বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কে - বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস
আজকের পোস্টটি থাকছে বিদ্যুৎ সম্পর্কে। আপনারা অনেকেই জানতে চান বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কে এবং বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা। তাই তাদের জন্য আজকের পোস্টটি লেখা হয়েছে। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন বিদ্যুৎ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
এছাড়াও এই পোষ্টের মধ্যে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি বিদ্যুৎ কিভাবে উৎপন্ন হয় এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে সমস্ত ধারণা নিয়ে নিন। তাহলে চলুন দেরি না করে আর্টিকেল পড়া শুরু করা যাক এবং জেনে নেয়া যাক বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কে এবং বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে।
আজকের পোস্ট সূচীপত্রঃ বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কে এবং বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস
- বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কে
- বিদ্যুৎ সম্পর্কে কিছু কথা
- বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস
- বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় কিভাবে
- সর্বশেষকথা - বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কে
বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কে
আপনি যদি না জেনে থাকেন বিদ্যুৎ আবিষ্কারক কে এবং কিভাবে বিদ্যুৎ আবিষ্কার হলো তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে নিন। যদিও বিদ্যুৎ কেউ আবিষ্কার করেননি তবে এই বিদ্যুৎ উদ্ভাবন করতে কয়েকজন বিজ্ঞানী কাজ করেছেন।
বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পেছনে অনেক ব্যক্তির ওই হাত আছে। তার মধ্যে যে মূল বিদ্যুৎ আবিষ্কারক তিনি হলেন যুক্তরাজ্যের উইলিয়াম গিলবার্ট। এবং আমরা বাসা বাড়িতে যে এসি বিদ্যুৎ বা কারেন্ট ব্যবহার করি এটার উদ্ভাবক বা আবিষ্কারক হলেন নিকোলাস টেস্টা।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখুন মোবাইল দিয়ে
তবে এ বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পেছনে কয়েকজন ব্যক্তির খুবই অবদান রয়েছে। এবং তারা কিভাবে এ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করল এবং কিসের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করল সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হবে নিম্নে। তাই পোস্টটি কন্টিনিউ করুন তাহলেই জেনে যাবেন বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পেছনে কার কার হাত রয়েছে।
বিদ্যুৎ সম্পর্কে কিছু কথা
আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতার প্রায় সকল আবিষ্কার ও প্রযুক্তির মূল চালিকা শক্তি হলো বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ কে বাদ দিয়ে বর্তমান বিজ্ঞানের অগ্রগতির কথা কল্পনা করা যায় না। অফিস, আদালত, শিল্প, কৃষি, পরিবহন, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি এমনকি আমাদের দৈনন্দিন কাজে বিদ্যুতের অবদান অপরিসীম।
