অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কয়েকটি সহজ উপায়ে ইনকাম
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কয়েকটি সহজ উপায়ে ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলেই আপনি জানতে পারবেন কিভাবে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করা যায়।
এছাড়াও আজকের পোষ্টের মধ্যে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হয়েছে আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পরতে পারলে আপনি প্রায় ১৩টি উপায়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে চলুন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেয়া যাক এবং জেনে নেয়া যাক অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কয়েকটি সহজ উপায়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কয়েকটি সহজ উপায়ে ইনকাম করার পদ্ধতি
- ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আয় করুন
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ভার্চুয়াল সহকারী হিসাবে ইনকাম করুন
- এসইও করে ইনকাম
- কন্টেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি
- ওয়েব ডিজাইন করে আয়
- মাইক্রো-ওয়ার্কার হিসাবে আয় করুন
- Fiverr এর মাধ্যমে আয়
- ইউটিউব থেকে আয়
- ই-কমার্স সাইট থেকে ইনকাম
- ডোমেইন ট্রেডিং করে অনলাইন ইনকাম
- ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করে ইনকাম
- স্টক এবং ফরেক্স ট্রেডিং করে আয়
- অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম
- সর্বশেষ কথা-অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কয়েকটি সহজ উপায়ে ইনকাম করার পদ্ধতি
ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আয় করুন
এডসেন্স এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পরে অনলাইন ইনকামের আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনি অস্থায়ী ভাবে পৃথিবীর নানা প্রান্তের বিভিন্ন ছোট/বড় সংস্থাগুলির সাথে কাজ করতে পারেন এবং তাদেরকে সেবা প্রদান করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ২টি উপায়
আপনি যে কাজে দক্ষ তার উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে মাসে $৫০০ থেকে $২০০০+ পর্যন্ত আয় করত পারেন। কন্টেন্ট লেখা, ওয়েব ডিজাইনার, গ্রাফিক ডিজাইন বা এসইও, ডেটা এন্ট্রি, এপস ডেভেলপমেন্ট এবং আরো অনেক ধরনের কাজ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করার জন্য আপনি ইল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ওয়ার্ক এন্ড হায়ার, আপ ওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ার এই ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোর যেকোন এক বা একাধিক সাইটে সাইনআপ করে কাজ শুরু করতে পারেন। তবে একটা কথা বলি যে কোন একটা কাজে দক্ষ হয়ে কাজ শুরু করুন। তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনার সফলতা কেউ আটকাতে পারবে না।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ভার্চুয়াল সহকারী হিসাবে ইনকাম করুন
একজন ভার্চুয়াল সহকারী একজন ব্যক্তিগত সহকারীর মতোই, পার্থক্য শুধু যিনি শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও অনলাইনে সহকারী হিসাবে কাজ করেন।
ভার্চুয়াল সহকারী হিসাবে আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তার ভিতর অন্যতম হল ওয়েবসাইট মনিটরিং করা, পরামর্শদান, কন্টেন্ট লেখা, প্রুফরিডিং, পাবলিশিং, মার্কেটিং, কোডিং, ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব রিসার্চ, স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং সহ আরও অনেক ধরনের কাজ।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করার জন্য অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেমন HireMyMom, MyTasker, Zirtual, uAssistMe, 123Employee । এগুলোতে সাইন আপ করে আপনি আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার শুরু করে দিতে পারেন।
এসইও করে ইনকাম
