বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া ২০২৪
প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন। আমাদের মাঝে অনেকে আছেন যারা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা খোঁজ করছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোনটা দিয়ে শুরু করবেন। তাই আজকে আমরা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বেশ কিছু ব্যবসায়ী আপনাদের মাঝে তুলে ধরব আপনার পুজি অনুযায়ী আপনি যেকোন একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। চলুন দেরি না করে শুরু করি।
আপনি হয়তো সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও চাকরি পাচ্ছেন না। ব্যবসা করতে চাচ্ছেন কিন্তু কোন ব্যবসা করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। আর চিন্তা না করে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি সুন্দর একটি গাইড লাইন পাবেন বলে আমি মনে করি। কারণ এখানে আমরা অল্প পুঁজিতে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলো একসাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব। যেন আপনার পুঁজি অনুযায়ী আপনি ইচ্ছামত একটি শুরু করে দিতে পারেন। চলুন দেরি না করে শুরু করি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া ২০২৪
- বিভিন্ন পোশাকের ব্যবসার আইডিয়া
- রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আইডিয়া
- ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া
- মোবাইল ফোন বা এক্সেসরিজ ব্যবসার আইডিয়া
- প্রাইভেট স্কুল বা কোচিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া
- সর্বশেষ কথা-বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪
বিভিন্ন পোশাকের ব্যবসার আইডিয়া
গতানুগতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরির বসে সময় নষ্ট না করে ভিন্নধর্মী ব্যবসায় বা পেশায় নিয়োজিত হয়ে একটি সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব। আপনি চাইলে স্বল্প পুঁজিতে পোশাক শিল্পে নিজের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারেন। পোশাক শিল্প বর্তমানে বিশ্বের পরিচিত একটি ব্যবসা।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের লাভজনক ১০টি ব্যবসার আইডিয়া
আপনি যদি পোশাকশিল্পে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য।
আজকে জানাবো বিভিন্ন পোশাকের ব্যবসা সম্পর্কে। যা আপনি স্বল্প পুঁজিতে শুরু করতে
পারেন।
১. কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা ঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কাপড়ের ব্যবসার নিয়মকানুন জানেন না কিন্তু কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে চান। তাঁরা চাইলে কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। কাপড়ের দোকান খুবই সহজতর একটি ব্যবসা পদ্ধতি।আপনি চাইলে বড় বা ছোট পরিসরে কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাছাড়া আপনি কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি টেইলার্সের ব্যবসাও করতে পারেন। যা বর্তমানে ভালো একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে চেষ্টা করবেন কাপড়ের দোকানটি এমন জায়গায় দেওয়ার যেখানে মেয়েরা অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে। কারণ মেয়েরা বেশি আপনার দোকানে ক্রয় করবে।তাই আপনি চাইলে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন, কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করে।
২. গজ কাপড়ের ব্যবসা ঃ
