ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ২টি উপায়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি এবং আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ২টি উপায় নিয়ে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাসমূহ গুলো।

online income

ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে আয় করতে চান অনেকে। কিন্তু কোন কাজ করবেন তা বুঝতে পারেন না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে- আপনি যে কাজটা ভালো পারেন সেটি খুব ভালো করে শিখে নিন। কারণ ক্লায়েন্ট বা যে কাজ দেবে সে আপনাকে ওই দক্ষতার সঙ্গে কাজটি করে দিলে তারপর টাকা দেবে। অনলাইনে কাজের সুবিধা হচ্ছে আপনাকে বাধা ধরা অফিসের নিয়ম মানতে হবে আর আয়ও বেশি। কিন্তু দক্ষ না হয়ে কাজে নামলে পদে পদে বিপদে পড়বেন। কিন্তু তা বলে হেরে যাবে না। ব্যর্থ হলেই শিখবেন। তো কোন কাজগুলো করে আয় করতে পারেন

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ২টি উপায়

নিজের ব্লগ সাইট তৈরি করে আয়

অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে স্বচ্ছ আর কার্যকরী উপায় হচ্ছে নিজের ব্লগ তৈরি। দুই উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়। একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি। ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে ব্লগ শুরু করতে পারেন। আবার চাইলে নিজে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ চালু করতে পারেন। তবে নিজে ব্লগ চালু করতে গেলে কিছু বিনিয়োগ করার দরকার হবে। 

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব থকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

ডোমেইন, হোস্টিং কিনতে হবে। নিজের ব্লগ শুরু করাটাই ভালো। কারণ, এতে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। বিজ্ঞাপন, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, পণ্যের পর্যালোচনা প্রভৃতি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। তবে, ব্লগ লিখে আয় করতে গেলে রাতারাতি আয় আসবে না। এ জন্য প্রচুর সময় ও ধৈর্য থাকতে হবে। অনেকের ব্লগ থেকে আয় করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যায়। ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেটসহ তা সক্রিয় রাখতে কাজ করে যেতে হয়।

নতুন ব্লগ তৈরি করুন জাহান্নামের দরজা জাহান্নামের সে

আপনি ফেসবুকে নানা বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন, সেটাকেই সমৃদ্ধ করে নিজেরে একটি পোর্টালে রাখুন। যদি নির্দিষ্ট বিষয় ধরে এগোতে পারেন তবে এটা সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে অল্পদিনেই। অল্প কিছু বিনিয়েোগের সুফল বছর খানেকের মধ্যেই পেতে শুরু করবেন। তবে, নতুন ব্লগিং শুরু করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিতে পারেন।

মনে রাখুন, এটা এক সময় শখ করে শুরু হলেও এটা এখন পেশা হিসেবেও নিতে পারে।। অনেক লেখক শুধুমাত্র ব্লগের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। শুধু তাই নয় এমন অনেক ব্লগার রয়েছেন যারা ব্লগিং করে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে যে পরিমাণ আয় করেন তা আপনার চিন্তারও বাইরে। তাই, কেউ যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে সেই বিষয়টি নিয়ে ব্লগের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু ব্লগিং শুরু করার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিয়ে রাখতে হবে।

ব্লগিং শুরু আগে শিখুন, পড়ুন, আপনার প্রিয় বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন। যে বিষয় ভালো পারেন শখের যে কোনো বিষয়কে আপনি ব্লগের বিষয়বস্তু হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ব্লগিং শুরু করার আগে যা যা জানা উচিৎ

নতুন ব্লগ শুরু করার আগে অবশ্যই পরিকল্পনার প্রয়োজন। এটা ব্লগের নাম ঠিকানা নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু করতে হবে। ব্লগিং শুরু করার আগে, ডোমেইনের নাম নির্বাচন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পাঠককে আকৃষ্ট করার জন্য ওয়েব সাইটের url একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আপনার ডোমেইনের নামই হবে, আপনার ওয়েবসাইটের ইউআরএল।

তাই, ওয়েব সাইটের url এমনভাবে নির্বাচন করতে হবে যাতে এটা সহজে মনে রাখা যায়। রাশেদুল ইসলাম পাভেলের আপনার ব্লগের ডোমেইন নেম যেমন হওয়া উচিৎ লেখাটি পড়ে নিলে আপনি পুরোপুরি বুঝে যাবেন আপনার ব্লগের ডোমেইনের নাম ঠিক করবেন কীভাবে।

