অনলাইনে ইনকাম করার উপায় - online income from home
প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম আজকের এই আর্টিকেলটি অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করার যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোষ্টের মধ্যে অনলাইনে এর মাধ্যমে কিভাবে টাকা ইনকাম বা আয় করার যায় এই নিয়ে সমস্ত তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও এই আর্টিকেলটির মধ্যে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য এবং ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে যে সমস্ত ইনকামগুলো আসে সে সমস্ত ইনকাম গুলো নিয়েও এই পোস্টটির মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন তাহলেই বুঝতে পারবেন অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাগুলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
- অনলাইনে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করুন
- ফ্রিলেন্সিং নিয়ে কিছু কথা: ডাটা ফ্রিল্যান্সিং কাজের পরিচিতি
- অনলাইনে কাজের প্রকারভেদ
- যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন
- ফ্রিল্যান্সিং-এর কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়।
- ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহারবিধি
- সর্বশেষ কথা
অনলাইনে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করুন
Data entry jobs for all সবাই ডাটা এন্ট্রি জব থেকে টাকা ইনকাম করুন ডাটা এন্ট্রি কাজ যারা করেন তারা ভালভাবেই জানেন যে একটি ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া কতটা কঠিন। কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহার জানলেই এ ধরনের কাজ করা যায়। এজন্য প্রায় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে এক একটি ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্ট করতে শত শত আবেদন পড়ে। এদের মধ্য থেকে সুনির্দিষ্ট একজনকে বেছে নিতে ক্লায়েন্টদেরকে স্বীদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। প্রথম কাজ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার ৬টি উপায়
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কিছুদিন বিড করার পর কাজ না পেয়ে শেষে ফ্রিল্যান্সিং করার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেন। আজকে যে ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব তাতে কাজ করার জন্য কোন বিড বা আবেদন করতে হয় না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে এই মূহুর্ত থেকে কাজ শুরু করে দেয়া যায়। আর কাজগুলোও অত্যন্ত সহজ। সাইটটি হচ্ছে মাইক্রোওয়ার্কারস (www.microworkers.com)। প্রথম দর্শনেই সাইটটিকে সহজবোধ্য মনে হবে। মাইক্রোওয়ার্কারস সাইটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই সাইটের কাজগুলো অত্যন্ত ছোট ছোট।
এক একটি কাজ করতে ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। প্রতিটি কাজের মূল্য ০.১০ ডলার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১.৭৫ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাইটে প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজ আসে। এখানে একটি কাজ কেবলমাত্র একবারই করা যায়। মোট আয় ৯ ডলার হলেই চেক, মানিবুকার্স, পেপাল এবং এলার্টপে সার্ভিসের মাধ্যমে উত্তোলন যায়। মাইক্রোওয়ার্কারস সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সারকে Worker এবং এবং একজন ক্লায়েন্টকে Employer হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সাইটে এই দুই ধরনের ব্যবহারকারী কিভাবে কাজ করে তা নিচের কার্টুনের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে- Worker হিসেবে কাজ শুরু করার পূর্বে প্রথমে সাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর মেনু থেকে Available Jobs লিংকে ক্লিক করে সকল কাজগুলো দেখা যাবে। প্রতিটি কাজের শিরোনামের সাথে কয়েকটি তথ্য পাওয়া যায় – কাজের মূল্য (Payment), শতকরা কতজনের কাজ ক্লায়েন্ট গ্রহণ করেছে (Success Rate), কাজটি করতে আনুমানিক কত মিনিট লাগতে পারে (Time), কতজন এ পর্যন্ত কাজটি করছে (Done) ইত্যাদি।
কোন একটি কাজের শিরোনামের উপর ক্লিক করে সেই কাজের বিস্তারিত আরো তথ্য জানা যাবে। এর মধ্যে “What is expected from workers?” অংশ থেকে কাজের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যাবে। কাজটি যে আপনি যথাযথভাবে শেষ করেছেন তা প্রমাণ দিতে কি কি তথ্য প্রদান করতে হবে তা “Required proof that task was finished?” অংশের মাধ্যমে জানা যাবে। সবশেষে “I accept this job ” লিংকে ক্লিক করে একটি টেক্সটবক্সে আপনার কাজের প্রমাণগুলো দিতে হবে।