এমনকি আপনি যে মাধ্যমের সাহায্য আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন সেটিও এই বিদ্যুৎ ছাড়া সম্ভব হতো না। আজকে আমরা এতো আধুনিক সভ্যতায় বসবাস করতে পারছি তার জন্য কিন্তু ইলেকট্রিসিটির অবদান সবচেয়ে বেশি। আর বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পর থেকে বিভিন্ন জিনিসের আবিষ্কার দ্রুত গতিতে হয়েছে তবে আপনাদেরকে বলে রাখি এই বিদ্যুৎ কিন্তু কেউ উদ্ভাবন করেনি।
কারণ, এই জিনিসটা পৃথিবীতে আগে থেকেই ছিল। আমরা আবিষ্কার করেছি সেই পদ্ধতি যার সাহায্যে এই ইলেকট্রিসিটিকে আমরা কাজে লাগাতে পারি আজকের আর্টিকেলে ইলেকট্রিসিটির আবিষ্কার সমন্ধে আপনাদেরকে জানাবো এবং এর রহস্যময় কিছু অজানা তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস
পৃথিবীতে কোন কিছুর আবিষ্কার একদিনে হয়নি। প্রতিটা আবিষ্কারের পেছনে বহুবিজ্ঞানে নিরলস পরিশ্রম যুক্ত আছে। তেমনি ইলেকট্রিসিটির আবিষ্কারের চেষ্টা কয়েক হাজার বছর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল।
আজ থেকে ২৬০০ বছর আগে থেলস নামের এক গনিত তিনি দেখেন রেশনের উপরে বা বিড়ালের পশমের উপরে কোন বস্তুকে কয়েকবার ঘষলে তাতে ছোট ছোট কিছু কাগজের টুকরো আটকে যাচ্ছে। তবে সেই সময় থেলস এটাকে কালা জাদু ভাবতেন।
ফলে এই নিয়ে তিনি আর কোন গবেষণা করেননি। এরপর কেটে যায় প্রায় ২ হাজার বছর, ১৬০০ শতকে ইংল্যান্ডের একটা ডাক্তার যার নাম ছিল উইলিয়াম গিলবার্ট। তিনি ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথের চিকিৎসক ছিলেন।
উইলিয়াম গিলবার্ট লক্ষ্য করেন শুধুমাত্র রেশম বা বিড়ালের পশম নয় কোন একটি বস্তুর সাথে আরেকটি বস্তুকে ঘষলে তার মধ্যে একটি আকর্ষণের ক্ষমতা চলে আসে। যেমন ধরুন একটি কলম দিয়ে চুলে বারবার ঘষা হয় এবং তারপর সেটি কয়েকটি কাগজে টুকরোর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
তাহলে সে কাগজের টুকরো গুলো কলমের সাথে আটকে যায় তখন উইলিয়াম গিলবার্ট এই শক্তির নাম রাখেন ইলেকট্রিক সিটি। এইভাবে ধীরে ধীরে ইলেকট্রিসিটির বিষয়ে মানুষের মনের মধ্যে ধারণা আসে। সেই সময় গিলবার্ট এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন যার সাহায্যে এটা বোঝা যেহেতু যে কোন বস্তুর মধ্যে ইলেকট্রিসিটি আছে কিনা।
তিনি তার এই আবিষ্কৃত যন্ত্রের নাম রাখেন ইলেক্ট্রস্ত, আর এটা পৃথিবীর আবিষ্কৃত প্রথম যন্ত্র ছিল যা দিয়ে ইলেকট্রিসিটি মেজারমেন্ট করা যেত। উইলিয়াম গিলবার্গের পর বহু বিজ্ঞানের ইলেকট্রিসিটির উপর কাজ করেছিলেন। কিন্তু তেমন একটা সফলতা আসেনি।
১৮ শতকে আমেরিকার এক মহান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ইলেকট্রিসিটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি ইনি সেই বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন যার ছবি আমরা ১০০ ডলারের মধ্যে দেখতে পাই। আর এই বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন কে আমেরিকার ফাউন্ডের ফাদার বলা হয়। একটা সময় তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে ইলেকট্রিসিটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন।
আরো পড়ুনঃ বাসের টিকিট কাটুন অনলাইনে