আমাদের দেশে প্রায়ই সব শ্রেণীর মানুষের মনে রয়েছে গজ কাপড়ের প্রতি আলাদা একটি ভালোবাসা ও ভালোলাগা। অনেকের কাপড় কেনার পরিবর্তে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মাপ ও ডিজাইন দিয়ে পোশাক তৈরি করতে ভালোবাসে বা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তারা গজ কাপড় নিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আমাদের দেশে যেমন গজ কাপড়ের চাহিদা রয়েছে তেমনি প্রতিবছর বাহিরের দেশেও গজ কাপড় রপ্তানি হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে গজ কাপড় দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ব্যবসার দৃষ্টিকোণ থেকে গজ কাপড়ের ব্যবসা হতে পারে একটি সৃজনশীল ও কার্যকরী ব্যবসা ক্ষেত্র। এই ব্যবসা শুরু করতে বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। আপনি পাইকারি কাপড় কিনে সহজেই এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের গজ কাপড় সরবরাহ করতে পারেন। যেমন: গ্রীষ্মকালে সুতি কাপড় এবং শীতকালে ভারি কাপড় সরবরাহ করতে পারেন।
৩. পোশাকে এমব্রয়ডারির ব্যবসা ঃ
আমরা অনেকেই জানি আবার জানি এমব্রয়ডারির মানে কি। এমব্রয়ডারি হচ্ছে কাপড়ের উপরে নকশা বা বিশেষ কোনো ডিজাইন সুই সুতা অথবা মেশিনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা কে বোঝায়। এই কাজটি আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে হতে দেখা যায়। কারণ মানুষ ডিজাইন বেশি পছন্দ করে। তাই আপনি পোশাকের উপর ডিজাইন করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পোশাকের ধরণ ও অন্যান্য সামগ্রীর বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন নকশা এঁকে বিভিন্ন রঙের সুতা দিয়ে সুঁচ অথবা মেশিনের সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হয়। এমব্রয়ডারির ব্যবসায় করতে পুঁজির পরিমাণ খুব বেশি লাগে না। মার্কেটে চাহিদাও আছে প্রচুর। তাই বিভিন্ন পোশাকের ব্যবসার মধ্যে পোশাকে এমব্রয়ডারির ব্যবসা আপনার জন্য অনেক ভালো হবে বলে মনে করি।
৪. ভাড়া পোশাকের ব্যবসা ঃ
পোশাক ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে অনেক মানুষ তাদের জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা
একটু খুলে বলি। মনে করেন আপনি হঠাৎ কোথাও ঘুরতে যাবেন বা কোন ইভেন্টে যাবেন।
কিন্তু আপনার কাছে তেমন ভালো ড্রেস নেই। আর সময়ও নেই যে আপনি বানিয়ে নেবেন। সেই
সময় আপনি চাইলে ড্রেস ভাড়া নিয়ে সেই ইভেন্ট বা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে
পারবেন।
তাই আপনিও চাইলে এমনই একটা ব্যবসা শুরু করতে পারেন যেখানে ড্রেস ভাড়া দেওয়া হয়। আপনি ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ড্রেস ভাড়া দিতে পারেন। এসব ব্যবসায় সাধারণত জামানত নিয়ে পোশাক ভাড়া দেয়া হয়। ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা জামানত হিসেবে রাখা হয়। এবং ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে এসব পোশাক আবার ফেরত দেয়ার নিয়ম থাকে। আপনি চাইলে ছোট বিনিয়োগ দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
৫. বুটিক হাউস এর ব্যবসা ঃ
আমাদের দেশের সৃজনশীল মানুষদের জন্য বুটিক ব্যবসা হতে পারে একটি আদর্শ ব্যবসা। এই ব্যবসা করে মানুষ অনেক লাভবান হচ্ছে আপনিও চাইলে লাভবান হতে পারেন এই ব্যবসার মাধ্যমে। যতদিন যাচ্ছে ততই বুটিক হাউস এর ব্যবসা বেড়েই চলেছে। মানুষ আগের চেয়ে বেশি বুটিক কাপড় পরিধান করছে। বর্তমানে আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে বুটিক হাউসের পোশাকের যথেষ্ট কদর রয়েছে। তবে সেটি নির্ভর করে পণ্যের ডিজাইন, কাপড়ের সেলাই, গুণগত মান, আধুনিকতা ও ভিন্নধর্মী উপস্থাপনার ওপর। ক্রেতাদের সন্তুষ্টি এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে আপনার পণ্যটিও ভালো চলবে। আপনি বুটিক হাউজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন, হতে পারে এটি আপনার জন্য অনেক লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়াবে।
