১০০ বছর আগে কিভাবে টাইটানিক জাহাজ ডুবে গেছিল জানুন
হ্যালো বন্ধুরা আজকের এই পোস্টটি ১০০ বছর পূর্বে ডুবে যাওয়া সেই টাইটানিক জাহাজ সম্পর্কে। আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন ১০০ বছর পূর্বে ডুবে যাওয়া সেই টাইটানিক জাহাজের সম্পূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে।
১০০ বছরের বেশি হলো টাইটানিক জাহাজ ডুবে আজও মানুষের মনের অজানা কোন লুকিয়ে রয়েছে টাইটানিক তাইতো বারবার ছুটে যাওয়া সমুদ্রের গভীরে সাম্প্রতিক প্রশ্ন। আর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার জন্যই আজকের আর্টিকেলটির বিশেষ করে লেখা হয়েছে.। তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন ১০০ বছর পূর্বে কেন এবং কিভাবে টাইটানিক জাহাজ ডুবে গেছিল এবং কত লোক মারা গিয়েছিল।
সূচিপত্রঃ ১০০ বছর আগে কিভাবে টাইটানিক জাহাজ ডুবে গেছিলন
আমাদের পৃথিবীর ৭১ ভাগে পানি আর মাত্র ২৯ ভাগ জায়গাতে আমরা পৃথিবীর সমস্ত মানবজাতি বাস করছি আর এই জায়গাটুকুতেই আমাদের সবকিছু সমুদ্রের বিশালতা এতই যে আমাদের কল্পনাকেও হার মানায় আর এই সমুদ্রে এত রহস্যপূর্ণ জায়গা রয়েছে তা আমরা সবগুলো কোনদিনও দেখতে পারবো না এর মধ্যে একটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল আর এই রহস্যের মতো টাইটানিক জাহাজ ডোবার ৭৩ বছর পর্যন্ত এই জাহাজটিকে খুঁজে পাওয়ার প্রায় ৩৫ বছর পরেও এটি উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফোন আপডেট করতে হয়
আজকের আর্টিকেলে আমরা জাহাজটি কেন ডুবে ছিল তার সম্পর্কে আলোচনা করব না আজকের
আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাবো যে কেন এবং কি কারনে জাহাজটিকে আর কোনদিনও
উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এবং হয়তোবা আর হবেও না তো স্বাগতম আপনাকে মায়াজালের আরো
একটি নতুন এপিসোডে বন্ধুরা টাইটানিক জাহাজটি কেন ডুবে ছিল বা কিভাবে ডুবে ছিল
এগুলো আমরা প্রায় সবাই জানি আর এই জানার পেছনের মূল ভূমিকা রয়েছে।
ডুবে যাওয়ার পরে এটি কোথায় আছে বা কিভাবে আছে তা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা বারবার চেষ্টা চালিয়েছেন কিন্তু তারা তা কোনোভাবেই জানতে পারেননি আর এইভাবে একটানা ৭৩ বছর ধরে জাহাজটিকে খোঁজার প্রচেষ্টা চালিয়েও তারা জাহাজটির অবস্থান কোথায় আছে তা জানতে পারেননি কিন্তু ১৯৮৫ সালে এক আর্কিওলজিস্ট এবং আমেরিকান নেভি অফিসার। এবংআটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে পাঁচ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ একটি পর্যটন বাহিনী টাইটানিক দেখতে গিয়েছিলেন।
টাইটানিক এর মত আটলান্টিকের পানিতে চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছে তাপমাত্রা বল টাইটান এর সঙ্গে সলিল সমাধি হয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া পাঁচ পর্যটকের। ডুবুযান টাইটান চেপে যাত্রীদের আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দিয়েছিলেন তারা আর বেঁচে নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
টাইটানের ছিন্নভিন্ন টুকরা সনাক্ত করা গেলেও অভিযাত্রীদের লাশের কোন চিহ্ন খুঁজে
পাওয়া যায়নি। টাইটান ছিল বিশ্বের একমাত্র বেসরকারি মালিকানাধীন সাবমারসিবল যা
সমুদ্রের তলদেশে
৪০০০ মিটার গভীরে পর্যন্ত যেতে পারত। সাগরের সবচেয়ে গভীরে যেতে সক্ষম মার্কিন
সাবমেরিন ইউএসএস ডলফিনের চাইতেও অনেক বেশি গভীরতায় যেতে সক্ষম ছিল ২৩ হাজার
পাউন্ড ওজনের টাইটান পর্যটকদের টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার সুযোগ করে দেওয়ার
জন্য বিশেষভাবে নির্মিত হয়েছিল এটি।
২০১৮ সালের টাইটানের ট্রায়াল শুরু হলেও ২০২১ সালে এটি প্রথম যাত্রা শুরু করে গত বছর এটি ১০ বার সাগরের তলদেশে গেছে। এটির ভেতরে জায়গায় এতটাই চাপা যে পাঁচজনের বেশি মানুষকে জায়গা দেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
