মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম । Online Money Income 2023
প্রিয় বন্ধুগণ আপনি জানতে চেয়েছেন কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এবং Online
Money Income করা যায় এই সম্পর্কে। আর তাই আজকের আর্টিকেলে
কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তাই
পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম অথবা
Online Money Income করা যায়।
এছাড়াও এই পোষ্টের মধ্যে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নিয়ে আলোচনা
করা হবে। আবার নিরাপত্তা বিশিষ্ট মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় এমন
সাইটগুলো নিয়েও আলোচনা করা হবে। তাই দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি পড়া শুরু
করা যাক এবং জেনে নেয়া যাকমোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এবং Online Money Income করা
যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এবং Online Money Income
2023
জেনে নিন মোবাইল দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও পাবলিস্ট করে কিভাবে ইনকাম করা যায়। আপনার
যদি স্বপ্ন বা ইচ্ছা থাকে যে আপনি একজন বড় ইউটিউবার হবেন। তাহলে ইউটিউবে ভিডিও
পাবলিস্ট করে এবং ভালো ভালো কনটেন্ট ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবার হতে পারবেন।
এমনকি বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রকাশ করে ভিডিও তৈরি করলে আপনি একজন ইউটিউবার হতে
পারবেন। আর এখনকার সময়ে একজন ইউটিউবারের অনেক দাম।
কারণ তারা নিজ ইচ্ছায় নিজ দক্ষতায় অনেক ইনকাম করে থাকে। একজন ইউটিউবার হতে হলে
অনেক পরিশ্রম এবং দক্ষতার প্রয়োজন। একজন ইউটিউবারকে অনেক ধরনের পরিশ্রম
করতে হয় তারপরেই সফলতা পাওয়া যায়। এখন আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা ফোনটি
দিয়েই আপনি একজন বড় ইউটিউবার হতে পারবেন। কিভাবে পারবেন সেটি বলছি এখন। আপনার
হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি অনেক শক্তিশালী আপনার ইনকামিং দক্ষতা বাড়ানোর
জন্য।
তাহলে এবার জেনে নিন কিভাবে ইউটিউবে একটি ভালো এবং প্রফেশনাল চ্যানেল তৈরি
করতে হয়।সর্বপ্রথম প্লে স্টোর থেকে ইউটিউব অ্যাপস ডাউনলোড করে নিবেন। তারপর
আপনার জিমেইল দিয়ে ইউটিউব অ্যাপসটি লগইন করে নিবেন। লগইন করা হয়ে গেলে
আপনার ইমেইলে যে ভেরিফিকেশন কোড যাবে সেই ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে ইউটিউব অ্যাপসটি
ভেরিফাই করে নিবেন। আর আপনি যদি না বুঝতে পারেন তাহলে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে ভিডিও
দেখার মাধ্যমে একটি প্রফেশনাল চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।
প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা হয়ে গেলে। তারপর থেকে এই চ্যানেলে
বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট ভিডিও আপলোড করতে শুরু করবেন। মনে করেন আপনি কোথাও
বেড়াতে যাচ্ছেন সেখানকার ভিডিও তৈরি করে একটু এডিট মডিফাই করে ইউটিউবে পাবলিস্ট
করে দেবেন। তারপর মনে করেন মানুষ অনেক তথ্য অজানা আছে সে তথ্যগুলো স্কিন শেয়ার
করার মাধ্যমে জানাবেন। এরকম করে আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে
ইউটিউবে পাবলিস্ট করতে পারেন।
তাহলে আপনার ভিডিওতে আস্তে আস্তে ভিজিটর বা ভিউয়ার বাড়তে থাকবে এবং আপনার
ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারও বাড়তে থাকবে। এবং একটা পর্যায়ে আপনার
চ্যানেলে গুগল এডস মনিটাইজেশন চালু হয়ে যাবে। আর সেই গুগল এডস মনিটাইজেশন চালু
হলেই আপনার ইনকাম শুরু হবে। তাহলে আশা করি এতোটুকু পড়ার মাধ্যমে জানতে
পেরেছেন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি অথবা ইউটিউবে ভিডিও পাবলিস্ট করে
ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে।
মোবাইল দিয়ে ফেসবুকে পেজ তৈরি করে ইনকাম
