জাতীয় শোক দিবস কবে - ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস
প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও জাতীয় শোক দিবস উদযাপিত হবে। আর তাই আপনাদের জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে জানানোর জন্যই আজকের পোস্টটি বিশেষ করে লেখা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লেই আপনি জানতে পারবেন জাতীয় শোক দিবস কবে এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করার নিয়ম।
এছাড়াও আজকের এই ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেলটির মধ্যে ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয় এবং এর বিভিন্ন কারণ সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। এমনকি জাতীয় শোক দিবস নিয়ে কিছু ছন্দ বা কবিতা ও আপনাদের সাথে শেয়ার করা হবে। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন জাতীয় শোক দিবস কবে এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণা।
আজকের পোষ্ট সূচিপত্রঃ জাতীয় শোক দিবস কবে এবং ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস
- জাতীয় শোক দিবস কবে পালিত হয়
- জাতীয় শোক দিবসের কবিতা
- জাতীয় শোক দিবসের ৫টি ছন্দ
- জাতীয় শোক দিবসের ইতিহাস
- ১৫ আগস্ট শোক দিবস সম্পর্কে সর্বশেষ কথা
জাতীয় শোক দিবস কবে পালিত হয়
জাতীয় শোক দিবস পালিত হয় প্রতিবছরের ১৫ই আগস্ট। এটিকে জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবস শোকের সাথে পালন করা হয়ে থাকে। এই দিবসটিতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এই তারিখে বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তার সপরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। আর তাই এই ১৫ আগস্ট শোকের বা জাতীয় শোক দিবস বলা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ নিজেই উদ্বেগতা হওয়ার কিছু বক্তব্য
প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও ১৫ আগস্টে জাতীয় শোক দিবস পালিত হবে। আশা করছি তাহলে এতক্ষণে জেনে গেছেন জাতীয় শোক দিবস কবে পালিত হয় এবং কিসের জন্য পালিত হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ধারণা সম্পর্কে। আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনে যাবেন জাতীয় শোক দিবসের কয়েকটি কবিতা এবং ছন্দ আর এই জাতীয় শোক দিবসের ইতিহাস সম্পর্কেও বিস্তারিত ধারণা।
জাতীয় শোক দিবসের কবিতা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতীয় শোক দিবসের কয়েকটি কবিতা পড়ুন
এবং জানুন। জাতীয় শোক দিবসের কবিতা গুলো পড়ুন এবং অন্যকে পড়ার সুযোগ করে
দিন আপনি চাইলে জাতীয় শোক দিবসের কবিতাগুলো কপি করে আপনার ফেসবুক আইডিতে শেয়ার
করতে পারেন। এমনকি আপনি চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই কবিতাগুলো আপনি
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
১। ধন্য সেই পুরুষ লিখেছেন শামসুর রাহমান
ধন্য সেই পুরুষ নদীর সাঁতার পানি থেকে যে উঠে আসেসূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে
ধন্য সেই পুরুষ, নীল পাহাড়ের চূড়া থেকে যে নেমে আসে
প্রজাপতিময় সবুজ গালিচার মত উপত্যকায়;
ধন্য সেই পুরুষ হৈমন্তিক বিল থেকে যে উঠে আসে
রঙ বেরঙের পাখি ওড়াতে ওড়াতে।
ধন্য সেই পুরুষ কাহাতের পর মই-দেয়া ক্ষেত থেকে যে ছুটে আসে
ফসলের স্বপ্ন দেখতে দেখতে।
ধন্য আমরা, দেখতে পাই দূরদিগন্ত থেকে এখনো তুমি আসো,
আর তোমারই প্রতীক্ষায়
ব্যাকুল আমাদের প্রাণ, যেন গ্রীষ্মকাতর হরিণ
জলধারার জন্যে। তোমার বুক ফুঁড়ে অহংকারের মতো
ফুটে আছে রক্তজবা, আর
আমরা সেই পুষ্পের দিকে চেয়ে থাকি, আমাদের
চোখের পলক পড়তে চায় না,
