প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের ব্যবহৃত ১০০+ দোয়া সমূহ গুলো জেনে নিন

প্রিয় পাঠক. আজকের এই আর্টিকেলটি প্রতিদিনের ব্যবহৃত বিভিন্ন দোয়া সমূহ সম্পর্কে। এ পোষ্টের মধ্যে আমরা প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে যে সমস্ত দোয়াগুলো ব্যবহৃত হয় সেই সমস্ত দোয়া গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

dua

এছাড়াও আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ এর সাথে বাংলা অনুবাদ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে প্রায় ১০০ প্লাস এর উপরেও আপনি দোয়া পাবেন যে দোয়াগুলো প্রতিদিনে ব্যবহৃত হয়।

পোস্ট সূচীপত্রঃ প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের ব্যবহৃত দোয়া সমূহ

তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিতভাবে যে প্রতিদিনের কাজের মাধ্যমে যে সমস্ত দোয়াগুলো আমরা ব্যবহার করে থাকি সেই সমস্ত দোয়াগুলো বাংলা উচ্চারণ এবং বাংলা অনুবাদ সহ। নিম্নে দেয়া দোয়াগুলো আপনি সম্পূর্ণটাই মুখস্ত করে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি সম্পন্ন করে নেয়া যাক এবং জেনে নেয়া যাক প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের ব্যবহৃত দোয়া সমূহ সম্পর্কে।

০১। ঔষধ হাতে নিয়ে দোয়া

একদা এক লোক ইমাম আঃ কে এসে বলল সে সর্বদা যে কোন ধরনের অসুখ বা ব্যথায় আক্রান্ত এবং কোন ঔষধ সেবনে ও কোন আরোগ্য নেই, তখন ইমাম আঃ খাক-এ-শিফা হাতে নিয়ে নিন্ম দোয়াটি পড়তে বললেনঃ

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলোকা বেহাক্কে হাযেহি ততিনাতে ওয়াবে হাক্কিমা লেকিল লাযি আকহাযাহে বেহাক্কিননা বিইল লাযিতাব যাহা ওয়াবে হাক্কিল ভাসল ইল হাল্লা ফিহা সাল্লে আলা মোহাম্মাদিন ওয়া আহলে বায়তেহি ভাযাল ই ফিহা আম্মিন কুল্লে দাইন ওয়া আমমামা মিন কুল্লে খাবফিন"।

আরো পড়ুনঃ ইসলামিক বিয়ে পড়ানোর নিয়ম

০২। ঔষধ খাওয়ার সময় দোয়া শুধুমাএ এক চিমটি খাক-এ-শিফা মুখে খাওয়ার আগে নিন্ম দোয়াটি পড়তে হবেঃ

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলোকা বেহাক্কিল মাল আকেল লাযি কাবযাহা ওয়া আসালোকা বেহাক্কিন নাবীইল লাযি খাযানাহা ওয়া আসালোকা বেহাক্কিল ওয়াসি ইললাযি হাল্লাফিহা আনতো সাল্লি আলা মোহাম্মাদমাদিন ওয়া আনতায় আলি হাশিফা আমমিন কুল্লেদা—ইন ওয়া আমানা মমিন কুল্লেসু—ইন।”

০৩। নতুন ঘর/বাড়ী তৈরীর সময়

হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন যে কেউ যখন নতুন ঘর/বাড়ী তৈরীর সময় অবশ্যই যেন একটিস্ বাস্থ্য সবল ভেড়া কোরবানী দেয় এবং মাংস গরীব/এতিম বন্টন করে এবং নিন্ মদোয়াটি পড়তে হবে ঃ

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লাহুম্মার হাম ইন্নি মারা দাতাল জিন্নে ওয়াল ইনসে ওয়াস ইয়াতিনা ওয়া বারিক লি ফি বে-না-ই"।