মোবাইল দিয়ে ফেসবুকে ইনকাম করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার ফোনে ফেসবুক অ্যাপস থাকা
লাগবে। আপনার ফোনে যদি ফেসবুক অ্যাপসটি না থেকে থাকে তাহলে প্লে স্টোর
থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ডাউনলোড করার পর ফেসবুকে একটি প্রফেশনাল আইডি
তৈরি করতে পারেন। আগেকার সময়ে ফেসবুক আইডি একটি থাকতো এবং নতুন করে ফেসবুক পেজ
তৈরি করতে হত।
কিন্তু এখন ফেসবুক কোম্পানি নতুন নিয়মে ফেসবুক আইডি খুললেই পেজ হয়ে যাবে এমন
সিস্টেম তৈরি করে দিয়েছে ফেসবুক অ্যাপস এর মধ্যে। সর্বপ্রথম সমস্ত
সঠিক তথ্য দেয়ার মাধ্যমে একটি ফেসবুক আইডি বা পেজ তৈরি করে নিবেন। তারপর
ইউটিউবের মতোই বিভিন্ন ধরনের নিত্যনতুন কনটেন্ট ভিডিও তৈরি করবেন। এবং কিছুটা
এডিটিং করার মাধ্যমে ফেসবুক পেজে পাবলিশ করে দিবেন। প্রতিদিন একটি দুইটি করে
ভিডিও পাবলিস্ট করলে ফেসবুক পেজ থেকে সফলতা আশা করতে পারবেন।
ইউটিউবে ভিডিও দেখার মাধ্যমে একটি প্রফেশনাল পেজ তৈরি করতে পারবেন। প্রফেশনাল
পেজ তৈরি করার মাধ্যমে যখন আপনি প্রতিদিন নিত্য নতুন আকর্ষণীয় ভিডিও পাবলিস্ট
করবেন। তখন আপনার পেজে অনেক ভিউয়ার আসবে এবং লাইক কমেন্ট শেয়ার বাড়বে।
এবং আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিওতে যত ভিউয়ার আসবে আপনার তত ইনকাম
হবে। আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিওগুলোতে যখন ফলোয়ার বেড়ে যাবে তখন আপনি
গুগল এড মনিটাইজেশন চালু করতে পারবেন।
আর আপনার ফেসবুক পেজ এ যদি গুগল এডস মনিটাইজেশন চালু হয়ে যায় ঠিক তখন থেকেই
আপনার ইনকাম হওয়া শুরু হবে। তাহলে আশা করছি জানতে পেরেছেন মোবাইল দিয়ে
টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি অথবা মোবাইল দিয়ে ফেসবুকে ফেসবুক করে কিভাবে ইনকাম করা
যায় সম্পর্কে। এতোটুকু করার মাধ্যমে ফেসবুক পেজ সম্পর্কে আশা করি অনেকটাই
ধারণা পেয়ে গেছেন। এই ধারণাটুকু কাজে লাগিয়ে এখন আপনি ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম
করতে পারবেন।
মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপস থেকে ইনকাম
মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপস থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি সঠিক কোন অ্যাপস
এর গাইডলাইন পেয়ে থাকেন সেই অ্যাপসগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে নিশ্চিত পেমেন্ট
পেয়ে ইনকাম করতে পারবেন। অনেক অ্যাপস আছে যে অ্যাপসগুলো টার্গেট পূরণ করার
জন্য কাজের অফার দিয়ে থাকে। ওদের যখন টার্গেট পূরণ হয়ে যায়
প্রেমের না করেই অ্যাপসটি বন্ধ করে দেয়। এই সমস্ত প্রতারণার শিকার যারা
হয়েছেন তারা ভাবেন মোবাইলের অ্যাপস দিয়ে ইনকাম করা যায় না।
আসলে আপনার ধারণাটা একেবারেই ভুল। অনেক অ্যাপস আছে যে এপস গুলো দ্বারা শুধু
প্রতারণা করে। আবার অনেক অ্যাপস আছে যে অ্যাপস গুলোতে টাইমলি এবং সাথে সাথে
পেমেন্ট করে দেয়। আপনি যদি কাজ না বুঝে কাজ করতে যান তাহলে অবশ্যই আপনাকে
অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই অবশ্যই কোন অ্যাপস এ কাজ করতে
যাওয়ার আগে সে কাজ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নিয়ে নিবেন।
তাহলে অবশ্যই ওই কাজটি করে আপনি সফলতা পাবেন। যে অ্যাপসে কাজ করবেন ওই অ্যাপস
এর আগে বায়োডাটা চেক করে নিবেন যে ওয়েবসে কাজ করে কেউ কোনদিন পেমেন্ট পেয়েছে
কিনা এ সমস্ত তথ্যগুলো জেনে নেয়ার মাধ্যমে ওয়েবসাই কাজ করা শুরু করবেন।
Binane এই অ্যাপসটিতে আপনি যদি রেগুলার কাজ করেন তাহলে অবশ্যই নিশ্চিত পেমেন্ট পাবেন।
তবে আগে এই অ্যাপস এ কাজ করার বিভিন্ন নিয়ম কানুন আছে সেই নিয়ম কানুন গুলো
জেনে কাজ করতে শুরু করবেন।
এই অ্যাপসে কাজ করার জন্য ইউটিউবে সার্চ করলে আপনাকে কিভাবে কাজ করতে হয় এবং
কিভাবে টাকা উইথড্র করতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা ভিডিও দেখার
মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। তাহলে আশা করছি জানতে পেরেছেন কিভাবে মোবাইল দিয়ে
