পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৪

ই পাসপোর্ট করার জন্য এখন থেকে আপনাকে আর দালাল বা কোন প্রকার তার থার্ড পার্টির সাহায্য নিতে হবে না। এখন আপনি ঘরে বসেই ই পাসপোর্ট এর আবেদন করুন কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই।পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন পাসপোর্ট করার নিয়ম অথবা ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে।
e-passport
এছাড়াও আমরা এই পোষ্টের মধ্যে ই পাসপোর্ট সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নিয়ে আলোচনা করব যেমন এই পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং কত টাকা খরচ হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর জানুন পাসপোর্ট করার নিয়ম অথবা ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে। তাই দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি পড়া শুরু করে যাক।

পোস্ট সূচীপত্রঃ পাসপোর্ট করার নিয়ম অথবা ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৪

ই পাসপোর্ট কেন করা হয়

ই পাসপোর্ট প্রতিটি নাগরিকের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ন। কারণ এই ই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার পরিচয় তুলে ধরতে পারবেন। এছাড়াও এই ই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। এই ই পাসপোর্ট যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই যে কোন দেশের ভিসা লাগিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। অথবা মনে করেন আপনি একটি বড় ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন, এখন ডাক্তার আপনাকে বিদেশি চিকিৎসার পরামর্শ দিল। 
হঠাৎ করে আপনি এখন ভিসা কোথায় পাবেন। আপনাকে ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট থাকা প্রয়োজন। আপনার পাসপোর্ট যদি করা থাকে তাহলে ভিসাটা কয়েকদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি যেকোনো জায়গায় আপনার এই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনার নাগরিকত্ব তুলে ধরতে পারবেন। আপনি যে কোন দেশের নাগরিক সেটা ই পাসপোর্ট এর মাধ্যমেই তা প্রমাণিত হয়ে যাবে। 

এমনকি এই পাসপোর্ট থাকার মাধ্যমে আপনি বিদেশে ভ্রমণ কালীন সময়ে ই গেটে আপনার লাইন ধরে থাকতে হবে না। ই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ই গেট অতিবাহিত করবেন। তাই প্রতিটি দেশের যেকোন নাগরিকের ই পাসপোর্ট থাকা অত্যন্ত জরুরী। তাহলে আশা করছি এতক্ষণে জেনে গেছেন এ পাসপোর্ট কেন করা হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।

ই পাসপোর্ট করার নতুন নিয়ম

এ পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অনেক ধরনের প্রসেস মেনটেইন করতে হবে। যেই প্রসেসগুলো সঠিকভাবে ও সঠিক নিয়মে করলে আপনার ই পাসপোর্ট তৈরি হতে খুব বেশিদিন লাগবে না। ই পাসপোর্ট তৈরির জন্য অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দিয়ে কিভাবে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হয় এখন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। 

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তার জন্য আপনাকে গুগল বাউজারে গিয়ে টাইপ করতে হবে। www.epassport.gov.bd তাহলে আপনি ই পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যাবেন। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে এই রকম একটা ইন্টারফেস শো করবে।


তারপর আমরা যেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করব তার জন্য আমাদের অ্যাপ্লাই অনলাইনে (apply online) ক্লিক করতে হবে। অ্যাপ্লাই এর অনলাইনে ক্লিক করার পর ৪ টি স্টেপ কমপ্লিট করতে হবে। যেই স্টেপগুলোতে কিছু ইনফরমেশন এবং জিমেইল আইডি ইমপ্রুভ করতে হবে। আর এই ইনফরমেশন গুলো দেয়ার মাধ্যমে আপনার ৪টি স্টেপ কমপ্লিট করতে হবে। চারটি স্টেপ কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনার ইমেইলে ভেরিফিকেশন লিংক যাবে যে লিঙ্কে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার ই পাসপোর্ট আইডি ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে। 

ভেরিফিকেশন হওয়ার পর আপনিই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপর আপনি ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য এপ্লাই ফর এ নিউ ই পাসপোর্ট (apply for a new e passport) ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনাকে ৯টি স্টেপ ইনফরমেশন দেয়ার মাধ্যমে কমপ্লিট করতে হবে। যে ইনফরমেশন গুলো হবে ই পাসপোর্ট সম্পর্কিত। সমস্ত ইনফরমেশন দেয়ার পর আপনার ডকুমেন্ট হিস্টরি দেখানো হবে। যে ফর্মটি আপনি পূরণ করলেন সেই ফর্মটি আপনাকে ইনফরমেশন বা তথ্য সহ দেখানো হবে। আপনি চেক করে নিবেন যে সমস্ত তথ্যগুলো ই পাসপোর্ট ফরম এর মধ্যে ইনক্লুড করেছেন সেই সমস্ত তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা। 