ব্লগের নাম থেকে সবাই এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা করে থাকে, তাই ব্লগের বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত নাম নির্বাচন করতে হবে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র বিষয়বস্তু নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্লগের বিষয়বস্তু নির্বাচন সাধারণত দুইভাবে করতে দেখা যায়।

  • আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী হন সে বিষয়ে আপনি ব্লগ তৈরী করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তু স্বতন্ত্র বা অন্যদের থেকে আলাদা হলে ব্লগের জনপ্রিয়তার জন্য ভালো।
  • যে কোনো জনপ্রিয় বিষয়কে নির্বাচন করা। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর নির্বাচনের জন্য গুগলের সহায়তা নিতে পারেন। Google সার্চ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত সহযোগিতা পাবেন। কিন্তু এতে প্রচুর প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে, তাই ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

একাধিক বিষয়বস্তু নির্বাচন না করে, যে কোন একটি বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত। জনপ্রিয় ব্লগের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই এগুলো যে কোনো একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। ব্লগের উপাদান অবশ্যই তথ্যবহুল হতে হবে যাতে পাঠক ব্লগ থেকে উপকৃত হয়।

ব্লগের হোস্টিং

অধিকাংশ ব্লগার wordpress.com এবং blogger.com হোস্টিং হিসেবে ব্যবহার করে। ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগারে বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে। সবচেয়ে বড় সুবিধা, এগুলো বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় এবং পরবর্তীতে অর্থের বিনিমযয়ে এদের বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করা যায়। এগুলো ব্লগের জন্য খুব সহজ প্ল্যাটফর্ম, যে কেউ ব্যবহার করতে পারে এবং খুব অল্প সময়েই এগুলোতে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। 

এছাড়াও কিছু হোস্টিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কিনা খুব কম অর্থের বিনিময়ে ব্লগারদেরকে হোস্টিং এর ব্যবস্থা করে থাকে। এর জন্য ব্লগারদের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানার কোনো প্রয়োজন নেই।ফ্রি ব্লগিং সাইটগুলোর, যেমন ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেসে ফ্রি ওয়েবসাইটের কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এই কারণে ওয়েব সাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে সাথে কিছু সমস্যা হতে পারে। সেই সময় paid service ব্যবহার করাই সবচেয়ে উত্তম। কিন্তু প্রাথমিকভাবে শুরু করার জন্য এবং ব্লগিংকে বোঝার জন্য ফ্রি সার্ভিস দিয়ে শুরু করাই সবচেয়ে ভাল।

ব্লগিং থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য গুগল অ্যাডসেন্স এবং amazon.com সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। বিশ্বের বড় বড় ব্লগাররা এই মাধ্যম দুটো ব্যবহার করে থাকে। এই সাইটের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের লিংক ব্লগে প্রদর্শন করে থাকে।

গুগলের কিছু নীতিমালার কারণে অ্যাডসেন্সে অ্যাকাউন্ট খোলা বর্তমানে খুব জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অনেকেই এটার ভুক্তভোগী। এর মূল কারণ হচ্ছে ব্লগ পর্যাপ্ত তথ্য সমৃদ্ধ না হওয়া। এর জন্য আপনার ব্লগের কনটেন্ট কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায়

ব্লগের বিষয়বস্তু তথ্যবহুল এবং অন্য ব্লগের থেকে আলাদা হতে হবে। ব্লগের প্রত্যেকটা article এক হাজার শব্দের বেশি হলে ভালো হয়। এরপর ভালোভাবে ব্লগের বিষয়বস্তু এবং টেম্পলেটকে সাজিয়ে অ্যাডসেন্সের জন্যে অ্যাপ্লাই করতে হবে। অ্যাপ্লাই করার আগে ৩ পর্বের অ্যাডসেন্স পাওয়ার ১০০% গ্যারান্টি লেখাটি পড়ে নিন।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে উপার্জনের সুযোগ প্রদান করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী যখন ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন থেকে কোন পণ্য ক্রয় করে তখন সেই পণ্যের একটা নিরদিষ্ট লভ্যাংশ amazon ব্লগারকে প্রদান করে থাকে। এর মাধ্যমে আপনার ব্লগ থেকে যত পণ্য বিক্রয় হবে আপনি তত লাভবান হবেন।