কোন কাজ করতে না পারলে “Not interested in this job” লিংকে ক্লিক করে বের হয়ে যাওয়াই ভাল, সেক্ষেত্রে এই কাজটি আপনার “Available Jobs” পাতায় আর কখনও দেখাবে না। কাজের প্রকারভেদ: এবার দেখা যাক সাইটে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় এবং সেগুলোর মূল্য সাধারণত কত হয় -
- • Click and Search ($0.10 – $0.15): এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট একটি সাইটের লিংক দিবে, যাতে ভিজিট করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ দিয়ে সার্চ করতে হবে। সব শেষে ক্লায়েন্টের বর্ণনা অনুযায়ী এক বা একাধিক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে হবে।
- • Bookmark a page ($0.10 – $0.20): ক্লায়েন্টের কোন একটি সাইটকে অন্য একটি সাইটে বুকমার্ক করতে হবে। এ ধরনের বুকমার্ক সাইটের মধ্যে রয়েছে digg.com, delicious.com বা mixx.com, যা ক্লায়েন্ট কাজের বিবরণীতে উল্লেখ করে দিবে। বুকমার্ক করার পূর্বে ওই সাইটে আপনার একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
- • Signup ($0.10 – $0.20): এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন করার সময় আপনার ইমেইল ঠিকানা দিতে হবে। এ ধরনের কাজ করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত ইমেইল ঠিকানা দেয়া ঠিক হবে না। এজন্য পৃথক একটি ইমেইল একাউন্ট খুলে সেটি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা উচিৎ। অন্যথায় স্পাম ইমেইলের কারণে আপনার দরকারী ইমেইল খোঁজে পাবেন না।
- • Comment on other blog ($0.10 – $0.15): এই কাজে ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে এক বা একাধিক মন্তব্য দিতে হবে। মন্তব্যগুলো সাধারণত দুই-এক লাইনের হবে এবং ওই ওযেবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে স্বামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
- • Forums ($0.10 – $0.15): এ ধরনের কাজের জন্য কোন একটি ফোরামে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে এবং Signature হিসেবে ক্লায়েন্টের কোন ওয়েবসাইটের লিংক দিতে হবে। এরপর ওই ফোরামের এক বা একাধিক পাতায় স্বামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করতে হবে।
- • Facebook ($0.15 – $0.20): এ ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছে ক্লায়েন্টকে ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা বা ক্লায়েন্টের Fan হওয়া অথবা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার Wall এ পোস্ট করা।
- • Twitter ($0.15 – $0.20): এক্ষেত্রে twitter.com এ একটি একাউন্ট থাকতে হবে এবং ক্লায়েন্টের একাউন্টকে Follow করতে হবে অথবা নিদিষ্ট কোন বিষয়ে পোস্ট করতে হবে।
- • Write an article ($0.50 – $1.75): মাইক্রোওয়ার্কারসে প্রাপ্ত কাজগুলোর মধ্যে এই ধরনের কাজ অর্থাৎ কোন বিষয়ে ইংরেজীতে আর্টিকেল লিখে সবচেয়ে বেশি আয় করা যায়। লেখাগুলো ৫০ শব্দ থেকে শুরু করে ৫০০ শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। এ ধরনের কাজে এক দিকে যেমন ভাষাগত জ্ঞান বৃদ্ধি পায় তেমনি নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। তবে যাদের ইংরেজীতে লেখায় দক্ষতা আছে তারাই কেবল এ ধরনের কাজ করতে পারে। লেখায় তথ্য সংযোগের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে অন্যান্য ওয়েবসাইটের সহায়তা নেয়া যাবে, তবে আপনার লেখাটা অবশ্যই মৌলিক হতে হবে। লেখা মৌলিক হল কিনা তা www.copyscape.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে।
- • Blog/Website Owners ($0.25 – $0.80): অনেক সময় শুধু লিখলেই হবে না, লেখাটা আপনার জনপ্রিয় কোন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এজন্য এধরনের কাজের নামের সাথে PR2+ PR3+, PR4+ ইত্যাদি লেখা দেখতে পাবেন। PR শব্দের মানে হচ্ছে Page Rank, আর PR2+ শব্দের মানে হচ্ছে যেসকল ওয়েবসাইটের পেইজ রেংক ২ বা তার অধিক। এটি গুগলের একটি মানদন্ড যা কোন ওয়েবসাইট কতটুকু জনপ্রিয় তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়। একটি ওয়েবসাইটের পেইজ রেংক কত তা www.prchecker.info ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যায়। এ ধরনের কাজ শুরু করার পূর্বে www.blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনামূল্যে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। প্রথম অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই পেইজ রেংক শুণ্য থাকবে। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন বিষয়ে ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখেন তাহলে কয়েক মাস পর পেইজ রেংক বাড়তে থাকবে। লেখার পাশাপাশি ভাল রেংকের কয়েকটি ওয়েবসাইটের সাথে লিংক বিনিময় করতে পারলে পেইজ রেংক আরো তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকবে।
