কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় - কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়
প্রিয় বন্ধুগণ আপনি জানতে চেয়েছেন কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এবং কিভাবে
টাকা ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে। আর তাই আজকের আর্টিকেলে কিভাবে ইনকাম করা
যায় এই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন
কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এবং কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়।
এছাড়াও এই পোষ্টের মধ্যে ইনকাম সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নিয়ে আলোচনা করা
হবে। আবার নিরাপত্তা বিশিষ্ট অনলাইন ইনকাম সাইটগুলো নিয়েও আলোচনা করা
হবে। তাই দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি পড়া শুরু করা যাক এবং জেনে নেয়া
যাক কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এবং কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এবং কিভাবে টাকা ইনকাম
করা যায়
কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এই প্রশ্নটা অনেক বেকার ছেলেদের মাথায় সব
সময় ঘুরপাক খায়। কারণ সবাই চাই বসে থেকে ইনকাম করতে এবং যেন সেই ইনকামটা
খুবই বেশি পরিমাণে হয়। আর এই বেশি পরিমাণে ইনকাম করার জন্যই অনলাইনে ইনকাম
করার চেষ্টা করে। কিন্তু সঠিক গাইড লাইন পাওয়ার অভাবে কোথায় কিভাবে কাজ
করতে হয় এ সম্বন্ধে কোন ধারণা পাই না।
এখন যে পোস্টটি পড়ছেন এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়
এই সম্বন্ধে সঠিক একটি ধারণা অথবা গাইডলাইন প্রদান করা হবে। পোস্টটি যদি মনোযোগ
সহকারে পড়তে পারেন তাহলে আশা করছি অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কিত সমস্ত ধারণা পেয়ে
যাবন। তাই বেশি কথা না বলে চলুন কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে জেনে
নেয়া যাক।
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কি প্রয়োজনঃ
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনার কাছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে ধৈর্য। কারণ
ধৈর্য ছাড়া অনলাইন থেকে কোন প্রকার ইনকাম করা যাবেনা। ধৈর্য ধরে প্রচুর পরিশ্রম
করে একপর্যায়ে আপনি ভালো পরিমাণে আর্ন শুরু করতে পারবেন। এখন হয়তো মাথায়
প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে ধৈর্য ধরবো এবং কি পরিশ্রম করব? হ্যাঁ আমরা সেই
টপিকেই আসছি। ধৈর্য ধরা বলতে একটি কাজ আপনি শুরু করেছেন কিন্তু কাজ
থেকে কোন পরিমাণ অর্থ পাচ্ছেন না।
পারছেন না বলেই যে কাজটি আপনাকে ছেড়ে দিতে হবে এমনটা না, আজ পাচ্ছেন না ফলাফল
কাল হয়তো পাবেন, কাল পাচ্ছেন না তার পরের দিন পাবেন। কিন্তু এক না একদিন অবশ্যই
পাবেন। তাই আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। এবার আসি
পরিশ্রমের বিষয়টা নিয়ে। আপনি হয়তো জানেন যে কাজে পরিশ্রম আছে সেই কাজে সফলতা
আছে তাই পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
কোন কোন মার্কেট প্লেসে কাজ বিক্রি হয়ঃ
যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করে তাদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। একজন ভালো এবং দক্ষ
ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যে
বিষয়টা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ের উপর আপনাকে এ টু জেট ধারণা
রাখ্তে হবে। কারণ সে বিষয়টির ওপর ভর করে আপনার সারা জীবনের ইনকাম নির্ভর
করছে।
তাই চেষ্টা করবেন ওই কাজটির ওপর যত ধরনের ধারণা নেয়া যায় সমস্ত ধারণাগুলো নিয়ে
রাখা।অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় সব থেকে বেশি যে সাইডগুলো সেগুলো হচ্ছে আপওয়ার্ক,ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি। এই সাইডগুলো থেকে ফ্রিল্যান্সাররা বেশি পরিমাণে ইনকাম করে থাকে।
তার মধ্যে আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো যে