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও(SEO) হল অনলাইনে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি কাজ। আপনি যদি এসইও কাজ পারেন তবে আপনাকে অনলাইনে টাকা উপার্জন করার বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না।
অনলাইনে হাজার হাজার ওয়েবসাইট এবং কোম্পানি আছে যারা এসইওতে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার খরচ করে যাতে তাদের ওয়েবসাইটের কীওয়ার্ড গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনের সার্চে প্রথম দেখায়।
আপনি এসইও কাজ শিখতে চাইলে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এসইও কাজ শেখায় তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর নিজে নিজে শিখতে চাইলে ইউটিউবে এবং গুগলে হাজার হাজার লেখা আছে সেগুলো দেখে শিখতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি
ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জন করার অন্য আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হল বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট লেখা। আপনি বিভিন্ন ব্লগ, কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, পন্য নিয়ে লিখতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের লেখার জন্য কন্টেন্ট রাইটাররা বিভিন্ন পরিমানে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। তবে সাধারনত কন্টেন্ট রাইটাররা ৫০০ শব্দের কন্টেন্ট এর জন্য ৫ ডলার বা তারও বেশি অর্থ পেয়ে থাকেন।
আপনি কন্টেন্ট লেখার কাজ পেতে Elance, iWriter, WriterBay, FreelanceWriting, TextBroker, ExpressWriters.com, FreelanceWritingGigs.com মত সাইটে যেতে পারেন।
গত পর্বে আমরা দেখেছি অনলাইনে আয় করার বা ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়ার নির্ভরযোগ্য এবং সেরা ১০ টি উপায়। আজ আমরা দেখব অনলাইনে আয় করার সেরা ২১ টি উপায়ের বাকি ১১ টি উপায় বা পদ্ধতি। আসলে আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে বা একাধিক বিষয়ে এক্সপার্ট হন তাহলে আপনার অনলাইন আয় বা ইনকাম হবেই।
এজন্য শুধু দরকার সঠিক গাইডলাইন আর সঠিক পথে আয় করার চেষ্টা করা। আপনি অনলাইনে আয় করার কোন শর্টকার্ট উপায় পাবেন না। আপনাকে ধৈর্য ধরে একটানা কাজ করে যেতেই হবে। তাহলে ৬ মাস থেকে ১ বছর পরে দেখবেন আপনি অন্যদের ছাড়িয়ে অনেকদুর চলে এসেছেন। তো চলুন দেখে নেই অনলাইনে আয় করার সেরা ২১ টি উপায়ের বাকি ১১ টি উপায় বা পদ্ধতি। আর যারা প্রথম লেখাটি পড়েন নি তারা ঝটপট নিচের লিংক থেকে পড়ে নিন।
ওয়েব ডিজাইন করে আয়
আপনি যদি ভাল ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ পারেন তবে যেসব গ্রাহক তাদের নতুন ওয়েবসাইট তৈরি বা পুরাতন ওয়েবসাইট নতুঙ্করে সাজাতে চায়, তাদের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে আয় করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ৬টি সহজ মাধ্যম
যদি আপনার ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ জানা না থাকে তাহলে আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শিখুন এবং তারপর শুরু করুন। দিন দিন ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজের চাহিদা বাড়ছে কারণ এখন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানই চায় নিজেদের একটি করে ওয়েবসাইট। তাছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও দিন দিন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটের চাহিদা বাড়ছে। আপনি অফলাইন বা আপনার নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে প্রোমোশন করে কাজ পেতে পারেন।
মাইক্রো-ওয়ার্কার হিসাবে আয় করুন
যদি আপনি অনলাইনে সহজ কাজ খুঁজেন এবং মাসে ১০০ থেকে ২০০ ডলার ইনকাম করতে চান তবে মাইক্রো-ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করতে পারেন।
মাইক্রো-ওয়ার্কার হিসাবে আপনি বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন কাজ করতে পারেন যেমন একটি বস্তু সনাক্তকরণ, বিভিন্ন সাইটে রেটিং এবং মন্তব্য করা, ওয়েবসাইট ভিজিট করা, ভিডিও দেখা, কন্টাক ডিটেইলস খোঁজা, ছোট ধরনের ওয়েব রিসার্চ করা, ছোট কন্টেন্ট লেখা ইত্যাদি।