- • Download and/or Install ($0.25 – 0.35): এই কাজে কোন সফটওয়্যার শুধুমাত্র ডাউনলোড এবং কোন কোন সময় ইন্সটলও করতে হয়।
- • Post an Ad on Craigslist ($0.25 – $0.75): www.craigslist.org হচ্ছে শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপনের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের প্রদত্ত কোন পণ্যের বিজ্ঞাপণ craigslist.org সাইটে প্রকাশ করতে হয়।
এজন্য পূর্বেই সাইটটিতে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: এই সাইটে কাজ করার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে ঝামেলাপূর্ণভাবে কাজ করতে পারবেন - কোন অবস্থাতেই একাধিক একাউন্ট তৈরি করার উচিৎ নয়। একজন ব্যবহারকারী একাধিক একাউন্ট তৈরি করলে তার সবগুলো একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। একটি নির্দিষ্ট কাজ একবারের বেশি কখনও করতে পারবেন না। তবে একই ধরনের অন্য কাজ করতে কোন বাধা নেই।
কাজ না বুঝে কখনও কাজ জমা দিবেন না। প্রতিটি কাজের শেষে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ পছন্দ হলে “Satisfied” দিবে, অথবা অপছন্দ হলে “Not Satisfied” রেটিং দিবে। এই দুই ধরনের রেটিং এর তুলনাকে “Success Rate” বলা হয়। গত ৩০ দিনে আপনি যদি ৫ টি কাজ সম্পন্ন করেন এবং সেক্ষেত্রে আপনার “Success Rate” যদি ৭৫% এর নিচে হয়, তাহলে পরবর্তী ১ থেকে ৩০ দিন আপনি আর কোন কাজ করতে পারবেন না।
তাই শতভাগ নিশ্চিত হয়ে কোন কাজ করা উচিৎ এবং কাজ শেষে ক্লায়েন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রমাণ উপস্থাপন করা আবশ্যক। কখনও যদি “Success Rate” ৭৫% এর কম হয়ে যায়, তাহলে হতাশ না হয়ে দুই-একদিন অপেক্ষা করে আবার কাজ করা যায় কিনা চেষ্টা করে দেখুন। নতুন ব্যবহারকারীরা প্রথম প্রথম একদিনে সর্বোচ্চ ৫ টি কাজ করতে পারবেন। এরপর ক্লায়েন্টের রেটিং এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ১০ টি কাজ করার পর এই সীমাটি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।
কখনও যদি মনে করেন আপনি যথাযথভাবে কাজ করেছেন কিন্তু ক্লায়েন্ট আপনাকে “Not Satisfied” রেটিং দিয়েছে তাহলে “Submit a Complain” লিংকের মাধ্যমে আপনার অভিযোগ সাইটের কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। কাজের প্রমাণ হিসেবে কখনও ভূয়া তথ্য প্রদান করবেন না, এ ধরনের কাজ তিনবার করলে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যে সকল কাজে IP এড্রেস দিতে হয় সেসব কাজ না করাই ভাল। কারণ আমাদের দেশের ইন্টারনেট প্রোভাইডাররা গ্রাহকদেরকে শেয়ারকৃত IP এড্রেস দিয়ে থাকে।
ফলে আপনার মত একই ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ আছে এরকম কেউ সেই কাজটি পূর্বে করে থাকলে ক্লায়েন্ট আপনার কাজ গ্রহণ করবে না। আমাদের দেশে বিশষত গ্রামীণফোন বা সিটিসেলের ইন্টারনেট ব্যবহাকারী বেশি হওয়ায় এই সমস্যাটা তাদের ক্ষেত্রে বেশি হবে। অর্থ উত্তোলন: শুধুমাত্র “Satisfied” রেটিং পেলেই সেই কাজের টাকা আপনার একাউন্টের ব্যালেন্সের সাথে যুক্ত হবে।
চারটি পেমেন্ট পদ্ধতির যে কোনটিতে টাকা তুলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয়। চেকের ক্ষেত্রে ৪.৫০ ডলার, পেপালের ক্ষেত্রে ৬%, মানিবুকার্স এবং এলার্টপে পদ্ধতিতে ৬.৫% ফি দিতে হয়। একাউন্টের ব্যালেন্স ৯ ডলারের উপর হলেই কেবলমাত্র টাকা তুলতে পারবেন। সাথে ফি দেবার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ একাউন্টে থাকতে হবে। প্রথম Withdraw করার আবেদনের সময় আপনার বাসার ঠিকানায় চিঠির মাধ্যমে একটি PIN নাম্বার পাঠানো হবে।
এই নাম্বারটি পরবর্তীতে সাইটে প্রবেশ করাতে হবে। কেউ একাধিক একাউন্ট তৈরি করেছে কিনা তা যাচাই করতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। PIN নাম্বারের চিঠিটি আসতে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগতে পারে। ঠিকানা যাচাই করার পর পরবর্তী Withdraw আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করা হবে। আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সাররা ইতিমধ্যে এই সাইটে কাজ করছেন এবং তারা সাইট থেকে নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন।
তবে একটা বাস্তব সত্য হচ্ছে এই সাইট থেকে খুব বেশি পরিমাণে আয় করা যায় না। যারা পড়ালেখা বা অন্য কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট থেকে বাড়তি আয় করতে চান তাদের জন্য এই সাইট অবশ্যই আয়ের একটি ভাল উপায় হতে পারে।
ফ্রিলেন্সিং নিয়ে কিছু কথা: ডাটা ফ্রিল্যান্সিং কাজের পরিচিতি
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তরুণদের কাছে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ের একটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যদিও আমাদের দেশে এখনও এ বিষয়টি নতুন, কিন্তু এরই মধ্যে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে নিতে পারেন আপনার ভবিষ্যৎক্যারিয়ার। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার।উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করার ৫টি উপায়
আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান সেই সুযোগটিকে খুবই ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে। আমরাও যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিশাল বাজারের সামান্য অংশ কাজে লাগাতে পারি তাহলে এটি হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার শক্ত হাতিয়ার। গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করার স্বাধীনতা হচ্ছেফ্রিল্যান্সিং। ইন্টারনেটের কল্যানে এখন আপনি খুব সহজেই একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। এখানে একদিকে যেরকম রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে বিভিন্নধরনের কাজ বাছাই করার স্বাধীনতা।
আয়ের দিক থেকেও অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এ রয়েছে অভাবনীয়সম্ভাবনা। এখানে প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন কাজ আসছে। প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট, গেম, 3D এনিমেশন, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার বাগ টেস্টিং, ডাটা এন্ট্রি – এর যেকোন এক বা একাধিক ক্ষেত্রে আপনি সফলভাবে নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করে নিতে পারেন। তবে প্রথমদিকে আপনাকে একটু ধ্যর্য এবং কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে।
এই প্রতিবেদনটি তাই এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে সফলভাবে প্রকাশ করতে পারেন। ইন্টারনেটে অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয় যাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এগুলো থেকে যেকোন একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Provider বা Coder. একটি কাজের জন্য অসংখ্য কোডাররা Bid বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা উল্লেখ করে।
এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় কোডারের মন্তব্য কোডার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোডার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হবার পর সাথে সাথে টাকা পাবার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য কোডারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়।
এই পরিমাণ ওয়েবসাইট এবং সার্ভিসভেদে ভিন্ন ভিন্ন (১০% থেকে ১৫%)। কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে: www.RentACoder.com রেন্ট-এ-কোডার এ প্রায় দুই লক্ষ কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে। এই সাইটেপ্রতিদিনই প্রায় ২৫০০ এর উপর কাজ পাওয়া যায়। সাইটের সার্ভিস চার্জ বাকমিশন হচ্ছে প্রতিটি কাজের মোট টাকার ১৫% যা কাজ সম্পন্ন হবার পর কোডারকে পরিশোধ করতে হয়। এই প্রতিবেদনটি মূলত রেন্ট-এ-কোডার সাইটকে ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তবে মূল ধারনা প্রতিটি সাইটের ক্ষেত্রেই প্রায় একই। www.GetAFreelancer.com এই সাইটে মোট কোডার বা প্রোভাইডারের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় সাত লক্ষ।
এইসাইটেও প্রায় ২৫০০ এর উপর কাজ প্রতিদিন পাওয়া যায়। সাইটির সার্ভিস চার্জ হচ্ছে প্রতিটি কাজের মোট টাকার ১০%। তবে গোল্ড মেম্বারদের জন্য কোন সার্ভিস চার্জ নেই। গোল্ড মেম্বার হতে প্রতি মাসে আপনাকে মাত্র ১২ ডলার পরিশোধ করতে হবে। নতুন ইউজারদের জন্য এই সাইটে ট্রায়াল প্রোজেক্ট নামে একটি বিশেষ ধরনের কাজ পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র নতুন কোডারাই বিড করতে পারবে।
ফলে প্রথম কাজ পেতে আপনাকে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। www.Joomlancers.com এই সাইটে শুধুমাত্র Joomla এর কাজ পাওয়া যায়। Joomla হচ্ছে একটি ওপেনসোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যারা Joomla তে পারদর্শী তারা এই সাইটে বিড করে দেখতে পারেন। এখানে প্রায় ৫৫০০ ফ্রিল্যান্সার রেজিস্ট্রেশন করেছে আর প্রতিদিন প্রায় ১৫০ টি কাজ পাওয়া যায়। এই সাইটে কমিশন হিসেবে প্রতিটি কাজের ১০% টাকা কোডারকে পরিশোধ করতে হবে।এই সাইটেও আপনি গোল্ড মেম্বার হতে পারবেন।
গোল্ড মেম্বার হতে হলে আপনাকে প্রতি মাসে ৫০ ডলার প্রদান করতে হবে। www.oDesk.com এক সাইটের ফিচার উপরে উল্লেখিত সাইটগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানেপ্রোভাইডারকে ঘন্টা হিসেবে কাজের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়। ক্লায়েন্টআপনাকে সম্পূর্ণ প্রজেক্টের জন্য বা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস এর জন্য) নিয়োগ করতে পারে। রেজিষ্ট্রেশন করার সময়প্রতি ঘন্টায় আপনার কাজের মূল্য উল্লেখ করে দিতে হবে। কাজ শেষে আপনি যত ঘন্টা কাজ করেছেন ঠিক ততটুকু পরিমাণ টাকা ক্লায়েন্ট আপনাকে প্রদান করবে।
