বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি
প্রিয় বেকার ভাই ও বোনেরা আজকের এই ব্লক পোষ্টটি বা আর্টিকেলটি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে। কারণ আমাদের এই বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা সেটি হচ্ছে বেকারত্ব। আর আজকের এই পোস্টটি হচ্ছে বেকারত্ব দূর করার একটি উপায় নিয়ে।
এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে অল্প পুঁজি দিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করে আপনার বেকারত্ব দূর করবেন এবং পারিবারিক সমস্যার সমাধান করবেন। এই সম্পূর্ণ বিষয়টি জানার জন্য আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি
- সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি
- বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা
- অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা
- কোন ধরনের ব্যবসায় লাভ বেশি
- শেষ কথাঃ বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি
বর্তমানে আমরা অনেকে আছি জেনে রাখ বন্দী জীবন কাটাতে পছন্দ করি না। আমি বন্দি জীবন বলছি এই কারণেই পড়ালেখার পর চাকরি করে জীবন চালানোটা একটি বন্দী জীবনের মতই প্রায়। বর্তমান সময়ে চাকরিজীবীরা দশ থেকে বারো ঘন্টা চাকরির পিছনে ব্যয় করে। সপ্তাহে ছয় দিন অফিস করে নিজেদের অনেক ক্লান্ত মনে করে। কিন্তু দেখুন যারা ব্যবসা করে তারা নিজের ইচ্ছামত চলাফেরা করতে পারে। যখন যেখানে ইচ্ছা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে ১০টি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া
ইচ্ছা করলে দুইদিন তিনদিন পর্যন্ত ছুটি কাটাতে পারে। কিন্তু একজন চাকরিজীবী টা
পারে না। তাই বর্তমান সময়ে অনেকেই চাকরি ছেড়ে ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু তারা
ব্যবসা করবে কোনটা তা নিয়ে অনেক চিন্তায় রয়েছে। কোন ব্যবসা করলে কেমন হবে,
কোনটায় বেশি লাভ, কোন ব্যবসায়ী পুঁজি লাগে না, কোন ব্যবসায় অল্প পুঁজিতেই
দাঁড় করানো যায় ইত্যাদি নানা রকম সিদ্ধান্তে ভুগছে। তাই এ পোস্টটির মাধ্যমে
আপনি আপনার মতামতটি গ্রহণ করতে পারবেন আশা করি। চলুন দেখি নাই সবচেয়ে লাভজনক
ব্যবসা গুলো সম্পর্কে।
অনলাইনে ব্যবসাঃ
বর্তমান সময় তথ্যপ্রযুক্তির সময়। মানুষ এখন তথ্য প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। মানুষ যাই করে না কেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। আর তার এই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে অনেক মানুষ অনলাইনে ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বলে রাখা ভালো অনলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিমাণে মূলধন প্রয়োজন হয় না। আপনি চাইলে অল্প পুঁজিতে অনলাইনে একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। আপনি যদি হাটে বাজারে কোন দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে দোকানের ভাড়া দিতে হবে।
কিন্তু অনলাইনে কোন প্রকার ভাড়া দেওয়া লাগে না। আপনি চাইলে অনলাইনে আপনার
ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন যেমন ফেসবুক পেইজ অথবা গ্রুপ, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম,
ইউটিউব ইত্যাদি। এই প্লাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্টের প্রচার করবেন
এবং তা কুরিয়ারের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিবেন। আর প্রোডাক্ট এর মূল্য
অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে আপনি গ্রহণ করতে পারবেন। এভাবে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে
একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। তবে সেই ব্যবসার ন্যূনতম ধারণা আপনাকে থাকা
লাগবে। নতবা আপনি অনলাইনে ব্যবসা দাঁড় করতে পারবেন না।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসাঃ
বর্তমান সময়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা অন্যতম। অন্যতম বলার কারণ হচ্ছে আপনি এটি অনলাইনেও করতে পারেন অফলাইনের পাশাপাশি। বিষয়টা বুঝিয়ে বলি, মনে করেন আপনি একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন। সেখানে কাস্টমার সরাসরি আপনার দোকানে এসে খাওয়া দাওয়া করবে এবং আপনি যদি অনলাইন সার্ভিস রাখেন আর আপনার খাবারগুলো মানসম্মত হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে এটি সেল করতে পারবেন।
তাহলে আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুইটা মাধ্যমেই ব্যবসা করতে পারবেন। রেস্টুরেন্ট
ব্যবসায়ী যে আহামরি পুঁজির দরকার হয় তা কিন্তু নয়। আপনি আপনার অর্থের পরিমাণ
বুঝে সে অনুযায়ী একটি দোকান দিয়ে ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। আর আপনাকে অবশ্যই
কোয়ালিটি ফুল খাবার তৈরি করতে হবে যেন মানুষ আপনাকে খুঁজে আপনি মানুষকে যেন না
খুঁজেন। তাই রেস্টুরেন্ট ছোট কিংবা বড় হোক খাবার কোয়ালিটি ফুল হলেই আপনার
ব্যবসা খুব তাড়াতাড়ি দাঁড়িয়ে যাবে।
কাপড়ের ব্যবসাঃ
বর্তমান সময়ে সব চেয়ে বেশি লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে রয়েছে কাপড়ের ব্যবসা। এটি বেশি লাভজনক ব্যবসা কারণ এখানে পচে যাওয়ার মত কোন পণ্য থাকে না। যেমন রেস্টুরেন্টে খাবার নষ্ট হতে পারে কিন্তু কাপড়ের দোকানে কোন কাপড় নষ্ট হয় না। অবিকৃত কাপড়গুলো আপনি পাইকারিদের দিয়ে আবার নতুন কাপড় নিয়ে আসতে পারবেন। আপনি চাইলে কাপড়ের ব্যবসা দোকান দিয়ে শুরু করতে পারেন অথবা নিজে কারখানা তৈরি করে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন। এটি পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার ও আপনার মূলধনের উপর।
আপনার মূলধন বেশি হলে আপনি বড় করে ব্যবসা শুরু করবেন আর কম হলে একটু ছোট করে
শুরু করবেন তাতে কোন সমস্যা নাই। বড় হোক কিংবা ছোট হোক ব্যবসা শুরু করাটাই আসল।
একবার শুরু করুন দেখবেন আপনি ব্যবসাটাকে দাঁড় করতে পারবেন। কাপড়ের ব্যবসা আপনি
অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবে করতে পারেন। মানসম্মত কাপড় রাখবেন বেশি বেচাকেনা হবে
আর বেশি বেচাকেনা হলে আপনি আপনার ব্যবসা খুব তাড়াতাড়ি একটি ভালো পর্যায়ে নিয়ে
যেতে পারবেন। অনলাইনের ক্ষেত্রেও তাই, ভালো প্রোডাক্ট সেল করবেন বেশি গ্রাহক
পাবেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
কসমেটিক্সের ব্যবসাঃ
বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক মর্ডান। তারা মর্ডান ভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করে। আর
এই মডার্ন ভাবে চলাফেরা করার জন্য দরকার কসমেটিক্স পণ্য। আর আপনি যদি কসমেটিক্স
এর ব্যবসা শুরু করেন তাহলে এটি আপনাকে নিরাশ করবে না। বর্তমান সময়ে প্রচুর
পরিমানে কসমেটিক্স পণ্য বিক্রি হচ্ছে। মানুষ বাড়ি থেকে বের হলেই ভালো পোশাকের
সাথে সাথে ভালো মেকআপ, দেখতে যেন ভালো লাগে সেই সম্পূর্ণ পরিধান করে। আর আপনি যদি
কসমেটিক্সের দোকান দিয়ে থাকেন তাহলে একটি সুন্দর ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। এটি
খুব সহজেই দাঁড় করানো সম্ভব কারণ মানুষ দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কাজে বের
হওয়ার সময় কসমেটিক্স ব্যবহার করে থাকে। তাই আপনি চাইলে কসমেটিকস ব্যবসা শুরু
করতে পারেন। এটি আপনার জন্য লাভজনক হবে।
ঔষুধের দোকান ব্যবসাঃ
বর্তমানে ওষুধের দোকান দিয়ে ব্যবসা করাও লাভজনক ব্যবসার মধ্যে একটি। কারণ
বর্তমানে মানুষের অসুখ-বিসুখের পরিমাণ বেশি। তাই সময় মানুষ অসুস্থ হয়। আর
অসুস্থ হলে মানুষ ওষুধ সেবন করে। তাই আপনি যদি ভালো পজিশন দেখে একটি ওষুধের দোকান
দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে দেখবেন আপনি খুব তাড়াতাড়ি একটি ব্যবসা দার করতে
পারবেন। সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সামনে আপনি যদি ওষুধের দোকান দিয়ে ব্যবসা