১৭৫২ সালে জুন মাসে একটি বৃষ্টির দিনে যখন আকাশে বাজ পড়ছিল সেই সময় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন একটি ঘুড়ি উড়ায়। তিনি সেই ঘুড়ির সাথে একটি লোহার চাবি বেঁধে দেয়। সেই সময় একটি বাজ তার ঘুড়ির উপরে এসে পড়ে। এবং সেখান থেকে ইলেকট্রিসিটি সু্তোর মাধ্যমে প্রথমে ওই লোহার চাবিতে আসে এবং তারপর বেঞ্জাবিনের হাত পর্যন্ত পৌঁছায় আর এভাবেই বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন হয়ে যান ইলেকট্রিসিটির আবিষ্কার কর্তা।
এখানে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি বৃষ্টির সময় যে বজ্রপাত হয় তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ইলেকট্রিসিটি থাকে। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ইলেকট্রিসিটির আবিষ্কার করে ফেলেন। ইলেকট্রিসিটিকে কাজে লাগানোর পদ্ধতি তখনো আবিষ্কার হয়নি।
এরপর ১৭৯১ সালে দুইবিজ্ঞানের আলাসন যোভোল্টাস ও লুইকিগ্যালভানি একটি পরীক্ষা করেন সেখানে একটি মৃত ব্যাঙের দুই পায়ে দুটো আলাদা ধাতুর সংস্পর্শ করতে সে মৃত পা দুটো নড়ে ওঠে তখন লইগীগ্যালভানি এর নাম রাখেন এনিমেল ইলেকট্রিসিটি। তবে তার বন্ধু আলাসন যোভোল্টাস এই বিষয় সম্পর্কে সহমত ছিলেন না।
তিনি বলেন তুই আলাদা ধাতুর কারণেই হয়েছে তাই এটাকে মেটাল ইলেকট্রিসিটি বলা উচিত। এরপর ১৭৯২ সালে আলাসন যোভোল্টাস একাই একটি গবেষণা করেন এবং ১৮০০ সালে তিনি পৃথিবীর প্রথম ব্যটারি আবিষ্কার করেন। তিনি কয়েকটি আলাদা আলাদা ধাতু ব্যবহার করে একটি ব্যাটারি তৈরি করেছিলেন।
আলাসন যোভোল্টাস জিংক ও কপ্পার কতগুলো ধাতুর পাতকে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এ ভিজিয়ে একটি ব্যাটারি আবিষ্কার করেছিলেন। আলাসন যোভোল্টাস এই আবিষ্কারের পর ইলেকট্রিসিটি নিয়ে গবেষণা দ্রুতগতিতে চলতে থাকে। কারণ এর আগে ইলেকট্রিসিটির নির্দিষ্ট কোন সোর্স পাওয়া সম্ভব ছিল না। ভোল্টাস এর আবিষ্কৃত এই ব্যাটারি থেকে পাওয়া ইলেক্ট্রিসিটিকে ডিসি কারেন্ট বলা হতো।
এরপর ১৮২০ সালে হ্যান্স ক্রিস্টিয়ান নামের এক বিজ্ঞানী তার গবেষণার লক্ষ্য করেন যখন একটি ধাতুত তারের মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রিসিটি যায় তখন সেই তারের আশেপাশে একটি চৌম্বকীয় শক্তি উৎপন্ন হয়। এই ঘটনার এক বছর পর ১৮২১ সালে বিজ্ঞানী ফ্যারাডে একটি চুম্বকীয় শক্তির উপর কাজ করে একটি মটর আবিষ্কার করেন।
যার ডিসি মোটর নামে পরিচিত তবে এখন পর্যন্ত ইলেকট্রিসিটি শুধুমাত্র একটি গবেষণার বিষয় হিসেবে বেশি চিহ্নিত ছিল। এরপর ১৮৭৯ সালে আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী থমাস আলফা এডিসন একটি ইলেকট্রিসিটি বাল্ব আবিষ্কার করেন। এর সাথে সাথে সাধারণ কিছু মানুষ ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার শুরু করেন।
সেই সময় এডিশন ইলেকট্রিসিটি তৈরি করার একটি কোম্পানি করলেন এবং সেখানে তিনি ডিসি জেনারেটর ব্যবহার করতেন তবে এই ডিসি জেনারেটর একটি সমস্যা ছিল এর সাহায্যে উৎপন্ন হওয়া ইলেকট্রিক সিটি ধাতুর তারের সাহায্যে দুই থেকে তিন কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।
আর এই কারণেই দুই থেকে তিন কিলোমিটার পর একটি করে ইলেকট্রিসিটি প্রোডাকশন ফ্যাক্টরি বসানো হতো। সেই সময় এডিশনের কোম্পানিতে একজন বিজ্ঞানী কাজ করতেন। যার নাম ছিল নিকোলাটেসলা তিনি সেই সময় এডিসনের কোম্পানিতে একটি নতুন ধরনের ইলেকট্রিসিটি আবিষ্কারের উপর কাজ করেছিলেন এবং তখন তিনি নতুন ধরনের ইলেকট্রিসিটি আবিষ্কার করেছেন।
