তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে - তারাবীহ নামাজ কি সুন্নত
প্রিয়, পাঠক পাঠিকা আজকে আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের টপিকটি হল তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে। এইরকম বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক রকম ভাবে কনফিউজ থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে তারাবির নামাজ নিয়ে যত কনফিউজ সমস্ত কনফিউজ দূর হয়ে যাবে।
এই আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে না হবে না। এই আর্টিকেলটির মধ্যে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা থাকবে। রোজার মাসে যে তারাবির নামাজটি প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ করা হয়েছে সেই নামাজের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে। তাই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে কিনা এবং এই তারাবির নামাজ নিয়ে একটি ছোট্ট ইতিহাসের বর্ণনা।
সূচিপত্রঃ তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে
- তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল
- তারাবির নামাজ সুন্নত না ওয়াজিব
- তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে
- তারাবির নামাজ কত রাকাত
- তারাবির নামাজ ৮ রাকাত না ২০ রাকাত
- তারাবির নামাজের সময় সূচি
- তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম
- তারাবির নামাজ পড়ার দোয়া সমূহ
- তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ
- তারাবি নামাজের ইতিহাস
- পোস্ট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল
তারাবির নামাজ প্রতিটি মুসলমানের জন্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। তবে হাদিসে বর্ণিত আছে পুরুষ মসজিদে গিয়ে জামাতের শহীদ তারাবির নামাজ আদায় করবে। এবং নারী বাড়িতে বসে নামাজ আদায় করবে। একটি হাদিসে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণিত করেছেন যে, عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين من بعدي عضوا عليها بالنواجذ "তোমরা আমার সূন্নাতকে আঁকড়ে ধর এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সূন্নাতকে আঁকড়ে ধর। তার উপর তোমরা অটুট থাক" { আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজী ২৬৭৬}
আর তাই ইমাম নববী বলেন, صلاة التراويح سنة بإجماع العلماء আলেমগণের ইজমা অনুযায়ী তারাবী নামাজ পড়া সুন্নত।
তারাবির নামাজ সুন্নত না ওয়াজিব
রমজান মাসের তারাবির নামাজ পড়া প্রতিটি মুসলমানের জন্য সুন্নাতের মুয়াক্কাদা এটি আমরা আগেই জেনেছি। রমজান মাসের তারাবির নামাজটি প্রতিটি মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক। কারন মানুষ মুসলমান হয়ে জন্মগ্রহণ করেছে আল্লাহতালার খেদমত এবং তার অনুগত করার জন্য।
আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল
আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের যে হুকুম আহকাম গুলো করেছে প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য আল্লাহ তায়ালার সেই হুকুমগুলো পালন করার। এমনকি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি তারাবির নামাজ আদায় করেছেন এবং তার বান্দাদের নামাজ পড়ার আদেশ করেছেন। তাই আমরা সবাই নবীর দেখানো পথে চলবো।
তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে
অনেক মুসলমানের মনের মধ্যে একটি জিনিস ঘুরপাক খাই যে তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে । এমন চিন্তা অনেকেরই মাথায় আসে আবার ভাবে যদিও গুনাহ হয় তাহলে কি ধরনের গুনাহ হবে সগিরা গুনাহ না কবিরা গুনাহ। এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখন পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
