পেটে ব্যথা কমানোর উপায় - পেট ব্যাথা কমানোর উপায় ওষুধ
পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে মানুষটি পেটে ব্যথার মত সমস্যায় পড়ে নাই। আর এই পে্টে ব্যথা কখনো বলে কয়ে আসে না হঠাৎ পেটে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। আর এই পেটে ব্যথাটা প্রাথমিকভাবে কিভাবে দূর করা যায় সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
এছাড়াও এই পোষ্টের মধ্যে পেট ব্যথার কমানোর ওষুধ সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন পেটে ব্যথা কমানোর উপায় এবং পেট ব্যথা কমানোর উপায় ওষুধ।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ পেটে ব্যথা কমানোর উপায় এবং পেট ব্যথা কমানোর উপায় ওষুধ
- পেটে ব্যথা কমানোর উপায়
- পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- পেট ব্যথা কমানোর ওষুধ এর নাম
- পেট ব্যথা হওয়ার কারণ কি
- পোস্ট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
পেটে ব্যথা কমানোর উপায়
এই পৃথিবীতে কমবেশি সবারই কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ পেট ব্যাথা। আর এই পেট ব্যথা হওয়ার অনেক ধরনের কারণ হতে পারে। তবে অনেক সময় দেখা যায় পেট ব্যথা কিছুক্ষণের জন্য আসে আবার চলে যায়।
আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
কিন্তু তারপরেও পেট ব্যথা হওয়াটা বিরক্তের বিষয় যদিও সমস্যাটা ছোট তারপরেও অনেক বিরক্ত লাগে। আপনি যদি নিয়মিত খালি পেটে সকালে পানি খেতে পারেন তাহলে আপনার পেট ব্যথা হবে না বললেই চলে। আপনি চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারেন, অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে এসিড স্টার্ট থাকায় তা হজম করতে সাহায্য করে এবং অন্তের ব্যাকটেরিয়াকে সুস্থ রাখে আর্থিক এই কারণেই এটি পেটের ব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে।
এছাড়াও পেটের ব্যথা কমাতে পেটে হালকা গরম করার মত হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে
পারেন। এই পদ্ধতিটি অনেক ধরনের স্কেপিং বা ব্যাথা নিরাময়ে অনেক ধরনের
উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি এই পদ্ধতিটি বমি বমি ভাব কেউ কমাতে
সাহায্য করে।
পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
পেট ব্যথা কমানোর জন্য প্রাথমিক যে চিকিৎসাটি সেটি হচ্ছে ঘরোয়া উপায়ে
পেটের ব্যথার দূর করা। কিছু উপকরণ আছে যে উপকরণ গুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই
আপনার পেটের ব্যথা দূর করতে পারবেন। হ্যাঁ ঠিক এই কিছু উপকরণ সম্পর্কে আপনাদের
সামনে আলোচনা করব যে উপকরণগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার পেটের ব্যথা ঘরোয়া পদ্ধতি
দিয়েই দূর করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নিই কোন কোন পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে
পেটের ব্যথা নিরাময় করা যায়।
ভাতঃ পেটে ব্যথা হলে মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আর চেষ্টা করবেন নরম করে ভাত খাবার। আর আপনারা জানেন হাতে কোন লবণ বা মসলা থাকে না আর তাই পেটের ব্যাথা থাকলে তা নিরাময় করতে সহায়তা করে। তাই চেষ্টা করবেন পেটে ব্যথা হলে নরম করে ভাত খাবার এবং তার সাথে পাতলা কিছু খাওয়ার।
কলা ও আপেলঃ আপনারা হয়তো জানেন কলা ও আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার
থাকে। আর ঠিক এই কারণেই এই ফলগুলো পেটের ব্যথা কমাতে অনেকটাই সহায়তা করে থাকে।
এছাড়াও এই ফল দুটি বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়াতেও অনেকটাই উপকারে আসে।
আদা চা অথবা আদাঃ আপনি হয়তো জানেন না প্রাচীনকাল থেকেই পেটের ব্যথা
বা যেকোনো ব্যথা কমাতে বা বমি বমি ভাব দূর করাতে আদাকে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে
গণ্য করা হয়। এই আদার মধ্যে আছে আন্টিইনফ্লেমেটরি এবং প্রদাহ বিরোধী গুণ
থাকায় এটি যেকোনো ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি চান প্রাকৃতিকভাবে
পেটের ব্যথা বা যে কোনো ব্যথা কমাতে তাহলে অবশ্যই আদা কুচি করে অথবা চিবিয়ে
চিবিয়ে খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায়
পুদিনা পাতাঃ এই পাতাটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি
পাতা কারণ এই পাতা দ্বারা পেটের ব্যথা ও বমি ভাব কমাতে এবং পেট খারাপের জন্য
অনেক সাহায্যকারী একটি প্রাকৃতিক সমাধান। আর এই পুদিনা পাতায় প্রাকৃতিক
ব্যথানাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে পেটের ব্যথা কমানোর জন্য
চায়ের সঙ্গে বা চিবিয়ে চিবিয়ে পুদিনা পাতা খেতে পারে।
উপরোক্ত যে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো বললাম এ পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার
পেটের ব্যথা নির্মূল করতে পারবেন। তাহলে আশা করছি জেনে গেছেন পেটের ব্যথা কমানোর
ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে।
পেট ব্যথা কমানোর ওষুধ এর নাম
পেট ব্যথা কমানোর ওষুধ হল টাইমোনিয়াম এই ওষুধটি সেবনে আপনার তাৎক্ষণিক পেটের ব্যাথা দূর করে দেবে। এবং আপনার যেকোনো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে আপনি গ্যাসের ওষুধ খেতে পারেন (Cap.Nexum 20) ।
এই ওষুধগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার পেটের ব্যথা থাকবে না বা থাকতে পারেন। তাহলে
আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন আপনার পেটের ব্যথা দূর করার জন্য কোন ওষুধ খাবেন।
এখন আপনার পেটের ব্যথা হলে ওষুধগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার পেটের ব্যথা নির্মল
করতে পারবেন।
পেট ব্যথা হওয়ার কারণ কি
গবেষণায় বা বিশেষজ্ঞরা একটি উক্তি দিয়েছেন আপনার পেট ব্যথা হওয়ার পিছনে অনেক ধরনের বা একাধিক কারণ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে এই পেট ব্যাথা হওয়ার পেছনের কারণগুলো হলো গ্যাস, এসিডিটি, বদহজমের মতো সমস্যা।
আরো পড়ুনঃ এলার্জি দূর করার উপায়
এমনকি এই পেট ব্যথা ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাসজনিত কোন ইনফেকশন থেকেও সমস্যাটি
দেখা দিতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন জাঙ্ক ফুড বা তৈলাক্ত খাবারের ফলেও
আপনার পেট ব্যথা হতে পারে। তাই এ সমস্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন এবং গ্যাস বা
বদহজমের জন্য ওষুধ ব্যবহার করুন। পেট ব্যাথা হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
ধারণা পেয়ে গেছেন।
পোস্ট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
এতক্ষণ যে পোস্টটি পড়ছিলেন সেই পোস্টটি হল পেটে ব্যথা কমানোর উপায় এবং পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ সম্পর্কে। আশা করছি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে পেট ব্যথার সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
আপনার কাছে যদি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করবেন কারন তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে পেটে ব্যথা কমানোর উপায়
সম্পর্কে জানতে পারবেন এমনকি পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ সম্পর্কেও জানতে পারবে।
এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট
করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url