এবং তিনি নতুন ধরনের ইলেকট্রিসিটির কথা এডিশন কে জানাই। কিন্তু এডিশন এতে সম্মতি দেয়নি। তিনি ভাবেন এই আবিষ্কার সফল হলে তার ডিসি কারেন্টের বিজনেস নষ্ট হয়ে যায়। এডিশন তখন নেকোলাস টেস্টকে এই এসি ইলেকট্রিসিটি খুবই বিপদজনক, তুমি শুধুমাত্র ডিসি কারেন্টের উপর কাজ করো।
কিন্তু নিকোলাস টেসলা চেয়েছিলেন এমন একটি উপায় বের করতে যার সাহায্যে ইলেকট্রিসিটি বহুদূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যাবে এমনকি এটিই সস্তা হবে। যাতে সাধারণ মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবে। এডিশন যখন তাকে এই গবেষণা করতে মানা করেন তখন নিকোলা টেসলা এডিশনাল কোম্পানি ছেড়ে দেন এবং তিনি নিজেই একটি গবেষণা শুরু করেন।
আরো পড়ুনঃ আকর্ষণীয় আর্টিকেল লিখুন এই নিয়মে
অবশেষে ১৮৮৭ সালে নিকোলা টেসলা এসি জেনারেটর এবং এসি মটর আবিষ্কার করে আর এর ফলে ইলেকট্রিসিটি বহুদূর পর্যন্ত নিয়ে যা সম্ভব ছিল। এবং এরপর থেকে ইলেকট্রিসিটির ব্যবহার বাড়তে থাকে। এবং নতুন নতুন ইলেকট্রিক যন্ত্রের আবিষ্কার হয়। বর্তমানে আমাদের বাড়িতে যে ইলেকট্রিসিটি আমরা ব্যবহার করি তার নিকোলা টেস্টার আবিষ্কৃত এসি কারেন্ট।
বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় কিভাবে
বর্তমানে লোডশেডিং এর পরিমাণ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে মানুষজন গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। এমন কি দুই মিনিটের জন্য লোডশেডিং হলেও আমাদের মনে হয় আমাদের জীবনের গাড়ি থেমে গিয়েছে। এমন সময় আমরা কল করে বিদ্যুৎ বিভাগকে এমন এমন সুন্দর কথা বলি যা শুনে তারা অবাক হয়ে যায়। তবে আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন আমাদের এত সুবিধা দেওয়া বিদ্যুৎ কিভাবে তৈরি হয়ে থাকে।
আমাদের নিত্য প্রয়োজন বিদ্যুৎ যেভাবে তৈরি হয় তা দেখলে আপনি সত্যি অবাক হতে বাধ্য হবেন। তো আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ কিভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে কতটুকু কয়লা ব্যবহার হয়ে থাকে। এসব কিছু জানতে হলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সবথেকে বেশি যেটি প্রয়োজন হয় সেটি হচ্ছে কয়লা। বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং ভারতে বেশিরভাগ বিদ্যুৎ কয়লা দিয়ে উৎপাদন করা হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ তৈরির প্রথম প্রক্রিয়াকে আমরা পাওয়ার প্ল্যান্টে নামে জানি। এইসব পাওয়ার প্লান্টের জন্য অনেক বড় খালি জায়গার প্রয়োজন। তাই এমন পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করা হয় যেখানে অনেক পরিমাণে পানি ধারণ করা যাবে।
সাধারণত, এই পাওয়ার প্লান্ট গুলি এক থেকে দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। এসব জায়গার বেশিরভাগ জায়গাতেই কয়লা মজুদ করে রাখা হয়ে থাকে। আসলে যে কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে সেই কয়লাগুলোকে পাওয়ার প্লান্টের আশেপাশের মজুদ করা হয়ে থাকে। এবং বিদ্যুৎ তৈরি করার জন্য মোটামুটি ১.৫ মিলিয়ন কয়লার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
