কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট - কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এবং কোমর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে লেখা হয়েছে। আশা করছি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে কোমর ব্যথা নিয়ে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।
মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এবং কোমর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে। এছাড়াও এই প্রশ্নের মধ্যে কোমর ব্যথা চিকিৎসা সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। দেরি না করে চলুন পড়া শুরু করা যাক এবং জেনে নেয়া যাক কোমর ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এবং কোমর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
পোস্ট সূচীপত্রঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এবং কোমর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম
- কোমর ব্যথা কেন হয়
- কোমর ব্যথা কমানোর উপায়
- কোমর ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট
- কোমর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম
- পোস্ট সম্পর্কে লেখক এর মন্তব্য
কোমর ব্যথা কেন হয়
কোমরের ব্যথা কেন হয় জানার জন্য পোস্টটি করতে থাকুন। অনেক সময় দেখা যায়
কোন একটা দীর্ঘ সময় ধরে বসে করছেন এবং এই দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার জন্য আমাদের
মেরুদন্ডে সামনের দিকে মাংসপেশি সংকুচিত এবং পেছনের দিকে মাংসপেশী প্রসারিত
হয়। এ কারণে দেহের বেশির ভারসাম্যহীনতা (মাসকুলার ইমব্যালেন্স)
তৈরি হয়। ঠিক তখনই মেরুদন্ডের মাঝখানে থাকার ডিক্সের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে
যায়। আর এই চাপ থেকে ধীরে ধীরে কোমরের ব্যথা সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুনঃ
গলা ব্যথা দূর করার উপায়
পিঠে ব্যথা হতে পারে যখন মেরুদণ্ড, ডিস্ক, পেশী, লিগামেন্ট, বা পিঠের টেন্ডনে যান্ত্রিক বা কাঠামোগত সমস্যা তৈরি হয় বা স্নায়ু সংকুচিত হয়। মচ: লিগামেন্টের একটি আঘাত যা এই পাইনকে সমর্থন করে (যা বিভিন্ন হাড়কে একত্রে সংযুক্ত করে), প্রায়শই মোচড়ানো বা ভুলভাবে তোলার কারণে ঘটে।
এখন তাহলে আশা করছি আপনি জানতে সক্ষম হয়েছেন কোমর ব্যথা কেন হয়। অথবা কোমর
ব্যথা হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে। পড়তে থাকুন তাহলে আরো অনেক তথ্য জানতে পারবেন
কোমর ব্যাথা সম্পর্কে।
কোমর ব্যথা কমানোর উপায়
কোমর ব্যথা কমানোর জন্য আমাদের লেখা পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন। কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি থাকে যে পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার কোমরের ব্যথা নির্মূল করা সম্ভব।
তাহলে চলুন জেনে নিই কোন পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে কোমরের ব্যথা কমানো যায়। কোমরের ব্যথা দূর করতে প্রথমে নারকেল তেলের মধ্যে একটি কর্পুর ফেলে দিন। এবার সেই মিশ্রণ কৃত তেলকে গরম করে নিন।
গরম করা বা ফুটানো হয়ে গেলে কিছুক্ষন গরম তেল কে ঠান্ডা করতে দিন। গরম তেল ঠান্ডা হওয়ার পর তেলগুলো কোমরে মেখে নিন। তাহলেই দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার কোমরের ব্যথা দূর হয়ে যাবে। কোমরে ব্যথা দূর করার আরো কিছু উপায় জানুন।
- কোমরের ব্যথা কমাতে আধা ও চা ব্যবহার করতে পারেন। আধা ও চায়ের রয়েছে অনেক ধরনের গুণ। কোমরের ব্যথা কমাতে অনেক উপকারী যেটা গবেষণায় দেখা গেছে।
- এমনকি কোমরের ব্যথা কমাতে পান পাতায় ঘি লাগিয়ে তারপর সেটি গরম করে পিঠে এবং কোমরে কিছুক্ষণ শেখ দিতে পারেন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার কোমরের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