টাকা ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
আপনার মাথায় হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে
টাকা ইনকাম করা যায়। হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়েছেন মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করে
টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি মোবাইল সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জেনে থাকেন এবং
ফ্রিল্যান্সিং এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করার
মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আমরা হয়তো জানি ফ্রিল্যান্সিং করা মানে গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স
ডিজাইন ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সেক্টর আছে যেই সেক্টরগুলোর মাধ্যমে
ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে
চান তাহলে। আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে এবং
অনেক ধৈর্য ধরতে হবে।
Canva এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে হবে। এবং এই অ্যাপসে কি কি কাজ করতে হয়
ইউটিউবে ভিডিও দেখার মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই অ্যাপসে
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন।
ভিজিটিং কার্ড, ব্যানার ডিজাইন, লিফলেট ডিজাইন, টি শার্ট ডিজাইন, ফেসবুকের
থাম্বেল এবং ইউটিউবে এর থাম্বেল, বিয়ের কার্ড ইত্যাদি ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন
এই অ্যাপসে। এবং আপনি অনলাইন যে মার্কেটপ্লেসগুলো আছে সেই মার্কেটপ্লেসে
একাউন্ট তৈরি করে। কাজের অর্ডার নিয়ে এই অ্যাপস এ কাজ করে অর্ডার সাবমিট করতে
পারবেন। এই canva অ্যাপসটি আপনি আপনার ফোনে ব্যবহার করে গ্রাফিক্স
ডিজাইননার হতে পারবেন।
আপনার যদি অফ আপওয়ার্কর অথবা ফাইবার এর মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি
করা থাকে। সেই একাউন্টে বিট করার মাধ্যমে কাজের অর্ডার নিয়ে এই অ্যাপসে মোবাইল
দিয়ে কাজ করে অর্ডার সাবমিট করলেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আশা
করছি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।
মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট লিখে ইনকাম
মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট লিখে ইনকাম করার জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে
হবে। গুগল এর ব্লগার থেকে আপনি যদি একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে
পারেন। এবং সেই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট লিখে পাবলিশ
করেন তাহলে। সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনি ভালো মানের একটি ইনকাম করতে পারবেন। এবং
এটি লং টাইম ধরে ইনকাম করতে পারবেন। এতক্ষণ শিরোনাম যা শুনলেন এবার বিস্তারিত
জেনে নিন।
মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট লিখে ইনকাম করার জন্য। আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স
করতে হবে অনলাইনে হোক কিংবা অফলাইনে। কোর্স করার মাধ্যমে আপনি জানতে
পারবেন কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়। এবং ওয়েবসাইটটি কিভাবে কন্ট্রোল
করতে হয় অথবা কোথায় কোন ফিচার রাখলে ভালো হয় এ সম্পর্কে। আরো জানতে পারবেন
আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে এবং আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং পোস্ট করে একজন ভালো
মানের আর্টিকেল রাইটার হতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে আপনার যখন একটি ওয়েবসাইট থাকবে সেই ওয়েবসাইটে
আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। অথবা অন্য কারো সাইটে। কনটেন্ট বা
আর্টিকেল বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার হাতে থাকা মুঠোফোনটি দিয়ে