শুরু করেন তাহলে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হবে। আর আপনাকে হতে হবে সৎ ও ভালো
চরিত্রের একজন মানুষ। তাহলে খুব সহজেই এই ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। বেশি কম
দামে ওষুধ সেল করে বেশি বিক্রি করবেন দেখবেন অন্য দোকানদারের থেকে আপনি বেশি
বিক্রি করতে পারছেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
মোবাইল ফোনের ব্যবসাঃ
খাদ্য, বস্ত্রের পরেই আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় সঙ্গী হিসেবে মোবাইল ফোন ব্যবহার
করি। বর্তমান সময়ে আমরা সবকিছু স্যাক্রিফাইস করতে পারলেও মোবাইলকে স্যাক্রিফাইস
করতে পারে না। মোবাইল আমাদের খুব জরুরী একটি সাবজেক্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন
বর্তমানে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাই মোবাইল
ফোনের ব্যবসা অনেক বেশি জোরদার হয়েছে। আর আপনি যদি মোবাইল ফোনের ব্যবসা করতে চান
তাহলে মোবাইল ফোনের ব্যবসা করে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবসাটি দাঁড় করাতে পারবেন। যা
একটি লাভজনক ব্যবসা।
মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ এর ব্যবসাঃ
আপনি বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যবহারকারীকে পাবেন। আর এই মোবাইল ব্যবহার করার সময়
অনেক প্রকার মোবাইল এক্সেসরিজ প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন বর্তমান সময়ে এন্ড্রয়েড
ফোন গুলোতে দরকার হয় গ্লাস প্রটেক্টর, চার্জার, হেডফোন, ইয়ারফোন, সিম কার্ড,
মেমোরি কার্ড ইত্যাদি ইত্যাদি এক্সেসরিজ। আপনি বর্তমান সময়ে যদি একটি মোবাইলের
দোকান দেন সেখানে মোবাইল ফোন বিক্রির পাশাপাশি মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ এর
ব্যবস্থা করেন তাহলে আপনি অল্প সময়ে বেশি লাভ করতে পারবেন। এটি আপনার জন্য অল্প
পুজিতে বেশি লাভ দেবে। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন
জুতা - স্যান্ডেল এর ব্যবসাঃ
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে যে হারে মানুষ বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের কেনাকাটা। মানুষ যত বেশি হবে তত মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দরকার হবে। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে জুতা স্যান্ডেল অন্যতম। মানুষ যেখানেই যাক না কেন তারা জুতা স্যান্ডেল পরিধান করে ঘুরতে পছন্দ করে। আর আপনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি জুতা বা স্যান্ডেলের দোকান দিয়ে ভালো পরিমাণে জুতা স্যান্ডেল বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার মোটামুটি মূলধন থাকতে হবে।
উপরের আলোচনা গুলোর ব্যবসা ছাড়াও আরো অনেক প্রকার ব্যবসা রয়েছে যা অনেক
লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসা করে আপনি খুব সহজে লাভবান হতে পারবেন। অল্প খরচে অল্প
পুঁজিতে আপনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। আপনি উপরের আলোচনায় যে ব্যবসা
গুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো করে আপনি আপনার সংসার ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন।
উপরের আলোচনা যে ব্যবসাগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো ছাড়া আপনি আরো বেশ কিছু
ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সে ব্যবসা গুলো কি।
লাভজনক ব্যবসার লিস্টঃ
- মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা
- কম্পিউটার ল্যাপটপের সার্ভিসিং করার ব্যবসা
- মুদি দোকানের ব্যবসা
- স্টেশনারি দোকানের ব্যবসা
- মাছের ব্যবসা
- গৃহপালিত পশুপালনের ব্যবসা
- ইলেকট্রনিক পণ্যর ব্যবসা
- রড সিমেন্টের ব্যবসা
- ড্রাগন ফলের ব্যবসা
- দর্জির ব্যবসা
- আচারের ব্যবসা
- ফলমূলের ব্যবসা
- ফ্লেক্সিলোড এর ব্যবসা ইত্যাদি।