০৪। প্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বের হবার দোয়া

ইমাম আলী আঃ থেকে বর্ণিত যখন কোন ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে সে অবশ্যই যন পড়ে “আস সালামু আলাইনা মিনা রাব্বেনা”। যখন সে ঘরে থাকবে সে যাতে অবশ্যই সুরা তাওহীদ পড়ে এতে দারিদ্র ও সমস্যা থেকে রক্ষা করবে। এবং যখন সে প্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বের হবে তখন যেন সুরা ফাতেহা, আয়াতুল কুরসী, সুরা কদ্বর ও সুরা আলে ইমরানে নিম্ন আয়াতটি পড়েঃ

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ইন্না ফি খালকেস সামাওয়াতে ওয়াল আরযে ওয়াক তেলাফিল লাইলে ওয়ান নাহারে লা আয়াতিল লে-উ—লিল আলাবাবা।

আল লাযি না ইয়ায কুরুনাল লাহা কেয়ামাওঁ ওয়ালা জুনুবেহিম ওয়া ইয়াতা ফাক্কা রুনা ফি খালকিস সামাওয়াতে ওয়াল আরযে রাব্বেনা মা খালাক্তা হাযা বে তালা সুবহানাকা ফি কীনা আযাবান নার ।

রাব্বেনা ইন্নাকা মান তুদ খেলীন নারা ফাক্বাদ আখযায়তাহো ওয়ামা লিয যালেমিনা মিন আনসার।

রাব্বেনা ইন্নানা সামেয়ানা মোনাদিয়ান ইয়ো নাদি লিল ঈমানে আন আমেনো বে রাব্বেকুম ফা আমান্না রাব্বানা ফাগ ফির লানা যুনোবানা ওয়া কাফীর আন্না সাইয়েতেনা ওয়া তাওয়াফ ফানা মা-আল আবরার রাব্বানা আতেনা মা-ওয়া আদনা আলা রাসূলেকা ওয়ালা তোখযেনা ইউমাল ক্বেয়ামা ইন্নাকা লা তোখলেফোল মেয়াদ"।

০৫। পার্থিব ও আধ্যাতিক কাজে ঘর থেকে বের হবার দোয়া

ইমাম মোহাম্মাদ বাকের আঃ থেকে বর্ণিত : যখন কোন ব্যক্তি পার্থিব বা আধ্যাতিক কাজে ঘর থেকে বের হবার জন্য নিম্ন লিখিত দোয়া পড়বে আল্লাহ কল্যান সাধিত করবেন।

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বিসমিল্লাহে হাসবিয়াল লাহো তাওয়াক কালতো আলাল লাহে আল্লাহোম্মা আস-আলোকা খায়রা উমোরি কোললেহা ওয়া আ-উযো বেকা মিন খিয উয়িদ দুনইয়া ওয়া আযাবিল আখেরাহ্"।

০৬। আংটি পড়ার দোয়া

হযরত জাফর স্বাদিক আঃ থেকে বর্ণিত আংটি পরার সময় নিম্ন লিখিত দোয়া পড়িতে হবেঃ

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লাহুম্মা সাউমনি বেসিমা—ইল ঈমানে ওয়াখ তিমলি বেখাইরেন ওয়ায আল আ কে বাতি ইলা খাইরিন ইন্নাকা আনতাল আযিযুল হাকিমুল করিম"।

০৭। কেয়ামতে পুরষ্কৃত হবার দোয়া

ইমাম মোহাম্মাদ বাকের আঃ থেকে বর্নিত কেয়ামতে পুরষ্কৃত হবার দোয়া 

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সুবহানা রাববেকা রাব্বিল ইযযাতে আম্মা ইয়াসি ফুন ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিন ওয়াল হামদো লিললিহে রাব্বিল আলামিন"।

০৮। পাহাড়ে বা উচ্চতায় থাকাকালীন দোয়া

 "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লা ইলাহা ইল্লালাহু ওয়াললাহু আকবার"।

০৯। ভ্রমন কালীন খারাপ লক্ষন থেকে বাচার

দোয়া হযরত মুসা কাযিম আঃ থেকে বর্ণিত ৭টি লক্ষন ভ্রমনকারীর জন্য খারাপ ১) ডান পাশে যদি কাক ডাকে, ২) কুকুর লেজ উচিয়ে সামনে দাড়ায়, ৩) লেঙ্গুর/শিয়াল চেহারা বরাবর বসে, ৪) যাত্রা কালীন রাস্তায় যদি হরিণ তার বাম পাশ হতে যায়, ৫) যদি পেঁচা ডাকে, ৬) পথে আগমনের পূর্বে সাদা চুল ওয়ালা বৃদ্ধ বুড়ির আগমন ও ৭) রাস্তার সামনে কোন গাধা উচিয়ে থাকলে – যখন উল্লেখিত একটি ও লক্ষন ভ্রমন সময় হলে নিম্ন দোয়া পড়তে হবেঃ 