ব্লগের প্রচারণা

নতুন ব্লগের উন্নতির জন্য এর প্রচারণাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব কম সংখ্যক ব্লগই গুগল এর মাধ্যমে প্রদর্শিত হয় বিশেষ করে প্রাথমিক অবস্থায়। তাই ব্লগিংয়ের প্রচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রত্যেকটা নতুন ব্লগের পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক-টুইটারে শেয়ার করা উচিৎ। তবে একটা পোস্ট একাধিকবার শেয়ার না করা ভালো, এতে সবাই বিরক্ত হতে পারে।

এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে ব্লগের প্রচারণা বৃদ্ধি করতে পারেন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফোরাম এবং ওয়েবসাইটে আপনার ব্লগ এবং ব্লগের আর্টিকেল এর পোস্ট শেয়ার করে প্রচারণা করতে পারেন।

তবে প্রাথমিক অবস্থায় চর্চার জন্য ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম দিয়ে শুরু করতে পারেন। কিন্তু এরপর ব্লগিংয়ের প্রসারের জন্য আপনাকে domain name এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। সেই সাথে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে এবং ধৈর্যধারণ করতে পারলেই আপনি সফল ব্লগার এ পরিণত হবেন।

বাংলা ব্লগ সাইট ও সম্ভাবনা

যাঁরা কোন ভাষায় ব্লগ লিখবেন বুঝতে পারছেন না, তারা জেনে রাখুন বাংলায় ব্লগ করে এখন আয় করতে পারেন। যদিও গুগল অ্যাডসেন্সে আয় করা খুব কঠিন। তবে আপনার সাইটের যদি ফেসবুকে জনপ্রিয় হয় তবে ইনসট্যান্ট আর্টিকেল থেকে আয় করতে পারবেন। তবে নিজের ব্লগ খোলার আগে লেখালেখি অনুশীলন করতে পারেন। টেকজানো (https://www.techjano.com/) নতুনদের লেখার সুযোগ দেয়।

কোথায় কিনবেন ডোমেইন হোস্টিং, দাম কেমন

দেশের অনেক ডোমেইন হোস্টিং বিক্রেতা সাইট আছে। এর মধ্যে যারা ভালো সার্ভিস দেয় তাদের কাছ থেকে নেবেন। নিজের নামে , নিজের অ্যাকাউন্টে বুঝে নেবেন, তা না হলে ঝামেলা হতে পারে। ডটকম নেওয়ার চেষ্টা করবেন। দাম ১০ ডলারের মতো, শুরুতে ২ হাজার টাকার মধ্যে ডোমেইন হোস্টিং কিনে সাইট তৈরি করে কাজ চালাতে পারবেন। ভালো ডোমেইন সার্ভিস দেয় https://www.servermore.com/, https://www.exonhost.com/, http://www.emythmakers.com/, ইত্যাদি। এসব সাইটে প্যাকেজ দাম দেওয়া থাকে দেখে নিতে পারেন।

কোথায় শিখবেন

ব্লগিং নিয়ে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে আলোচনা হয়, এর মধ্যে ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ সক্রিয় বেশি। এখানে কিছুদিন সময় দিলে অনেক কিছু জানতে পারবেন। সার্চ ইংলিশ গ্রুপে সময় দিলে ইংরেজি চর্চা করতে পারবেন। এ ছাড়া এ বিষয়ে সফলদের পরামর্শ আপনাদের কাজে লাগবে।

ব্লগিং শুরু করার আগে চাইলে কোর্স সেরে নিতে পারেন। বিশেষ করে এসইও কোর্স কাজে লাগবে। বিআইটিএম, ক্রিয়েটিভ আইটিসহ অনেকে প্রতিষ্ঠানে কম খরচে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।

গ্রাফিকস ডিজাইন করে আয়

অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন ভালো উপায়। যাঁরা এ কাজে দক্ষ তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাদের আয় আসে। তাদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়। অর্থাৎ, একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিক ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।

গ্রাফিক ডিজাইন কি

গ্রাফিক ডিজাইন কি আতা ভাল ভাবে বুঝার জন্য আগা জানতে হবে Visual Communication কি। কেননা গ্রাফিক ডিজাইন টা Visual Communication এর একটা পার্ট। Visual Communication হল চোখ / EYE এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা বা কোন তথ্য শেয়ার করা একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সাথে। আপনি টিভি দেখেন, ছবি তুলেন কেমরা দিয়ে, সাইন বোর্ড দিয়ে আপনার পন্নের বিজ্ঞাপন দেন, সুন্দর বিয়ের কার্ড দিয়ে প্রিয় জনকে বিয়েতে দাওয়াত করেন – এগুলো সব এ হল Visual Communication। তো Visual Communication এরি একটা পার্ট হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। 

গ্রাফিক ডিজাইন এর নামকরন হয়েছিল গ্রাফ থেকেই। আমরা স্কুল এ পরার সমই গ্রাফ করেছি যার প্রধানত ২ টা exis থাকে। কম্পিউটার এ আপনি যখন কোন ডিজাইন করেন কম্পিউটার আপনার ডিজাইন element এর অবস্থান হিসেব করে এই গ্রাফ আর মাধ্যমে। এই খান থেকেই গ্রাফিক ডিজাইন এর নাম করন।

গ্রাফিকস ডিজাইন কোথায় শিখবেন? কোথায় কাজ পাবেন?