আপনি চাইলে উপরে দেওয়া ব্যবসা গুলোর মধ্যে যে কোন একটি শুরু করতে পারেন। শুরুতে
তেমন সহজ হবে না তবে একবার শুরু করলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন। তাই পরিশেষে
বলতে চাই আপনি যে ব্যবসা করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। একদিনে কেউ
বড়লোক হয়ে যায় না। বড়লোক হতে হলে ধৈর্যেরও সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। চলুন
এবার দেখে নেই বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা গুলো কি কি।
বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা
আমাদের এই বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ। এ দেশে বেশিরভাগ মানুষই গরীব। সকলের আবাদী
জমি বা বসবাস করা জমি নেই। আর সবার কাছে টাকা আছে তেমন টাও না। আমাদের অনেকের
ইচ্ছা আছে ব্যবসা করার কিন্তু অর্থের অভাবে তা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই আজকে
কয়েকটি ব্যবসার কথা তুলে ধরব যেগুলোতে আপনি বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করতে পারবেন এবং
লাভ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
টিউশনি করাঃ
আপনি যদি শিক্ষিত হন, নূন্যতম মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আপনি টিউশনি করে অর্থ ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার কোন প্রকার পুজির দরকার হবে না। আপনি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ে তাদের যেমন সাহায্য করবেন তেমনি তাদের পড়ানোর বিনিময়ে আপনি তাদের থেকে কিছু অর্থ নিয়ে নিজে ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশের টিউশনি করে অনেক দরিদ্র ঘরের সন্তান তার পড়াশোনা চালাচ্ছে এবং পরিবারের দেখাশোনা করছে। তাই আপনি যদি শিক্ষিত হন তাহলে টিউশনি আপনার জন্য উপযুক্ত একটি প্লাটফর্ম হবে বলে আমি মনে করি।
ড্রপ শিপিং ব্যবসাঃ
আপনি বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করতে চাইলে ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে পারেন। বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করতে চাইলে আপনি ড্রপশিপিং ব্যবসা করতে পারেন। ড্রপশিপিং হচ্ছে এমন ব্যবসা যেখানে আপনি আপনার অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে অন্য কোম্পানির পণ্য গ্রাহকদের সামনে প্রদর্শন করবেন। গ্রাহক যখন পণ্য পছন্দ করে সেটি ক্রয় করার জন্য অর্ডার করবে তখন আপনি সেই অর্ডার কোম্পানির কাছে পৌঁছে দিবেন। কোম্পানি তখন গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
ড্রপশিপিং ব্যবসায় আপনার লাভ হচ্ছে কোম্পানি নির্দিষ্ট করা দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা। যেমন একটা শার্টের দাম হচ্ছে ৮০০ টাকা। আপনি সেই শার্ট গ্রাহকের কাছে ৯০০ টাকায় বিক্রি করে কোম্পানিকে ৮০০ টাকা পরিশোধ করলেন, তাহলে বাকি ১০০ টাকা হচ্ছে আপনার লাভ। এভাবে ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে আপনি বিনা পুঁজিতে খুব তাড়াতাড়ি লাভজনক ব্যবসা দাঁড় করতে পারবেন।
ব্লক বিজনেস বা ব্যবসাঃ
আপনি বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করতে চান তাহলে ব্লগ বিজনেস শুরু করতে পারেন। ব্লগ বিজনেস হচ্ছে ব্লগ কন্টেন্টের মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করে ব্যবসা পরিচালনা করা। এ কাজের জন্য আপনাকে সুন্দরভাবে লিখালিখি করতে হবে। আপনি যদি সুন্দরভাবে গুছিয়ে লেখালেখি না করতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইনে অডিয়েন্স জোগাড় করতে পারবেন না। তাই অডিয়েন্স বেশি না হলে আপনি বেশি বিক্রয় করতে পারবেন না। ব্লগ বিজনেসের জন্য আপনাকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে হবে। যত ভাল কনটেন্ট তৈরি করবেন তত বেশি আপনি কাস্টমার পাবেন। আর আপনি তত বেশি পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ
যারা দূর থেকে কোন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ করে থাকে তাদেরকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলে। একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকে যেমন ফাইল তৈরি, মিটিং এর ব্যবস্থা, ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করা, মেইল গ্রহণ এবং পাঠানো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা ইত্যাদি। আপনি চাইলে বিনা পুঁজিতে এই কাজ করে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসাঃ
আপনি আপনার বাড়ির একটা রুমকে ট্রেনিং সেন্টারে রুপান্তর করতে পারেন। সেখানে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ট্রেনিং দিতে পারেন। ধরেন আপনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। আপনি চাইলে আপনার বাড়ির একটা রুমে যারা ফ্যাশন ডিজাইন শিখতে চায় তাদেরকে ট্রেনিং দিতে পারেন। আপনি যদি শরীরচর্চায় পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে শরীর চর্চা বিষয়ক কোর্স করাতে পারেন।
বিনা পুঁজিতে ব্যবসা বর্তমানে অসম্ভব প্রায়। আপনাকে অল্প পরিমাণ হলেও ব্যবসাতে
খরচ করতে হবে। একটি দোকান নিলেও দোকানের ভাড়া দিতে হবে। ওয়েবসাইট দিয়ে অনলাইনে
ব্যবসা করলেও ওয়েবসাইট কিনতে হবে বা বানাতে খরচ হবে। ইত্যাদি এমন টুকটাক খরচ হবে
তবে সেটি বেশি পরিমাণে নয় অল্প পরিমাণে। উপরের আলোচনায় যে ব্যবসা গুলোর কথা
বলেছি আপনি চাইলে সেগুলো অল্প কিছু পরিমাণ টাকার বিনিময়ে শুরু করতে পারেন। আপনি
উপরোক্ত ব্যবসা করে খুব তাড়াতাড়ি লাভজনক ব্যবসা দাঁড় করতে পারবেন।
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা
বর্তমানে আপনি চাইলে অল্প পরিমাণ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যা আপনার
জন্য লাভজনক হবে। আপনি শিক্ষিত হলে খুব সহজে একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।
এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিলেও তা দূর করা অসম্ভব কিছু নয়। তাই আজকে আপনাদের
মাঝে কয়েকটি অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসার কথা বলব যা করে আপনি খুব সহজেই লাভবান
হতে পারেন বা লাভজনক একটি ব্যবসা দাঁড় করতে পারে। চলুন তাহলে শুরু করি।
কাগজের প্যাকেট তৈরির ব্যবসাঃ
কাগজের ঠোঙ্গা বা প্যাকেটের সাথে আমরা কম বেশি সকলে পরিচিত আছি। সাধারণত মুদি মালামাল কিংবা রেস্টুরেন্টের খাবার প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে কাগজের প্যাকেট ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এই প্যাকেট গুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার হয়। এখন যে হারে কাগজের প্যাকেট দিয়ে মানুষ পণ্য বহন করছে তাতে কোন সন্দেহ ছাড়াই আপনি এ ব্যবসা করে অনেক লাভবান হতে পারেন। এই পণ্যের বর্তমানে অনেক চাহিদা রয়েছে তাই আপনি অল্প পুঁজিতে এ ব্যবসাটি খুব সহজে দাঁড় করাতে পারবেন এবং পাইকারি ভাবে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
মুদিমালের পাইকারি ব্যবসাঃ
বর্তমানে সব ব্যবসার থেকে লাভজনক ব্যবসা হলো মুদি মালের ব্যবসা। মানুষের দৈনিক যে চাহিদা রয়েছে তার সকল পণ্য মুদির দোকানে পাওয়া যায়। মুদি মালের পাইকারি ব্যবসা করতে অনেক টাকা পুজি লাগে। আবার কমও লাগে। আপনাকে শুরুতে বেশি টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে এমনটা নয়। আপনি অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করার পর যখন দেখবেন ব্যবসাটা ভালো চলছে তখন বেশি ইনভেস্ট করে বড় ভাবে দোকান দিয়ে দিতে পারেন।
খুব ভালোভাবে মুদি মালের পাইকারি ব্যবসা করতে আনুমানিক পুজি লাগতে পারে ৫ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার মতো। শুরুর দিকে অল্প টাকা দিয়েও আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার কাছে যদি দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা থাকে তাহলে আপনার কর্মসংস্থান হিসাবে এই মুদিমালের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
