হাই প্রেসার এর লক্ষণ - হাই প্রেসারের ঔষধের নাম
আপনার করা প্রশ্নটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা আপনার প্রশ্ন অনুযায়ী সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। আপনি জানতে চেয়েছেন হাই প্রেসার এর লক্ষণ এবং হাই প্রেসারের ওষুধের নাম। পোস্টটি কন্টিনিউ পড়তে থাকেন তাহলেই জানতে পারবেন আপনার প্রশ্নের উত্তর।
সাথে সাথে আমরা এই পোষ্টের মধ্যে প্রেসার সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। তাই মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ুন আর জানুন হাই প্রেসার এর লক্ষণ এবং হাই প্রেসারের ওষুধের নাম।
পোস্ট সূচিপত্রঃ হাই প্রেসার এর লক্ষণ এবং হাই প্রেসারের ওষুধের নাম
- হাই প্রেসার কাকে বলে
- হাই প্রেসার এর লক্ষণ
- হাই প্রেসার এর প্রাথমিক চিকিৎসা
- হাই প্রেসারের ওষুধের নাম
- হাই প্রেসার কেন হয়
- হাই প্রেসার কাদের হয়
- সর্বশেষ পোস্ট লেখকের কিছু কথা
হাই প্রেসার কাকে বলে
হাই প্রেসার কাকে বলে এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের কাছে অনেক জনই করে থাকেন। তাই আমার তাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো দেয়ার জন্য এই পোস্টটি লেখা হয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নি হাই প্রেসার কাকে বলে। হাই প্রেসার হলো গবেষণায় বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জানা যায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে 120 থেকে 80 মিলিমিটার মার্কারি।
আরো পড়ুনঃ ডাইবেটিস এর লক্ষণ
কারো ব্লাড প্রেসার রিডিং যদি ১৪০ থেকে ৯০ বা এর চেয়েও বেশি হয়, তখন বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপের বা হাই প্রেসার জনিত সমস্যা হয়েছে বা আছে। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০ থেকে ৬০ এর আশেপাশে থাকে তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয়। তাহলে আশা করছি জানতে পারলে হাই প্রেসার কাকে বলে।
হাই প্রেসার এর লক্ষণ
একজন হাই প্রেসারের রোগীর কোন কোন লক্ষণ গুলো বা কোন কোন দিক গুলো দ্বারা বুঝতে পারবেন যে হাই প্রেসারে আক্রান্ত হয়েছে বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাহলে চলুন জেনে নেই হাই প্রেসার এর লক্ষণ বা উচ্চ রক্তচাপে লক্ষণগুলো সম্পর্কে।
একজন প্রেসারের রোগীর যখন অনেক বেশি প্রেসার হলে (বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে) দাঁড়ালে বৃষ্টি ঝাপসা হয়, মতিভ্রম, সন্তস্ত হওয়া, এবং গা হাত কাঁপা আর বমি বমি ভাব লাগা ইত্যাদি এই লক্ষণগুলো হাই প্রেসার এর বা উচ্চ রক্তচাপ হলে দেখা যায়। এবং উচ্চ রক্তচাপের জন্য রক্তনালী শক্ত হয়ে যায় ফলে রক্ত সাপ্লাই ও মানুষের দেহে কম হতে থাকে।
সেজন্যই এনজাইনা বা হার্টের ব্যথা হৃদয়স্পন্দনের পরিবর্তণ হার্টের দুর্বলতা ফেইলরের উপসর্গ নিয়ে আসতে পারে। তাই উচ্চতা রক্তচাপ ব্যক্তিদের সাবধানে চলাফেরা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আশা করছি জানতে পেরে গেছেন একজন হাই প্রেসারের বা উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যার ব্যক্তির লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।
হাই প্রেসার এর প্রাথমিক চিকিৎসা
একজন হাই প্রেসারের রোগীর প্রাথমিকভাবে কোন চিকিৎসা দেয়া যায় কিনা এ পোস্টটি করার মাধ্যমে জেনে নিন। প্রাথমিকভাবে বলা যায় কোন উচ্চ রক্তচাপ ব্যক্তি যখন আক্রান্ত হয় বা তার শরীরে প্রেসার সৃষ্টি হয় তখন তার মাথায় তাৎক্ষণিকভাবে পানি ঢালা উচিত। অথবা মাথায় বরফ দিয়ে কিছুক্ষণ রাখা উচিত যাতে করে উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত ব্যক্তির মাথার ঠান্ডা হয়।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায়