১৫ লক্ষ টন কয়লা দিয়ে চল্লিশ দিনের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এইসব কয়লা গুলো সংরক্ষণ করার জন্য বিশাল জায়গার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই কয়লা গুলোকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয় না। এই কয়লাগুলোকে কোন ইয়ার্ডে রাখা হয়ে থাকে। সর্বপ্রথম এই কয়লাগুলোকে ট্রেনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্লান্টে নিয়ে আসা হয়ে থাকে।
তারপর ট্রেনের বগিগুলোকে আলাদা আলাদা করে নেওয়া হয় এরপর সেই বগিগুলোকে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়ে থাকে। এসব বগিগুলো থেকে কনভারমেন্ট এর মাধ্যমে কয়লা গুলোকে ঢেলে দেওয়া হয় এই সকল কনভারমেন্ট কয়লা গুলোকে সামনের দিকে পাঠিয়ে দেয় এবং কয়লা গুলোকে অনেক যত্ন সহকারে রাখা হয়।
কিন্তু এখানে কয়লার সমস্যা দূর হয় না। কয়লা গুলো অনেক দিন ধরে এক জায়গায় ফেলে রাখলে সেগুলোর উপরে ময়লা পড়ে এবং সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া বাতাস হলে কয়লার মধ্যে যে ময়লা জমে থাকে সেগুলো আকাশে উড়তে থাকে এই সমস্যার সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে কয়লা গুলোকে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়। এবং কিছুদিন পরপরই এই কয়লা গুলোকে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়। তারপর একটি কনভেন্টর এর সাহায্যে লোমেশিনে পাঠানো হয়।
এই মেশিনে কয়লার বড় বড় টুকরাকে একেবারে ছোট ছোট করে দেওয়া হয়। এবং এর থেকে তৈরি করা হয় ব্ল্যাক পাউডার যেটিকে আমরা ব্ল্যাক চারকোল নামে চিনি। এবং আমাদের ত্বকের বিভিন্ন কাজে এই চারকোল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আসলে এগুলো কি এমন করা হয় যাতে করে সার্ফে সিরিয়া ভরে যায়। তারপর এই ব্লাক পাউডার গুলোকে মেশিনের সাহায্যে চুলার দিকে পাঠানো হয়।
এবং এখানে কয়লা গুলোর মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়লাগুলোতে আগুন ধরার পর যখন এর ওপরে ভারী স্তর থাকে তখন সেটাকে বটনেস বলা হয় এবং যেটা পাতলা স্তর হয়ে থাকে সেটাকে ফ্লাই অ্যাশ বলা হয়। এরপর কয়লা গুলোকে পুড়িয়ে প্ল্যান্টের উপরে রাখা হয় এভাবে প্লান্ট এর ভেতরে কয়লাগুলোকে পোড়ানো হয়।
এখান থেকে কয়লারার প্রয়োজন হয় না এখানে কয়লার কাজ শেষ হয়ে যায়। যখন কয়লা গুলোর মাধ্যমে আগুন জ্বলতে থাকে তখন প্ল্যান্টের মধ্যে অনেক পরিমাণে পানি সংরক্ষণ করে রাখা হয়। কয়লা থেকে যে আগুন ধরে সেগুলো টিউবকে অনেক তাপ দেয়া হয়। এবং জমে থাকা পানিগুলো থেকে বাষ্প বের হয়।
যখনই বাস্পগুলো সুপারহিট হয়ে যায় তখনই পাইপগুলোর মাধ্যমে সামনের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই পাইপগুলোর মধ্যে এমন একটি ইনসুলেশন লাগানো থাকে যাতে আগুন ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় এই পাইপগুলো ফেটে না যায়। এরপর আসে টারবাইন এর কাজ, এই টারবাইন সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন এই টারবাইন কে পাওয়ার প্ল্যান্টের হার্ট বলা হয়ে থাকে।