আর্টিকেল রাইটিং করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট আপনার ফোনে ভয়েস বা টাইপিং এর মাধ্যমে লিখে
আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করলে ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আশা করছি জানতে
পেরেছেন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার বিস্তারিত ধারণা।
মোবাইল দিয়ে ই-কমার্স বিজনেস করে ইনকাম
মোবাইল দিয়ে ই-কমার্স বিজনেস করে ইনকাম করার জন্য ই-কমার্স কি এটা আগে আপনাকে
জানতে হবে। ই-কমার্স হচ্ছে অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করার একটি
পদ্ধতি। আপনি যদি চান তাহলে অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করেও ইনকাম করতে
পারবেন সেটি আবার আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে।
যেকোনো পণ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিক্রি করতে পারবেন। মনে করেন আপনার
যদি শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা থাকে। তাহলে আপনি ফেসবুকে বা ইউটিউব পোস্ট করে
কাস্টমারদের দেখানোর মাধ্যমে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। অথবা
bikroy.com
নামক অ্যাপসে একাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে
পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পণ্য প্রচার করে অথবা পণ্য প্রচার করে বিক্রি করার মাধ্যমে
ইনকাম করা যায় আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে। তাহলে আশা করছি জেনে গেছেন
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা।
মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে লেনদেনের মাধ্যমে ইনকাম
মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে লেনদেন করার মাধ্যমে ইনকাম করা যাই। আপনার
হাতে থাকা মোবাইল ফোনে যদি বিকাশ অ্যাপ থাকে সেই অ্যাপস দিয়ে আপনি যদি
প্রতিদিন ভালো একটি পরিমাণ টাকা লেনদেন করতে পারেন। তাহলে বিকাশ
থেকেও ইনকাম করতে পারবেন। সর্বপ্রথম আপনাকে একজন বিকাশ এজেন্ট হিসেবে কাজ
করতে হবে।
যারা বিকাশে লেনদেন করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে একটি এজেন্ট বিকাশ তৈরি করতে
হবে। এবং সেই বিকাশে প্রতিদিন গ্রাহকরা যে লেনদেন করে ওই লেনদেনগুলো আপনার
এজেন্টের মাধ্যমে যদি হয় তাহলে আপনি বিকাশ থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি
যদি না জেনে থাকেন মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে লেনদেনের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা
যায় তাহলে ইউটিউবে সার্চ করে ভিডিও দেখার মাধ্যমে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে
যাবেন।
তাহলে অযথা বাড়িতে না বসে থাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করে বিকাশ থেকে লেনদেনের
মাধ্যমে ইনকাম করা শুরু করে দিন। এজেন্ট ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করার
মাধ্যমে আপনি এই ইনকামটি শুরু করতে পারবেন। আরও একটি মোবাইল দিয়ে টাকা
ইনকাম করার সম্পর্কে জানতে পারলেন।
মোবাইল দিয়ে রিচার্জের ব্যবসা করে ইনকাম
আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে রিচার্জ এর ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারবেন। অনেক
সময় দেখা যায় আপনার আশেপাশে কোন রিচার্জ এর দোকান নাই তখন আপনার ফোনে যদি
বিকাশে অথবা নগদে টাকা থেকে থাকে তাহলে আপনি সেখান থেকে রিচার্জ করে নিতে
পারেন। কিন্তু যাদের বিকাশে টাকা নেই বা বিকাশ বা নগদ একাউন্ট কোনটাই নেই
তাহলে তারা কি করবে।
আপনি তাদের জন্য রিচার্জ এর ব্যবসা করতে পারেন। আপনাকে দোকান নিয়ে বসতে হবে না
আপনার আশে পাশের সবাইকে একটু করে জানিয়ে রাখবেন যে আমি রিচার্জ করে দি। তাহলে
আপনার আশেপাশের লোকদের থেকে আরও দশটা লোক জানতে পারবে এভাবে সবাই যখন আপনি
রিচার্জ করেন এই সম্পর্কে জানতে পারবে তখন আপনার কাছেই সবাই রিচার্জ
করবে।