৬. অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা ঃ
বর্তমান যুগ, অনলাইনের যুগ। মানুষ বর্তমান সময়ে অনলাইনে কেনাকাটা করতে বেশি
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। তাই আপনি চাইলে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন
একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে। আপনি যদি অনলাইনে সত্যিকার সাথে ব্যবসা করেন
তাহলে আপনি অনলাইনে একটি ভাল ক্যারিয়ার করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক মানুষ
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করে একটু উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলেছে। আপনিও চাইলে
অনলাইন সেক্টরে ব্যবসা করতে পারেন। অনলাইনে আপনি নিচে দেওয়া পোশাক গুলো খুব
সহজেই বিক্রি করতে পারবেন।
কাপড়ের ধরনঃ
- থ্রি পিস
- প্যান্ট
- শার্ট
- টি-শার্ট
- বোরকা
- লুঙ্গি
- ছাপার কাপড়
- টাঙ্গাইল কাপড়
- গজ কাপড়
- শাড়ি
- বাচ্চাদের কাপড়
- ফোরাক
- বাচ্চাদের কাপড়
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমান জেনারেশনে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া বেড়েই চলেছে। মানুষ এখন
রেস্টুরেন্টে খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। যতদিন যাবে ততই রেস্টুরেন্টে
খাওয়া-দাওয়ার সংখ্যা বেড়ে যাবে। বর্তমান সময়ে মানুষ ঘুরতে বেশি পছন্দ করছে।
পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন সকলের সাথে মানুষ ঘুরতে পছন্দ করে। আর এই ঘোরার সময়
মানুষ বিভিন্ন জায়গায় খাওয়া-দাওয়ার জন্য থামে। এখন ভাতের হোটেলের চেয়ে
রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে।তাই এই সেক্টর বা
রেস্টুরেন্ট ব্যবসা খুবই লাভজনক হতে পারে। চলুন রেস্টুরেন্ট ব্যবসার কিছু নিয়ম
জেনে নেয়া যাক।
১. রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পরিকল্পনাঃ
আপনি যেই ব্যবসা করুন না কেন আপনার যদি পূর্ব পরিকল্পনা না থাকে তাহলে সেই
ব্যবসায় সার্থক হওয়া খুবই কঠিন হয়ে যাবে। তাই যেকোন ব্যবসার জন্য একটি
পরিকল্পনা অবশ্যই দরকার। তেমনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রেও পরিকল্পনা দরকার।
চলুন দেখে নেই রেস্টুরেন্ট ব্যবসার কিছু পরিকল্পনা।
- কিভাবে বেশি আয় করবেন
- খরচ কেমন হবে
- কোথায় রেস্টুরেন্ট দিলে ভালো হবে
- সেখানের মানুষের আর্থিক অবস্থা কেমন
- রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন কেমন হবে ও খরচ কেমন
- রেস্টুরেন্টের মেনুতে কি কি থাকবে
এ সম্পর্কে পূর্ব ধারণা বা পরিকল্পনা করে রাখতে হবে। পূর্ব পরিকল্পনা না করে ব্যবসা শুরু করে অনেককেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। রেস্টুরেন্টের লাভ বা ক্ষতি নির্ভর করে মূলত রেস্টুরেন্টের লোকেশনের উপর, মানুষের খাবারের চাহিদা ও আর্থিক অবস্থার উপর।
২. রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পুঁজি ঃ
আপনি কেমন রেস্টুরেন্ট করবেন, মেনু তে কি রাখবেন, ডেকোরেশন কেমন হবে এসবের উপর
নির্ভর করে পুঁজির দরকার হবে। কথায় আছে না, যত গুড় দিবেন ততই মিষ্টি হবে। তাই
যত ভালো করতে যাবেন তত বেশি পুঁজি দরকার হবে। রেস্টুরেন্টের যাবতীয় জিনিসপাতে
যেমন চুলা, ওভেন, ফ্রিজ, কফি মেকার ইত্যাদির আনুমানিক ২ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
