সার্চ করে যেই কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন সেই কিওয়ার্ড নিয়ে রিসার্চ করে নেবেন এমনকি সেই পিরিয়ডের কত সার্চ ইম্প্রেশন আছে এই সমস্ত জিনিসগুলো আপনি গুগলে সার্চ করার মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনি যখন একটি কিওয়ার্ড নির্বাচন করে ফেলবেন তখন সেই কিওয়ার্ড দিয়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি আর্টিকেল লেখা শুরু করবেন।
একটা আর্টিকেল লেখার জন্য মিনিমাম আপনাকে ১০০০ থেকে ১২০০ শব্দ প্রয়োগ করতে হবে। আর্টিকেলের মধ্যে অবশ্যই একটি ফিচার ইমেজ রাখতে হবে এবং কিছু ভূমিকা হিসেবে কিছু কথা লিখতে হবে, কিছু ভূমিকা বাটন সেটআপ করতে হবে এবং কিছু আরও পড়ুন বাটন সেট করতে হবে। এমনকি আপনার পোষ্টের যে কথাগুলো বাজে হেডলাইনগুলো দিয়ে লিখবেন সব কিওয়ার্ড হিসেবে সেই কিওয়ার্ড দিয়ে আপনি একটি সূচিপত্র তৈরি করবেন। সূচিপত্রের মাধ্যমে যে সাব কিওয়ার্ডগুলো আপনার লেখা থাকবে এবং সর্ব নিচে আপনার মতামত দিয়ে একটি উপসংহার লিখে দিবেন।
এ নিয়ম কানুন গুলো ফলো করে যদি আপনি একটি আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে সেই আর্টিকেলটি অবশ্যই গুগল সার্চ কনসোলে প্রথম পেজে দেখানো সম্ভব হবে। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি যতটুক স্বচ্ছ ধারণা পেলেন তার চেয়ে বেশি পাবেন ইউটিউবে ভিডিও দেখা বা কোন আইটি সেন্টারে গিয়ে কোর্স সম্পূর্ণ করা।
এখন আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখা হয়ে গেছে এখন আপনি রেগুলার দুইটা থেকে তিনটা করে আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারবেন। যত বেশি আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবেন তত বেশি আপনি ভিজিটর লাভ করবেন এবং এই ভিজিটরের মাধ্যমে আপনার প্রতিনিয়ত ক্লিক আসবে এবং আপনার এডসেন্সের জন্য ওয়েবসাইটটি নির্বাচিত হবে। এখন আপনার দোকান হয়েছে সেই দোকানে আপনি মালামাল তুলেছেন এখন আপনি সেই দোকানের মার্কেটিং করবেন চলুন সেই মার্কেটিং প্রক্রিয়া গুলোই শিখে নি।
সার্চ কনসোল এবং গুগল অ্যানালিটিক্স সেট আপ
আপনার যেহেতু একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে এবং সেই ওয়েবসাইটে আপনার বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল বা ব্লগিং লিখে রেখেছেন এখন সেই ব্লগিং গুলো মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিজিটরদের কাছে পৌঁছে দেবেন। এই পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়াটাই এখন আপনি বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ কেন ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার ক্যারিয়ার গড়া উচিত
আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো মার্কেটিং করার জন্য বা ভিজিটরদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটটিকে সার্চ কনসোল বা গুগল অ্যানালিটিক্স সেটআপ করতে হবে। এই শার্ট কনসোল বা গুগল অ্যানালিটিক্স এ ওয়েবসাইট সেটাপ করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করা যাবে। এবার চলুন দেখেনি কিভাবে ওয়েবসাইটটি সার্চ কনসোল বা গুগল অ্যানালিটিক্সে সেটাপ করা যায়।
আপনি আপনার ওয়েবসাইট টিকে সার্চ কনসোল বা গুগল অ্যানাটিলেটিক্স এ সেটআপ করার জন্য ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখতে পারেন অথবা বিভিন্ন আইটি সেন্টারে গিয়ে কোর্স করার মাধ্যমে শিখতে পারেন তবে এখন আপনাকে একটি স্বচ্ছ ধারণা দেয়া হবে যে ধারণার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে সার্চ কনসোল বা গুগল অ্যানালিটিক্স সেটাপ করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটকে সার্চ কনসোল বা গুগল অ্যানালিটিক্স সেটআপ করার জন্য এই দুইটি ওয়েবসাইটে আপনাকে একাউন্ট তৈরি করতে হবে যেই ডোমেনটি আপনি আপনার জিমেইল দিয়ে সেটাপ করেছেন সেই জিমেইলের মাধ্যমে এই দুইটি অ্যাকাউন্ট বা ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। একাউন্ট ক্রিয়েট করার পর আপনাকে এই দুইটি ওয়েবসাইট থেকে লিংক প্রদান করা হবে যে লিংকগুলো আপনার ওয়েবসাইটের থেমে গিয়ে সেটআপ করতে হবে।
আপনার ওয়েবসাইটটি যখন সার্চ কন্ট্রোল বা google এনালিটিসে সেটাপ করা হয়ে যাবে তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে এই দুইটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কন্ট্রোল করতে পারবেন এমনকি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা দেখতে পাবেন এবং কোথায় থেকে কে ভিজিট করছে কোন দেশ থেকে ভিজিট হচ্ছে এমন কি কোন ডিভাইস থেকে ভিজিট হচ্ছে এই ধরনের সমস্ত তথ্যগুলো এই দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন।
এমনকি এই দুইটি ওয়েবসাইট থেকে আপনি ধারণা নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে পারবেন এবং এই ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার আর্টিকেলের মান বৃদ্ধি করতে পারবেন। মান বৃদ্ধি বলতে আপনার ভিডিটররা কোন ধরনের পোস্টগুলো বেশি ভিজিট করছে সেই ধরনের পোস্টগুলোকে আপনি টার্গেট করে বেশি বেশি করে লিখতে পারবেন। এবার আপনার ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেছে এবং ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখা হয়ে গেছে এবং সেই আর্টিকেলগুলো নিয়ে মার্কেটিং করা হয়ে গেছে এখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে এডসেন্স এপ্রুভ করাবেন।
