সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ - সূরা মূলক এর ফজিলত
প্রিয় পাঠক, এখন যেই আর্টিকেলটি পড়বেন সেই আর্টিকেলটি হচ্ছে সূরা মূল বাংলা উচ্চারণ এবং সূরা মুলক এর ফজিলত সম্পর্কে। এই পোষ্টের মধ্যে সুরা মুলক সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও এই আর্টিকেলটির মধ্যে সূরা মূলক এর ইংরেজি অনুবাদ এবং এর অর্থনীয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ এবং সূরা মুলকের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা এবং ধারণা। তাহলে দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করে নেয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ এবং সূরা মূলক এর ফজিলত
- সূরা মুলক এর আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ
- সূরা মুলক এর আরবি ইংরেজি উচ্চারণ
- সূরা মূলক এর বাংলা অনুবাদ
- সূরা মূলক এর বাংলা অনুবাদের ইংরেজি
- সূরা মুলক তেলাওয়াতের সময়
- সূরা মূলক তেলাওয়াতের ফজিলত
- সর্বশেষ কথা-সূরা মূল বাংলা উচ্চারণ
সুরা মুলক এর আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ
تَبَٰرَكَ ٱلَّذِى بِيَدِهِ ٱلْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
তাবা-রাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلْمَوْتَ وَٱلْحَيَوٰةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْغَفُورُ
আল্লাযী খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়া-তা লিইয়াবলুওয়াকুম আইয়ুকুম আহছানু‘আমালাওঁ ওয়া হুওয়াল ‘আঝীঝুল গাফূর।
ٱلَّذِى خَلَقَ سَبْعَ سَمَٰوَٰتٍ طِبَاقًا مَّا تَرَىٰ فِى خَلْقِ ٱلرَّحْمَٰنِ مِن تَفَٰوُتٍ فَٱرْجِعِ ٱلْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِن فُطُورٍ
আল্লাযী খালাকা ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তিন তিবা-কান মা- তারা- ফী খালকির রাহমা-নি মিন তাফা-উত ফারজি‘ইল বাসারা হাল তারা- মিন ফুতূর।
আরো পড়ুনঃ
সূরা ফাতিহা পাঠ করার ফজিলত
ثُمَّ ٱرْجِعِ ٱلْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ ٱلْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ
ছু ম্মার জি‘ইলবাসারা কাররাতাইনি ইয়ানকালিব ইলাইকাল বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হাছীর।
وَلَقَدْ زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِمَصَٰبِيحَ وَجَعَلْنَٰهَا رُجُومًا لِّلشَّيَٰطِينِ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ ٱلسَّعِيرِ
ওয়া লাকাদ ঝাইয়ান্নাছ ছামাআদ্দুনইয়া- বিমাসা-বীহা ওয়াজা‘আলনা- হা- রুজূমাল লিশশায়া-তীনি ওয়া আ‘তাদনা- লাহুম ‘আযা- বাছছা‘ঈর।
وَلِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ
ওয়া লিল্লাযীনা কাফারূবিরাব্বিহিম ‘আযা- বুজাহান্নামা ওয়াবি’ছাল মাসীর।
إِذَآ أُلْقُوا۟ فِيهَا سَمِعُوا۟ لَهَا شَهِيقًا وَهِىَ تَفُورُ
ইযাউলকূফীহা- ছামি‘উ লাহা- শাহীকাওঁ ওয়াহিয়া তাফূর।
تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ ٱلْغَيْظِ كُلَّمَآ أُلْقِىَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَآ أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ
তাকা- দুতামাইয়াঝুমিনাল গাইজি কুল্লামাউলকিয়া ফীহা- ফাওজুন ছাআলাহুম খাঝানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম নাযীর।
