জ্বর হলে করণীয় কি - জ্বরের ঔষধের নাম

আপনি জানতে চেয়েছেন জ্বর হলে করণীয় কি? আপনার একটি প্রশ্ন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার পোস্ট যথার্থ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি আমরা। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লেই জানতে পারবেন জ্বর হলে করণীয় কি এবং জ্বরের ওষুধের নাম।
Jor
এছাড়াও, এই পোস্টের মধ্যে জ্বর সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হবে। তাই দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি পড়া শুরু করা যাক এবং জেনে নেয়া যাক জ্বর হলে করণীয় কি এবং জ্বরের ওষুধের নাম।

পোস্ট সূচীপত্রঃ জর হলে করণীয় কি এবং জ্বরের ওষুধের নাম

জ্বর কেন আসে

একজন মানুষের দেহে জ্বর আসার অনেক কারণ রয়েছে। মানুষের দেহে জ্বর আসার সবচেয়ে কমন বা সাধারণ ব্যাপার হলো ঠান্ডা লেগে জ্বর হওয়া বা সর্দি কাশির কারণে জ্বর হওয়া। এই দুটি কারণে সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের দেহে জ্বর এসে থাকে। 
এর বাইরে মানুষের শরীরে বা দেহের ভেতরে কোন কারণে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ হলে জ্বর এসে থাকে অর্থাৎ বলা যায় ইনফেকশন হলে জ্বর হতে পারে। এছাড়াও প্রোটোজোয়া বা ফাঙ্গাস ইনফেকশনের কারণে জ্বর হতে পারে। 

আবার কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোন ধরনের ম্যালিগনেন্সি বা ক্যান্সারের কারণেও মানুষের দেহে জ্বর আসতে পারে। তাহলে আশা করছি জানতে পারলেন জ্বর কেন আসে।

জ্বর হলে করণীয় কি

জ্বর শব্দটি এমন কোন মানুষ নেই যে শুনে নাই। এই জ্বর সব ধরনের মানুষেরাই হয়, জ্বর একটি রোগের নাম। বলা যায় জ্বরে কি সাধারণ রোগ এটি প্রায় মানুষের শরীরে চলে আসে। আপনার শরীরে জ্বর হলে আপনার করণীয় হবে ঘন ঘন কপালে জলপট্টি দেওয়া। 

এই জলপট্টি দেয়াটা প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত হয়ে আছে। প্রাথমিক চিকিৎসায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা যা একজন  জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য খুবই কার্যকরী। তাই অবশ্যই জ্বর হওয়ার পরপরই রোগীর মাথায় ঘন ঘন জলপট্টি দিতে হবে। 

তবে জোরে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেড়ে গেলে ঘন ঘন জলপট্টি এর পরিবর্তে রোগীর বগলের নিচে বা কুঁচকিতে বরফ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই সমস্ত স্থানে রক্তনালীগুলো অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত হয়। 

আর এর ফলে ঠান্ডা প্রয়োগ করলে রোগীর রোগীর শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। তাহলে আশা করছি জেনে গেছেন একজন ব্যক্তিকে জ্বরে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক করণীয় গুলো কি।

জ্বর এর চিকিৎসা

কোন ব্যক্তির যখন জ্বর আসে সেই সময় বাসায় ঘরোয়া উপায় এর চিকিৎসা গুলো আছে সেই সব ধরনের চিকিৎসা গুলো আপনি প্রয়োগ করতে পারেন। এবং রোগীকে যে ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা গুলো দেয়া হয় সে ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো দেয়ার পর যদি দেখেন রোগীর দেহের বা শরীরে তাপমাত্রা কমছে না তাহলে আপনি কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। 
ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার সর্বপ্রথমে থার্মোমিটার দিয়ে রোগীর জ্বর মেপে নেবে বা পরীক্ষা করে নেবে। এবং জানতে চাইবে জরের সাথে আর কোন সমস্যা বা রোগ আছে কিনা যেমন ধরেন জ্বরের সাথে সর্দি কাশি মাথাব্যথা ইত্যাদি এ ধরনের সমস্যাগুলো থাকলে ডাক্তার সব ধরনের ওষুধ একসাথে দেয়ার চেষ্টা করবে। 