অনেক ওয়েবসাইট আছে যেমন mTurk, মাইক্রোওয়ার্কার, SEOClerk, ClickWorker, GigWalk যেখানে আপনি মাইক্রো-ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করতে পারেন এবং অতিরিক্ত আয় উপার্জন করতে পারেন।
Fiverr এর মাধ্যমে আয়
Fiverr.com এমন একটি ওয়েব প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার ডিজিটাল কন্টেন্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। Fiverr এর ওয়েবসাইটে যান এবং দেখুন আপনি ঠিক কোন ধরনের কাজ করতে পারেন। যে কোন একটি গিগস বা ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং ফিভার এ দিয়ে মানুষকে জানাতে পারেন আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে।
ফিভার এ যে কোন কন্টেন বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৫ ডলারে। তাই যদি আপনি মাত্র ১টি ডিজিটাল কন্টেন্ট বা সেবা ডেভেলপ করেন এবং এটি যদি প্রতিদিন ১বারও বিক্রি হয় তাহলে মাসে আপনি সর্বনিম্ন ১৫০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে আয়
বর্তমান সময়ে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় একটা ক্রেজি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী বা যা করতে ভালোবাসেন এমন যে কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও ধারন করা শুরু করতে পারেন এবং তা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। আপনার ইউটিউব চ্যানেল যে কোন বিষয় নিয়ে হতে পারে যেমন, কোন শিক্ষণীয় বিষয়, ভ্রমন, এন্টারটেইনমেন্ট সহ যে কোন কিছুই।
প্রফেশনাল ক্যামেরা লাইট, ক্রু, অভিনেতা নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে এমন কোন কথা নাই। এমন অনেক সফল ইউটিউবার আছে যারা শুধু তাহের হাতের স্মার্ট ফোন দিয়েই ভিডিও করে ইউটিউবে প্রকাশ করে সফল হয়েছে। অবশ্য এখন ইউটিউবের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আপনার চ্যানেলে যদি ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকে আর আপনার ভিডিওগুলোর মোট ৪০ হাজার ঘন্টা দেখা হয় তাহলে আপনি ইউটিউবে মানিটাইজেসন করে ইউটিউব থেকে ইনকাম শুরু করতে পারেন।
আপনাকে কেবল YouTube- এ নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং YouTube.com পার্টনার হতে হবে। ভাল ভিডিও হলে মানুষ দেখবেই আর যত বেশি ভিউ ততো বেশি অ্যাড থেকে রেভিনিউ।
ই-কমার্স সাইট থেকে ইনকাম
মানুষ দিন দিন খুব বেশি অনলাইন কেনা কাটার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ই-কমার্স সাইট বা অনলাইন মার্কেট প্লেসে জমজমা অবস্থা। আর তাইতো আমাজন আলিবাবার মত প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আজ পৃথিবীর সেরা ধনী। আপনি চাইলে নিজেই অথবা বন্ধু বান্ধব মিলে শুরু করতে পারেন নিজেদের ই-কমার্স সাইট।
আরো পড়ুনঃ লেখালেখি করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করুন
তবে ই-কমার্স সাইট করে সফল হতে হলে আপনাকে কিছু ট্রিক্স অবলম্বন করতে হবে। আপনার আসে পাশের সেই পন্য গুলো নিয়ে কাজ করুন যে গুলো এখনো অনলাইনে সচরচর পাওয়া যায় না। মানুষের দোরগোড়ায় ভাল মানের পন্য পৌঁছে দিন প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কেটের তুলনায় কিছুটা কম মূল্যে। সফলতার জন্য এই ২টি টিপস আপনাকে এগিয়ে রাখবে বাজারে।
বিশ্বাস করুন আপনি যত টা কঠিন ভাবছেন এটা করা তার থেকে অনেক সহজ শুধু আপনাকে শুরু করতে হবে এবং ধর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।
ডোমেইন ট্রেডিং করে অনলাইন ইনকাম
অনলাইনে ভাল অঙ্কের ইনকাম করার অন্যতম একটা উপায় হল ডোমেন ট্রেডিং বা ডোমেইন ব্যবসা যা আপনি অনলাইন করতে পারেন। তবে এই ব্যবসায় আপনাকে ডোমেইন কেনার জন্য কিছু বিনিয়োগ করতে হবে।
ডোমেইন ট্রেডিং এর ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে বিস্তারিত জেনে বুঝে তারপর শুরু করতে হবে। আপনি যদি না বুঝে এই লাইনে ইনভেস্ট করেন তবে আপনার পুরো টাকাটা লস হয়ে যেতে পারে। তাই আগে ডোমেইন ট্রেডিং কি, ভবিষ্যতে কোন ডোমেইন নাম এর চাহিদা হতে পারে এগুলো ভালভাবে রিসার্চ করে তারপর এই ব্যবসায় নামুন।