قَالُوا۟ بَلَىٰ قَدْ جَآءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ ٱللَّهُ مِن شَىْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِى ضَلَٰلٍ كَبِيرٍ
কা- লূবালা- কাদ জাআনা- নাযীরুন ফাকাযযাবনা- ওয়া কুলনা- মানাঝঝালাল্লা- হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা- ফী দালা- লিন কাবীর।
وَقَالُوا۟ لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِىٓ أَصْحَٰبِ ٱلسَّعِيرِ
ওয়া কা-লূলাও কুন্না- নাছমা‘উ আও না‘কিলুমা- কুন্না-ফীআসহা-বিছছা‘ঈর।
فَٱعْتَرَفُوا۟ بِذَنۢبِهِمْ فَسُحْقًا لِّأَصْحَٰبِ ٱلسَّعِيرِ
ফা‘তারাফূবিযামবিহিম ফাছুহক্বললিআসহা-বিছ ছা‘ঈর।
إِنَّ ٱلَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِٱلْغَيْبِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ
ইন্নাল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন কাবীর।
وَأَسِرُّوا۟ قَوْلَكُمْ أَوِ ٱجْهَرُوا۟ بِهِۦٓ إِنَّهُۥ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ
ওয়া আছিররূকাওলাকুম আবিজহারূবিহী ইন্নাহূ‘আলীমুম বিযা- তিসসুদূ র।
أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ ٱللَّطِيفُ ٱلْخَبِيرُ
আলা- ইয়া‘লামুমান খালাকা ওয়া হুওয়াল্লাতীফুল খাবীর।
هُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ ذَلُولًا فَٱمْشُوا۟ فِى مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا۟ مِن رِّزْقِهِۦ وَإِلَيْهِ ٱلنُّشُورُ
হুওয়াল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা যালূলান ফামশূফী মানা-কিবিহা- ওয়া কুলূমির রিঝকিহী ওয়া ইলাইহিন নুশূর।
ءَأَمِنتُم مَّن فِى ٱلسَّمَآءِ أَن يَخْسِفَ بِكُمُ ٱلْأَرْضَ فَإِذَا هِىَ تَمُورُ
আ আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইয়াখছিফা বিকুমুল আরদা ফাইযা- হিয়া তামূর।
أَمْ أَمِنتُم مَّن فِى ٱلسَّمَآءِ أَن يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ
আম আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইউরছিলা ‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছাতা‘লামূনা কাইফা নাযীর।
وَلَقَدْ كَذَّبَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ
ওয়া লাকাদ কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কা- না নাকীর।
أَوَلَمْ يَرَوْا۟ إِلَى ٱلطَّيْرِ فَوْقَهُمْ صَٰٓفَّٰتٍ وَيَقْبِضْنَ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا ٱلرَّحْمَٰنُ إِنَّهُۥ بِكُلِّ شَىْءٍۭ بَصِيرٌ
আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত্তাইরি ফাওকাহুম সাফফা-তিওঁ ওয়াইয়াকবিদন । মাইউমছিকুহুন্না ইল্লাররাহমা-নু ইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িম বাসীর।
أَمَّنْ هَٰذَا ٱلَّذِى هُوَ جُندٌ لَّكُمْ يَنصُرُكُم مِّن دُونِ ٱلرَّحْمَٰنِ إِنِ ٱلْكَٰفِرُونَ إِلَّا فِى غُرُورٍ
আম্মান হা-যাল্লাযী হুওয়া জুনদুল্লাকুম ইয়ানসুরুকুম মিন দূ নিররাহমা-নি ইনিল কাফিরূনা ইল্লা- ফী গুরূর।
أَمَّنْ هَٰذَا ٱلَّذِى يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُۥ بَل لَّجُّوا۟ فِى عُتُوٍّ وَنُفُورٍ
আম্মান হা- যাল্লাযী ইয়ারঝকুকুম ইন আমছাকা রিঝকাহূ বাল্লাজ্জূফী ‘উতুওবিওয়া নুফূর।
أَفَمَن يَمْشِى مُكِبًّا عَلَىٰ وَجْهِهِۦٓ أَهْدَىٰٓ أَمَّن يَمْشِى سَوِيًّا عَلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ
আফামাইঁ ইয়ামশী মুকিব্বান ‘আলা- ওয়াজহিহী আহদা আম্মাইঁ ইয়ামশী ছাবি ইয়ান ‘আলা-সিরা-তিমমুছতাকীম।
قُلْ هُوَ ٱلَّذِىٓ أَنشَأَكُمْ وَجَعَلَ لَكُمُ ٱلسَّمْعَ وَٱلْأَبْصَٰرَ وَٱلْأَفْـِٔدَةَ قَلِيلًا مَّا تَشْكُرُونَ
কুল হুওয়াল্লাযীআনশাআকুম ওয়া জা‘আলা লাকুমুছছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদাতা কালীলাম মা-তাশকুরূন।
قُلْ هُوَ ٱلَّذِى ذَرَأَكُمْ فِى ٱلْأَرْضِ وَإِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
কুল হুওয়াল্লাযী যারাআকুম ফিল আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারূন।
وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا ٱلْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ
ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কুনতুম সা-দিকীন।
قُلْ إِنَّمَا ٱلْعِلْمُ عِندَ ٱللَّهِ وَإِنَّمَآ أَنَا۠ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
কুল ইন্নামাল ‘ইলমু‘ইনদাল্লা- হি ওয়া ইন্নামাআনা নাযীরুম মুবীন।
رَأَوْهُ زُلْفَةً سِيٓـَٔتْ وُجُوهُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَقِيلَ هَٰذَا ٱلَّذِى كُنتُم بِهِۦ تَدَّعُونَ
ফালাম্মা-রাআওহু ঝুলফাতান ছীআত ঊজূহুল্লাযীনা কাফারূওয়া কীলা হা-যাল্লাযী কুনতুম বিহী তাদ্দা‘ঊন।
قُلْ أَرَءَيْتُمْ إِنْ أَهْلَكَنِىَ ٱللَّهُ وَمَن مَّعِىَ أَوْ رَحِمَنَا فَمَن يُجِيرُ ٱلْكَٰفِرِينَ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ
কুল আরাআইতুম ইন আহলাকানিয়াল্লা-হু ওয়া মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা- ফামাইঁ ইউজীরুল কা-ফিরীনা মিন ‘আযা-বিন আলীম।
قُلْ هُوَ ٱلرَّحْمَٰنُ ءَامَنَّا بِهِۦ وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَا فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ فِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ
কুল হুওয়াররাহমা-নুআ-মান্না-বিহী ওয়া‘আলাইহি তাওয়াক্কালনা-, ফাছাতা‘লামূনা মান হুওয়া ফী দালা-লিম মুবীন।
قُلْ أَرَءَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَآؤُكُمْ غَوْرًا فَمَن يَأْتِيكُم بِمَآءٍ مَّعِينٍۭ
কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওরান ফামাইঁ ইয়া’তীকুম বিমাইম মা‘ঈন।
সূরা মূলক এর ইংরেজি উচ্চারণ
Taba-rakallaji biadihil mulku wa huwa 'ala- kulli shayin qadir.
Allaazi Khalakal Mawta Wal Haya-ta Liiyabluwakum Ayyukum Ahsanu' Amalaon wa Huwal 'Azhizhul Gafur.
Allazi Khalaka Chaba'a Chama-wa-tin tiba-kan ma- tara- fi khalkir rahma-ni min tafa-ut farji'il basara hal tara- min futur.
Chu mmar ji'ilbasara karrataini yankalib ilaikal basaru kha-chiaon wa huwa hashir.
Wa lakad zayannach chamaadduniya- bimasa-beeha waza'alna- ha- rujumal lishshaya-tini wa a'tadna- lahum 'aza- bachcha'ir.
Wa lillazina Kafarubirabbihim 'Aza- Bujahannama wabi'chal masir.
Yazaul Kufiha - Chami'u Laha - Shahikaon Wahya Tafur.
Taqa- dutamaiyazhuminal ghaizi kullamaulkia fiha- faozun chaalahum khazhanatuhaalam ya'tikum nazeer.
Ka- lubala- kad jaana- nazirun faqazyabna- wa kulna- manajjhalalla- hu min shayin in antum illa- fi dala- lin kabir.
Wa ka-lulawo kunna- nachma'u ao na'kiluma- kunna-fiasaha-biccha'ir.
Fatarafubizambihim fashuhqballiasaha-bis cha'ir.