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম অ্যায় তাসামতো বেকা ইয়া রাব্ব মিন সারে মা আজেদো ফি নাফসি ফা সেমোনি মিন যালেকা"।

১০। ভ্রমন পূর্ব দোয়া ইমাম মুসা কাযিম আঃ থেকে বর্ণিত যখন কোন ব্যক্তি ভ্রমন ইচ্ছা পোষন করে তাহলে ঘরের দরজায় দাড়িয়ে গন্তব্যে দিকে মুখ সুরা ফাতেহা পড়ে নিম্ন দোয়া পাঠ করে

আরো পড়ুনঃ সূরা রহমান বাংলা উচ্চারণ

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লাহুম্মা ফাযনি ওয়া ফাযমা-মায়েকা ওয়া সাললেমনি ওয়া সাল্লিমামা—ইয়া ওয়া বাল্লিগ মামা—ইয়াবে-বালাগ হেকালহা সানিল জামিল"।

১১। ভ্রমনকালীন সময় সাথে রাখার দোয়া

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ইয়া আল্লাহো ইয়াআল্লাহো ইয়া আল্লাহো আস আলুকা ইয়া মালেকাল মাম লুকিল আও-ওয়া-লুল কাদ্বীমুল আব আদেউল লাযি লাইয়া যোলো ওয়ালা ইয়াহুলু আনতাল লাহোল আযিমোল কাফী লে কুল্লে সায়ইল মোহিতু বে কুল্লে সায়ইন আল্লাহুম্মা ইক ফেনী বে ইসমেকাল আযামাল লিল ওয়াহি দিল আহাদিস সামা দিল লাযী লাম ইয়ালীদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালা ইয়া কুল কুফা ওনা আহাদোন ওয়া জোবশো-রোরাহীম ওয়াশো-রালআদা-য়ে কুল্লে হীম ওয়া সায়া ওয়াফ ফেহীম ওয়াবে ইসমিন ওয়াল লাহুমেয়ুন ওয়া রায়েহিম মোহীত আলহুম্মা জোব আন্নিসার রামান আরা দানিবে সুয়েলে হিজাবে কাল লাযী এহতা জাব তাবেই ফালাম ইয়ান যুর ইলায়কা আহাদুওঁ মিন সাররে ফাসা কাতিল জিন্নে ওয়াল ইনসে ওয়া মেন সাররে সালা হেহিম ওয়ামি নাল হাদীদি ওয়ামিন কুল্লেমা ইউ তাখাও ওয়াফোওয়াইড্যারো ওয়ামেন সাররে কোই সিদ্দা সান ওয়া বালি ইয়াতিন ওয়ামেন সাররেমা আন্তা বেহী আ-লামো ওয়া আলায়হে আক্বদারো ইন্নাকা আলা কুল্লে সায়য়েন কাদ্বীর সাললাল্লাহো আলা নাবী ইয়েহী মোহাম্মাদীন ওয়া আলেহী ওয়া সাল্লামা তাসলিমান"।

১২। ভ্রমনকালীন সময় পার পরিবারবর্গের রক্ষার জন্য হযরত মোহাম্মাদ মোস্তাফা সাঃ হতে বর্ণিত, যখন কোন ব্যক্তি ভ্রমন কালীন যাওয়ার সময় ২ রাকআত নামায আদায় করে নিম্ন দোয়াটি পাঠ তাহলে আল্লাহ তার পরিবারকে রক্ষা করবেন।

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লাহুম্মা ইন্নি আসতাওঁ দিওকা নাফসি ওয়া আহিল ওয়া মালি ওয়া যোররি আতি ওয়া দোনইয়া ইয়া ওয়া আখেরাতি ওয়া আমানাতি ওয়া খাতেমাতা আমালি"।

