যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় - যৌবন ধরে রাখার ১২ টিপস
প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলটি যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় সম্পর্কে এমনকি
যৌবন ধরে রাখার ১২ টি টিপস এন্ড ট্রিকস নিয়ে। যারা চান আপনার যৌবনকাল থেকেই
সারা জীবন ধরে রাখতে শুধুমাত্র তাদের জন্যই আজকের এই পোস্টটি।
এমনকি আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে চিরকাল যৌবন ধরে রাখার গোপন কিছু কৌশল সম্পর্কেও আপনাদের আইডিয়া প্রদান করা হবে। যে আইডিয়াটি আপনি প্রয়োগ করার মাধ্যমে আপনার যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ ব্লক পোষ্ট বা আর্টিকেলটি পড়ে নেয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সর্বশেষ কথা-যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
- যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
- যৌবন ধরে রাখার ১২ টিপস
- চিরকাল যৌবন ধরে রাখার গোপন কিছু কৌশল
- সর্বশেষ কথা-যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
আপনি যদি আপনার যৌবনটিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন
পরুন। কে না চায় তা যৌবনটাকে সারা জীবন অটুট রাখতে। আমার মনে হয় ১০০% এর মধ্যে
৯০% মানুষেরই মধ্যে এই ধরনের চিন্তাভাবনার থাকে। কারণ সবাই চাই এই যৌবনটাকে সারা
জীবন ধরে রাখতে এবং এই যৌবন দিয়েই জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে।
আরো পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি থেকে বাঁচার ২৫টি উপায়
আর তাই এই যৌবনকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের টিপস নিয়ে আপনাদের
মাঝে হাজির হয়েছি। এই টিপসগুলো আপনি যদি নিয়মমাফিক মানতে পারেন তাহলে
অবশ্যই আপনার যৌবন কালকে আপনি দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন।
এই পোস্টের নিম্নে দেয়া যৌবন ধরে রাখার বারটি টিপস এবং আজীবন আপনার যৌবনটিকে ধরে
রাখতে বা দীর্ঘস্থায়ী করতে নিজে কিছু টিপস দেয়া হলো যে টিপসগুলো পড়ার মাধ্যমে
আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই নিম্মে দেয়ার সমস্ত টিপসগুলো আপনি পড়ুন
এবং আপনার যৌবন কালকে দীর্ঘস্থায়ী করুন।
যৌবন ধরে রাখার ১২ টিপস
যৌবন ধরে রাখতে আমরা সবাই চাই। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চেহারায় আসা পরিবর্তনগুলোকে আটকানো তো মুখের কথা নয়। তার জন্য প্রয়োজন নিয়ম মেনে কিছু রুটিন ফলো করা। তাহলে ৪০-এ আপনাকে হয়তো কুড়ির মতো লাগবে না, তবে অকালে বুড়িয়ে যাওয়াও আপনাকে গ্রাস করতে পারবে না।
১। যৌবন ধরে রাখার মূল মন্ত্রই হল সুস্থ, নির্মেদ শরীর। আর এজন্য হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা করে হাঁটুন। মোবাইলে গান শুনতে শুনতে হাঁটা নয়, ঘড়ি ধরে একেবারে ব্রিস্ক ওয়াকিং। ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে, হার্ট ভালো থাকবে। নিয়ন্ত্রণে থাকবে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, প্রেসারের মতো সমস্যা। ফলে আপনাকেও লাগবে ঝরঝরে।
২। প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তত একটা করে মৌসুমী ফল রাখুন। তবে রোজ যদি আম, কলা, আনারস, কাঁঠাল খেতে থাকেন, তাহলে ওজন বেড়ে আপনাকে বয়সের থেকে আরও দশ বছর বেশি বয়স্ক লাগবে। তাছাড়া ফল পুষ্টিগুণেও ভরপুর। ফলে থাকা ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরে পুষ্টি যোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর আপনাকে রাখে তরতাজা।
৩। দৈনন্দিন ডায়েট থেকে সবুজ শাকসবজি বাদ দিলে কিন্তু চলবে না। সবজি খেলে মানসিক উন্নতিসহ শারীরিক উন্নতিও হয়। মানুষ আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মোটের উপর সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৪। ওজন কমাতে গিয়ে বা স্রেফ ইচ্ছে করছে না বলে ব্রেকফাস্ট কখনো বাদ দেবেন না। তাহলে কিন্তু শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেমের গোলমাল হয়ে বেশি করে খিদে পেতে থাকে। আর বারে বারে খেতে খেতে আখেড়ে আমরা নিজের ক্ষতিই ডেকে আনি।