Innallazina yakhshawna rabbahum bilghaibi lahum magfiratoon wa azrun kabeer. and
Wa achirrukawlakum abijaharubihi innahu'alimum biya- tissudu r.
Ala- Ya'lamuman Khalaka wa Huwallatiful Khabir.
Huwallazi Ja'ala Lakumul Arda Jalulan Famshufi Mana-Kibiha- Wa Kulumir Rizhkihi Wa Ilaihin Nushur.
A amintum man fichchamai ain yakhchifa bikumul arda faiza- hia tamur.
Am amintum maan phishchamai ain yurchila ‘alaikum ha-siban fachata’lamuna kaifa nazeer.
Wa lakad kazaballazina min kablihim fakaifa ka- na nakir.
Awalam yarao ilattairi faokahum saffa-tion waiyakbidan. Mayumchikuhunna illarrarahma-nu innahubikulli shayim basir.
Amman ha-jallazi huwa jundullakum yansurukum min du nirarahma-ni inil kafiruna illa- fi gurur.
Amman ha- jallaji yarzhkukum in amchaka rizhkahu ballajjufi 'utuobiwa nufur.
Afamain Yamshi Muqibban ‘ala-Wajhihi Ahda Ammain Yamshi Chabi Yan ‘ala-sira-timmuchtaqim.
Qul Huwallazi Ansha'aqum wa Ja'ala laqumuchcham'a wal Absa-ra wal Afidata Kalilam ma-tashkuroon.
Qul Huwallaji Jaaqum Fil Ardiwa Ilaihi Tuhsharoon. and
Wa yaquluna mata-ha-zal wa'duin kuntum sa-dikin.
Qul innamal 'ilmu'indalla- hi wa innamaana nazeerum mubeen.
Falamma-ra'a'ohu zhulfatan shi'at ujuhullazina kafaruwa qila ha-jallazi kuntum bihi tadda'un.
Qul Ara'itum in Ahlakaniyallah-hu wa mamma'i aw rahimana-
Famain Yujirul Ka-Fireena Min 'Aza-bin Alim.
Qul Huwarrahma-nu'a-manna-bihi wa'alayhi tawakkalna-, fasata'lamuna man huwa fi dala-lim mubeen.
Qul Araitum in Asbaha Maukum Gawran Famain Ya'tikum Bimaim Ma'in.
সূরা মূলক এর বাংলা অনুবাদ
মহামহিমান্বিত তিনি যাঁর হাতে রয়েছে সার্বভৌম কর্তৃত্ব, আর তিনি সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান। যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়। যিনি সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন সুবিন্যস্তভাবে। তুমি পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে কোনো অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তারপর তুমি দৃষ্টি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নাও, তুমি কি কোনো ফাটল দেখতে পাচ্ছ? অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি। যারা তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান। যখন তারা তথায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন শুনতে পাবে। ক্রোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। যখনই তাতে কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে তখন তাদেরকে তার সিপাহীরা জিজ্ঞাসা করবে। তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আগমন করেনি? তারা বলবেঃ হ্যাঁ আমাদের কাছে সতর্ককারী আগমন করেছিল, অতঃপর আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলামঃ আল্লাহ তা’আলা কোন কিছু নাজিল করেননি। তোমরা মহাবিভ্রান্তিতে পড়ে রয়েছ।
তারা আরও বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম অথবা বুদ্ধি খাটাতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে থাকতাম না। অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। জাহান্নামীরা দূর হোক। নিশ্চয় যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনি তো অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক অবগত। যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি করে জানবেন না? তিনি সূক্ষ্নজ্ঞানী, সম্যক জ্ঞাত। তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে সুগম করেছেন, অতএব, তোমরা তার কাঁধে বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযিক আহার কর। তাঁরই কাছে পুনরুজ্জীবন হবে।
তোমরা কি ভাবনামুক্ত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে। না তোমরা নিশ্চিন্ত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী। তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি। তারা কি লক্ষ্য করে না, তাদের মাথার উপর উড়ন্ত পক্ষীকুলের প্রতি পাখা বিস্তারকারী ও পাখা সংকোচনকারী? রহমান আল্লাহ-ই তাদেরকে স্থির রাখেন।
আরো পড়ুনঃ সূরা ইখলাস পাঠ করার ফজিলত
তিনি সর্ব-বিষয় দেখেন। রহমান আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত তোমাদের কোন সৈন্য আছে কি, যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? কাফেররা বিভ্রান্তিতেই পতিত আছে। তিনি যদি রিযিক বন্ধ করে দেন, তবে কে আছে, যে তোমাদেরকে রিযিক দিবে বরং তারা অবাধ্যতা ও বিমুখতায় ডুবে রয়েছে। যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখে ভর দিয়ে চলে, সে-ই কি সৎ পথে চলে, না সে ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরলপথে চলে? বলুন, তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং দিয়েছেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। বলুন, তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে বিস্তৃত করেছেন এবং তাঁরই কাছে তোমরা সমবেত হবে।