তাহলে আপনি মোটামুটি একটি সুন্দর ও মানসম্মত একটি রেস্টুরেন্ট খুলতে পারবেন।
৩. রেস্টুরেন্ট ব্যবসার লাইসেন্স ঃ
রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে লাইসেন্স করতে হবে। আপনি যদি
লাইসেন্স না করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে জরিমানার শিকার হতে হবে। এই ক্ষেত্রে
কয়েকটি লাইসেন্স দরকার হবে যেমন
- ট্রেড লাইসেন্স
- ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন
- টিন সার্টিফিকেট
৪. রেস্টুরেন্ট খাবারের নাম বা মেনু ঃ
রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় শুরু করার সর্বপ্রথমে আপনাকে অবশ্যই এটা ঠিক করতে হবে আপনি কোন ক্যাটাগরির খাবারের আপনার রেস্টুরেন্টে রাখতে চাচ্ছেন যেমন,
- থাই ফুড
- ইতালিয়ান ফুড
- সীফুড
- বাঙ্গালি খাবার
- চায়নীজ, কোরিয়ান, ইন্ডিয়ান, অ্যারাবিয়ান ইত্যাদি।
ওপরের আলোচনা কৃত বিষয়গুলো সম্পূর্ণ আপনার মধ্যে থাকলে আপনি খুব সহজেই একটি
রেস্টুরেন্ট খুলে দিতে পারবেন। ভাল সেফ ও ভালো ব্যবহারের কিছু কর্মচারী নিয়ে
আপনি এ ব্যবসাটি সফলভাবে গড়ে তুলতে পারবেন আমি আশা করি। এবার চলুন ডায়াগনস্টিক
সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানা যাক।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া
প্রথমত বলতে হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার একটি ব্যবসা না মানব সেবাও বলা যায় বা আপনার দায়িত্ব কর্তব্য হতে পারে। ডায়াগনস্টিক সেন্টার শুরু করলে আপনার প্রথম কাজ হবে মানব সেবা করা। আর এটি ব্যবসার মধ্যে পড়ে না। যদিও অনেকে ব্যবসা বলে তবে এটি আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলা যায়। ডায়াগনস্টিক অর্থ হচ্ছে রোগ নির্ণয়। ডাক্তারি ভাষায় বা ডাক্তারের মধ্যে বলতে গেলে আমরা যেখানে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি তাই হচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মানুষের দেহের বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করে থাকে। এখানে রেডিওলজি থেকে শুরু করে এম আর আই, ইসিজি, প্যাথলজি, আল্টাসনোগ্রাফি ইত্যাদি ইত্যাদি রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলার জন্য বেশ কিছু জরুরী বিষয় প্রয়োজন নিচে আলোচনা করা হলো।
১. ডায়াগনস্টিক সেন্টার
- ইমিজি মেশিন বা রক্ত গ্যাস বিশ্লেষক
- বায়োকেমিস্টিক বিশ্লেষক
- বৈদ্যুতিক বিশ্লেষক
- মেডিকেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার সুবিধা
- centrifuge
- মূত্র বিশ্লেষক
- অণ্ডস্ফুটন যন্ত্র
- হেমাটোলজি অ্যানালাইজার / সেল কাউন্টার ইত্যাদি
উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্র বা বিশ্লেষকের প্রয়োজন যেমন আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, এক্স-রে এবং আরো কিছু ।
২. ডায়াগনস্টিক সেন্টার পুঁজি ঃ
ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলার জন্য আপনার বেশ ভালো পরিমানে উজির প্রয়োজন। ডায়াগনস্টিক সেন্টার দেওয়ার জন্য উন্নত মানের মেশিন প্রয়োজন যা কিনতে আপনার অনেক টাকা খরচ করতে হবে। CBC, S. cratinine, ALT, AST, B.urea, S,eletrolytes, RBS, Urine R/E, stool R/E Fasting linipd profile, S.bilirubin .... ei investigation gulo hole cholbe . এগুলোর জন্য দুই তিন ধরনের মেশিন দরকার। সব সেমি অটো বা ম্যানুয়াল মেশিন ক্রয় করা ভাল। এক একটা মেশিন এক এক দামের হয়ে থাকে। যেমন আল্ট্রাসনোগ্রাফ মেশিন দুই তিন লাখ থেকে শুরু করে ৭০ লাখ পর্যন্ত দাম হতে পারে। ecg মেশিন 50 হাজার থেকে 70 হাজার টাকা হতে পারে। সকল মেশিন কিনতে আপনার প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা মত লাগতে পারে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