অনেকেই গ্রাফিকস ডিজাইন শিখতে চান। তা চাইতেন পারেন। বতমান বিশ্বে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন একটি খাত। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের এ খাতে ভালো করার উদাহরণ আছে। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছিলেন, এ খাতটি আরও চাহিদাসম্পন্ন হবে দেশ বিদেশে। ঘরে বসে মেয়েরাও এটি শিখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি নানা সুযোগ ‍সুবিধা পাওয়া যাবে। তো কেমন করে কিভাবে শিখবেন গ্রাফিকস ডিজাইন?

আরো পড়ুনঃ ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ করতে হয়

শুরু করি, একেবারে প্রথম থেকে। আগে মন ঠিক করুন যে গ্রাফিকস ডিজাইন শিখবেন। এরপর ধৈয্য ধরা শিখুন। মনে করবেন, এক লাফে, একদিনে বা একমাসে আপনি ডিজাইনার হবেননা। আপনার কমপক্ষে ছয় মাস খেকে এক বছরের নিবিড় সাধনা আর অক্লান্ত পরিশ্রম লাগবে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে অমিত কল্পনা। আঁকার হাত, কালারের সেন্স। ধরে নিলাম এগুলো সব আপনার আছে।

এরপরের কাজ হবে আপনার অনেক লেখাপড়ার মনোনিবেশ কড়া। ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা। পারলে কোনো আট শেখা। এগুলো আপনার গ্রাফিকস শিখতে দারুণ কাজে লাগবে।

আপনার বেশ কিছু ইনভেস্ট লাগবে। সময়ের কথা আগেই বলেছি। লাগবে কিছু টাকা পয়সা। ট্রেনিং বাবদ কিছু যাবে। ভালো ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, নেট দ্রুতগতির লাগবে। যে পিসিতে অ্যাডোব ইলস্ট্রেটরের একেবারে নতুন সংস্করণ (সিসি ২০১৭), ফটোশপ, ইনডিজাইন চলবে এমন পিসি হতে হবে।

ধরে নিলাম এগুলো রেডি, এবার তাহলে প্রস্তুত হন।পিসিতে সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করে নিন। যাঁরা আসল পাবেন না, তারা অন্তত ক্র্যাক দেওয়া শিখতে পারেন। সফটওয়্যার যেন ঠিকমতো চলে সেটি নিশ্চিত হন। গাফিক্স ডিজাইন কোথায় শিখবেন এবং কোথায় কাজ করবেন? দুই ভাবে শিখতে পারেন।

মনে রাখবেন, আপনিই আপনার শিক্ষক। আপনি না শিখলে কেউ শেখাতে পারবে না। এজন্য নিজে শেখা গুরুত্বপূণ। শেখার পদ্ধতি:

  • অনলাইন
  • অফলাইন

অনলাইন

এখন ইউটিউবসহ বিভিন্ন টিউটোরিয়ালে গ্রাফিকসের খুঁটিনাটি দেওয়া আছে। যারা ইংরেজি পারেন, অবশ্য আপনাকে ইংরেজি টাও শিখতে হবে প্রচুর। কারণ গ্রাফিকসের অনেক টাম আছে ইংরেজিতে। এগুলো একেবারে বেসিক থেকে শুরু করতে পারেন।যখন কোনো কিছুতে আটকে যাবেন গুেগলের সাহায্য নিন। বা পরিচিত যিনি পারেন তার সাহায্য নিন। করি,এখনকার google.com এ Graphic Design Tutorial লিখে জাস্ট সার্চ দিয়ে দেখুন। 

কত শত শত Tutorial আপনার জন্য আপেক্ষা করছে। বেছে নেবার দায়িত্ব আপনার। এছাড়া অনেক অনেক international মানের institute আছে, যারা অনলাইন এর মাধ্যমে ট্রেনিং দিচ্ছে সাথে সারটিফিকেট ও। যেটা marketplace গুলোতে কাজের জন্য খুব দরকার। আজকে এরকম কিছু সাইটের url-link নিচে দেওয়া হল। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।