এখন তাহলে চলুন আপনার ওয়েবসাইটটি কি এডসেন্স এপ্রুভ করার জন্য নির্বাচিত হয়েছি কিনা কিনা সেটা জানতে পারা যাক। আপনার ওয়েবসাইট টিকে এডসেন্স এপ্রুভ করার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে যে নিয়ম-কানগুলো মেনে চলার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট টিকে আপনি এডসেন্স এপ্রুভ করাতে পারবেন। তাহলে চলুন সেই নিয়ম কানুন গুলো জেনে নি।
ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভাল নিয়ম কানুন
আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে এডসেন্স এর নিয়ম নীতিমালা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। এমনকি আপনার ওয়েবসাইট টিকে তাদের নিয়মমাফিক যদি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে আপনি যেদিন এডসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তার দুই-তিন দিনের মধ্যেই আপনার একাউন্টে অ্যাডসেন্স এপ্রুভ হয়ে যেতে পারে।
আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভ করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট টিকে গুগল নিউজ যে সেটাপ করে নিতে হবে। google নিউজে সেটাপ হওয়ার পর যখন আপনার ওয়েবসাইটটি লাইভ হয়ে যাবে তখনই আপনি এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করার পূর্বে তাদের নিয়ম-কানুন গুলো মেনে এপ্লাই করবেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে যাবে।
ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভ হওয়ার পর আপনার জিমেইলে একটি মেইল আসবে যে মেইলের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে গেছে। এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার এডসেন্স একাউন্টে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের লিংক পাবেন যে লিংকগুলো আপনি আপনার ওয়েবসাইটের থেমে গিয়ে সেটাপ করতে হবে। এবং এডসেন্স একাউন্ট থেকে আপনাকে একটি কোড দেয়া হবে যে কোডটি আপনার ওয়েবসাইটের সেটিংস এ গিয়ে সেটআপ করতে হবে।
এই প্রক্রিয়াগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন যেকোনো আইটি সেন্টারে কোর্স করার মাধ্যমে অথবা ইউটিউবে কিছু টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখার মাধ্যমে। তবে আপনাকে আমি আমার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবচেয়ে ধারণা দিলাম যে ধারণার মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন এই সম্পর্কে।
আশা করছি আপনার ওয়েবসাইটে যখন এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে যাবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে এড শো করতে শুরু করবে তখন থেকেই আপনার এডসেন্স একাউন্টে ডলার বা সেন্ড যুক্ত হতে শুরু করবে। আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগিং এর ওপর নির্ভর করে আপনার ওয়েবসাইটে যত ভিজিটর আসবে এবং আপনার ভিজিটর গুলো এড গুলো দেখে যখন ক্লিক করবে তখন সে ক্লিকের মাধ্যমে আপনার এডসেন্স একাউন্টে ডলার যুক্ত হবে।
এই ভাবেই আপনি যদি রেগুলার কাজ করতে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথোরিটি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট এর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে আর যত ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে তত আপনার এডসেন্স একাউন্টে ডলার যুক্ত হতে শুরু করবে। প্রথম অবস্থায় যদিও কম ইনকাম আসবে তবে হতাশ হওয়ার কোন প্রয়োজন নাই আপনি যদি রেগুলার কাজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার সেই অল্প পরিসরের ইনকামটা একদিন পরপর হতে শুরু করবে।
তাহলে আশা করছি এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরে গেছেন কিভাবে কি করলে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা যায়। এখন আপনি আর বেকার না বসে থেকে যেকোনো একটি আইটি সেন্টারে গিয়ে কোর্স করার মাধ্যমে এই ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করতে শুরু করতে পারেন। এমনকি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে যতটুকু ধারণা শুক পেয়েছেন এই ধারণার উপর ভর করেই আপনি একটি ওয়েবসাইট নির্মাণ করে কাজ শুরু করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার ৫টি উপায়
এমনকি আপনি চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইট বা আইটি সেন্টারটিতে যোগ দিতে পারেন। এখানে আপনাকে আর্টিকেল লেখার নিয়ম-কানুন শেখানো হবে এমনকি আর্টিকেল গুলো কিভাবে এসিও করে ভিজিটর বৃদ্ধি করা যায় সেই সম্পর্কেও বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হবে। আমাদের আইটি সেন্টারের নাম ড্রিম সেন্টার আইটি।
সর্বশেষ কথা-ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়
আমাদের আজকের ব্লগিং টি বা আর্টিকেলটি ছিল ওয়েবসাইট সম্পর্কে যে ওয়েবসাইটে আপনি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। আশা করছি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে মাসে কিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাস গুলো সম্পর্কে।
আপনার যদি মনে হয়ে থাকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যগুলো দিতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক আইডি অথবা মেসেঞ্জারের বন্ধুদের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবে ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে কিভাবে মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যায় এই সম্পর্কে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটটি এতক্ষণ ধরে ভিজিট করার জন্য।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url