১৩। যখন কেউ পথ হারাবে হযরত আলী আঃ থেকে বর্ণিত নিম্ন দোয়াটি পাঠ করবে

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ইয়া সালেহো আগেসনী ইয়া সালেহো ইয়া আবা সালেহো আরসি দোনাই লাত তারীক্বী রাহেমু কোমোললাহু"।

১৪। যখন ভীতিকর/বিপদ জনক স্থান পরিদর্শন

ইমাম জাফর সাদ্বিক আঃ থেকে বর্ণিত যখন কেউ ভীতিকর/বিপদজনক স্থান পরিদর্শন করবে বা যে স্থানে ভয় পাবে তাহলে নিম্ন আয়াতটি পাঠ করতে হবে

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম রাব আদখিলনি মোদ খালা সীদকিন ওয়া আখরিজনি মোখরাজা সীদকিন ওয়াজাল লিমিল লাদোনকা সুলতানান নাসিরা"।

১৫। নতুন কোন স্থান আগমনে

হযরত মোহাম্মাদ মোস্তাফা সাঃ এবং হযরত আলী আঃ বর্ণিত নতুন কোন স্থান বা জায়গায় আগমনের সময় নিম্ন দোয়াটি পাঠ করতে হবে

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লাহুম্মা আনযিল নিমো বারাকাওঁ ওয়া আনতা খায়রোল মুনযেলীন"।

১৬। ডাকাতি/সম্পদ হরণকারী হতে রক্ষার দোয়া

ইমাম কাযিম আঃ হতে বর্ণিত কোন ব্যক্তি ডাকাতি/সম্পদহরণকারী হতে বা কোন হিংস্র পশু হতে ভ্রমনের সময় নিম্ন দোয়াটি লিখে ঘোড়ার/সওয়ারীর পিছনে রাখতে হবে - হাদিস বর্ণনাকারী বলেছেন একদা এক হজ্ব মৌসুমে যাওয়ার পথে এক দল ডাকাত হামলা করল, হাদিস বর্ণনাকারী নিম্ন দোয়াটি ঘোড়ার পিছনে ছিল এবং ডাকাত দল তার (হাদিসবর্ণনাকারীর) উপস্থিতি দেখতে পেল না এবং সেখান থেকে সহী ভাবে বের হয়ে আসলেন।

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লা তাখাফো দারাকান ওয়া লাতাখস্বা"।

১৭। সমুদ্রে ঝড়ে/সমুদ্রে বজ্রপাতের সময়

হযরত জাফর সাদ্বিক আঃ থেকে বর্ণিত, হাদিস বর্ণনাকারী সমুদ্রে ঝড়ে/সমুদ্রে বজ্রপাতের সময় নিম্ন আয়াতটি পাঠ করতেন এবং সমুদ্র উত্তাল হঠাৎ শান্ত হয়ে যেত

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লাহোল লাযিনায যালাল কিতাবা ওয়াহুয়া ইয়াতা ওয়াল লাসালেহিন ওয়ামা ক্বাদারোল লাহা হাক্কাক্বাদের হিওয়াল আরযো জামিয়ান কাবযাতো হোইয়োমাল কেয়ামাতে ওয়াস সামা ওয়া তোমাত উইভি তোম বেইয়া মিনেহী সোবহানা হোওয়াতা আলা আম্মা ইয়ো সেরকোম" 

১৮। নিমজ্জিত/ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষার জন্য ইমাম জাফর সাদ্বিক আঃ থেকে বর্ণিত যখন কোন ব্যক্তি নিমজ্জিত/ডুবে যাওয়ার শঙ্কা করবে নিম্ন আয়াত গুলো পাঠ করতে হবে

আরো পড়ুনঃ সূরা ফালাক বাংলা উচ্চারণ

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ইন্না ওয়ালী ইয়েয়াল লাহোল লাযি নায্যা লাল কিতাবা ওয়া হুয়াল ইয়াতা ওয়াল লাস সালেহীন"।