এবং সেই পাসপোর্ট এর ফরমটি এবং সামারি শীট গুলো আপনাকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। এবং আপনি যদি সমস্ত ইনফরমেশন দিয়ে এপ্লাই না করতে পারেন তাহলে ইউটিউবে কিছু টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখার মাধ্যমে সমস্ত ইনফরমেশন গুলো ফর্ম এর মধ্যে ইনক্লুড করতে পারবেন। করছি এতক্ষণে তাহলে অনলাইনে কিভাবে ই পাসপোর্ট আবেদন করতে হয় সেই সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পেয়ে গেছেন। এখন আপনি ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা ফোনে বা ল্যাপটপ ডেক্সটপে অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনার ই পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সম্পর্কে জেনে নিন। যে সমস্ত কাগজপত্রগুলো জমা দিলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি আপনারই পাসপোর্টটি হাতে পেয়ে যাবেন। কারণ আপনি যদি সম্পূর্ণ তথ্যগুলো সঠিকভাবে না দেন তাহলে অবশ্যই আপনার ই পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনার এ পাসপোর্ট এর আবেদন করার সময় সম্পূর্ণ তথ্য গুলো সঠিক দেয়ার এবং সম্পূর্ণ কাগজপত্র গুলো সঠিকভাবে জমা দেয়ার। 

এখন তাহলে চলুন জেনে নি কোন কাগজপত্র গুলো জমা দিলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি আপনারই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। অনলাইনে আবেদন করার সময় অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন পড়বে। এছাড়াও আপনার পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ড। এবং আপনার একটি সচল মোবাইল ফোন নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস। সেই ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে সমস্ত তথ্য প্রদান করা হবে। 

তার জন্য অবশ্যই আপনার ইমেইল এড্রেসটি সচল এবং ব্যবহারযোগ্য হওয়া চাই। এ সকল তথ্যের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে আপনার এই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং আবেদন করার পর যে সমস্ত কাগজপত্র গুলো পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে সেই কাগজপত্র গুলো হলো। আবেদন করা হয়ে গেলে আপনাকে ৩ পাতার আবেদনকৃত ফরম (যে ফর্মের শেষের দিকে আপনার একটি সিগনেচার লাগবে) এবং সামারি সীট ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। 

এবং আপনারই পাসপোর্ট এর জন্য যে ব্যাংক থেকে আপনি টাকা পেমেন্ট করেছেন সেই ব্যাংকের এ চালান ফরম লাগবে। এরপর আপনার অরজিনাল ভোটার আইডি কার্ড এবং আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিলের একটি কপি আর আপনি কোন পেশার সাথে সংযুক্ত সেই পেশার একটি প্রত্যায়ন পত্র। আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে আপনার স্কুল বা কলেজে গিয়ে প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারেন। আর ই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছবি লাগবে না।
আমি যেই সমস্ত কাগজপত্র গুলোর নাম বললাম সেই সমস্ত কাগজপত্রগুলো হলেই হবে। সমস্ত কাগজপত্রগুলো আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার পর পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। তাহলে আশা করছি এতক্ষণে জেনে গেছেন এই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য কোন কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন বা লাগবে।

ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা খরচ হয়

ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা খরচ হয় আপনি যদি জানতে চান তাহলে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। ই পাসপোর্ট এর কয়েকটি ধাপ আছে যে ধাপ গুলোর মাধ্যমে আপনাকে টাকা পেমেন্ট করতে হবে। আপনি যে ধরনের পাসপোর্ট নিতে চাচ্ছেন সেই ধরনের পাসপোর্টে একটা নির্দিষ্ট প্রাইজ তৈরি করা আছে। সে নির্দিষ্ট প্রাইজের মাধ্যমে আপনি আপনার ই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। 

বেসিক্যালি ই পাসপোর্ট দুই রকমের হয় প্রথম হলো ৪৮ পাতার এবং দ্বিতীয়টি হল ৬৪ পাতার। আর এই পাসপোর্ট গুলোর আবার মেয়াদ আছে ৫ বছর অথবা ১০ বছর। এইরকম হিসাব করে এ পাসপোর্ট এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আপনি যদি ৪৮ পাতার ৫ বছরের মেয়াদে ই পাসপোর্ট তৈরি করেন তাহলে আপনার একটু কম খরচ পড়বে। আবার আপনি যদি ৪৮ পাতার ১০ বছর মেয়াদে এ পাসপোর্ট আবেদন করেন তাহলে আরেকটু বেশি খরচ হবে। তাহলে তোর চলুন জেনে নি কোন পাসপোর্টে কত টাকা খরচ হবে। 

৪৮ পাতার ৫ বছরের মেয়াদে খরচ হবে ৪০২৫ ৳
৪৮ পাতার ১০ বছরের মেয়াদে খরচ হবে ৫৭৫০ ৳
৬৪ পাতার ৫ বছরের মেয়াদে খরচ হবে ৬৩২৫ ৳
৬৪ পাতার ১০ বছরের মেয়াদে খরচ হবে ৮০৫০ ৳