অপরাধে নত হয়ে আসে আমাদের দুঃস্বপ্নময় মাথা।
দেখ, একে একে সকলেই যাচ্ছে বিপথে অধঃপাত
মোহিনী নর্তকীর মতো
জুড়ে দিয়েছে বিবেক-ভোলানো নাচ মনীষার মিনারে,
বিশ্বস্ততা চোরা গর্ত খুঁড়ছে সুহৃদের জন্যে
সত্য খান খান হয়ে যাচ্ছে যখন তখন
কুমোরের ভাঙ্গা পাত্রের মতো,
চাটুকারদের ঠোঁটে অষ্টপ্রহর ছোটে কথার তুবড়ি,
দেখ, যে কোন ফসলের গাছ
সময়ে-অসময়ে ভরে উঠেছে শুধু মাকাল ফলে।
ঝলসে-যাওয়া ঘাসের মত শুকিয়ে যাচ্ছে মমতা
দেখ, এখানে আজ
কাক আর কোকিলের মধ্যে কোনো ভেদ নেই।
নানা ছলছুতোয়
ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর রৌদ্র ঝরে চিরকাল,
গান হয়ে
নেমে আসে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা, যাঁর নামের ওপর
কখনো ধুলো জমতে দেয় না হাওয়া,
ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের উপর পাখা মেলে দেয় জ্যোৎস্নার সারস,
ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের উপর পতাকার মতো
দুলতে থাকে স্বাধীনতা,
ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের ওপর ঝরে
মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধ্বনি।
স্বৈরাচারের মাথায় মুকুট পরাচ্ছে ফেরেব্বাজের দল।
দেখ, প্রত্যেকটি মানুষের মাথা
তোমার হাঁটুর চেয়ে এক তিল উঁচুতে উঠতে পারছে না কিছুতেই।
তোমাকে হারিয়ে
আমরা সন্ধ্যায়, হারিয়ে যাওয়া ছায়ারই মতো হয়ে যাচ্ছিলাম,
আমাদের দিনগুলি ঢেকে যাচ্ছিল শোকের পোশাকে,
তোমার বিচ্ছেদের সংকটের দিনে
আমরা নিজেদের ধ্বংসস্তূপে বসে বিলাপে ক্রন্দনে
আকাশকে ব্যথিত করে তুললাম ক্রমাগত; তুমি সেই বিলাপকে
রূপান্তরিত করেছো জীবনের স্তুতিগানে, কেননা জেনেছি –
জীবিতের চেয়েও অধিক জীবিত তুমি।
২। তর্জনী লিখেছেন রেজা করিম
সকল মৃত্যু মৃত্যু নয় –কিছু কিছু মৃত্যু সাময়িক প্রস্থান মাত্র,
দৃশ্যপট বদলে আবার সদর্পে ফিরে আসা।
সকল কান্না কান্না নয় –
কিছু কিছু কান্না ক্ষণিকের বিরতিতে
শক্তি ও সাহসের সাথে অসীম ভালোবাসা।
সকল স্মৃতি স্মৃতি নয় –
কিছু কিছু স্মৃতি বিস্মৃতির অতল থেকে
উঠে এসে জ্বাজ্জল্যমান সূর্যের মতো জ্বলে।
সকল মৌনতা মৌনতা নয় –
কিছু কিছু মৌনতা কালের পর্দা সরিয়ে
তর্জনী নাড়িয়ে গর্জে উঠে জীবনের কথা বলে।
হে মহতি মহান জনক পুরুষ –
মৃত্যু তোমায় অমর করেছে কান্না দিয়েছে শক্তি।
স্মৃতি জাগানিয়া মহাকাব্যের
মৌনতা ভেঙে বিষাদে এসেছে চিরকালের ভক্তি।
নরাধম পাকিরা দেশ নিল দখলে।
নিষ্ঠুরতা ঢুকে গেল শোষকের বুলেটে,
মনুষ্যত্ব ভেসে গেল শোষিতের লোহুতে।
সতিত্ব লুটে নিলো বাংলার কন্যার,
স্বাধিনতা চাচ্ছিল শত্রুর লাল বন্যার।
মানবতা উড়ে গেল পাকিদের গুলিতে,
বাসা নিলো মানবতা মুজিবের খুলিতে।
মানবতা জ্বলে উঠলো রেসকোর্সে ভাষনে,
হিংস্রতা পুড়ে গেলো স্বাধীনতার দোহনে।
সঙ্গ দিলে বঙ্গকে পাক-শাসনের শোষণে,
স্বাধীন বাংলায় ঠাঁই দিয়েছি পিতাজীর আসনে।
৪। চেতনায় মুজিব লিখেছেন জয় দীপ্ত চক্রবর্ত্তী
১৫ ই আগস্টে ঘাতকের বুলেটের আঘাতেহয়ত ছিন্নভিন্ন হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর দেহখানি,
কিছু হিংস্র হায়নার দল ছিন্নভিন্ন বুকের রক্তপানে
মেতে উঠেছিলো পৈশাচিক বর্বরতায়,
তারা চেয়েছিলো বাংলার বুক হতে নিভিয়ে দিতে
মুজিব নামের চিরমঙ্গল প্রদীপখানি
তবে তারা ভূলে গিয়েছিলো বাংলার ঘরে ঘরে থাকে মুজিব,
মুজিবের হার না মানার চেতনা বুকে নিয়েই
একদিন পেয়েছিলো স্বাধীনতার দেখা,
সে মুজিবীয় চেতনা যে কখনও কোনো অস্ত্রের আঘাতে মুছে যাবার নয়,
তাইতো সে আজো বেঁচে আছে
কবির কবিতায়, গায়কের গানে, ইতিহাসের পাতায়, বাঙালির প্রাণে,
তাকে আজো দেখা যায়,
রেসকোর্সের ময়দানে কিংবা উত্তাল রাজপথে,
বাংলার মাঠঘাট কিংবা শিল্পীর তুলিতে,