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ওয়ামা ক্বাদারোল লাহা হাক্কা ক্বাদেরহি ওয়াল আরযো জামিয়ান ক্বাবযাতুহো ইউমাল ক্বিয়ামাতে ওয়াস সামা ওয়াতো মাত – ওই ইয়াতোম বে ইয়ামিনেহী সুবহানাহো ওয়াতা আলা আম্মা ইউসরেকোন"।

১৯। দোয়া প্রত্যেক নামাযের পর গুনাহ ক্ষমার জন্য

হযরত মোহাম্মাদ বাকের আঃ বলেছেন, যে কেহ প্রত্যেক নামায শেষে কোন নাড়া চাড়া না করে তিন বার নিম্ন দোয়াটি পড়বে তাহলে তার সমুদ্র এর মত গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আসতাগ ফিরোল লাহাল লাযি লা ইল্লা হুয়াল হাইয়ল কাইয়ূম যুল জালালে ওয়াল ইকরামে ওয়া আতু বা ইলায়হে"।

২০। ফজরের নামাজ এর পর

ইমাম যায়নুল আবেদীন আঃ বলেছেন: হযরত মোহাম্মাদ সাঃ প্রত্যহ ফযরের নামায শেষে নিম্ন দোয়াটি পাঠ করতেন। যদি কেহ দোয়া পাঠ করে তাহলে সে হাজার হজ্জ্ব এর সওয়াব, হাজার শাব-এ-বারাত (১৫শাবান) রাত্রির এবং হাজার শহীদদের জানাযা নামাযের ফজিলত/সওয়াব হাসিল করবে।

এক সময় হযরত জিবরাইল আঃ হযরত মোহাম্মাদ সাঃ কে বললেন: আপনার জন্য আমি যে সু-সংবাদ নিয়ে এসেছি তা আমি আর কোন নবী বা রাসূলের নিকট নিয়ে আসি নাই। তাহল আপনার উম্মাত এর মধ্যে যে কেহ এই দোয়াটি ফজর নামাযের পর পাঠ করবে তাহলে আল্লাহ তাকে মঙ্গল করবেন- (সুফল গুলো নিম্ন দেওয়া হল

১) দুর্ঘটনা মৃত্যু থেকে রক্ষা করবেন, ২) কবরের মুনকির ও নাকির থেকে নিরাপদ রাখবেন, ৩) কবরের অন্ধকারাছন্ন ও সীমাবদ্ধ জায়গা থেকে রক্ষা করবেন, ৪) দোজখের দরজা বন্ধ করবেন, ৫) অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করবেন, ৬) জান্নাতের আট (৮)টি দরজা খুলে দিবেন ও ৭) ভয়ানক শাসক থেকে রক্ষা করবেন।

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লা ইলাহা ইল্লাহুল জালীলুল জাব্বরো লা ইলাহা ইল্লাহুল আযিযুল গাফ্ফারু লা ইলাহা ইল্লাহুল ওয়াহেদুলক্বাহ—হারু লা ইলাহা ইল্লাহুল ওয়াদাহু লা শারিকা লাহু এলাহান ওয়াহেদান ওয়ানা হ নো লাহুমুস লেমোনা লা ইলাহা ইল্লাহুল ওয়াদাহু লা শারিকা লাহু এলাহান ওয়াহেদান ওয়া নাহনো লাহু মুখলেসুনা লা ইলাহা ইল্লাহুল ওয়াদাহু লা শারিকা লাহু এলাহান ওয়াহেদান ওয়া নাহনো লাহু আবেদোনা লা ইলাহা ইল্লাল লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল লাহে আলীউন ওয়ালী উললাহে ওয়া সাল্লালাহু আলা খায়রেখাল ক্বিহি ওয়া মাযহারে লুতফেহী মোহাম্মাদিন ওয়া আলেহী আযমাইনাত তাহেরিনা বে রাহমাতেকা ইয়া আরহামার রাহেমিন হাসবুনাল লাহো ওয়া নেয়ামাল মাওলা ওয়া নেয়ামাল নাসির"।