Online Graphic Design Courses for Beginners

এগুলো বুঝতে অসুবিধা হলে ইউটিউব ভিডিও দেখা শুরু করতে পারেন। ধারাবাহিকভাবে ভিডিও দেখে চচা করতে থাকুন। বাজারে ইলাস্ট্রেটরসেহ বিভিন্ন ডিজাইনের জন্য বই ও সিডি আছে। সেগুলো দেখেও শিখতে পারেন।

তবে, প্রথমে কোন ট্রেনিং সেন্টার বা প্রশিক্ষকের অধীনে শিখলে ভালো শেখা যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা সত্যি আন্তরিক ভাবে শেখায়। এছাড়া সরকারি ভাবে বেশ কিছু scholarship ছাড়া হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর মধ্যমে। ভর্তি প্রক্রিয়া তুলনামুলুক সাহজ। খোঁজ-খবর রেখে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখতে হলে প্রথমত আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ধরতে হবে । ভালোভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চাইলে কোন ট্রেনিং সেন্টারে কোর্স করতে পারেন । এতে আপনার পক্ষে বিষয়টা একটু সহজ হবে তবে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় হবে। আর যদি আপনি নেট ঘেটে বিভিন্ন টিউটোরিয়েল পড়ে শিখতে চান তবেও সম্ভব এর জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে কারন এগুলোর টিউটোরিয়েল ইংরেজিতেই বেশি পরিমাণে থাকে। 

যদি ইংরেজি না পারেন তবে দেরি না করে, এখন থেকেই ইংরেজি শেখা শুরু করে দিন । গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার নেটে প্রচুর ইংরেজি টিউটোরিয়াল পাবেন । কিন্তু যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কিছু না পারেন তাহলে http://Psd.Tutsplus.com এই সাইটি থেকে শেখা শুরু করতে পারেন । তাছাড়াও ইউটিবে সার্চ করে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল পাবেন । সেগুলো দেখাও শেখতে পারবেন তবে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম, ধৈর্য, সময় ব্যয় করতে হবে এর পিছনে।

অফলাইন

ট্রেনিং করবেন তো কোথায়? আসলে নির্দিষ্ট করে গ্রাফিকস ডিজাইনের প্রতিষ্ঠানের নাম বলা কঠিন। সব প্রতিষ্ঠানেই কিছু না কিছু কোনো না কোনোভাবে শেখায়। কারোটা সহজ আবার কারোটা একটু জটিল। ট্রেনার ভালো হলে খুব ভালো শেখা যায়। পরে নিজে ট্রেনার পর্যন্ত হওয়া যায়।

এখন ঢাকা শহর সহ দেশের আনাচে-কানাচে আনেক গ্রাফিকস ডিজাইন ট্রেনিং দেওয়া হয়। প্রতিটি শহরে মফস্বলেও আছে ট্রেনিং পাঁচ হাজার ২০,০০০ টাকায় শিখতে পারেন। মানসম্মত ট্রেনিং পেলে এবং নিজের চেষ্টায় নতুন নতুন কাজ করতে থাকুন। শুরুতেই টাকার পেছনে ছুটবেন না। ডিজাইনে পারফেকশন আনার লক্ষ্য হওয়া উচিত। টাকা আপনার পেছনে ছুটবে।

সরকারিভাবে জেলা শহরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে গ্রাফিকস শেখানো হয়। ট্রাই করতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো প্রাথমিকভাবে গ্রাফিকস শেখার বেসিসের বিআইটিএম। সরকারি এসইআইপি প্রজেক্টের অধীনে থাকায় প্রশিক্ষণ আবার টাকাও পাওয়া যায়। তবে এখানে ভর্তির জন্য আগে অনলাইনে অ্যাপ্লাই করতে হয়।প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে। অনেক দেরিতে ডাকে। ট্রাই করতে পারেন https://bitm.org.bd/seip/seip লিংক থেকে। 

এরপর গ্রাফিকসের জন্য ক্রিয়েটিভ আইটি (https://www.creativeit-inst.com/) ভালো শেখায়। ট্রাই করতে পারেন http://coderstrustbd.com/ সাইটে। অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে শেখায়। সেগুলো গুগলে দেখে নিতে পারেন। এ প্রতিষ্ঠানের তালিকা পরে আরও বড় করে আপডেট করব। এবার আসি গ্রাফিকস ডিজাইনের কথায়,