চালের ব্যবসাঃ
আমাদের দেশে চালের চাহিদা অনেক। চালের চাহিদা কখনোই কমবে না। বরং ধীরে ধীরে বাড়বে। কারণ দিন দিন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, চালের চাহিদাও দিন দিন বাড়বে। কারণ এই ধান থেকে চাল তৈরি হয়।
আপনি একটি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া হিসাবে ধান ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন। এজন্য গ্রামের বিভিন্ন বাজার থেকে ধান কিনে বিভিন্ন বড় কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসায় প্রচুর লাভ আছে। আজকাল গ্রামের অনেক মানুষ এই ব্যবসা শুরু করেছে। আপনিও চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
বিভিন্ন পণ্যের ডিলারশীপ ব্যবসাঃ
আপনি জুতার, কসমেটিক্স, স্টেশনারি, রড, সিমেন্ট ইত্যাদির ডিলারশিপ ব্যবসা করতে
পারেন। এ ব্যবসা মোটামুটি পুঁজি নিয়ে শুরু করতে পারেন। এটি এভাবে কাজ করে আপনি
কোম্পানির কাছ থেকে পণ্য কিনে খুচুরু বিকৃত দোকানে গিয়ে একটি বিক্রি করে লাভবান
হতে পারে।
উপরে আলোচনা কৃতব্যবস গুলো ছাড়াও বেশ কিছু ব্যবসায় রয়েছে যা করে আপনি একটি
ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন হবে অল্প পরিমাণে পুঁজির। আপনার কাছে
যদি অল্প পরিমাণে পুঁজি থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ব্যবসা করার মাধ্যমে বেশ ভালো লাভজনক ব্যবসা দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন খুব
তাড়াতাড়ি। এর জন্য প্রয়োজন বুদ্ধি,শ্রম ও ধৈর্যের। তাহলেই এটি সম্ভব।
কোন ধরনের ব্যবসায় লাভ বেশি
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে মানুষ সবচেয়ে বেশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে পছন্দ করে। মানুষ পছন্দ করে অনলাইনে সময় কাটাতে। তাই আপনি টার্গেট করবেন অনলাইনে কিভাবে ব্যবসা করা যায়। সে যে কোন ব্যবসা হতে পারে। হতে পারে স্টেশনারির ব্যবসা, হতে পারে রোড সিমেন্টের ব্যবসা, হতে পারে পোশাকের ব্যবসা ইত্যাদি। যাই করেন না কেন অনলাইনের দিকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। তাই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্রয় বিক্রয় হয় অনলাইনে। মানুষ অনলাইনে ব্যবসা করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। অনলাইনে কাজ করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে।
আরো পড়ুনঃ বর্তমান সময়ে কয়েকটি লাভজনক ব্যবসা
তাই অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসায় বর্তমানে বেশি লাভ হয়। আপনি চাইলে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা করতে পারেন। চাইলে অনলাইনে পড়াতে পারেন। চাইলে অনলাইনে কাজ করতে পারেন। অনলাইনের কোন ব্যতিক্রম নেই। তাই বলবো অফলাইনের পাশাপাশি অবশ্যই অবশ্যই অনলাইনে ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা করবেন। তাহলে দেখবেন বেশি লাভবান হতে পারছেন। অবশ্যই অনলাইনে ব্যবসা করলে সততার সাথে ব্যবসা করতে হবে। অন্য ঠিকঠাক দিবেন তো বেশি বেচা বিক্রি করতে পারবেন। আশা করি আপনি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন। না বুঝে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন। আমরা আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
এতক্ষণ যে পোস্টটি আপনি ধৈর্য সহকারে এমনকি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি এই সম্পর্কে। আশা করি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমাদের আজকের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার প্রশ্নের সমস্ত উত্তর গুলো আমরা দিতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক আইডিতে এমন কি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাগুলো পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url