২১। যহূরের নামাযের পর দোয়া

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লা ইলাহা ইল্লাল্লাহোল আযিমোল হালিম লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বোল আরসিল কারিম ওয়াল হামদুলিল লাহে রাব্বিল আলামিন আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা মোজিবাতে রাহমাতেকা ওয়া আযাইমিমা গফিরাতে কাওয়াল গ্বানিমাতা মিন কুল্লে বাররিন ওয়াস সালামা তামিন কুল্লে ইসমিন আল্লাহুম্মা লা তাদালিযাম বান ইল্লা গাফারতাহো ওয়া কারবান ইল্লা ক্বাসহাম তাহো ওয়া লা হাম্মান ইলা ফের রাজতাহো"।

আরো পড়ুনঃ সূরা লাহাব বাংলা উচ্চারণ

"ওয়ালা সোক্বমান ইল্লা স্বাফাই তাহো ওয়ালা আইবান ইল্লা সাতারতাহো ওয়ালা রিযকান ইল্লা বাসাত তাহো ওয়ালা খাওঁফান ইল্লা সাররাফ তাহো ওয়া লা হাজাতান হেয়া লাকা রিযান ওয়া লেয়া ফিহা সালাহোন ইল্লা ক্বাযাই তাহা ইয়া আরহামার রাহেমিন আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন"।

২২। আসরের নামাযের পর দোয়া 

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সুবহানাল লাহে ওয়াল হামদুলিল্লাহে ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহো আখার ওয়া লা হাওলা ওয়ালালা কুওয়াতা ইল্লাবিল লাহিল আলীইল আযিম সুবহানাল্লাহে বিল গুদো ওয়ে ওয়াল আসালে সুবহানাল আল লাহে বিল আসিয়ে ওয়াল ইকবার সুবহানাল্লাহে তুম সোনা ওয়াহিনা তুসবে হোনা ওয়া লাহোল হামদো ফিস সামা ওয়াতে ওয়াল আরযে ওয়া আসহিয়ান ওয়াহিনা তুম হেরোন সুবহানা রাব্বেকা রাব্বিল ইযযাতে আম্মা ইয়াসিফুন ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিন ওয়াল হামদুলিল্লাহে রাব্বিল আলামিন সুববানা যিলমোলকে ওয়াল মালাকো তেহা ইয়েল লাযিলা ইয়া মোত সুবহানাল ক্বায়েমিদদ্বা-য়েমা সুবহানাল আলীইল আলা সুবহানাহো ওয়াতা আলা সুবহো হোন ক্ষুদদোসন রাব্বোনা ওয়া রাব্বোল মালাইকাতে উইল রুহ্ আল্লাহুম্মা ইন্না যামবি আমা সামোস তাজিরিনবে-আফ ওয়েকা ওয়া খাওঁফি আসামোস তাজেরিন বি আমমেকা ওয়া ফাক্বরি আমসা মোস তাজিরিন বে-গ্বিনা কাওয়া যোল্লি আসামোস তাজিরিন বে-ইযযেকা আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মাদেওঁ ওয়া আলে মোহাম্মাদ সাল্লে আলা মোহাম্মাদিন ওয়া আলে মোহাম্মাদ ওয়াগ ফিরলি ওয়ার হামনি ইন্নাকা হামিদোম মাজিদ আল্লাহুম্মা তাম্মানূ-রাকাফা হাইদা তাফাচাল হামদো ওয়ায হোকা রাব্বেনা আকরামো ওয়ো যোহে ওয়াজা আযামোল জাহে ওয়া আতি ইয়াতোকা আফালাল আতা-য়েতোতাও রাববানা ফাতাগ ফেরো ফাতো জেবল মোযতাররা ওয়াতাক সিফোয় যোররা ওয়াতোন জিমিনাল কারবে ওয়াতো নিলফাক্কি রাওয়াতাস ফিস সাক্কিমা ওয়া লাইয়ো জাযি আলা একা আহাদোন ইয়া আরহামার রাহেমিন"।