তবে থার্মোমিটার অনুযায়ী জ্বরের পরিমাণ দেখে অনেক ডাক্তার ওষুধ দিয়ে থাকে। তবে চেষ্টা করবেন যে কোন হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়ার চেয়ে কোন ভালো এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে ওষুধ খাওয়ানো। তাহলে আশা করছি জানতে পেরেছেন জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে।

জ্বরের ট্যাবলেট ওষুধের নাম

এখন জানেন কোন ওষুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে একজন জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জ্বর দূর হবে। জর নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বিভিন্ন কোম্পানি উৎপাদন করে থাকে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে খুবই তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হয়ে যেতে পারবেন। 

তবে চেষ্টা করবেন ডাক্তারের কাছে থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপিয়ে ওষুধ খাবার। কারণ কত ডিগ্রি জোরে কত পাওয়ারের ওষুধ খেতে হয় সেটা শুধুমাত্র ডাক্তারেরাই ভালো বোঝে তাই তাদের পরামর্শ নিয়ে কি ওষুধ খেতে বলছে সেই ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে এখন আপনাদের মাঝে কিছু ওষুধের নাম বলবো যে ওষুধগুলো কোন জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে ডাক্তাররা দিয়ে থাকে। জ্বরের ওষুধের নাম হলঃ 
  • নাপা (Napa)
  • প্যারাসিটামল (Paracetamol)
  • এসপিরিন (Aspirin)
  • এসিই প্লাস (Ace plus)
  • Pyregsic
  • Calpol
  • Admol
  • Ecosprin
  • Napa extra 
এই সমস্ত কোম্পানির ওষুধগুলো জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন।

জ্বরের জন্য হোমিও ওষুধের নাম

এতক্ষণ জানলেন জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য কোন ট্যাবলেট গুলো খাওয়া প্রয়োজন। এখন জানবেন জ্বরে হলে হোমিও ওষুধের নাম। আপনি হয়তো জানেন আবার হয়তো জানেন না ট্যাবলেট ওষুধ খাওয়ার চেয়ে হোমিও ওষুধ খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বা ভালো। 

কারণ ট্যাবলেট ওষুধে বিভিন্ন ধরনের সাইড এফেক্ট এবং শরীরের ক্ষতি করে কিন্তু হোমিও ওষুধে শরীরের কোন ক্ষতি করে না। যা আপনার বা আমার খুবই কার্যকরী একটি ওষুধ বললেই চলে। চলুন তাহলে জ্বর হলে হোমিও কোন ওষুধ খাওয়া আমাদের জন্য প্রয়োজন। 


জরের জন্য হোমিও ওষুধের নাম হলঃ নাক্সভোমিকা, রাশটক্স, জেলসিমিয়াম, ব্রায়োনিয়া আলবা, অ্যাকোনাইট ইত্যাদি এই হোমিও ঔষধ গুলো জ্বরের প্রান্ত কার্যকরী একটি ওষুধ যে ওষুধগুলো আপনি ডাক্তারের পরামর্শ মত নিয়মিত ছেলে আপনার দেহে কোন জ্বর থাকবে না। তাহলে আশা করছি জানতে পেরেছেন জ্বরের জন্য হোমিও ওষুধের নাম সম্পর্কে।

সর্বশেষ কথা - জ্বর হলে করণীয়

আশা করছি পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জ্বর সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যগুলো আপনি জানতে পেরেছেন। আশা করছি আপনার বা আপনার আত্মীয় স্বজনদের যদি জ্বর নামক এই রোগটি হয় তাহলে আপনি প্রাথমিকভাবে কোন চিকিৎসা এবং যেকোনো একটি ওষুধ খাওয়াতে পারবেন। 

পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন কারণ তারা পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবে জ্বর হলে করণীয় এবং চর হলে ওষুধের নাম। এছাড়াও সম্পর্কে আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিডিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url