বিকাশ এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করে আপনার রিচার্জ একাউন্ট তৈরি করে নিবেন। তারপর
সবাইকে রিচার্জ করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আশা করছি মোবাইল দিয়ে
রিচার্জ এর ব্যবসা করে ইনকাম করার একটি মোটামুটি ধারণা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টিউশন করিয়ে ইনকাম
আপনি হয়তো বলবেন মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টিউশন করিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়।
হ্যাঁ এটাও সম্ভব যে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টিউশন করিও ইনকাম করা
যায়। এখনকার সময় সবই সম্ভব কিন্তু সেটা জানতে হবে। আপনাকে জানানোর জন্য
ছোট্ট একটি ধারণা। আপনার যদি বাংলা এবং ইংলিশ অথবা অংকে পারদর্শী হয়ে
থাকেন।
তাহলে অনলাইনে টিউশন করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। সেটা কিভাবে এখন জেনে
নিন। আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনে যদি ফেসবুক অ্যাপ থাকে তাহলে সেই অ্যাপ
দিয়ে পোস্ট করে দিন যে অনলাইনে টিউশন করা হয়। তাহলে দেখবেন যারা
অনলাইন সম্পর্কে জানে তারা আপনাকে মেসেজ দিবে এবং বলবে আমার ছেলেকে বা আমার
মেয়েকে অনলাইনে টিউশান করাও।
তখন আপনি তাদেরকে অনলাইনে টিউশনি করার পারবেন
Zoom অ্যাপস এর মাধ্যমে। এই অ্যাপসটি আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের ইন্সটল করে লগইন
করে নিতে বলবেন তারপর ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদেরকে আপনি পড়িয়ে ইনকাম করতে
পারবেন। তাহলে আশা করছি মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টিউশন করিয়ে ইনকাম সম্পর্কে
মোটামুটি একটি ধারণা পেয়ে গেছেন।
মোবাইল দিয়ে ড্রাইভিং করে ইনকাম
মোবাইল দিয়ে ড্রাইভিং করেও ইনকাম করা যায়। এটা কিভাবে সম্ভব
এবার জানুন। আপনার যদি গাড়ি অথবা মোটরসাইকেল থাকে এবং সেই গাড়িকে
ভাড়ায় চালাতে চান। তাহলে মোবাইলে অ্যাপস দিয়ে ভাড়ায় গাড়ি চালাতে পারবেন।
এতক্ষণ শিরোনাম জানলেন এবার বিস্তারিত জানুন। মোবাইল দিয়ে ড্রাইভিং করে
ইনকাম করার জন্য আপনার সর্বপ্রথম একটি মোটরসাইকেল অথবা গাড়ি থাকা লাগবে যে
গাড়িতে প্যাসেঞ্জার বা যাত্রী তুলে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে পারবেন।
তারপর আপনাকে
Uber অথবা
Pathao এই অ্যাপসগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এই অ্যাপ দুটিতে মানুষ গাড়ি
ভাড়া করতে পারে। এই অ্যাপসগুলোতে যদি আপনার অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে মেসেঞ্জার
অথবা যাত্রী আপনাকে ফোন দিয়ে লোকেশন পাঠিয়ে আপনাকে
ডাকতে পারবে। এবং আপনি লোকেশন অনুযায়ী পৌঁছে যাত্রীকে তার গন্তব্য
স্থলে পৌঁছে দিতে পারবেন। আর এভাবেই মোবাইল দিয়ে ড্রাইভিং করে ইনকাম করা যায়।
তাহলে আশা করছি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে
গেছেন।
এতক্ষণে অনেকগুলো উপায় সম্পর্কে জেনেছেন যে উপায়গুলোর দিয়ে মোবাইল থেকে টাকা
ইনকাম করা যায়। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়ে
গেছেন। আর আপনারা যারা জানেন না মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায় তাদের কিছুটা
ধারণা দেয়ার জন্যই এই পোস্টটি লেখা হয়েছে।
পোস্ট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
আপনি যে পোস্টটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি হল । । আশা
করি পোস্টটি লাইন বাই লাইন পড়ার মাধ্যমে এখন আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে
পারবেন। এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি একটু উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করুন।
কারন এই পোস্টটি তারাও পড়ার মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এবং
কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পারবেন। এমনকি এ ধরনের আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url