- এছাড়াও কোমরের ব্যথা দূর করার জন্য সরিষার তেলের মধ্যে রসুনের কয়েকটি কুচি মিশিয়ে গরম করে নিতে পারে। তারপর রসুন এবং তেল গরম হয়ে গেলে কোমরে লাগিয়ে নিলেই আপনার কোমরের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
- গরম দুধে কাঁচা হলুদ অথবা হলুদের গুড়ার সাথে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে পান করলে অনেক উপকারিতা পাবেন কোমরের ব্যথা দূর করার জন্য। এমনকি যেকোনো ব্যথা দূর করাতে সাহায্য করে এই হলুদ আর দুধ।
- এমনকি কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য নীলগিরি তেল আছে, যে সেলটি আপনি নিয়মিত ব্যথার স্থানে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত আপনার ব্যথা কমে যাবে। এমনকি কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য দিনে দুবার করে গরম শেক দিতে হবে। এটি খুবই উপকারী কোমরের ব্যথা ভালো করার জন্য।
কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট
কোমর ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট পাওয়া যায় যে ট্যাবলেট গুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হবে। তাই চেষ্টা করবেন আপনার কোমরের ব্যথা দূর করার জন্য ব্যায়াম করার।
তবে ব্যথা যদি খুবই ক্রিটিক্যাল বা সিরিয়াস হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। চলন তাহলে জেনে নিই কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট কোন গুলো সবচেয়ে ভালো এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই খাওয়া যায়।
কোমর ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এর নাম হলোঃ আইবুপ্রোফেন,ন্যাপ্রক্সেন সোডিয়াম দুটি খুবই কার্য করি যে কোন ব্যথা বা মাজা ব্যথা কোমর ব্যথার জন্য। এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় যে ওষুধগুলো সেবন করার মাধ্যমে কোমরের ব্যথা ভালো হয়।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায়
তবে অবশ্যই ওষুধগুলো খাওয়ার পড়বে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কোমর ব্যথা কমানোর আরো কিছু ওষুধের নাম যেমনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট
- Naprox (500mg)
- Napro (500mg)
- Diproxen (500mg)
- Sonap ( 500mg)
- Ecless (500mg)
- Napryn ( 500mg)
- Napro A (500mg)
- Xenapro (500mg)
- Nuprafen (500mg)
- Naspro (500mg)
কোমর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম
কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য কয়েকটি ব্যায়ামের নিয়ম শিখুন। যে ব্যায়ামগুলো
নিয়মিত করার মাধ্যমে আপনার কোমরে কোন ধরনের ব্যথা হবে না বা থাকবে না। তাই
চলুন কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নিন এবং ব্যায়ামগুলোর নিয়ম
গুলো শিখেনি।
হাঁটু থেকে বুকে প্রসারিতঃ আপনার হাঁটু বাঁকানো এবং আপনার পা মেঝেতে সমতল রেখে আপনার পিঠের উপর শুয়ে পড়ুন। উভয় হাত ব্যবহার করে, একটি হাঁটু উপরে টানুন এবং এটি আপনার বুকের দিকে টিপুন । আপনার পেটের পেশীগুলিকে শক্ত করুন এবং মেঝেতে আপনার মেরুদণ্ড টিপুন। পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখুন। প্রারম্ভিক অবস্থানে ফিরে যান এবং অন্য পা দিয়ে পুনরাবৃত্তি করুন। প্রারম্ভিক অবস্থানে ফিরে যান। তারপর একই সময়ে উভয় পা দিয়ে পুনরাবৃত্তি করুন । প্রতিটি প্রসারিত ২ থেকে ৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন। সকালে একবার এবং সম্ভব হলে সন্ধ্যায় একবার সম্পূর্ণ রুটিন করুন।