কাজ করার মূহুর্তে আপনার ব্যয়কৃত সময় নির্ধারণ করার জন্য আপনাকে একটি সফ্টওয়্যার চালু রাখতে হবে, যা একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর আপনার ডেস্কটপের স্ক্রিসশট এবং অন্যান্য তথ্য ক্লায়েন্টের কাছে পাঠাবে। ফলে ওই সময় আপনি কাজ করছেন কিনা ক্লায়েন্ট সহজেই নির্ধারণ করতে পারবে।তবে অন্য সাইটগুলোর মত এখানেও অনেক কাজ পাওয়া যায় যেখানে সম্পূর্ণ প্রজেক্টের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়। এই সাইটে প্রতি কাজের জন্য ১০% টাকা কমিশন হিসেবে প্রদান করতে হয়। যেহেতু বেশিরভাগ কাজ ঘন্টা হিসেবে প্রদান করা হয় তাই অন্য সাইটগুলোর তুলনায় এই সাইট থেকে অনেক বেশি পরিমাণে আয় করা সম্ভব।
অনলাইনে কাজের প্রকারভেদ
অনলাইনে প্রায় সকল ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে তা কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোন একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী নন তাহলে ডাটা এন্ট্রির মত কাজগুলো সহজেই করতে পারেন। ছাত্ররাও ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের একটা ব্যবস্থা করতে পারেন।
ইন্টারনেটে নিম্নলিখিত প্রকারের কাজ পাওয়া যায়ঃ
- প্রোগ্রামিং
- ওয়েবসাইট তৈরি
- ডাটাবেইজ
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- এনিমেশন
- গেম তৈরি
- ডকুমন্টেশন
- প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
- সফ্টওয়ার টেস্টিং
- ডাটা এন্ট্রি
ইন্টারনেটে কাজের তুলনামূলক চিত্র ইন্টারনেটে কি ধরনের কাজ কতটুকু পাওয়া যায় তা নিচের চার্টের মাধ্যমেউল্লেখ করা হল। তথ্যগুলো ২৫/০৫/২০০৮ তারিখে www.GetACoder.com সাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। কাদের জন্য অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা সহজ, যদি আপনি হোনঃ
- একজন স্মার্ট।
- সমসাময়িক প্রযুক্তি সম্পর্কে অবগত, বিশেষ করে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ধরনের সাইট ও সার্ভিস সম্পর্কে ভাল ধারনা।
- কোন বিশেষ ক্ষেত্রে পারদর্শী, তা হতে পারে – প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইটডেভেলপমেন্ট, ওয়েসাইট মেইন্টেন্যান্স, ওয়েবসাইট প্রোমোশন, ফটোশপ,গিম্প, ফ্লাশ, 2D এনিমেশন, 3D এনিমেশন, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ইত্যাদি আরো অসংখ্য বিষয়।
- ইংরেজি পড়তে এবং লিখতে মোটামুটি দক্ষ।
- নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সদা প্রস্তুত, কারণ প্রায় সময় দেখবেন বায়ার এমন একটা কাজের কথা বলেছে যা আপনি আগে কখনও শোনেননি।
সেই ধরনের কাজের সমাধান সার্চ করে বের করা এবং অল্প সময়ে তাতে দক্ষতা আর্জন খুবই জরুরী। উপরের যেকোন একটিতে যদি আপনার দূর্বলতা থেকে থাকে তাহলে আমি বলব আপনার ফ্রিল্যান্সার হওয়ার এখনও সময় হয়নি। প্রথমে সময় নিন,নিজেকে প্রস্তুত করুন এবং তারপর ঝাপিয়ে পড়ুন।
আমি আমার চারপাশের কয়েকজনকে দেখেছি তাদেরকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কিভাবে করতে হয় তা দুইবার বলতে হয়নি। তারা সম্পূর্ণ নিজের মেধায় আজ মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করছে। দুইবছর আগে আমিযখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলাম, তখন এই ধারনাটা বেশিরভাগের কাছেইপরিষ্কার ছিল না। শুধু জানতাম অনলাইনে রেন্ট-এ-কোডার, গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার, গেট-এ-কোডার থেকে কাজ পাওয়া যায়। তারপর সাহস করেইশুরু করেছি, আজও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে যাচ্ছি।
তবে এখানে একটা ব্যাপার হল, আমি একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফার্মে প্রোগ্রামার হিসেবে একবছর কাজ করার ফলে আমি ছিলাম ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টে দক্ষ। তাই একটা দুইটা কাজ পাবার পর, আমাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অন্যদিকে আমার এক বন্ধু ছিল, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় খুব একটা প্রোগ্রামিং করে নি এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ভাল ধারনা ছিল না।আমাকে ফ্রিল্যান্সিং করতে দেখে সেও শুরু করে।
সে ভেবেছিল, কাজ করতে করতে সে ওয়েব ডেভেলপমেন্টে এক্সপার্ট হয়ে যাবে। তবে বাস্তবতা হল, তাকে কেউ কাজ দেয়নি এবং একটানা কয়েকমাস চেষ্টা করার পর সে ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দেয়। এখন সে একটি বড় সফটওয়্যার ফার্মে কাজ করছে আর পরিকল্পনা করছে ভবিষ্যতে আবার ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার। তাই কাজ না শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে কোন লাভ নেই, তাতে বরং আপনার সময় নষ্ট হবে এবং নিজের উপর আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। চেষ্টা চালিয়ে যান, আপনিও সফল হবেন।
যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন
প্রথমে যে কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে রেজিস্ট্রশন করে নিতে হবে।রেজিস্ট্রশন করার সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, ইমেইল ইত্যাদি সঠিকভাবে দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের একটি ধাপে আপনার একটি প্রোফাইল/রেজ্যুমে তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি কোন কোন ক্ষেত্রে পারদর্শী তা উল্লেখ করবেন। এখানে আপনি আপনার পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, ওয়েবসাইট লিংক ইত্যাদি দিতে পারেন।
তবে প্রোফাইলে ইমেইল বা অন্যকোন তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন না যাতে কেউ আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। পরবর্তীকালে এই প্রোফাইল কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর, এখন আপনি বিড করা শুরু করে দিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে আয় করার সেরা ৭টি ওয়েবসাইট
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে প্রতি মূহুর্তে নতুন কাজ আসছে।আপনার পারদর্শীতা আনুযায়ী প্রতিটা কাজ দেখতে থাকুন। প্রথম কয়েক দিন বিড করার কোন প্রয়োজন নেই। এই কয়েকদিন ওয়েবসাইটি ভাল করে দেখে নিন। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন এবং সাহায্যকারী আর্টিকেল পড়ে ফেলতে পারেন। একটি কথা মনে রাখবেন, প্রথমদিকে কাজ পাওয়া কিন্তু সহজ নয়।
তাই আপনাকে ধর্য্যসহকারে বিড করে যেতে হবে। প্রথম কাজ পেতে হয়ত ১০ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। কয়েকটি কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর আপনাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না।তখন ক্লায়েন্টরাই আপনাকে খোঁজে বের করবে।
ফ্রিল্যান্সিং-এর কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়।
সেগুলো হল: রেটিং (Rating) - একটি কাজ সম্পন্ন হবার পর ক্লায়েন্ট আপনার কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে আপনাকে রেটিং বা ভোট দিবে। এখানে সর্বোত্তকৃষ্ট রেটিং হচ্ছে ১০। নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে এই রেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন ১০ রেটিং পেতে।
এজন্য কাজ জমা দেয়ার আগে ভাল করে দেখে নিন আপনি ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী সকল কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছেন কিনা।তারপর নির্ধারিত সময় শেষ হবার পূর্বেই কাজ জমা দিন। গড় রেটিং ৯ এর চেয়ে কম হলে ধীরে ধীরে নতুন কাজ পাবার সম্ভাবনা কমে যাবে। রেংকিং (Ranking) - ফ্রিল্যান্সিং সাইটে সকল কোডারের মধ্যে আপনার অবস্থান কত তা জানা যায় রেংকিং এর মাধ্যমে।
রেন্ট-এ-কোডারে আপনার গড় রেটিং এবং সর্বমোট কত টাকার কাজ সম্পন্ন করেছেন তা দিয়ে আপনার অবস্থান নির্ধারিত হয়। রেটিং এর মত রেংকিংও নতুন কাজ পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার রেংকিং যত সামনের দিকে তার কাজ পাবার সম্ভাবনা অন্যদের চাইতে বেশি। তবে বিড করার সময় আপনি যদি ক্লায়েন্টকে আপনার আত্মবিশ্বাস আর সম্ভব হলে পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা দেখানোর চেষ্টা করুন, তাহলে সবাইকে পেছনে ফেলে আপনিই কাজ পেয়ে যাবেন।
পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনি ক্লায়েন্টকে আপনার আইডিয়া ভালভাবে ব্যাখ্যা করুন। ডেডলাইন (Deadline) - কাজ শুরু করার পূর্বে ক্লায়েন্ট কাজ জমা দেবার একটি ডেডলাইন বা সর্বোচ্চ সময়সীমা উল্লেখ করে দেয়। আপনার যদি মনে হয় যে এই কাজ আপনি ক্লায়েন্ট কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে পারবেন না তাহলে কাজ শুরু করার পূর্বেই ক্লায়েন্টকে অনুরোধ করুন ডেডলাইন সময় বাড়িয়ে দিতে। ক্লায়েন্ট সম্মত হলে কাজটি শুরু করুন।
আর যদি ক্লায়েন্ট সময় বাড়াতে আপত্তি জানায় তাহলে কাজটি গ্রহন না করাই আপনার জন্য ভাল হবে। কারন ডেডলাইনে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যদি আপনি কাজটি জমা দিতে না পারেন তাহলে কাজের সম্পূর্ণ টাকাই আপনি হারাতে পারেন। উপরন্তু ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি নিম্নমানের রেটিং দিয়ে দিতে পারে। তাই কখনও যদি এরকম কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তখন অনতিবিলম্বে আপনার বর্তমানঅবস্থা ক্লায়েন্টকে জানান এবং ডেডলাইন সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করুন।