এটাই সেই এলিমেন্ট হয়ে থাকে যেটি সব পাওয়ার তার মধ্যে লাগানো হয়ে থাকে। একটি পাল্টা হিট তৈরি করে আগুন লাগার ফলে যখন পাইপগুলো থেকে হাই প্রেসার বের হয় তখন সেটি খুব তাড়াতাড়ি টারবাইনে হিট করে এবং টারবাইনে হিট করার পরে বাষ্পাগুলো ঠান্ডা হয়ে যায়। টারবাইনের প্রথম অংশকে হাই প্রেসার টারবাইন বলা হয়ে থাকে। আর যে বাতাসগুলো টারবাইন এর মধ্য দিয়ে যায় সেগুলো যখন টারবাইনের শেষের দিকে হিট খায় তখন তাকে লো প্রেসার টারবাইন বলা হয়ে থাকে।
জোরে জোরে ঘোরার কারণে একটি হাই প্রেসার তৈরি হয় এবং যে হাই প্রেসার তৈরি হয় সেটিকে একটি জেনারেটরে সাপ্লাই করা হয়। হাই প্রেসার দেওয়ার কারণে জেনারেটরের মধ্যে যে ম্যাগনেটিক পাওয়ার থাকে সেই ম্যাগনেটিক পাওয়ার অনেক সময় ডিস্টার্ব হয়ে যায়। এতে করে জেনারেটরের মধ্যে উৎপন্ন হয় আর এখানে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সেটি স্টোরিজ না করে সামনের সাব-স্টেশনে এই বিদ্যুৎগুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আর সেখান থেকে বিদ্যুৎগুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাই ভোল্টেজ ইলেকট্রিসিটি স্টোরে যায় সহজভাবে বলতে গেলে আপনাদের বাড়ির আশেপাশে যে ট্রান্সফরমার থাকে সেগুলোকে বলা হয়ে থাকে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার। এবং এই ট্রান্সফরমার এর কাজ হচ্ছে আপনার বাসা বাড়িতে ২২০ ভোল্ট কিংবা ৪৪০ ভোল্টের বিদ্যুৎ সাপ্লাই করা।
আরো পড়ুনঃ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা আয় করুন
এবং বিদ্যুৎ ট্রান্সফার হয়ে থাকে আর এখান থেকে আমরা ২২০ ভোল কিংবা ২৪০ ভোল্টের বিদ্যুৎ পেয়ে থাকি। এটা সব কিছু করার পরও পাওয়ার প্লান্টের আরো একটি কাজ থাকে এবং সেটি হচ্ছে বাস্পগুলোকে ঠান্ডা করে পানিতে রূপান্তর করা। এর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে আলাদা কুলিং টাওয়ার। এই সকল কুলিং টাওয়ার পানি এবং বাস্পগুলোকে ঠান্ডা করে থাকে। এবং এই কুলিং টাওয়ার গুলো অনেক বড় হয়ে থাকে।
এবং এগুলোর উপর দিয়ে সব সময় ধোঁয়া বের হতে থাকে। এগুলো দেখে মানুষ মনে করে এটি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনারা সম্পূর্ণ পোস্ট করার মাধ্যমে জানতে পারলেন কয়লা থেকে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা যদি সামনে থেকে দেখি যে বিদ্যুৎ কিভাবে উৎপাদন করা হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে পারবো এটা উৎপন্ন করার পিছনে কত কারণ আছে। আশা করি তাহলে জেনে গেছেন বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় কিভাবে।
সর্বশেষকথা - বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কে
এতক্ষণ যে পোস্টটি পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ছিল বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেন কে এবং বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
পোষ্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোষ্টের নিতে মন্তব্য করে যাবেন এবং এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবে কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবে বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আসল ব্যক্তি কে এবং বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো যদি পোস্ট পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url