মোবাইল ফোন বা এক্সেসরিজ ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমান সময় তথ্য প্রযুক্তির সময়। এ সময় মানুষ তথ্য প্রযুক্তির যত যন্ত্র আছে
তা ব্যবহার করতে শিখে গেছে। মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন কঠিন থেকে
কঠিনতর কাজ করতে পারছে। মানুষ যেমন আধুনিক হয়েছে তেমনি মানুষের চলাফেরা ও আধুনিক
হয়েছে। তাই এই আধুনিক যুগে মানুষ মোবাইল ফোন নিজের আপন করে নিয়েছে। এক মুহূর্ত
মানুষ মোবাইল ছাড়া চলতে পারে না। সকল কাজে মানুষ এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।
তাই আপনি যদি মোবাইল ফোন বাক্সোরিস এর ব্যবসা করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য
বেস্ট একটি অপরচুনিটি হবে। নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য। মানুষ যে হারে
মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে ও কিনছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে সামনের দিনগুলোতে মানুষ আরো
বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে। আর আপনি যদি একটি দোকান দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার
ব্যবসা অনেক উন্নত হবে। চলুন দেখি নিয়ে যাক মোবাইল ফোন বা এক্সেসরিজ এর ব্যবসার
কিছু নিয়ম।
১. দোকান বা শোরুম ভাড়া নেওয়া ঃ
মোবাইল ফোনের ব্যবসা করতে অবশ্যই আপনাকে দোকান বা শোরুম ভাড়া নিতে হবে এটা
বাধ্যতামূলক। আর দোকান বা শোরুম এমন একটি জায়গায় নিতে হবে যেখানে মানুষের বেশি
থাকে। মানুষ যেন আপনার দোকান খুব সহজেই খুঁজে পায় এমন একটি পজিশনে দোকান ভাড়া
নিতে হবে। তাহলে আপনার বেচাকেনা সবচেয়ে ভালো হবে। আপনার পুঁজি অনুযায়ী আপনি
ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন প্রথমেই বড় কোন দোকান নিতে হবে এটার কোন মানে নেই আপনি
ছোট দোকান দিয়েও শুরু করতে পারেন। দোকান বা শোরুম ভাড়া নেওয়ার জন্য মোটামুটি
৫০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। আপনার টাকা অনুযায়ী আপনি দোকান ভাড়া
নিবেন।
২. দোকানে যা যা রাখবেন ঃ
যেহেতু এটি মোবাইলের দোকান সেহেতু আপনাকে অবশ্যই মোবাইল রাখতে হবে এটার কোন
বিকল্প নেই। আপনি নতুন মোবাইল রাখবেন এবং বাজার অনুযায়ী বিক্রি করবেন তাহলে
আপনার বিক্রি হবে। অবশ্যই আপনি বিক্রি করতে পারবেন না। মোবাইলের পাশাপাশি মোবাইল
এক্সেসারিস হিসেবে নিচের দ্রব্যগুলো বিক্রি করতে পারবেন আপনার দোকানে।
- চার্জার,
- ক্যাবল,
- হেডফোন,
- স্কিন প্রোটেক্টর,
- ব্যাক কভার
- হ্যান্ড রিং
- মোবাইল হোল্ডার ইত্যাদি আরও প্রোডাক্ট রয়েছে।
উপরে যেগুলো আলোচনা করলাম সেগুলো আপনি পাইকারি হিসেবে কিনে খুচরা বিক্রি করলে
আপনার বেশ ভালো পরিমাণে লাভ হবে। তবে চেষ্টা করবেন ভালো কোন পাইকারির কাছ থেকে
মাল কেনার জন্য। কাস্টমারের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবেন আপনার ক্রয় বিক্রয়
এমনিতেই ভালো হবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
প্রাইভেট স্কুল বা কোচিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। প্রতিটি মানুষের মধ্যে শিক্ষা থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সকলেই জানি। আমাদের আগের প্রজন্মের বাবা-মায়েরা অনেকেই প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেননি, তবে তারা ভবিষ্যতে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোন রকম কার্পণ্য করেননি অধিকাংশই। বর্তমানে বাবা-মায়েরা শিক্ষিত হোক বা পড়াশোনা না জানুক, সন্তানের পড়াশোনার ক্ষেত্রে তারা সবসময় সচেতন থাকেন।