রঙের ওপর নির্ভর না করে শুধু মনের নান্দনিকতাকে বিভিন্ন পরিকল্পনা বা নকশার মাধ্যমে উপস্থাপন করার নামই গ্রাফিক্স ডিজাইন। খুব সাধারণ সংজ্ঞায় বলতে চাইলে, কোনো আঁকা ছবি, ইমেজ কিংবা অক্ষর শিল্পকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে।

কোনো সৃজনশীল কাজের প্রাথমিক যে খসড়া রচিত হয়, তার পুরোটাই গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রধান ক্ষেত্র। কোনো কিছুকে শিল্পসম্মতভাবে পরিবেশন করতে গ্রাফিক্সের বিকল্প নেই। গ্রাফিক্সের কাজ করতে গেলে ডিজাইনটিকে অবশ্যই ছাপা উপযোগী করে তৈরি করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ লেখালেখি করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করুন

আপনাকে মনে রাখতে হবে, গ্রাফিক ডিজাইনের সফল পরিসমাপ্তিই হচ্ছে কাগজ কিংবা ভার্চুয়াল পাতায় এটির প্রকাশ পাওয়া। এজন্য কাগজ কিংবা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন মাপজোখ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তবে প্রথমেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কাজে নেমে হাতে-কলমে করতে করতে ব্যাপারগুলো এমনিতেই আপনার আয়ত্তে এসে যাবে। আর কাজ শিখলে দেশে-বিদেশে অসংখ্য ক্ষেত্রে কাজ করা যাবে। এছাড়া আউটসোর্সিং পেশায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এ গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশায়।

কাজের ক্ষেত্র

গ্রাফিক ডিজাইন ব্যাপারটির সঙ্গে বাণিজ্যের একটা ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। কাজটা শেখা মাত্রই আপনার সামনে উপার্জনের নানা পথ উন্মোচিত হয়ে পড়বে।

বর্তমান যুগের কোনো জিনিসটির সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোনো যোগসূত্র নেই খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের পরিধেয় কাপড়-চোপড় তৈরি থেকে শুরু করে বাড়ি-গাড়ি, পণ্যের মোড়ক, টাইলসের কারুকার্য, মডার্ন পেইন্টিং, বুক কভার, স্টিকার, বিজ্ঞাপন, ক্যালেন্ডার, সফটওয়্যার ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এনিমেশন, টেক্সটাইল ডিজাইন ইত্যাদি সব কাজেই গ্রাফিক ডিজাইন অনস্বীকার্য। চাইলেই যে কোনো অফিস, ব্যাংক-বীমা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও বিভিন্ন কর্পোরেট হাউসগুলোতে চাকরি পেয়ে যেতে পারেন। আবার কারও অধীনে কাজ না করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিংও করতে পারবেন আপনি।

গ্রাফিক্স ডিজাইনে চাকরি আছে

জুনিয়র লেভেলে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। এক বছর কোনো রকম লেগে থাকতে পারলে ১ লাখ পর্যন্ত বেতন হবে। চাকরির ওয়েবসাইটে (বিডিজবস, চাকরি ডটকম) ক্রিয়েটিভ আর ডিজাইন সেকশন কয়েকদিন খেয়াল করুন।

কাজ পাবেন

বড় ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বড় প্রজেক্ট পাবেন। এ ছাড়া এথন সব প্রতিষ্ঠানেই ডিজাইনারের চাহিদা আছে। বিশেষ করে যাঁরা ডিজাইনের পাশাপাশি ইংরেজিতে প্রেজেন্টেশন দিতে পারেন এবং কনটেন্ট লিখতে পারেন তাঁরা লাখ টাকা পযন্ত বেতন পাবেন শুধু দেশে। বিশ্বাস না হলে, একবার বিডিজবস ডটকম ও চাকরি ডটকমে চেক করে আসুন।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার করা যে কোনো ডিজাইন, হতে পারে সেটা একটা ভিজিটিং কার্ড, বিক্রি হতে পারে হাজার ডলারে। আর টাকার বিনিময়ে কারও কাজ করে দেয়ার সুযোগ তো থাকছেই।

পড়াশোনা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারে। এছাড়া সরকারি গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউট অনেক আগে থেকেই সুনামের সঙ্গে গ্রাফিক্সের ওপর শিক্ষা দিয়ে আসছে। বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন গ্রাফিকসে পড়ার সুযোগ আছে।