ডোমেইন ট্রেডিং এর জন্য আপনি ১০ ডলার বা তার কম মূল্যে গো-ড্যাড্ডি বা অন্য ডোমেইন হস্টার থেকে ডোমেইন কিনে রাখতে পারেন এবং ভবিষ্যতে তা শত শত ডলারে বিক্রি করতে পারেন।
তবে এই ব্যবসায় সফলতা পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপর। আপনাকে বুঝতে হবে ভবিষ্যতে কোন ডোমেইন নেম এর চাহিদা হবে এবং সেটা কিনে ফেলা। তারপর কোন প্রতিষ্ঠান যখন ঐ ডোমেইন কিনতে চাইবে সে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আর তখন দাম নির্ধারণ পুরোটাই আপনার হাতে থাকবে। এছাড়া বিভিন্য অনলাইন ডোমেইন নিলামে আপনি আপনার হাতে থাকা ডোমেইন গুলো উঠাতে পারেন এবং ভাল দামে বিক্রি করতে পারেন।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করে ইনকাম
ডোমেন ট্রেডিং এর মতই ওয়েবসাইট ফ্লিপিং অনলাইনে ডলার ইনকাম করার জন্য আরও একটি ভাল ব্যবসা। এখানে আপনি ডোমেইন বিক্রি করবেন না, বিক্রি করবেন ওয়েবসাইট।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং এর জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, তারপর এটি ৩ থেকে ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে বড় করুন এবং এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম শুরু করুন।
২-৩ মাস জন্য ইনকাম করার পরে, আপনি Flippa এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট ফ্লিপিং নিলামে সেই সাইটটি বিক্রির জন্য উঠাতে পারেন। আপনি সহজেই আপনার বানানো এই ওয়েবসাইটটি ১৫ থেকে ২০ গুন বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন।
স্টক এবং ফরেক্স ট্রেডিং করে আয়
স্টক ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং তাদের জন্য অনলাইন ইনকামের একটি অত্যন্ত লাভজনক উপায় যাদের স্টক ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কে ভাল ধারণা আছে।
ইন্টারনেটে স্টক ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং এর উপর বিনামূল্যে বা প্রিমিয়াম কোর্স পাওয়া যায় যেগুলির মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেডিংয়ের খুটি নাটি সহ সব জানতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন অর্থনৈতিক অনলাইন নিউজপেপার পরেও আপনি স্টক ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কে ভাল ধারণা পেতে পারেন। তবে হ্যাঁ যথেষ্ট জ্ঞান ছাড়া এই বাজারে প্রবেশ কর খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এটা মাথায় রাখবেন।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম
ছবি তোলা যদি আপনার পছন্দের হবি হয়ে থাকে তবে আপনার এই হবি দিয়ের মাসে হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন। আপনি আসেপাসের প্রকৃতি, স্থান, মানুষ, জিনিস, খাবার, সহ যে কোন কিছুর ভাল ছবি তুলুন এবং সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ করতে হয়
শাট্টারস্টক, ফোটোলিয়া, আইস্টকফটো, ফটোবিককেটের মত বড় বড় সাইটগুলি রয়েছে যেখানে আপনি আপনার তোলা ফটো জমা দিতে পারেন। যখনই কোনও গ্রাহক আপনার তোলা কোন ছবি কিনবে, আপনি আপনার ছবির নির্দিষ্ট মূল্য পেয়ে যাবেন।
সর্বশেষ কথা-অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কয়েকটি সহজ উপায়ে ইনকাম করার পদ্ধতি
এতক্ষণ যে পোস্টটি আপনি ধৈর্য সহকারে এমনকি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কয়েকটি সহজ উপায়ে ইনকাম করার পদ্ধতি এই সম্পর্কে। আশা করি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কয়েকটি সহজ উপায়ে ইনকাম করার পদ্ধতি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমাদের আজকের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার প্রশ্নের সমস্ত উত্তর গুলো আমরা দিতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়।
এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক আইডিতে এমন কি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কয়েকটি সহজ উপায়ে ইনকাম করার পদ্ধতি এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাগুলো পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url