আমরা জানি, তারাবীর নামায পড়া সুন্নতে মুআক্কাদা। উজর ছাড়া না পড়লে সুন্নতে মুআক্কাদা তরক করার গোনাহ হবে। নামাজটি লাগাতার ছেড়ে দেয়াকে কবিরা গুনাহের সাথে শামিল করা হয়েছে। তারাবির নামাজ না পড়লে গুনাহ হবে কিনা আশা করি জানতে পেরেছেন।
তারাবির নামাজ কত রাকাত
উপরোক্ত তথ্য দ্বারা জানতে পেরেছেন তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে। এবার যে তথ্যটি আপনাদের সামনে দেয়া হবে সেটি হচ্ছে তারাবির নামাজ কত রাকাত। এই নিয়ে অনেকেই অনেক রকম মতবাদ দিয়েছে কেউ বলে তারাবির নামাজ ৮ রাকাত কেউ বলে তারাবি নামাজ ২০ রাকাত। এই নিয়ে অনেক হাদিসে অনেক রকম বর্ণনা দেয়া আছে তার মধ্যে কিছু হাদিস আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
তাবেঈ ইবনে আবি জুবাব (রহ.) বলেন, "ওমর (রা.)-এর জমানায় রমজানের তারাবি ছিল ২৩ রাকাত" (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৭৩৩)
তাবেঈ আবদুল আজিজ ইবনে রুফাই (রহ.) বলেন, "উবাই ইবনে কাব (রা.) রমজানে মদিনায় লোকদের নিয়ে ২০ রাকাত তারাবি ও তিন রাকাত বিতর পড়তেন" (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : হাদিস : ৭৭৬৬)
তাবেঈ ইয়াজিদ ইবনে রুমান (রহ.) বলেন, "উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর যুগে লোকেরা রমজানে ২৩ রাকাত তারাবি পড়তেন" (মুয়াত্তা মালিক, হাদিস : ৩৮০; আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকি, হাদিস : ৪২৪৯)
তারাবির নামাজ ৮ রাকাত না ২০ রাকাত
রমজান মাসের একটি আনন্দময় যে ইবাদতের সময় আসে সেই সময়টাকে বলা হয় তারাবির নামাজ বা রোজা রাখা সিয়াম পালন করা মাস। আর এই মাসে আল্লাহকে খুশি করার জন্য প্রতিটি মুসলমানকে ইবাদতগুলো করতে হয় একটু বেশি বেশি। যেমন কোরআন পড়তে হয় বেশি বেশি, নামাজ পড়তে হয় বেশি বেশি। আপনি আল্লাহ তায়ালার জন্য যত করবেন আল্লাহ তা'আলা আপনার প্রতি তত খুশি হবে।
অনেকেই ভাবে তারাবির নামাজ ৮ রাকাত পড়বো না ২০ রাকাত পড়বো। এই মাসটিতে যেহেতু বলা হয়েছে আপনি যতই ইবাদত করবেন তত আপনারই লাভ। তাই কম কিছু না করে সব সময় বেশি কিছু করার চেষ্টা করব। হ্যাঁ অনেক হাদিসে অনেক রকম ভাবেই বর্ণনা করা আছে কোন হাদিসে তারাবির নামাজ ৮ রাকাত বলা হয়েছে কোন হাদিসের তারাবির নামাজ ২০ রাকাত ও বলা হয়েছে । আমরা সবাই চেষ্টা করব সব সময় বেশি বেশি ইবাদত করার।
তারাবির নামাজের সময় সূচি
অনেকেই আছে তারাবির নামাজ কখন পড়তে হয় জানেনা। তারাবির নামাজের সময়সূচী হল রমজান মাসের মধ্যে প্রতিটি এশার নামাজের ফরজ চার রাকাতের পর দুই রাকাত সুন্নত শেষে বেতের নামাজের আগে তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। এছাড়াও বলা যেতে পারে এশার নামাজের পর ফজর নামাজের আগের সময়টাকে তারাবির নামাজের সময় বলা।
তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম
তারাবি নামাজ পড়ার নিয়ম গুলো জেনে নি। এশার নামাজের ফরজ ও সুন্নাত শেষ করে তারাবির নামাজ শুরু করতে হয়। তারাবির নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে পড়তে হয়। প্রথম চার রাকাত শেষ হওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার দুই রাকাত দুই রাকাত করে নামাজ শুরু করতে হয়। প্রতি চার রাকাত পর বিশ্রাম নেয়ার সময় তসবি তাহলীল দোয়া দুরুদ পড়তে হয়।
আরো পড়ুনঃ তারাবির নামা্জের মোনাজাত
এইভাবে তারাবির নামাজ শেষ করতে হয়। তারাবির ২০ রাকাত নামাজ শেষ হলে বেতের এর তিন রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। তারাবির নামাজ পড়ার সঠিক নিয়মকানুন গুলো আশা করি জানতে পেরেছেন।
তারাবির নামাজ পড়ার দোয়া সমূহ
রমজান মাসের তারাবি নামাজ পড়তে গিয়ে যে সমস্ত দোয়া পড়তে হয় সেই সমস্ত দোয়া গুলো কি কি জেনে নিন।
১। তারাবির নামাজের নিয়তঃ
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
২। তারাবির নামাজের দোয়াঃ
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’
৩। রমজান মাসের ইস্তেগফারঃ
اَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ اﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আ’ন্নি।
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানি; ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আ’হদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্বা’তু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সানা’তু আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া; ওয়া আবুউ বিজামবি ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।’
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ
রমজান মাসের তারাবির নামাজের পঠিত মোনাজাত সমূহ অর্থ সহ বর্ণনা করা হলো। তারাবির নামাজের মোনাজাতঃ
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
বাংলা উচ্চারণ: “সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।ʼʼ
বাংলা অর্থ : আল্লাহ পবিত্রময় সাম্রাজ্য ও মহত্ত্বের মালিক। তিনি পবিত্রময় সম্মান মহত্ত্ব ও প্রতিপত্তিশালী সত্তা। ক্ষমতাবান, গৌরবময় ও প্রতাপশালী তিনি পবিত্রময় ও রাজাধিরাজ যিনি চিরঞ্জীব, কখনো ঘুমায় না এবং চির মৃত্যুহীন সত্তা। তিনি পবিত্রময় ও বরকতময় আমাদের প্রতিপালক, ফেরেশতাকুল এবং জিবরাইল (আ.) এর প্রতিপালক।
তারাবির নামাজের মোনাজাতঃ
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ - اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’
বাংলা অর্থ: পবিত্রতা ঘোষণা করছি তাঁর, যিনি ইহজগৎ ও ফেরেশতা ও জগতের প্রভু, সেই আল্লাহর মহিমা বর্ণনা করছি যিনি মহিমাময় বিরাট, ভীতিপূর্ণ, শক্তিময়, গৌরবময় এবং বৃহত্তর। আমি সেই প্রতিপালকের গুণগান করছি, যিনি চিরঞ্জীব, যিনি কখনও নিদ্রা যান না এবং যার কখনও মৃত্যু ঘটে না। পুতঃপবিত্র তিনি। তিনি আমাদের পালনকর্তা, ফেরেশতাকুল এবং আত্মাসমূহের পালনকর্তা। আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমরা আপনার কাছে বেহেশত চাচ্ছি এবং দোযখ থেকে মুক্তি চাচ্ছি।
তারাবি নামাজের ইতিহাস
এখন জানবো তারাবির নামাজের ইতিহাস সম্পর্কে। রমজান মাস প্রতিটি মুসলমানের কাছে অতি আনন্দের ও ইবাদতের মাস। এই মাসে আল্লাহতালার বান্দারা সারাদিন রোজা রেখে রাত জেগে আবার ইবাদত করে। যারা আল্লাহর মমিন বান্দা এ সমস্ত কষ্টকে উপেক্ষা করে আল্লাহ তায়ালার হুকুম আহকাম পালন করার জন্য সারাদিন না খেয়ে রোজা রাখার পরও রাত জেগে তারা আল্লাহ তায়ালাকে রাজি খুশি করার জন্য তার ইবাদত করে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ নামাজ পড়ার নিয়ম জানুন
এই তারাবির নামাজটি জামায়াতের সঙ্গে পড়ার জন্য বর্তমান নিয়মটি চালু হয়েছে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক (রা) এর জামানা থেকে। এই নিয়মটি চালু হওয়ার পর থেকে এক তায়েবী আবদুর রহমান ইবনে সায়েব ইবনে আবদুল কারি বলেন, একদিন আমি আর হযরত ওমর ফারুক (রা) একটি মসজিদে তারাবির নামাজের জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম মুসল্লিরা এলোমেলো ভাবে নামাজ পড়ছে কেউ একাকী ভাবে নামাজ আদায় করছে আবার কয়েকজন একসঙ্গে মিলে নফল নামাজ আদায় করছে।
এগুলো দেখে ওমর ফারুক (রা) বলেন, এদের সবাইকে একজন ভালো আলেম বাদ তিলাওয়াতকারীর পিছনে দাঁড় করিয়ে দিলে ভালো হতো । অতঃপর হজরত উবাই ইবনে কা’বকে ইমাম নিযুক্ত করা হয়। এবং তার পিছে সবাইকে জামাতের সাথে তারাবির নামাজ আদায় করা শুরু হয়।
পোস্ট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে এই সম্পর্কে। আশা করি পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করবেন কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এবং পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন কারণ তারাও এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে তারাবির নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url