ওযু করার নিয়ম - ওযু ভঙ্গের কারণ - ওযু করার দোয়া

আজকের আর্টিকেলটি ওযু করার নিয়ম, ওযু ভঙ্গের কারণ এবং ওযু করার দোয়া এই সম্পর্কে। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন অজু করার সমস্ত নিয়মকানুন গুলো সম্পর্কে। এছাড়াও পোস্টটি পড়ে জেনে নিন ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি। তাই দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি পড়া শুরু করা যাক এবং জেনে নেয়া যাক ওযু করার নিয়ম, ওযু ভঙ্গের কারণ এবং ওযু করার দোয়া এই সম্পর্কে।

ozu

এমনকি এই পোষ্টের মধ্যে ওযু সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হবে। এছাড়াও ওযু করার দোয়া গুলো এই পোষ্টের মধ্যে জানানো হবে। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন ওযু করার নিয়ম, ওযু ভঙ্গের কারণ এবং ওযু করার দোয়া এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

ওযু কাকে বলে জানুন

ওযু হলো ইসলামের একটি বিধান এই বিধান অনুসারে দেহের অঙ্গ পতঙ্গ ধৌত করে পবিত্রতা অর্জন করার একটি মাধ্যম। এই ওযুর মাধ্যমে মুসলমান বান্দার দেহের সমস্ত পাপ ধুয়ে যায় এবং পবিত্রতা অর্জন হয়ে যায়। পাক পবিত্র থাকা ঈমানের অঙ্গ তাই ওযুর  মাধ্যমে মুমিন বান্দার দেহ এবং মন উভয়ই পাক পবিত্র হয়ে যায়। 

এমনকি মুসলমানদের নামাজের আগে ওযু করে নেয়া বাধ্যতামূলক। কারণ নামাজ একটি পবিত্র ইবাদত আর এই ইবাদত করার পূর্বে অবশ্যই পাক পবিত্র থাকা অত্যন্ত জরুরি। এমনকি কোরান পড়তে বা কোরআনকে স্পর্শ করতে ওযু করে পাক পবিত্র হতে হয়। 

আরো পড়ুনঃ কিভাবে নামাজ পড়তে হয়

কোরআনে আছে, "ত্রুটি"। তাই আমরা অবশ্যই ওযু করার মাধ্যমে সব সময় পাক পবিত্র থাকার চেষ্টা করব। তাহলে আশা করছি ওযু কাকে বলে তা বিস্তারিত জেনে গেছেন।

ওযু করার নিয়ত কিভাবে পড়তে হয়

প্রত্যেক কাজের আগে সঠিকভাবে নিয়ত করে নিতে হয় সেটা হোক বাংলায় কিংবা ইংরেজিতে। আপনি যদি না জেনে থাকেন কিভাবে ওযু করার নিয়ত করতে হয় বা ওযুর নিয়ত কোনটি তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন। ওযু করার পূর্বে ওযুর নিয়ত পড়তে হয়। ওযুর নিয়ত হল।

আরবি বাংলা উচ্চারণঃ ত্রুটি

আরবির বাংলা অনুবাদঃ ত্রুটি

তাহলে আশা করছি ওযু করার নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন। এখন তাহলে ওযু করার পড়বে নিয়ত পড়ার মাধ্যমে ওযু শুরু করবেন।

ওযু করার নিয়ম গুলো কি

আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মধ্যে সর্ব প্রধান ইবাদত হল সালাত। সালাত আদায়ের আগে পাক পবিত্র হতে হয়। পাক-পবিত্র হওয়ার প্রধান উপায় হল ওযু। প্রতিদিন অন্তত পাঁচবার আমাদের অজু করতে হয় এতে ধুলাবালি ও রোগ জীবাণু থেকে বাঁচা যায় তাছাড়া ওযুর দ্বারা ছগিরা গুনাহ মাফ হয় সগিরা গুনাহ মানে ছোট ছোট গুনাহ সালাত আদায়ের আগে ওযু করা ফরজ আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজীদে সালাত আদায়ের আগে ওযু করার নির্দেশ দিয়েছে।

মহানবী (সা.) বলেন, "পাক-পবিত্র থাকা ঈমানের অর্ধেক অংশ"

সব কাজের নিয়ম আছে তেমনি ওযু করারও নিয়ম আছে। আমাদেরকে নিয়ম মেনে ওযু করতে হবে। ওযুতে পর পর কতকগুলো কাজ করতে হয় যেমন।