মেডিএশন/আর্বিট্রেশন (Mediation/Arbitration) – কখনও যদি ক্লায়েন্ট আপনাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় বা সম্পূর্ণ কাজ জমা দেবার পর আপনাকে বলে যে আপনি ঠিকভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করেননি তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মেডিএশন/আর্বিট্রশনের সাহায্য নিতে পারেন। এইসার্ভিসের মাধ্যমে আপনি ওই সাইটের কাছে আপনার সমস্যা জানাতে পারেন।সাইটের কর্তৃপক্ষ তখন উভয়পক্ষের অভিযোগ শুনবে এবং কাজ চলাকালীন সময় ক্লায়েন্ট এবং আপনার মধ্যে যে ম্যাসেজ আদান-প্রদান হয়েছে তা যাচাই করে দেখবে।
সবশেষে আপনার অভিযোগ সত্য হলে আপনি পুরো টাকা পেয়ে যাবেন। তবে যতটা সম্ভব আর্বিট্রেশনে না যাওয়াই উত্তম, কারন অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষ ক্লায়েন্টকে সাপোর্ট করে এবং সেক্ষেত্রে আপনি কোন টাকা পাবেন না। আপনি দোষী প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি নিম্নমানের রেটিং দিয়ে দিবে।
তাই চেষ্টা করবেন আলোচনার মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে মীমাংসা করে নিতে। এরকম অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতিতে না পড়তে চাইলে কাজ শুরু করার পূর্বে ক্লায়েন্টকে বলুন তাদের চাহিদা পরিষ্কার করে উল্লেখ করতে।ক্লায়েন্টকে সরাসরি ইমেইল না করে সকল ম্যাসেজ আদান-প্রদান ওই সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের মাধ্যমে করুন। এসক্রো (Escrow) - কাজ শুরু করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই ফ্রিল্যান্সিং সাইটে জমা রাখে। এই জমা রাখাকে বলা হয় এসক্রো যা কাজ সম্পন্ন হবার পর কোডারের টাকা পাবার সম্ভাবনা নিশ্চিত করে। ক্লায়েন্ট টাকা এসক্রোতে জমা রাখা পূর্বে কাজ শুরু করা উচিত নয়।
ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহারবিধি
এখন অনেকেই ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহার করছেন, আর এদের অনেকেই বিপাকেও পরেছেন। এর কারন হচ্ছে প্রযুক্তি যেমন উন্নত হচ্ছেন তেমনি দুষ্টলোকেরাও নিজেদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে সেটাকে অন্যদের বিপাকে ফেলার কাজে ব্যবহার করছে। তাই ইংরেজিতে যেমন একটা কথা আছে prevention is better than cure, ঠিক একই কথা প্রযোজ্য অনলাইন ব্যাংকিং-এর জন্যও।
তাই যারা অনলাইন ব্যাংকিং করতে চান, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটা করতে চান, তাদের সাবধানতার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়াটা জরুরি। প্রথমেই যেটা জরুরি, সেটা হচ্ছে যেখানে সেখানে অনলাইন ব্যাংকিং করবেন না, বিশেষ করে সাইবার ক্যাফেতে। কারন বেশিরভাগ মানুষই এরকম অরক্ষিত কম্পিউটার থেকে অনলাইন কেনাকাটা করতে গিয়ে তাদের কার্ডের বা ব্যাংকের সব তথ্য অজান্তেই দিয়ে দেন হ্যাকারদেরকে। এমনকি কোন বন্ধুর কম্পিউটার থেকেও এই ধরনের ব্যাংকিং বা কেনাকাটা করাটা ঠিক হবে না।
আপনার নিজস্ব কম্পিউটারেও যদি অনলাইন ব্যাংকিং বা শপিং করতে হয় তাহলে আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার কম্পিউটারে যথেষ্ট পরিমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া আছে। প্রথমেই যেটা দরকার সেটা হচ্ছে ভালো একটা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার। খেয়াল রাখবেন যে এর সাথে যেন ফায়ারওয়াল এবং অনলাইন প্রটেকশনের ব্যবস্থাও থাকে। এভিজি, কাসপারস্কি ইত্যাদি বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাসের ফ্রি সংস্করন ইন্সটল করতে পারেন। এই ফ্রি সংস্করনগুলো অন্যান্য সংস্করনের মতোই ভাইরাস ধরতে পারে সহজেই, শুধু সেই ভাইরাসগুলোকে এই ফ্রি সংস্করনগুলো ক্লিন করতে পারে না।
কিন্তু আপনি ভাইরাস আক্রান্ত ফাইলটাকে কোয়ারাইন্টাইন বা মুছে ফেলতে পারেন। তাই যদি ভালো অ্যান্টিভাইরাস কেনার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে একটা ফ্রি সংস্করন ইন্সটল করে নিন। যে কোন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন না। বাজারে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নাম দিয়ে কিন্তু কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো আসলে হ্যাকারদের বানানো, এবং এটা ইন্সটল করামাত্র আপনার সব তথ্য হ্যাকারদের নখদর্পনে চলে আসবে। তাই বিভিন্ন অনলাইন ম্যাগাজিন বা ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিন যে ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কোনটি।
জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে তুলনা করে কোনটা বেশি ভালো সেটা জানতে পারবেন এভি-কম্প্যারেটিভ ওয়েবসাইট থেকে। কাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাসের একটা চমৎকার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ব্রাউজারের সাথে ব্যবহারের জন্য অনস্ক্রিন কিবোর্ডের ব্যবস্থা আছে। অনেক হ্যাকাররাই যেটা করে সেটা হচ্ছে keylogger নামে এক ধরনের প্রোগ্রাম আপনার কম্পিউটারে তারা ইন্সটল করে রাখে। এই প্রোগ্রামটি আপনি কিবোর্ড থেকে যা যা টাইপ করছেন সেটা পরে একটা সুবিধাজনক সময়ে হ্যাকারের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