আপনার ই পাসপোর্ট করতে এরকম খরচ আসবে তবে এই খরচটা হবে রেগুলার ডেলিভারির ক্ষেত্রে। তবে আপনি যখন এক্সপ্রেস ডেলিভারি এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি নিবেন তখন আপনাকে ২৩০০ টাকা করে বেশি দিতে হবে। যেমন আপনার ৪৮ পাতার ৫ বছরের মেয়াদে রেগুলার ডেলিভারিতে খরচ হবে ৪০২৫ টাকা এবং আপনি যদি এক্সপ্রেস ডেলিভারি নিতে যান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৬৩২৫ টাকা। 

এই রেগুলার ডেলিভারি এবং এক্সপ্রেস ডেলিভারি আবার সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি কি এগুলো জানতে পারবেন পোস্টটি পড়তে থাকুন। তাহলে আশা করছি এতক্ষণে জেনে গেছেন আপনারই পাসপোর্ট তৈরি করতে কেমন টাকা খরচ হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

ই পাসপোর্ট আবেদনের কতদিন পর পাওয়া যায়

ই পাসপোর্ট আবেদনের কতদিন পর পাওয়া যায়। আপনিই পাসপোর্ট আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে এই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার সময় সমস্ত তথ্যগুলো সঠিক ও নির্ভুল হওয়া চাই। কারন আপনি যদি আপনার পাস পোর্ট ইনফরমেশনে সঠিক তথ্যগুলো প্রদান না করেন তাহলে আপনার এই পাসপোর্ট এর পুলিশ ভেরিফিকেশন হতে দেরি হবে। 

আর যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন হতে দেরি হয় তাহলে অবশ্যই আপনি পাসপোর্ট হাতে পেতেও অনেক দেরি হয়ে যাবে। তবে পাসপোর্ট অফিসের নিয়ম অনুসারে কয়েকটি অপশন আছে যে অপশনগুলোর মাধ্যমে আপনি যদি বেশি টাকা পেমেন্ট করেন তার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ৭ দিনের মধ্যে অথবা ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি এ পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন। 

ই পাসপোর্ট অফিসের একটি প্যাকেজ চলে যে প্যাকেজ গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার হাতে এই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। পাসপোর্ট অফিসের নিয়ম অনুসারে তিন রকম ভাবে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়া হয়। যেমন রেগুলার ডেলিভারি (regular delivery), এক্সপ্রেস ডেলিভারি (Express delivery), সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (super express delivery) ইত্যাদি এই তিন রকম ভাবে আপনি আপনার ই পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে পারবেন। তবে প্রতিটি ডেলিভারির জন্য আপনাকে ২৩০০ টাকা করে বেশি দিতে হবে। 
যেমন মনে করেন রেগুলার ডেলিভারির জন্য ২৩২৫ টাকা, এবং এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য ৪৬২৫ টাকা, আবার সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য ৬৯২৫ টাকা। এতক্ষণে তাহলে আশা করছি আপনি জেনে গেছেন কিভাবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই টাকা খরচ করে কি পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়। এবং এটাও আশা করছি ই পাসপোর্ট ডেলিভারি নিয়ে আপনার আর কোন প্রশ্ন নেই।

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম 

এখন জেনে নিন কিভাবে ই পাসপোর্ট চেক করা যায়। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর আবেদন করেছেন এখন আপনার কি পাসপোর্টটি কোন অবস্থায় আছে সেটি দেখার জন্য আপনাকে যেকোনো একটি ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে টাইপ করতে হবে পাসপোর্ট চেক (passport check) তারপর আপনার সামনে প্রথমে যে ওয়েবসাইটটি আসবেন সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। প্রবেশ করার পর আপনার সামনে এইরকম একটা ইন্টারফেস শো করবে।


তারপর ফাঁকা স্থানে আপনাকে আপনার অ্যাপ্লিকেশন আইডি বসাতে হবে। অ্যাপ্লিকেশন আইডি কোথায় পাবেন আপনি যখন অনলাইনে এর মাধ্যমে ফরম পূরণ করেছেন সেই ফর্ম এর মধ্যেই আপনার অ্যাপ্লিকেশন আইডি দেয়া আছে। অ্যাপ্লিকেশন আইডি বসানোর পর আপনার জন্ম তারিখ বসাতে হবে। তারপর চেক (check) এ ক্লিক করলেই আপনার ই পাসপোর্ট কোন অবস্থায় আছে সেটি আপনি দেখতে পাবেন। তাহলে আশা করছি এতক্ষণে কি পাসপোর্ট চেক করার সমস্ত নিয়মকানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন।

সর্বশেষ লেখকের মন্তব্য

আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ই পাসপোর্ট সম্পর্কিত সমস্ত প্রসেস গুলো আপনি জেনে গেছেন। এখন আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার জন্য ই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও কারো যদি পাসপোর্ট প্রয়োজন হয় বা চেক করার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি চেক করে নিতে পারবেন। আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি মন্তব্য করে যাবেন। 

কারণ আপনার একটি মন্তব্য আমাদের পোস্ট লেখার আগ্রহ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেয়। এমনকি এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন কারণ তারাও এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবে পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং এ পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url