  • সর্বপ্রথম নিয়ত করা।
  • তারপর বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা।
  • কব্জি পর্যন্ত দুই হাত তিনবার ধোয়া।
  • তিনবার কুলি করা। দাঁত মাজা অথবা আঙ্গুল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা।
  • পানি দিয়ে তিনবার নাক সাপ করা।
  • এরপর সমস্ত মুখ তিনবার ধোয়া।
  • কনুইসহ প্রথমে দান করে বাম হাত তিনবার ধোয়া।
  • মাথা কান ও ঘাড় একবার মাসহ করা। অর্থাৎ প্রথমে সমস্ত মাথায় একবার মাসহ করা। তারপর শাহাদত আঙ্গুল দিয়ে কানের ভেতর মাসহ করা। এরপর বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে কানের বাইরের দিক মাসহ করা। সবশেষে হাতের আঙ্গুলের পিঠ দিয়ে ঘাড় মাসহ করা।
  • তারপর গিরা সহ প্রথমে ডান ও পরে বাম পা তিনবার ধোয়া।
  • ওযু শেষ করার পর কালেমা শাহাদাত পড়া। 
কালেমা শাহাদত বাংলা উচ্চারণঃ ত্রুটি


বাংলা অনুবাদঃ ত্রুটি

তাহলে আশা করছি ওযু করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন। এখন আপনি সঠিক নিয়মে কিভাবে ওযু করতে হয় তা জেনে গেছেন।

ওযু ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি

আপনি যদি না জানেন ওযু করার পর কি কি কারণে ওযু ভেঙ্গে যায় তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নেই কি কি করলে অযোগ ভেঙ্গে যেতে পারে।

  • পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া
  • রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। 
  •  মুখ ভরে বমি করা
  • থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া
  •  চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া
  • পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে
  • নামাজে উচ্চস্বরে হাসি দিলে
  • গোসল ফরয হয় এমন কিছু ঘটে যাওয়া
  • শরীরের যেকোন অঙ্গ থেকে নাপাকি বের হওয়া
  • উটের মাংস ভক্ষণ
  •  হুঁশ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা
  • লজ্জাস্থান স্পর্শ করা
তাহলে আশা করছি উপরোক্ত সমস্ত তথ্য সহকারে পড়া মাধ্যমে জানতে পেরেছেন কি কি কারণে আপনার ওযু করার পর ওযু ভেঙ্গে যেতে পারে। এখন তাহলে আপনি এই সমস্ত কাজগুলো থেকে বিরত থাকবেন ওযু করার পর। এমনকি যারা জানে না কি কি কারণে ওযু ভেঙ্গে যায় তাদের জানা তো সাহায্য করবেন।

ওযু করার দোয়া জানুন

আপনি যদি না জেনে থাকেন ওযু করার দোয়া কি বা ওজন শুরুতে কি বলতে হয় ওযু চলাকালীন কি বলতে হয় এবং ওযুর শেষে কি বলতে হয় তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

ওযু শুরুতেই বিসমিল্লাহ বলতে হয়,

ত্রুটি

উচ্চারণঃ ত্রুটি

বাংলা অনুবাদঃ ত্রুটি

ওযু চলাকালীন সময়ে এই দোয়াটি পড়তে হয়।

উচ্চারণঃ ত্রুটি

বাংলা অনুবাদঃ ত্রুটি

ওযু শেষ হবার পর এই দোয়াটি পড়তে হয়।

উচ্চারণঃ ত্রুটি

আরো পড়ুনঃ মাশাল্লাহ অর্থ কি এই সম্পর্কে

বাংলা অনুবাদঃ ত্রুটি

উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে আশা করছি অজু করার দোয়া গুলো কিভাবে পড়তে হয় বা কখন কোন দোয়া পড়তে হয় তা সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন।

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি

এখন জানুন ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি। আপনি যদি না জেনে থাকেন ওযুর ফরজ কয়টি তাহলে এই পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। ওযুর মধ্যে ৪ টি ফরজ রয়েছে। এই ফরজ গুলো না করলে আপনার ওযু হবে না। তাই অজুর ফরজগুলো জেনে নেওয়া অবশ্যক।

  • সমস্ত মুখ ভালভাবে ধৌত করা।
  • দুই হাতের কনুইসহ ভালভাবে ধৌত করা।
  • মাথা চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ্ করা।
  • দুই পায়ের টাকনুসহ ধৌত করা।
তাহলে এতক্ষণে অবশ্যই ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি তা সম্পূর্ণ বিস্তারিত রূপে জেনে গেছেন। এখন তাহলে এই ওযুর ফরজ গুলো আশা করি অবশ্যই অবশ্যই পালন করবেন এবং যারা জানি না তাদের জানাতে সাহায্য করবেন।

পোস্ট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

এতক্ষণ যে পোস্টটি পড়ছিলেন সেই পোস্টটি ওযু করার নিয়ম, ওযু ভঙ্গের কারণ এবং ওযু করার দোয়া এই সম্পর্কে। আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে ওযু করার নিয়ম, ওযু ভঙ্গের কারণ এবং ওযু করার দোয়া এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন। পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন তাহলে তারাও ওযু করার নিয়ম, ওযু ভঙ্গের কারণ এবং ওযু করার দোয়া এই সম্পর্কে জানতে পারবে। এমনকি এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url