এর মধ্যে একজন পাইলট এবং বাকি চারজন যাত্রী ঘন্টায় ৩.৪৫ মাইল বেগে চলতে পারা টাইটানের ছিল চারটি ইলেকট্রিক ইঞ্জিন সমুদ্রের তলদেশের গভীরতায় প্রচন্ড ঠান্ডা হতে পারে তাই ডুবযাত্রী দেয়াল ও উষ্ণ তাপমাত্রায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ডুব যাত্রীর বাইরের অংশ ছিল শক্তিশালী আলোর ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে টাইটানিকের ধ্বংস নাবিশেষ দেখা যেত। ডুবুযানের বাইরে একাধিক ক্যামেরা সেট করা ছিল সেই সঙ্গে ভিতরে বিশাল ডিজিটাল স্ক্রিনে টাইটানিক এর ধ্বংস না বিশেষ দেখার ব্যবস্থা রয়েছিল।
ডুবুজানের সামনের দিকে ছিল যাত্রীগণ এর জন্য ব্যক্তিগত টয়লেট ব্যবহার সময় একটি পদ্মার মত উঠে যায় আর এই সময় পাইলট কিছু মিউজিক ছেড়ে দিতেন। কিন্তু কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে এ ধরনের অভিযানে আসার আগেই নিজের টাইটানিক সীমাবদ্ধ করতে হবে এবং পানি নিজে থাকা সময় যেন টয়লেট ব্যবহারের প্রয়োজন কম পড়ে সেই দিকে সচেতন থাকতে হবে। সাগরের গভীরে পৌছালে স্বাভাবিকভাবেই টাইটানের ইপিয়ার কাজ করত না।
এটির বদলে একটি বিশেষ মেসেজ সিস্টেম এর মাধ্যমে পানির উপরে থাকা সাপোর্ট জাহাজের সাহায্যে রক্ষা করতো টাইটান। একটি মডিফায়েড ভিডিও গেম কন্ট্রোলারের সাহায্যে ডুবোজান্টির পরিচালনা করতেন পাইলট গত বছর সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঊষাণ গেটের প্রতিষ্ঠাতা টপটন হ্রাস বলেছিলেন এই ডুবুযানটি পরিচালনা করতে খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন নেই এবারের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাশও।
পানির নিচে যাওয়ার আগে একটি সহায়তাকারী দল যাত্রীদের সাবমারসিবল এর ভেতরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা টেনে ১৭ টি বোর্ড দিয়ে আটকে দিতেন অর্থাৎ ভিতরে থাকা যাত্রীদের বাইরে বের হওয়ার কোনো রকম সুযোগ ছিল না এই যাত্রা কখনই নিরাপদ ছিল না। বরং ছিল অনেক ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জের আর তাই টাইটানে ভ্রমণের সময় প্রতিটি যাত্রীর কাছে স্বাক্ষর করতে হতো। যেটিতে যে কোন ইনজুরি মানসিক আঘাত থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে অনুমতি নেওয়া থাকতো।
বৃহস্পতিবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ১৬০০ ফুট দূরে পাওয়া গেছে টাইটানের
ধ্বংসাবশেষ ইতোমধ্যে এটির বেশ কয়েকটি টুকরো সনাক্ত করা গেছে মার্কিন কোস্টগার্ড
কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল জনমাগার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মহাসাগরের তলদেশে
পানির চাপ নিতে না পেরে বিস্ফোরিত হয়েছে টাইটান এতে থাকা পাঁচ যাত্রীর কেউই আর
বেঁচে নেই।
আরো পড়নঃ জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করুন
ওশান ঘাটের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও টাইটানে ক্যাপসুলে ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের বিমান সংস্থা অ্যাকশন অ্যাজেশনের চেয়ারম্যান হামিষ হার্ডিং পাকিস্তানের আংগর কর্পোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ ও ফরাসি পর্যটক পল হরি নার্জিলে।
সর্বশেষ কথা-টাইটানিক জাহাজ
এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল ১০০ বছর আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজ সম্পর্কে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন। এখন আপনি নিজেও জেনেছেন টাইটানিক জাহাজ সম্পর্কে এবং অন্য কেউ এই সম্পর্কে ধারণা এবং জানাতে পারবেন।
এখন আপনি জেনেছেন কিভাবে টাইটানিক জাহাজ ডুবে ছিল এবং সেই টাইটানিক জাহাজ উদ্ধারে কতজন ব্যক্তি মারা গেছিল। আপনার কাছে যদি আমাদের এই পোস্টটি একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন। কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়।
এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবে ১০০ বছর পূর্বে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজ সম্পর্কে এবং সেই জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পিছনে কারণ কি ছিল এই সম্পর্কেও স্বচ্ছ একটি ধারণা পেয়ে যাবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url