কাফেররা বলেঃ এই প্রতিশ্রুতি কবে হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও? বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী। যখন তারা সেই প্রতিশ্রুতিকে আসন্ন দেখবে তখন কাফেরদের মুখমন্ডল মলিন হয়ে পড়বে এবং বলা হবেঃ এটাই তো তোমরা চাইতে। বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ-যদি আল্লাহ তা’আলা আমাকে ও আমার সংগীদেরকে ধ্বংস করেন অথবা আমাদের প্রতি দয়া করেন, তবে কাফেরদেরকে কে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে? বলুন, তিনি পরম করুণাময়, আমরা তাতে বিশ্বাস রাখি এবং তাঁরই উপর ভরসা করি। সত্ত্বরই তোমরা জানতে পারবে, কে প্রকাশ্য পথ-ভ্রষ্টতায় আছে। বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভের গভীরে চলে যায়, তবে কে তোমাদেরকে সরবরাহ করবে পানির স্রোতধারা?
সূরা মূলক এর বাংলা অনুবাদের ইংরেজি
Exalted is He in whose hands is sovereign authority, and He is omnipotent over all things. He who created death and life, to test you - who is best in deeds among you? He is the Mighty, the Forgiving. Who created the seven heavens in order. You will not see any inconsistency in the creation of the Most Merciful. Then you look back and forth, do you see any cracks? Then you look again and again - your sight will return to you, failed and weary. I have beautified the lowest sky with lamps; We have made them missiles for the devils and prepared for them the punishment of the blazing fire. For those who deny their Lord is the punishment of Hell.
What an inferior place that is. When they are thrown there, they will hear the roar of his expulsion. Hell will break out in anger. Whenever any community was thrown into it they would be questioned by his sepoys. Has no warner come to you? They will say: Yes, a warner came to us, then we lied and said: Allah did not reveal anything. You are in great confusion. They will also say: If we had listened or understood, we would not have been among the people of Hell. Then they will confess their guilt. May the people of hell go away. Indeed, for those who fear their Lord without seeing them, there is forgiveness and a great reward. Whether you speak in secret or openly, He is Aware of the affairs of the heart. He who created, how can he not know? He is all-knowing, all-knowing. He has made the earth smooth for you, so walk on His shoulders and eat the sustenance provided by Him.
To him will be revival. Have you become free from the thought that the one who is in the sky will dissolve you in the earth, then it will tremble. Nay, ye are assured that the One who is in the sky shall rain stones upon you, then ye shall know what was my warning. Their predecessors lied, then how harsh was my denial. Do they not notice, the wings of the birds flying over their heads, the wings expanding and contracting the wings? Rahman Allah keeps them steady. He sees all things. Do you have any soldiers to help you except Allah, the Merciful? The disbelievers are in confusion. If He stops sustenance, who is there to provide sustenance for you, but they are immersed in disobedience and deviation. Is the person who walks on the right path walking upright, or the person who walks upright on the straight path? Say,
He created you and gave you ears, eyes and hearts. You show little gratitude. Say, He is the One who spread you out on earth and to Him you will be gathered. The disbelievers say: When will this promise be fulfilled, if you are truthful? Say, the knowledge of this is with Allah Ta'ala. I am just a public warning. When they see that promise coming, the faces of the disbelievers will become dirty and it will be said: This is what you want. Say, have you considered - if Allah Almighty destroys me and my companions or has mercy on us, then who will save the disbelievers from a painful punishment? Say, He is Most Merciful, we believe in Him and in Him we put our trust. You will soon know who is in manifest error. Say, have you thought, if your water goes deep underground, then who will supply you with water streams?