ফলে অনলাইন ব্যাংকিং বা কেনাকাটার সময় আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, বা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নাম্বার, এক্সপায়ারি ডেট ইত্যাদি তথ্য টাইপ করছেন, সেগুলো সবই টুকে নিচ্ছে সেই কি-লগার প্রোগ্রাম। তাই এই অনস্ক্রিন কিবোর্ড আপনাকে সেই কিলগারের হাত থেকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে পারে। ওয়েবসাইটের সার্টিফিকেট পরীক্ষা করুন।
নামকরা সাইটগুলো তাদের সাইটের জন্য একধরনের ওয়েব সার্টিফিকেট ব্যবহার করে। এই সার্টিফিকেট থাকার অর্থ হচ্ছে ঐ সাইটটি পরিক্ষিত। সাধারনত ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারের পাশে এ সাইটের যে ফেভআইকন (সাধারনত সাইটের লোগোর ছবি) সেখানে ক্লিক করলে দেখতে পারবেন যে ঐ ওয়েবসাইটটি সার্টিফাইড কি না।
কোন কোন ওযেবসাইট আছে (বিশেষ করে ব্যাংকিং এবং অনলাইন কেনাকাটার নামকরা সাইটগুলো) আপনার ব্যাপারে স্পর্শকাতর তথ্য নেয়ার সময় (যেমন: জন্মতারিখ, বাসার ঠিকানা, অথবা কার্ডের নাম্বার) এনক্রিপ্টেড কানেকশন ব্যবহার করেন। এরকম সাইটে ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারে বা স্ট্যাটাসবারে একটা তালার চিহ্ন দেখতে পারবেন। ঠিক ওয়েবসাইটে ঢুকছেন কিনা আরেকবার ভালো করে দেখুন। অনেকসময়ই হ্যাকাররা মূল ওয়েবসাইটের মতো করে নকল একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে রাখে।
ধরুন আপনি hsbc-র ওয়েবসাইটে ঢুকবেন, কিন্তু অ্যাড্রেস বারে টাইপ করতে গিয়ে লিখে ফেললেন hscb, কিছুক্ষণ পরে দেখলেন যে এইচএসবিসি ব্যাংকের ওয়েবসাইট, তাদের লোগো সেখানে। তাই আপনি স্বাভাবিকভাবেই আপনার ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড লিখে ঢুকে পরলেন। আসলে যেটা হলো সেটা হচ্ছে হ্যাকাররা আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড এই পদ্ধতিতে পেয়ে গেলো।
তাই ব্যাংকিং বা অনলাইন শপিং সাইটে ঢোকার পর আরেকবার মিলিয়ে দেখুন যে ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস ঠিকমতো আছে কিনা। কোন ই-মেইলে পুরস্কার বা আপনি অনেক টাকা পাচ্ছেন এ ধরনের কথাবার্তা থাকলে ভালো করে সেটার ব্যাপারে খোঁজ নিন। অনেকসময় ব্যাংকের লোগো দিয়ে বা অন্য কোন নামকরা প্রতিষ্ঠানের লোগো দিয়ে ইমেইল পাঠায় হ্যাকাররা।
সেখানে বলা থাকে যে এইমাসে আপনাকে র্যান্ডমলি সিলেক্ট করা হয়েছে বিশাল একটা পুরস্কারের জন্য, তাই সেই পুরস্কার পেতে একটা লিঙ্কে ক্লিক করতে বলবে আপনাকে। সেখানে ক্লিক করলেই একটা ওয়েবসাইটে নিয়ে গিয়ে আপনার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইবে। আর সেই তথ্যগুলো ব্যবহার করে হ্যাকাররা হাতিয়ে নেবে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ। কোন কোন ওযেসবাইটে যাচ্ছেন সেটার প্রতি সাবধান হোন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ৬টি সহজ মাধ্যম
অনেকেই বিভিন্ন ওযেবসাইটে যান যেগুলোতে প্রচুর ভাইরাস থাকে। যেমন সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সাইট, বা গান শোনার বা নাটক দেখার সাইট ইত্যাদি। Facebook-এ প্রাইভেসি সেটিং-এ কড়াকড়ি নিয়ে আসেন, যাতে করে কে আপনার সম্পর্কে কতোটুকু তথ্য দেখতে পারবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অনেক সময় হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য থেকে অনেক কিছু অনুমান করে ফেলতে পারে। পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
অনেক সময় এসব পাইরেটেড সফটওয়্যারের সাথে keygen বা অন্যকিছু সফটওয়্যার আসে যেটা কখনো কখনো আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস বা কি-লগার প্রোগ্রাম ঢুকিয়ে দিতে পারে। তাই পাইরেটেড সফটওয়্যারের পরিবর্তে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বিনিপয়সায় ব্যবহার করা যায় এবং এসব ভাইরাসের ঝামেলা থেকেও মুক্ত থাকা যায়। এই ওয়েবসাইটে থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সর্বশেষ কথা
এতক্ষণ যে পোস্টটি আপনি ধৈর্য সহকারে এমনকি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে। আশা করি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমাদের আজকের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার প্রশ্নের সমস্ত উত্তর গুলো আমরা দিতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক আইডিতে এমন কি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম বা আয় করার উপায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাগুলো পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url