শুরু করবেন কিভাবে

ফটোশপ ডিজাইন তৈরি শেখাটাই হতে পারে এই শিক্ষার প্রথম ধাপ। ফটোশপে শেখা যায় কিভাবে বিভিন্ন ছবির নানা অংশ কেটে-ছেঁটে নতুন ক্যানভাসে মাস্ক করে ছবি তৈরি করতে হয়; বিভিন্ন ইফেক্ট, যেমন—সেডিং, কনট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণ, আলো ও রাত নিয়ন্ত্রণসহ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড বানানো; ছবির বিভিন্ন অংশের ওপর লেখা, মিডিয়া ও অন্যান্য রঙের প্রলেপে আবহ তৈরি; গ্রাফিক্স পেইজকে স্লাইস করা এবং এসবের সমন্বয় করা হয় সফল গ্রাফিক্স সম্পাদনার মাধ্যমে। স্টাইল সিট শিখতে পারলে ওয়েব ডিজাইনিং অনেকটাই শেখা হয়ে যায়। যেকোনো কিছু ছাপানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর।

আউটসোর্সিংয়ে খুব ব্যবহৃত হয় ইন ডিজাইনিং। এটি ব্যবহার করে ওয়েব পেইজের রূপরেখা সম্পাদন; লেখা, রং ও গ্রাফিক্স মিডিয়ার প্রয়োগে দারুণ পেইজ ডিজাইন করা সম্ভব। বলা বাহুল্য, ওডেস্কে এ ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি কাজের সুযোগ রয়েছে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের পাশাপাশি অ্যাডোব ফ্লাশ অ্যানিমেশন শিখে নিতে পারলে হয়ে ওঠা যাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ পেশাদার গ্রাফিক্স ডিজাইনার। মাল্টিমিডিয়া অ্যানিমেশনের কাজ হলো—কিভাবে ফ্রেম তৈরি করতে হয়; ফ্রেমে বিভিন্ন মিডিয়ার সংযোজন; টেক্সট, গ্রাফিক্স ও মিডিয়ার সঙ্গে সময়ের সফল নিয়ন্ত্রণ, যাতে ফুটে ওঠে অ্যানিমেশনের জীবন্ত প্রতিরূপ; নানা ধরনের অ্যাফেক্ট সংযুক্ত করে অ্যানিমেশনকে বাস্তবের ছোঁয়া দেওয়া। কম্পিউটার গেইম, শিক্ষামূলক সফটওয়্যার ও ইন্টারনেটভিত্তিক মিডিয়া তৈরিতে এই অ্যাডোব ফ্ল্যাশ অ্যানিমেশনের জুড়ি মেলা ভার। এবার তাহলে জেনে নেই গ্রাফিক্স ডিজাইন দ্বারা যে কাজ গুলো সচরাচর করা হয়।

ফটো এডিটিং, রিটাচিং, ম্যানিপুলেশন, লোগো ডিজাইন, ওয়েব টেমপ্লেট, বাটন, ব্যানার, অ্যাড ব্যানার, বিজনেস কার্ড, বুক ডিজাইন, বশিউর, বিলবোড, প্যাকেজিং, পোস্টার, ম্যাগাজিন লেআউট, নিউজপেপার, কাড, পোস্টকাড, ফ্লায়ার

ডিজাইনার এর কি কি বিষয় আসলেই জানা উচিত

গ্রাফিক বা ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু থিওরি জানতে হবে। অবশ্য খালি জানলেই হবেনা বুঝতে ও হবে। তবে আগে জানুন। কারন আপনি একটা থিউরি পড়লেন কিন্তু বুঝলেন না। যদি আপনার সিনিয়র কোন ডিজাইনার এর সাথে পরিচয় থাকে তার সাথে আলাপ করুন। বা ইন্টারনেট এ ঘাটাঘাটি করুন।

প্রিন্ট / ওয়েব মিডিয়া কি

গ্রাফিক বা ওয়েব ডিজাইন এর ক্ষেত্রে মিডিয়া মুলত ২ প্রকার। একতা হল প্রিন্ট মিডিয়া এবং অন্য টা হল ওয়েব মিডিয়া। আপনার জেই ডিজাইন টা প্রিন্ট হবে সেটা আপনাকে অবশ্যই প্রিন্ট মিডিয়া র জন্য রেডি হতে হবে। অর্থাৎ কোন ডিজাইন প্রিন্ট দেবার জন্য একটা নিরদিস্থ কালার সেটিংস্‌ এবং রেজোলিউশান লাগে। আবার ওয়েব মিডিয়া র জন্য যখন আপনি ডিজাইন করবেন তখন ওয়েব বা স্ক্রীন মিডিয়া উপযুক্ত ডিজাইন করতে হবে যার কালার সেটিংস্‌ এবং রেজোলিউশান প্রিন্ট মিডিয়া থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। 

