রাতকানা রোগ কেন হয় - রাতকানা রোগ হয় কিসের অভাবে

প্রিয় পাঠক এখন যে পোস্টটি আপনি পড়বেন সেই পোস্টটি রাতকানা রোগ সম্পর্কে। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন রাতকানা রোগ কিসের অভাবে হয় এমনকি রাতকানা রোগটা কেন হয়। আর তাদের প্রশ্নকে টার্গেট করেই আজকের পোস্টটি লেখা হয়েছে।

ratkana

এছাড়াও এই পোষ্টের মধ্যে রাতকানা রোগের ওষুধ এবং প্রতিকার আবার লক্ষণ সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং রাতকানা রোগ কেন হয় এবং রাতকানা রোগ হয় কিসের অভাবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা এবং তথ্য। তাহলে দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে নেয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ রাতকানা রোগ কেন হয় এবং রাতকানা রোগ হয় কিসের অভাবে

রাতকানা রোগ কেন হয়

রাতকানা একটি খুবই মারাত্মক একটি রোগ কারণ এ রোগের মাধ্যমে আপনি আপনার সারা জীবনের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলতে পারেন তাই অবশ্যই এই রাতকানা রোগ কি সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথেই এটি নির্মূল করার চেষ্টা করুন। রাতকানা হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে রেটিনাইসিস পিগমেনটোসা নামক একটি রোগ, যার ফলে আপনার চোখের রেটিনার রোড কোষ ধীরে ধীরে আলোর প্রতি সাড়া দেয়ার সক্ষমতা কমিয়ে ফেলে বা হারিয়ে যায়। 

আরো পড়ুনঃ চোখের চুলকানি দূর করার উপায়

এটা এক ধরনের জেনেটিক রোগ, যেখানে রাত্রিকালে দৃষ্টিশক্তি হারানোর পাশাপাশি দিনের বেলা দেখার সক্ষমতা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই আপনার রাতকানা রোগটি বৃদ্ধি হওয়ার আগেই আপনার করণীয় হবে তার উপশম করার। নয়তো আপনি আপনার রাতের যে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন আস্তে আস্তে সেই রোগটি আপনার দিনের আলো দেখার ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারবে। এ রোগটি হওয়ার প্রধান কারণ হলো চোখে ভিটামিন এ না থাকা। 

আর এই রোগটি বেশিরভাগ শিশুদের হয়ে থাকে। এমনকি এই রোগটি ভিটামিন এ এর অভাব হয়। আবার যদি কারো ডায়রিয়া, হাম, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগগুলো যদি কারো হয়ে থাকে তাহলে এই রোগের কারণে ভিটামিন এ এর অভাব পড়ে আর ঠিক তখনই এই রাত কানা জনিত রোগ টি দেখা দেয়।

রাতকানা রোগের লক্ষণ

এই রাতকানা এমন একটি রোগ যে রোগের কারণে রাতের বেলায় বা স্বল্প আলোতে দৃষ্টিশক্তির অবনতি ঘটে অর্থাৎ আপনি রাতের অন্ধকারে আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তির মাধ্যমে কোন কিছু দেখতে পান না বা অনুভব না করতে পারা। এই রোগটিতে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বল্প আলোয় কোন কিছু দেখা খুবই কঠিন বা প্রায় অসাধ্য বলে জানা যায়। 

এ রোগটি আসলে চোখের যে কোন রোগের উপসর্গ বলে ধারণা করা যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় কারো কারো ক্ষেত্রে জন্ম থেকেই এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। উপরোক্ত তথ্যগুলো করার মাধ্যমে আমরা জেনে আসলাম ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা জনিত রোগ বা সমস্যা হয়। এই রোগটি যখন আপনার চোখে দেখা দিবে তখন আপনি কিভাবে বুঝবেন সেটি জেনে নিন। 

  • হালকা আলোতে দুর্বল দৃষ্টিশক্তি অর্থাৎ অল্প কোন আলোতে বা অন্ধকারে চোখে দৃষ্টি শক্তি কাজ না করা বা কিছু দেখতে না পাওয়া।
  • রাতে ড্রাইভিং করার সময় অসুবিধা সৃষ্টি করে অর্থাৎ আপনার যখন এই রাতকানা জনিত সমস্যাটি হবে তখন আপনি রাতে গাড়ি ড্রাইভিং বা যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে দেখতে পাবেন না।
  • এমনকি আপনার চোখে একটি অস্বস্তি কাজ করবে। সব সময় আপনি চোখে অন্য কিছু বা অন্যরকম অনুভূতি অনুভব করবেন।