৫। যৌবন ধরে রাখতে হলে মিষ্টি জাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। চকোলেট, পেস্ট্রি, ব্রাউনি, আইসক্রিমের মত খাবারে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট থাকে যা শরীরে ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই এগুলো যতটা সম্ভব কম খান। তা বলে ডায়েট থেকে চিনি পুরোপুরি ছেঁটে ফেলবেন না। অল্প হলেও নিয়মিত খান। তাহলে শরীরের এনার্জি লেভেল ঠিক থাকবে। শরীর-মনজুড়ে স্বতঃস্ফূর্ততার অনুভূতি থাকবে।
৬। বয়স বাড়ার প্রথম লক্ষণটাই দেখা যায় আমাদের ত্বকে। চামড়া কুঁচকে যাওয়া, নির্জীব হওয়ার মতো ত্বকের সমস্যাগুলো শুরু হয় ৩৫-এর পর থেকেই। তাই বয়স ৩০ হলেই নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নিন। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং রোজ করুন নিয়ম করে। আর ৩০ এর পর থেকে ব্যবহার করুন অ্যান্টি এজিং ক্রিম। মাসে অন্তত দুবার ফেস ম্যাসাজ করান। তবে খুব প্রয়োজন না হলে ফেসিয়াল করবেন না। দিনের বেলা সূর্যের আলো যেন সরাসরি ত্বকে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করার জন্য এসপিএফ ৩০ বা এর বেশি উপাদান সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি।
৭। শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত ওজন খুব দ্রুত মানুষকে বুড়িয়ে দেয়। এমনকি কমিয়ে দেয় আত্মবিশ্বাসও। নিয়মিত ব্যায়াম ও খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেললে যৌবন ধরে রাখা সম্ভব। তা বলে একেবারে খাওয়া বন্ধ করেল কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। শরীরের যাবতীয় গ্ল্যামার শেষ হয়ে, আপনার চেহারায় নেমে আসবে অকাল বার্ধক্য।
৮। সুস্থ দীর্ঘজীবন পেতে এবং যৌবন ধরে রাখতে সকালে খানিকক্ষণ সূর্যালোকে থাকুন। সূর্যের আলোতে আছে ভিটামিন ডি যা হাড়কে মজবুত করে। এবং সঙ্গে মানসিক চাপ ও অবসন্নতাও কমিয়ে দেয়।
৯। চেষ্টা করুন প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোতে। সঙ্গে হাল্কা ব্যায়ামের অভ্যেস রাখতে পারলে উপকৃত হবেন আপনিই।
১০। অ্যালকোহল, সিগারেট বা কোনও নেশার দ্রব্য বর্জন করুন।
১১। এড়িয়ে চলুন স্ট্রেস। স্ট্রেসও খুব তাড়াতাড়ি চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলে।
আরো পড়ুনঃ হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায়
১২। প্রয়োজন আনুন মানসিকতায়। বয়স যে আদতে বাড়ছে, এই সত্যিটা মেনে নিন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে পাল্টান। যা আপনার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে, তা নিয়েই খুশি থাকার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত উচ্চ আকাঙ্ক্ষা জীবন থেকে একেবারে ছেঁটে ফেলুন। আপনি ভালো থাকবেন, চারপাশের সবাইকে ভালো রাখতে পারবেন।
চিরকাল যৌবন ধরে রাখার গোপন কিছু কৌশল
যৌবন থাক অটুট এমনি মনে মেনে প্রোয় সবারই চাওয়া। অল্পতেই বুড়িয়ে যাওয়া কেউই পছন্দ করেন না। একটু বয়স বাড়তে না বাড়তেই যখন ত্বকে পড়ে বয়সের ছাপ এবং দেহের বিভিন্ন অংশে দেখা দেয় বয়সজনিত সমস্যা তখন অনেকেই আফসোস করেন, ‘যৌবনটা আরও কিছুদিন যদি ধরে রাখা যেতো’। কিন্তু আফসোস করে কোনো কিছুই ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। তাই সতর্ক হওয়া উচিত তরুণ বয়স থেকেই। সতর্কতার সাথে নিয়মিত কিছু উপায় মেনে চললে অনেকটা সময় ধরে রাখতে পারবেন যৌবন । বয়স হলেও দেহে ও ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে বেশ দেরিতে। জানতে চান সেই গোপন উপায় গুলো? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
মাছের তেল
মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা দেহে বয়সের ছাপ রুখে দিতে সক্ষম। এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করেন, কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেম ঠিক রাখে, চুলের সুস্থতা বজায় রাখে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ রোধ করে। সুতরাং আপনি দেখতে যেমনযৌবন ধরে রাখার কৌশল।যৌবন ধরে রাখার টিপস।যৌবন ধরে রাখার উপাই।চেহারার যৌবন চিরকাল ধরে রাখার সবচাইতে সহজ কৌশলটি!যৌবন ধরে রাখতে করণীয় তরুণ দেখাবেন তেমনই আপনার দেহও তারুণ্য অনুভব করবে। আপনি ভালো কোনো মাছের তেল পরিমিত খেতে পারেন নতুবা সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন মাছ রাখুন খাদ্যতালিকায়।
যৌবন ধরে রাখতে চিনিকে না বলুন
ডারমাটোলজিস্ট আভা সাম্ভান বলেন, ‘প্রসেসড চিনি, যা আমরা হরহামেশা খাই তা আমাদের ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। কারণ, প্রসেসড চিনি আমাদের ত্বকের কোলাজেন টিস্যু দুর্বল করে এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে দেয়’। সুতরাং চিনিকে একেবারেই না বলুন।
পরিশ্রম করুন
চলাফেরা, হাঁটাহাঁটি, শারীরিক ব্যায়াম যেভাবেই হোক না কেন পরিশ্রম করুন নিজের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য। শারীরিক পরিশ্রম পুরো দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, পুরো দেহে সঠিক উপায়ে অক্সিজেনের সরবরাহ করে। এতে আমাদের দেহের প্রায় প্রতিটি কোষ সজীব হয় এবং আমাদের দেহ অনেক সুঠাম হয় লাভ করে যৌবনতা । দেহে বার্ধক্য জনিত সমস্যা অনেক কম দেখা দেয়।
তিলের তেল
মে ফ্লাওয়ার ইন অ্যান্ড স্পা এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং মালিক লিসা হেডলি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে তিলের তেল পুরো দেহের ত্বকে ম্যাসেজ করলে শুধু ত্বকই হাইড্রেট হয় না এর পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি পায়। এরপর ভালো করে গোসল করে নিলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয় এবং ত্বক থাকে তরুণ অনেকটা সময় ধরে।
যৌবন ধরে রাখতে গ্রিন টী
চা/কফি কমবেশি সকলেই পান করে থাকেন। কিন্তু যদি তারুণ্য ধরে রাখতে চান দেহে এবং ত্বকে তাহলে এর পরিবর্তে পান করা শুরু করুন গ্রিন টী। গ্রিন টীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে।
মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন
আরো পড়ুনঃ যৌ*ন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায়
মানসিক চাপের কারণে ত্বকে বিশেষ করে মুখের ত্বকে রিংকেল পড়তে দেখা যায়। এছাড়াও চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ধরা হয় মানসিক চাপকে। মানসিক চাপ শুধুমাত্র ত্বকেই বয়সের ছাপ ফেলে না এটি আপনার দেহকেও বুড়িয়ে ফেলে। মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করার বেশ বড় একটি কারণ। এছাড়া অনেকেই মানসিক চাপে পড়লে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই মানসিক চাপ থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকুন তাহলেই যৌবন কিছুটা হলেও প্রাণবন্ত থাকবে। সূত্রঃ হেলথ ডাইজেস্ট।
সর্বশেষ কথা-যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
এতক্ষণ যে পোস্টটি আপনি ধৈর্য সহকারে এমনকি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় এবং যৌবন ধরে রাখার ১২ টিপস এই সম্পর্কে। আশা করি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় বা টিপস এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমাদের আজকের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার প্রশ্নের সমস্ত উত্তর গুলো আমরা দিতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক আইডিতে এমন কি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় এবং যৌবন ধরে রাখার ১২ টিপস এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাগুলো পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।ন
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url