শহরে হোক অথবা গ্রামে, বড় বড় স্কুলের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি কোচিং সেন্টারও কিন্তু খোলা হচ্ছে। এমন জায়গাতে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য এবং যে সমস্ত বিষয় গুলোর উপরে স্কুলে পড়ানো হয় তার উপরে অনুশীলন করার একটি সবচেয়ে ভালো জায়গা এই কোচিং সেন্টার।
তো চলুন তাহলে জানা যাক, কিভাবে আপনি কোচিং সেন্টার খুলে এখান থেকে অধিক পরিমাণে উপার্জন করতে পারেন।
১. কোচিং এর জায়গা নির্বাচন করুন ঃ
বর্তমানে দেখা যায় অনেক ভালো শিক্ষক টিউশন পড়ান, কিন্তু এমন এমন জায়গায় তারা টিউশন পড়ান যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের যাওয়া এবং আসা বেশ কষ্টসাধ্য। এজন্য আপনাকে এমন একটি জায়গা বাছতে হবে, যে জায়গাটি ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি এবং স্কুলের কাছাকাছি । তাহলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা তাদের যাতায়াতের পথে কোচিং কমপ্লিট করে বাড়ি ফিরতে পারবে বা স্কুলে যেতে পারবে।
২. বড়ো ঘর এর ব্যবস্থা করতে হবে ঃ
যত বড় ঘর হবে ততো আপনার পক্ষে ভালো। কেননা যেহেতু আপনি যদি ভাল পড়াতে পারেন, তাহলে দিন যাওয়ার সাথে সাথে আরও বেশি পরিমাণে ছাত্র-ছাত্রী আপনার কোচিং সেন্টারে এসে ভিড় করবে।সেখানে তাদেরকে বসার জন্য বেঞ্চ, চেয়ার সেগুলো তো রাখতেই হবে। তার সাথে সাথে ভবিষ্যতের চিন্তাও একসাথে করে রাখতে হবে। পরবর্তীতে যদি ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনার কোন সমস্যা যেন না হয়।
৩. বিষয় নির্বাচন করুন ঃ
কোথাও পড়ানোর পাশাপাশি সেখানে কোন বিষয়ে শিক্ষক এর অভাব রয়েছে সেই বিষয়টি সম্পর্কে একটু ধারণা নিন। আপনি যদি সেই বিষয়টি পড়াতে পারেন তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি আকৃষ্ট হবে। এছাড়া অবশ্যই আপনি যে বিষয়টি পড়াচ্ছেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ভালোভাবে জ্ঞান থাকতে হবে। আপনার কনফিডেন্সও বেশি হওয়া উচিত , না হলে কোচিং সেন্টারে পড়াতে আপনার অসুবিধা হতে পারে।
৪. ফি নির্বাচন করুন ঃ
আপনাকে এই বিষয়ের উপরে ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে, এমনভাবে ফিজ রাখুন যেটা সবার কাছে সহজসাধ্য মনে হয়। কারো কাছে যেন অধিক পরিমাণ হিসেবে ধরা না দেয়। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি অনেক পরিমাণে ছাত্র-ছাত্রী পাবেন এই কোচিং সেন্টারে। তাছাড়া ক্লাস অনুসারে ফিজ আপনি কম এবং বেশি নিতে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের অবস্থা বুঝে বেতন নির্বাচন করা উচিত। অনেক শিক্ষকেরা আছেন যারা অনেক টাকা বেতন নিয়ে থাকেন এবং যে কারণে হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রছাত্রী তাদের কাছে পড়তে যান এবং অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা বিকল্প পথ খোঁজেন।
৫. কোচিং এর সময় নির্বাচন করুন ঃ
এমন সময়ে কোচিং এর সময় নির্বাচন করুন যে সময় ছাত্র-ছাত্রীদের আসতে কোন সমস্যা হবে না। অনেক শিক্ষক শিক্ষিকারা দুপুরে বা রাতের দিকে পড়ানোর সময় নির্বাচন করে থাকেন। এর ফলে অনেক ছাত্রছাত্রীরা যারা নিয়মিত স্কুলে যান, তাদের সমস্যা হয়। এছাড়া দূরে বাড়ি, এমন ছাত্র ছাত্রীদের রাতে পড়তে যেতে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এজন্য স্কুল শুরুর আগে বা স্কুল ছুটির পরের সময় নির্বাচন করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বর্তমান সময়ের লাভজনক ব্যবসা
উপরের আলোচনা কৃত বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে আপনি
একটি প্রাইভেট স্কুল বা কোচিং সেন্টার খুলে ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url