ওয়েব মিডিয়া তে কাজ করতে হলে আপনাকে ডিজাইন করতে হবে ৭২ ডিপিআই বা 72 Pixels/Inch তে। আর ওয়েব মিডিয়া র জন্য কালার mode হল RGB (Red, Green, Blue). অন্যদিকে প্রিন্ট মিডিয়া র জন্য আপনাকে ডিজাইন করতে হবে ৩০০ ডিপিআই বা 300 Pixels/ Inch তে। প্রিন্ট মিডিয়া র কালার mode হল CMYK (Cyan, Magenta, Yellow and Key Color) .এসব সম্পর্কে ধারনা পরিস্কার হবার জন্য Color Theory পড়তে হয়।

72 DPI বা 72 Pixels/Inch কি? আবার 300 DPI বা 300 Pixels/ Inch ই বা কি?

পিক্সেল বলতে কোন গ্রাফিক ছবির ক্ষুদ্রতম অংশ বা বিন্দুকে বোঝায়। মানব দেহ যেমন অগনিত কোষ এর দ্বারা তৈরি, একটি স্ক্রীন ডিজাইন ও অনেক গুলো পিক্সেল দ্বারা তৈরি। পিক্সেল দেখতে বরগক্ষেত্রের মত। তাহলে 72 Pixels/Inch হল ১ ইঞ্চি তে ৭২ টা পিক্সেল।অনুরুপ 300 Pixels/ Inch হল ১ ইঞ্চি তে ৩০০ টা পিক্সেল। পিক্সেল কে ডট ও বলা হয়। DPI হল Dot Per Inch. ১ ইঞ্চি তে পিক্সেল এর ঘনত্ব যত বেশি হবে একটি ছবি বা স্ক্রীন ডিজাইন ততই ভাল কোয়ালিটির হবে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ৬টি সহজ মাধ্যম

আপনারা দেখে থাকবেন, ডিজিটাল ক্যামেরা গুলতে মেগা পিক্সেল হিসেবে ক্যামেরা এর দাম নিরধারন হয়। এই মেগা পিক্সেল হল ১*১০০০ পিক্সেল = ১ মেগাপিক্সেল এবং অনুরুপ ভাবে ১২ মেগা পিক্সেল মানে ১২০০০ পিক্সেল। অর্থাৎ কোন ১২ মেগা পিক্সেল এর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললে, ঐ ছবিটার প্রতি বর্গইঞ্চি তে ১২০০০ টা পিক্সেল থাকবে। তাহলে স্বাভাবিক কারনেই ছবিটার কুয়ালিত্য ভাল হবে।

এই হল pixel এর প্রাথমিক ধারনা যা একজন ডিজাইনার এর না জানলেই নয়। পিক্সেল সম্পর্কে না জানলে ওয়েব এ কাজ করতে পারবেন না। প্রিন্ট ডিজাইন এ সাধারনত আমাদের দেশে ইঞ্চি একক টা বেশি ব্যাবহার হয়। তাই প্রিন্ট এ কাজ করতে গেলে পিক্সেল এর ধারনা খুব একটা হইত কাজে লাগেনা কিন্তু ওয়েব এ প্রতিটা পিক্সেল এর গুরুত্ব অনেক।

কি কি Theory জানতে হবে ?

  • History of Design/Graphic design or History of ART.
  • Different Design/Art Movements
  • Color Theory
  • Typography
  • Principles of Design
  • Modern Graphic/Web design trends
  • Grid based design theory
  • Principles of UI (User Interface) Design or UX (User Experience Design)
  • Usability Rules

গ্রাফিক্সি ডিজাইনের দুনিয়া অনেক বড়। একজ শিল্পী, একজন ডিজাইনার নিজের মতো করে জগত তৈরি করেন। যত সুন্দর তিনি করতে পারেন তাঁর জগতটাকে, তার কি কোনো কিছুর অভাব হয়?

সর্বশেষ কথা-ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ২টি উপায়

এতক্ষণ যে পোস্টটি আপনি ধৈর্য সহকারে এমনকি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ২টি উপায় এই সম্পর্কে। আশা করি আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ২টি উপায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।

যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমাদের আজকের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার প্রশ্নের সমস্ত উত্তর গুলো আমরা দিতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক আইডিতে এমন কি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ২টি উপায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাগুলো পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url