সুরা মুলক তেলাওয়াতের সময়
সুরা মুলক নিয়মিত পড়া অত্যন্ত জরুরি। কেননা এই সূরাটি পাঠ করার মাধ্যমে অন্তরের সমস্ত দুর্দশা বা চিন্তা ভাবনা দূর হয়ে যায়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিতভাবে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এই সূরা মূলকটি পাঠ করতেন। তিনি কখনোই সূরা মূলক না পাঠ করে ঘুমাতেন না।
কারণ এই সূরার মধ্যে অনেক মর্যাদা রয়েছে যা আমাদের নবী হাদিসের মধ্যে লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন। তাই এই সূরাটি পার্ট করার সঠিক সময় হচ্ছে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে। ঘুমানোর পূর্বে আপনি প্রথমে সূরা মূলক পাঠ করবেন তারপর সূরা ফালাক এবং নাস তিনবার করে পাঠ করবেন। এরপর কাফিরুন সূরা পাঠ করবেন।
কাফিরুন সূরা পাঠ করা হয়ে গেলে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার বলবেন এবং আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন। এই সমস্ত দোয়া-দুরুদ গুলো পাঠ করার পর দুই হাত একসাথে করে ফু দিয়ে সেই হাত দুটি মাথা থেকে নিচু অব্দি যতদূর যায় নিয়ে যাবেন। সুরা মুলক পড়ার নির্দিষ্ট সময় কখন তা বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন।
সুরা মুলক তেলাওয়াতের ফজিলত
আপনি যদি না জানেন এই সূরা মূলক তেলাওয়াত করার মাধ্যমে কত ফজিলত বা গুরুত্বপূর্ণ
পাওয়া যায় তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে সম্পূর্ণ জেনে নিন। এই
সূরা মূলক পবিত্র আল কোরআন মাজিদের ৬৭ নাম্বার সূরা এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩০। এই
সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ করা হয়। আল কুরআনে এই সূরাটি অতি মর্যাদাবান একটি
সূরা।
আরো পড়ুনঃ সূরা আর রহমান পাঠ করার ফজিলত
হাদিসের মধ্যে বর্ণিত করা আছে যে, সূরা মূলক কেউ যদি ৪১ বার (একচল্লিশ) তেলাওয়াত করে তাহলে সেই ব্যক্তির সমস্ত বিপদ-আপদ হতে রক্ষা পাবেন এবং তার যদি কোন প্রকারের ঋণ থাকে সেই ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে। আবার এই ফজিলত টুকাও পাওয়া যাবে এই সূরা মূলক পাঠ করার মাধ্যমে। কেউ যদি নিয়মিতভাবে সূরা মূলক পাঠ করে তাহলে তার কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবে।
আশা করছি উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন সূরা মুলক
পাঠ করার মাধ্যমে কত ধরনের ফজিলত পাওয়া যায়। আপনি যেহেতু জানতে পেরেছেন সুরামুল
পাঠ করার মাধ্যমে ফজিলত পাওয়া যায় এবং আপনি চাইলে এখন আপনার আত্মীয়-স্বজন বা
পারা প্রতিবেশী কেউ জানাতে পারবেন।
সর্বশেষ কথা-সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ
আপনি এতক্ষন যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ এবং সূরা মূলক এর ফজিলত এই সম্পর্কে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে সূরা মূলক সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য আপনি পেয়ে গেছেন। এখন আপনি সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ এবং সূরা মূলক এর ফজিলত সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য গুলো নিজেও জানলেন এবং অন্য কেউ জানাতে পারবেন।
পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটু ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন। কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এবং আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন, কারণ তারা এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ এবং সূরা মূলক এর ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরও তথ্য পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url