সে যে বাংলার চিরজাগ্রত সূর্য,
তার আলোতেই পথচলে শত কোটি বাঙালি,
তিনি আছেন বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে,
তিনি বেঁচে রইবেন চিরকাল বাঙালির অন্তরের বন্দরে।
জাতীয় শোক দিবস নিয়ে ৫টি ছন্দ
১। “এই বাংলার আকাশ-বাতাস
সাগর-গিরি ও নদী
ডাকিছে তোমারে
বঙ্গবন্ধু,
ফিরে আসতে যদি।”
২। ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।
❝তোমার বাংলার মানুষ তোমাকে হারিয়ে
এখনো খুঁজে ফিরে! তুমি ফিরে আসো
বারবারএই জনপদে ,জনমানে!
তুমি আছো
তোমার বাংলার অস্তিত্বে চির অমলীন হয়ে।”
৩। “”তুমি জন্মেছিলে বলেই
জন্ম নিয়েছিল এই দেশ ,
মুজিব
তোমার আরেকটি নাম
স্বাধীন বাংলাদেশ……….।””
৪। “যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা
যমুনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি
তোমার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।”
৫। “হে বীর, হে মহানায়ক
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,
তুমি
মরতে পারো না “ তুমি যে বঙ্গবন্ধু”
তুমি ছিলে, তুমি থাকবে
আরো হাজার
বছর বাঙালির
হৃদয়ের মনি কোঠায়।”
জাতীয় শোক দিবসের ইতিহাস
১৫ আগস্ট কে জাতীয় শোক দিবস বলা হয়। কারণ ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারের নিজের বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপদগামী সেনাসদস্যদের হাতে সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ছাড়াও নিহত হয়েছিলেন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। এমনকি সেই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হয়েছিলেন প্রায় ১৬ জন।
আরো পড়ুনঃ বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা
১৫ আগস্ট নিহত হন মুজিব পরিবারের সদস্য বৃন্দ এমনকি তার ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল নিহত হয়েছিলেন সেই রাতে। এমনকি আরো নিহত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী কামাল। এমনকি তার ভাই শেখ আবু নাসের ভগ্নিপতি আব্দুর রব শেরনিয়াবাত আর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজুমনি এরাও সেই দিন খুন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঁচানোর জন্য ছুটে আসলেন কর্নেল জামিল উদ্দিন কিন্তু তিনিও তখন নিহত হয়ে যান। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহেনা।
আর তাই প্রতি বছর এই ১৫ আগস্টে জাতির গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের। আর এই দিনটি খুবই সুখময় একটি দিন যে দিনে পালিত হয় জাতীয় শোক দিবস। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে এই শোক দিবস টি উদযাপিত হয়। এমনকি এই শোক দিবসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বন্ধ রাখা হয়। আশা করছি তাহলে এতক্ষণে জেনে গেছেন জাতীয় শোক দিবস এর ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।
১৫ আগস্ট শোক দিবস সম্পর্কে সর্বশেষ কথা
এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে। পোষ্টির মধ্যে জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়েছে। আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ১৫ ই আগস্ট কেন জাতীয় শোক দিবস বলা হয় এবং জাতীয় শোক দিবস কিভাবে পালন করা হয় এমনকি জাতীয় শোক দিবসের কিছু কবিতার সম্পর্কেও বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
আপনার কাছে যদি মনে হয়ে থাকে আমাদের এই ব্লক পোস্টটির মধ্যে জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হয়েছে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে এমনকি আপনার facebook আইডিতে শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url