আশা করি রাতকানা রোগের কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন। এখন যদি আপনার বা অন্য কারো এই লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তাহলেই বুঝে নেবেন তার বা আপনার রাতকানা জনিত রোগটি হয়েছে।

রাতকানা রোগ প্রতিকারের উপায়

আপনার চোখে যদি রাতকানা জনিত সমস্যাটি দেখা দেয় বা উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে এবং লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পরপর যদি মনে হয় এই লক্ষণগুলো আপনার চোখে দেখা দিচ্ছে তাহলে আপনি অবশ্যই বা অতি দ্রুতই রাতকানা রোগের প্রতিরোধ করবেন। কারণ আপনি যদি রাতকানা রোগ নিয়ে চলাফেরা করেন তাহলে আপনার চোখের রেটিনা কোষ আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে দিনের বেলাও চোখের দেখার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলবেন। 

আরো পড়ুনঃ চোখের এলার্জি দূর করার উপায়

তাই অতি দ্রুত রাতকানা রোগের প্রতিকার করার চেষ্টা করুন। এখন জেনে নিন এ রাতকানা রোগ কিভাবে দূর করবেন বা এর প্রতিকার উপায় সম্পর্কে। রাতকানা রোগটি প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে নিয়মিত ভিটামিন এ যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। আপনি চাইলে আপনার রাতকানা জনিত সমস্যাটি দূর করার জন্য এই ভিটামিন এ যুক্ত খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন। 

যেমন, মাছের যকৃতে তেল, কলিজা, সবুজ শাকসবজি( মিষ্টি কুমড়া,গাজর), রঙিন ফল( পাকা আম, কলা) ইত্যাদি ইত্যাদি। এজাতীয় খাবারগুলো আপনি গ্রহণ করতে পারেন। কারণ এ জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। আর এই ভিটামিন এ যদি আপনার দেহে প্রবেশ করে তাহলে আপনার রাতকানা জনিত রোগটি দূর হয়ে যাবে। তবে আপনার যদি এই রোগটি জন্মগত হয়ে থাকে তাহলে এ রোগটিকে দূর করতে পারবেন না। 

এটি যেহেতু জন্মগত ত্রুটি বা জেনেটিক অবস্থার ফলস্বরূপ অর্থাৎ আশার সিনড্রোম। তবে আপনি চাইলে আপনার দেহের রক্তে শর্করা মাত্রাটি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এমনকি রাতকানা রোগ কম হওয়ার জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে। এছাড়াও আপনার যদি চোখে ছানি জনিত সমস্যা হয় তাহলে আপনি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন অথবা খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। আশা করি তাহলে এতক্ষণে জেনে গেছেন রাতকানা রোগ এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।

রাতকানা রোগের ঔষধ

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেন কিভাবে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা যায় এমনকি রাতকানা রোগ দূর করার জন্য কোন প্রকার ওষুধ আছে কি। আপনি হয়তো জানেন না রাত কারা রোগটি যদি জন্মগত হয়ে থাকে তবে এর কোন ওষুধ নেই আবার রাতকানা রোগের কোন ধরনের ওষুধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। 

আরো পড়ুনঃ চোখ উঠলে করণীয় কি এবং ঘরোয়া চিকিৎসা

    তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তারা বলেন, রাতকানা রোগ দূর করার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। এখন পর্যন্ত তাদের কাছে এই চিকিৎসাটি বা পরামর্শটি পাওয়া গেছে। তাই আপনি যদি রাতকানা জনিত সমস্যাটি অনুভব করেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিনিয়ত ভিটামিন এ যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। আশা করছি রাতকানা রোগের ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।

    সর্বশেষ কথা-রাতকানা রোগ কেন হয়

    এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল রাতকানা রোগ কেন হয় এবং রাতকানা রোগ হয় কিসের অভাবে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে রাতকানা রোগ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য আপনি পেয়ে গেছেন। এখন আপনি রাতকানা রোগ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য গুলো নিজেও জানলেন এবং অন্য কেউ জানাতে পারবেন।

    পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটু ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন। কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এবং আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন, কারণ তারা এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে রাতকানা রোগ কেন হয় এবং রাতকানা রোগ হয় কিসের অভাবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরও তথ্য পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url