মার্কেটপ্লেসটা হচ্ছে ফাইভার।
এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি বিট করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ এই
মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার কাজ বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কাজ বিক্রি
করার জন্য আপনাকে কাজটি শিখতে হবে। এখন হয়তো ভাবছেন কি কাজ শিখব। এই সমস্ত
মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক ধরনের কাজ কিনে নেয়া হয়। তাহলে চলুন এক পলকে দেখেনি
কি কি কাজ শিখব।
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কি কি কাজ শিখবেনঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,
সিপিএ মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি এর মতো আরো বিভিন্ন
ধরনের কাজ শিখতে পারেন। এই সমস্ত কাজগুলো শিখে আপনি মার্কেটপ্লেসের বিক্রি করতে
পারবেন। এবং বিক্রি করে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই কাজগুলো আপনি বিভিন্ন আইটি সেন্টারে গিয়ে শিখতে পারেন আবার অনলাইনে কোর্স
করেও শিখতে পারে। অথবা এত টাইম যদি আপনার কাছে না থাকে তাহলে ইউটিউবে সার্চ করার
মাধ্যমে ভিডিও দেখেও এই সমস্ত বেশি কাজগুলো শিখতে পারবেন। কাজগুলো শেখা হয়ে
গেলে এবার কিভাবে কাজগুলো বিক্রি করবেন এই সম্বন্ধে কিছু ধারণা নিয়ে নেন।
কাজ শেখার পর কিভাবে কাজ বিক্রি করবেনঃ
কাজ শেখার পর বিক্রি করবেন যেভাবে সেটি হচ্ছে উপরে যে তিনটি মার্কেটপ্লেসের
নাম বললাম সেই মার্কেটপ্লেস গুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। অ্যাকাউন্ট গুলো তৈরি
করার জন্য ইউটিউবে ছোট ছোট টিউটোরিয়াল ভিডিও দিয়া আছে সেই ভিডিওগুলো দেখে আপনি
ভালোভাবে একটি প্রফেশনাল মার্কেটপ্লেস একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। এবার সেই
মার্কেটপ্লেস গুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর বিভিন্ন ধরনের গিগ পাবলিস্ট করবেন।
গিগ গুলো হলো যে কাজ সম্পর্কে আপনি ধারণা নিয়েছেন বা শিখেছেন সেই কাজগুলো বিক্রি
করার জন্য একটি পোস্ট লিখে সেই একাউন্টে পাবলিস্ট করবেন। পাবলিশ করার পর বিদেশি
কোম্পানিরা আপনার কাজগুলো দেখে যদি ভালো মনে হয় তাহলে তারা আপনার সাথে তারা
যোগাযোগ করবে। এবং যোগাযোগের মাধ্যমে আপনাকে তারা কাজ দিয়ে থাকবে সেই কাজ যদি
ঠিকঠাক ভাবে করে আপনি তাকে পাঠাতে পারেন। তাহলে আপনার একাউন্টে ডলার যোগ হয়ে
যাবে। এবং সেই ডলার টা আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ট্রান্সফার করে
টাকা রূপান্তর করতে পারবেন।
কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়ঃ
তাহলে আশা করছি, উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা
যায় এই সম্পর্কে মোটামুটি একটি বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন। এই ধারণার উপর
ভিত্তি করে আপনি যদি কাজ করেন তাহলে অবশ্যই অনলাইন জগত থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ
উপার্জন করতে পারবেন। চেষ্টা করতে হবে চেষ্টার বিকল্প নাই পরিশ্রমের বিকল্পে নাই
কারণ পরিশ্রম করলেই সফলতা আসবে। তাই অবশ্যই যে কাজটি করবেন সেই কাজের ওপর
সমস্ত দিয়ে কাজটি করার চেষ্টা করবেন তাহলে অবশ্যই সে কাজ থেকে ভালো একটি ফলাফল
আশা করতে পারবেন।
পোস্ট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
আপনি যে পোস্টটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি হল কিভাবে
অনলাইনে ইনকাম করা যায় এবং কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। আশা করি পোস্টটি
লাইন বাই লাইন পড়ার মাধ্যমে এখন আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি একটু উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করুন। কারন এই পোস্টটি তারাও পড়ার মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম
করা যায় এবং কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পারবেন। এমনকি এ ধরনের আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url