এবং তেতুলে শরবত খাওয়ানো। এবং উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত ব্যক্তিকে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে প্রতিদিন বা নিয়মিত কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন আক্রান্ত ব্যক্তির ওজন বেশি থাকলে তা কমাতে হবে খাবারের সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন বা দৈনন্দিন অন্তত 30 মিনিট জোরে হাঁটা উচিত এবং এভাবে হাটা উচিত সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন করে।
এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন প্রকার ধূমপান বা মধ্য পান করা যাবেনা। মানসিক
চাঁদ বা দুশ্চিন্তা থাকলে তা কমিয়ে আনতে হবে। তাহলে আশা করছি জানতে পারলেন
একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন কোন প্রতিকার বা প্রতিরোধগুলো করতে
হবে অথবা হাই প্রেসার এর প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানলেন।
হাই প্রেসারের ওষুধের নাম
হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে হলে পোস্টটি কন্টিনিউ করুন। এখন জানতে পারবেন হাই প্রেসারের ওষুধের নাম সম্পর্কে। ওল্মেসিপ ২০ এম জি ট্যাবলেট (Olmecip 20 MG Tablet), একটি এনজিওটেসটিনn2 রিসেপ্টর ব্লকার (এআরবি), এই দুইটি ওষুধ হাই প্রেসার এর রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এটি একটা করে ব্যবহার করা যায় অথবা এর সাথে অন্যান্য ওষুধের সাথে সমন্বয় করেও ব্যবহার করা যায়। এটি রক্তচাপকে শিথিল করতে সাহায্য করে রক্তচাপ কমায় ফলে রক্ত সহজে চলাফেরা করতে পারে। আপনি চাইলে এই ওষুধের সাথে একটি করে গ্যাস এর ট্যাবলেট ও খেতে পারেন। তাহলে আশা করছি জানলেন হাই প্রেসারের ওষুধের নাম সম্পর্কে।
হাই প্রেসার কেন হয়
এখন জেনে নিন হাই প্রেসার কেন হয়। আপনি যদি না জানেন রোগ হওয়ার কারণ কি তাহলে সেই রোগের প্রতিরোধ করতে পারবেন না তাই আগে প্রতিটি মানুষের রোগের পিছনে তার কারণটা জানা অত্যন্ত জরুরি। তাহলে চলুন জেনে নিই হাই প্রেসার এর কারণ অথবা উচ্চ রক্তচাপ কেন হয়।
উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার কারণ অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার যেমন মাংস মাখন ও ডুবো তেলে ভাজা খাবার খেলে ওজন বাড়বে। এবং ডিমের হলুদ অংশ, কলিজা, গুর্দা, মগজ এসব খেলে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। ফলে রক্তের অতিরিক্ত কলেস্টরল হলে রক্তনালীর দেয়াল মোটা এবং শক্ত হয়ে যায়।
আর এর ফলেই মানুষের হাই প্রেসার বা রূপ উচ্চ রক্তচাপ অর্থ দেহের রক্তচাপ
বৃদ্ধির পায়। তাহলে আশা করছি জেনে গেছেন হাই প্রেসার হওয়ার কারণ
বা উচ্চ রক্তচাপ কেন হয় এই সম্পর্কে।
হাই প্রেসার কাদের হয়
অভিজ্ঞদের গবেষণা বা অনেক দিনের পরিশ্রমের ফলে জানা গেছে একজন সুস্থ মানুষের রক্তচাপ থাকার কথা ১২০ থেকে ৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কিন্তু সেটি যদি পরপর দুইদিন ১৪০ থেকে ৯০ এর বেশি থাকে তখন সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার হিসেবে ধরা যায়।
আরো পড়ুনঃ লো পেসার বাড়ানোর উপায়
তবে রোগের বয়স ৮০ বছর বা তার বেশি হলে রক্তচাপের পরিমাপক বেশি
হয়। এতটুকু পড়ার মাধ্যমে তাহলে জানতে পারলেন ভাই প্রেসার কাদের হয় বা
উচ্চ রক্তচাপ কোন বয়সের মানুষের বেশি হয়।
সর্বশেষ পোস্ট লেখকের কিছু কথা
এতক্ষন যে পোস্টটি করছিলেন সেই পোস্টটি হলো হাই প্রেসার এর লক্ষণ এবং হাই
প্রেসারের ওষুধের নাম। আশা করছি পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনার সমস্ত প্রশ্নের
উত্তর পেয়ে গেছেন। পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন কারন তারাও জানতে পারবে হাই প্রেসার এর লক্ষণ
এবং হাই প্রেসারের ওষুধের নাম সম্পর্কে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে
চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url