নীচের পিছনে ঘূর্ণন প্রসারিতঃ আপনার হাঁটু বাঁকানো এবং আপনার পা মেঝেতে সমতল রেখে আপনার পিঠের উপর শুয়ে পড়ুন। আপনার কাঁধকে মেঝেতে শক্তভাবে রাখুন এবং ধীরে ধীরে আপনার বাঁকানো হাঁটুকে একপাশে রাখুন। ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। ধীরে ধীরে প্রারম্ভিক অবস্থানে ফিরে যান । অন্য দিকে পুনরাবৃত্তি করুন । প্রতিটি প্রসারিত ২ থেকে ৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন। সকালে একবার এবং সম্ভব হলে সন্ধ্যায় একবার সম্পূর্ণ রুটিন করুন।
লোয়ার ব্যাক নমনীয়তা ব্যায়ামঃ আপনার হাঁটু বাঁকানো এবং আপনার পা মেঝেতে সমতল রেখে আপনার পিঠের উপর শুয়ে পড়ুন । আপনার পেটের পেশীগুলিকে শক্ত করুন যাতে আপনার নীচের পিঠটি মেঝে থেকে দূরে টানে। পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং তারপর শিথিল করুন। আপনার পিঠ চ্যাপ্টা করুন, আপনার পেটের বোতামটি মেঝে এর দিকে টানুন। পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং তারপর শিথিল করুন। পুনরাবৃত্তি করুন। দিনে পাঁচটি পুনরাবৃত্তি দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে ৩০ পর্যন্ত কাজ করুন।
সেতু ব্যায়ামঃ আপনার হাঁটু বাঁকানো এবং আপনার পা মেঝেতে সমতল রেখে আপনার পিঠের উপর শুয়ে পড়ুন । আপনার কাঁধ এবং মাথা মেঝেতে শিথিল রাখুন এবং আপনার পেট এবং নিতম্বের পেশীগুলিকে শক্ত করুন। তারপর আপনার হাঁটু থেকে আপনার কাঁধ পর্যন্ত একটি সরল রেখা তৈরি করতে আপনার নিতম্ব বাড়ান । তিনটি গভীর শ্বাস নেওয়ার জন্য যথেষ্ট দীর্ঘ সময় ধরে থাকার চেষ্টা করুন। আপনি যেখানে শুরু করেছিলেন সেখানে ফিরে যান এবং পুনরাবৃত্তি করুন। দিনে পাঁচটি পুনরাবৃত্তি করে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে ৩০ পর্যন্ত কাজ করুন।
বিড়াল প্রসারিতঃ আপনার হাঁটু এবং হাতে হাঁটু । ধীরে ধীরে আপনার পিঠের দিকে খিলান করুন, যেন আপনি আপনার মাথাকে নিচের দিকে নিয়ে আসার সাথে সাথে আপনার পেটকে সিলিংয়ের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন । তারপরে ধীরে ধীরে আপনার পিঠ এবং পেটকে মেঝেতে ঝুঁকতে দিন যখন আপনি আপনার মাথা উপরে আনতে পারেন । আপনি যেখানে শুরু করেছিলেন সেখানে ফিরে যান । দিনে দুবার ৩ থেকে ৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
বসা নীচের পিছনে ঘূর্ণন প্রসারিতঃ হাতবিহীন চেয়ারে বা স্টুলে বসুন। আপনার বাম পায়ের উপর আপনার ডান পা ক্রস করুন। আপনার ডান হাঁটুর বাইরের দিকে আপনার বাম কনুই বেঁধে রাখুন, মোচড় দিন এবং পাশে প্রসারিত করুন। ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। বিপরীত দিকে পুনরাবৃত্তি করুন । দিনে দুবার প্রতিটি পাশে ৩ থেকে ৫ বার এই প্রসারিত করুন।
আরো পড়ুনঃ মাথা ব্যথা দূর করার উপায়
কাঁধের ব্লেড চেপে ধরুনঃ একটি বাহুবিহীন চেয়ারে বা একটি মলের উপর বসুন । সোজা হয়ে বসার সময়, আপনার কাঁধের ব্লেডগুলি একসাথে টানুন। পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং তারপর শিথিল করুন। এটি দিনে দুবার ৩ থেকে ৫ বার করুন।
আশা করছি তাহলে এতক্ষণে জেনে গেছেন কোমর এর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে।
উপরোক্ত যে ব্যায়ামগুলো নিয়ম দেয়া হলো এই ব্যায়ামগুলো আপনি নিয়মিত করলে
আপনার কোমরের ব্যথা কখনোই হবে না।
পোস্ট সম্পর্কে লেখক এর মন্তব্য
আপনার প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে পেয়েছেন কিনা তা মন্তব্য করে জানাবেন দয়া করে। আপনার প্রশ্নটি ছিল কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এবং কোমর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে? আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে কোমর ব্যথা নিয়ে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।
পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন কারণ তারাও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এবং কোমর ব্যথা কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে পারবে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url