ডায়াবেটিস এর লক্ষণ - ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
আপনার প্রশ্নটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা প্রতিটি পাঠকের প্রশ্ন অতি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে এবং তার যথেষ্ট প্রমাণসহ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি। আপনি প্রশ্ন করেছেন বা জানতে চেয়েছেন ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি অথবা ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সম্পর্কে।
আশা করছি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনার যত প্রশ্ন আছে ডাইবেটিস নিয়ে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর জানুন ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো কি কি এবং ডাইবেটিসের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণ
পোস্ট সূচীপত্রঃ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ এবং ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা
- ডায়াবেটিস কি
- ডাইবেটিস এর লক্ষণ
- একটি মানুষের দেহে ডায়াবেটিস কেন হয়
- ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- ডায়াবেটিস কমানোর ওষুধ
- লেখকের সর্বশেষ কথা
ডায়াবেটিস কি
আপনি যদি না জেনে থাকেন ডায়াবেটিস কি এবং কাকে বলে তাহলে পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নেই। ডায়াবেটিস হচ্ছে একটি রোগের নাম। যেটি সাধারণত বয়স্ক মানুষদের বেশিরভাগ হয়ে থাকে।
তবে এখনকার সময় বয়স্ক আর অল্পবয়স্ক মানুষ দেখছে না এ রোগ কি সব ধরনের মানুষেরই হচ্ছে। যখন মানুষের শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায় বা ইনসুলিন উৎপাদন হওয়ার পরও যখন কাজ করতে পারেনা, ঠিক তখনই শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকে।
আরো পড়ুনঃ নাকের পলিপাশের লক্ষণগুলো জানুন
আর সেই অবস্থা কি আমরা ডায়াবেটিকস বলে থাকি। অর্থাৎ খালি পেটে যদি
গ্লুকোজের মাত্রা ৭ এর বেশি হয়ে যায় এবং খাওয়ার পর যদি 11 এর বেশি থাকে তখন
সেই অবস্থাকে ডাইবেটিস বলে। তাহলে আশা করছি জানতে পারলেন ডাইবেটিস কি।
ডাইবেটিস এর লক্ষণ
কোন কোন লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার দেহে ডায়াবেটিস বাসা
বেধেছে। ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো হলঃ
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা
- ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
- দুর্বল লাগা, ঘোর ঘোর ভাব আশা
- চোখে কম দেখতে শুরু করা
- শরীরে ক্ষত বা কাঁটা ছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনের সেটা না ভালো হওয়া
- চামড়ায় শুষ্ক এবং খসখসে ও চুলকানি ভাব হওয়া
- মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া
- সময় মতো খাওয়া দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হয়ে যাওয়া
- বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়েও যাওয়া
- কোন কারন ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি
এই ধরনের আচরণ বা পরিবর্তনগুলো যদি আপনি একটি মানুষের মধ্যে দেখতে পান তাহলে বুঝবেন সেই মানুষটি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ ধরনের সমস্যার রোগীরা বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যাদের বাবা মা এবং ভাই বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনদের
ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারণ এরূপ থেকে
বংশগত রোগ বলা হয়ে থাকে। তাহলে আশা করছি জানতে পারলেন ডায়াবেটিসের
লক্ষণ সম্পর্কে।
একটি মানুষের দেহে ডায়াবেটিস কেন হয়
একটি মানুষের দেহে কখন এবং কেন ডায়াবেটিস হয় এটি জানা অত্যন্ত জরুরি প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে। কারণ আপনি যদি না জানেন ডায়বেটিস হওয়ার কারণ সম্পর্কে তাহলে সেই কারণটিকে প্রতিকার করার চেষ্টা করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ জ্বর হলে করণীয় কি
তাই ডায়াবেটিক থেকে বাঁচার জন্য আগে কারণটি আপনাকে জানতে হবে যে কোন কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নিই ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ বা কেন ডায়াবেটিস হয়। আমরা যখন কোন খাবার গ্রহণ করি তখন আমাদের প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন তো নিঃসৃত হয়।
আর এই ইনসুলিনের কাজ হল, যে খাবারটি আমরা খাচ্ছি সেটার অতিরিক্ত গ্লুকোজ কমিয়ে দেওয়া। যখন মানুষের ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায় বা ইনসুলিনের উৎপাদন হওয়ার পরও যখন কাজ করতে পারে না তখন মানুষের শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকে।
আর সেই থাকার কারণে বা গ্লুকোজ অতিরিক্ত থাকার কারণেই মানুষের শরীরে ডায়াবেটিস
হয়। তাহলে আশা করছি জানলেন একটি মানুষের দেহে কেন ডায়াবেটিস হয় এবং কখন হয় বা
এর কারণ কি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য।
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
যখন কোন ব্যক্তির ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তখন সেই ব্যক্তির ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা বা পরিবর্তন আসে। যেমন খাদ্য ব্যবসা পরিবর্তন চলাফেরায় পরিবর্তন সব ধরনের পরিবর্তন করতে বলা হয়। যেমন ডায়বেটিস নির্ণয় হওয়ার পর বা ডাইবেটিস নির্ণয় করার পর করা বা তিনি মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে বারণ করা হয় ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিকে।
এছাড়াও জটিল সরকার বা চাল গম আলু এ জাতীয় খাবার গুলো সীমিত পরিমানে খেতে বলা হয়। এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার সাধারণের মতোই খেতে হবে এছাড়া ও সবজি ও ঘরের মাত্রা দেখে কম বেশি খেতে বলা হয়। এ ধরনের অনেক কিছু নিষেধাজ্ঞা পালন করে একজন ডায়াবেটিসের রোগীকে চলাফেরা করতে হয়।
তাহলে আশা করছি এতক্ষণে জেনে গেছেন ডাইবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে। এই
ধরনের পরিবর্তন আপনি যদি করতে পারেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করা
যাবে।
ডায়াবেটিস কমানোর ঔষধ
এখন তাহলে জেনে নিন ডাইবেটিস কমানোর জন্য কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এবং কোন ওষুধ গুলো খেলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতি ছাড়াই আপনার ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
ডায়াবেটিস কমানোর ওষুধ এর নাম হলঃ ডায়াবেট্রল ট্যাবলেট (Diabetrol Tablet)। এই ওষুধটি নিয়মিত ব্যবহার বা সেবন করার মাধ্যমে আপনার ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। তাহলে আশা করছি ডায়াবেটিস কমানোর ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।
লেখক এর সর্বশেষ কথা
এতক্ষণ যে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লেন সেই পোস্টটি হল ডায়াবেটিসের লক্ষণ এবং ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে। আশা করি পোস্টটি লাইন বাই লাইনপড়ার মাধ্যমে ডাইবেটিস সম্পর্কে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।
পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করুন কারণ তারাও পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিসের লক্ষণ এবং ডাইবেটিস কমানোর
উপায় সম্পর্কে জানতে পারবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন তাহলেই নিত্যনতুন তথ্য জানতে পারবেন।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url