২৩। মাগরিবের নামাযের পর দোয়া

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা মুজাবাতে রাহমাতেকা ওয়া আযাইমা মাগফিরাতে কাবাররিন ওয়াম মাজা তামিনান নারে ওয়া মিন কুল্লে ওয়াস সালামাতামি কোল্লে ইসমিন ওয়াল পানিমাতা মিন কুল্লে বালি ইয়াতিন ওয়াল ফাওয়া বিল জান্নাতে ওয়ার রিয ওয়া নেফিদ্বা রিস সালামে ওয়াযাও আরে নাবীয়েকা মোহাম্মাদিন ওয়া আলেহি আল আইহিমুস সালাম আল্লাহুম্মা বেনানে-মাতিন ফামিন কালা ইলাহা আন্তা আসতাগ ফিরোকা ওয়া আতো বাই লায়কা"।

২৪। এশার নামাযের পর দোয়া

ইমাম মোহাম্মাদ বাকের আঃ বলেছেন: যদি কোন ব্যক্তি এই দোয়া এশার নামাযের পর পাঠ করল তাহলে সকল মন্দ থেকে আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন ।

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আ-ওযাবে-ইযযাতিল লাহে ওয়া আউযোবে ক্কুদরাতিল লাহে ওয়া আউযো বেমা গফিরাতিল লাহে ওয়া আউযোবে রাহমাতিল লাহে ওয়া আউযোবে সোলতানিল লাহিল লাযি হুয়া আলা কুল্লে সাইয়েন ক্বাদির ওয়া আউযোবে কারামিল লাহে ওয়া আউযোবে জামিল লাহিশ মিন শাররে কুল্লে জাব্বরিন আনিদিন ওয়াশা ইতানিন মারঈদ কুল্লে জাব্বারিন আনিদীন ওয়াশা ইতানিন মারঈদ কুল্লে মূখতালিন ওয়া সারেকিন ওয়া আরেফিন ওয়া মিন শাররিশ সামওয়াতে ওয়াল হামমাতে ওয়াল আম ওয়াতে ওয়ামিন শাররে কুল্লে দাব বাতিন সাগিরাতিন আওঁ কাবিরাতিন বে লাইলিন ওয়া নাহারিন ওয়ামিন শাররে ফোস্সাকীল আরাবে ওয়াল আযমাতে ওয়া ফোজ্জারেহিম ওয়ামিন শাররে ফাসা ক্বাতিত জিন্নে ওয়াল ইনসে ওয়াল মিন শাররে কুল্লে দাববাতিন আন্তা আখিয়ুন বেনা শিয়াতিনা ইন্না রাব্বি আলা সিরাতিম মুসতাকিম"।

২৫। ঈমান রক্ষার জন্য

এক ব্যক্তি তার সপ্নে অনেক বার হযরত মোহাম্মাদ সাঃ দেখেছেন এবং তিনি রাসূল সাঃ প্রত্যেক বার নিচের দোয়া শিক্ষা দিলেন এবং বললেন দুনিয়া থেকে যখন চলে যাবে তোমার অক্ষুন্ন রেখে যাবে।এবং তিনি আরও উপদেশ দিলেন এই দোয়াটি প্রত্যেক দিন পাঠ করার জন্য। 

আরো পড়ুনঃ সূরা মাউন পড়ার ফজিলত

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ইয়া আল্লাহো ইয়া আল্লাহো ইয়া আল্লাহো ইয়া আমানো ইয়া আমানো ইয়া আমানো মিন যাওয়া লিল ঈমানে ইয়াদ্বা- -এমাল মারুফে ইয়াক্বা দেমাল এহসানে ওয়া ইয়া হাদীয়াল মোয়াল্লিনাঈ-ওয়াকানা বোদো ওয়াইয়া কানাস তাঈন ওয়া সাল্লাল্লাহো আলা খাইরে খালক্ব হি মোহাম্মাদিন ওয়া আলেহি আজমাইন"।

পোস্ট মন্তব্য

এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের ব্যবহৃত ধোয়া সমূহ গুলো সম্পর্কে আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টে পড়ার মাধ্যমে প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে যে সমস্ত দোয়াগুলো ব্যবহৃত হয় সে সমস্ত দোয়া গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।

যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে আমাদের আজকের এই পোষ্টের মধ্যে আপনার প্রশ্নের সমস্ত উত্তর গুলো আমরা দিতে সক্ষম হয়েছি তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক আইডিতে এমন কি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের ব্যবহৃত দোয়া সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণাগুলো পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url