নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি - নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয়

আজ আপনাদের মাঝে যে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করা হবে সেটি হল নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি এবং নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয় এই সম্পর্কে। আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি এবং নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

nawzubillah

তাই দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়ুন এবং জানুন নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি এবং নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

পোস্ট সূচিপত্রঃ নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি এবং নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয়

নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি

অনেকেই জানেন না নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি। এমনকি অনেক জায়গায় সার্চ করার মাধ্যমেও এই নাউজুবিল্লাহ এর সঠিক অর্থটি পান না। আপনি যদি না জেনে থাকেন নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি তাহলে পোস্টটি পড়ুন এবং এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমেই জেনে যাবেন নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি।নাউজুবিল্লাহ অর্থ হলো আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। 

আরো পড়ুনঃ মাশাআল্লাহ অর্থ কি সম্পর্কে  

অর্থাৎ এই শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে  আপনি যে খারাপ ভালো-মন্দ অন্যায় কাজে থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছেন। এছাড়াও আরেকটি শব্দ আছে নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক এই দোয়ার অর্থটা হলো আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই, পানাহ চাই, বিরত থাকতে চাই ইত্যাদি। আশা করি নাউজুবিল্লাহ এবং নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক এই দুইটি দোয়ার অর্থ জানতে পেরেছেন।

নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয়

আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই আছে যারা কিনা জানে না নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয়। আবার অনেকেই ভুল করে এই দোয়ার পরিবর্তে অন্য দোয়া বলে দেয়। সে ক্ষেত্রে আপনার নেতৃত্বে পাপ হয়ে গেল। তাই অবশ্যই কোথায় কোন দোয়া ব্যবহার করতে হয় বা পাঠ করতে হয় সেই সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিতে হবে। 

তাই এ পোষ্টের মধ্যে আপনাকে সেই রকমই ধারণা দেওয়া হবে কোথায় কোন দোয়া পাঠ করতে হয়। আপনি যদি না জেনে থাকেন নাউজুবিল্লাহ এই দোয়াটি কখন বলতে হয় তাহলে জেনে নিন। নাউজুবিল্লাহ পাঠ করার সময় হল।

  • খারাপ কাজ দেখলে এই দোয়াটি পাঠ করতে হয়
  • এবং ইসলামবিরোধী কোন কাজ দেখলে এই দোয়াটি পাঠ করতে হয়
  • নিজের ভুলবশত কোন খারাপ কাজ করলে বা শুরু করে ফেললে তখন এই দোয়াটি পাঠ করতে হয়
  • ইসলামবিরোধী কোন খারাপ কাজের কথা শুনলে বা জানতে পারলে এই দোয়া পাঠ করতে হয়।
উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে আশা করি জানতে পেরেছেন নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি এবং নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

নাউজুবিল্লাহ এর আরবি উচ্চারণ

এখন জেনে নিন নাউজুবিল্লাহ এর আরবি বানান সম্পর্কে এবং এই বানানটি কিভাবে উচ্চারণ করতে হয় সেই সম্পর্কে। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না নাউজুবিল্লাহ এই দোয়াটি আরবি উচ্চারণ কিভাবে করতে হয়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন। নাউজুবিল্লাহ দুই রকম ভাবে বলা যায়। প্রথমত শুধু নাউজুবিল্লাহ বলা যায় এবং দ্বিতীয়ত নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক এভাবেও বলা যায়। তবে দুইটার আরবি উচ্চারণ দুই রকম হয়।

আরো পড়ুনঃ সুবহানাল্লাহ অর্থ কি সম্পর্কে 

এই নাউজুবিল্লাহ কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে প্রথম যেটি হচ্ছে নাউজু  এটির আরবি উচ্চারণ হলো এবং এর অর্থ হল আমি আশ্রয় চাচ্ছি। আর দ্বিতীয় যে ভাগটি হলো বি যারা আরবি উচ্চারণ হলো  এর বাংলা অর্থ হল কাছে। এমনকি তৃতীয় যে উচ্চারণটি হয় সেটি হচ্ছে  যার অর্থ হলো আল্লাহ। তাহলে তিনটি কে একত্রে করে যা উচ্চারণ আসে সেটি হচ্ছে নাউজুবিল্লাহ যারা উচ্চারণ  এবং আরেকটি দোয়া হল নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক যার অর্থ প্রায় একই এবং এর  আশা করি জানতে পেরেছেন নাউজুবিল্লাহ এর আরবি উচ্চারণ বা বানান কেমন হয়।

নাউজুবিল্লাহ এর ইংরেজি উচ্চারণ

এখন আলোচনা করা হবে এই নাউজুবিল্লাহ ইংরেজি বানান এবং উচ্চারণ নিয়ে। যদিও নাউজুবিল্লাহ এর কোন ইংরেজি অর্থ নেই তারপরও এই নাউজুবিল্লাহ ইংরেজি বানান আছে। যারা বাংলা আরবি বোঝেনা তাদেরকে বোঝানোর জন্য ইংরেজি লেখা হয়। এখন তাহলে দেখে নিন নাউজুবিল্লাহ এর ইংরেজি বানান কেমন বা উচ্চারণ কিভাবে করতে হয়। 

যদিও নাউজুবিল্লাহ শব্দটি অনেক বড় তবে এটিকে ইংরেজি ভাবে খন্ড খন্ড করে বানান বা উচ্চারণ করতে পারেন যেমন। নাউজু এটির ইংরেজি উচ্চারণ হবে Nauzu এবং দ্বিতীয় যে উচ্চারণটি হয় সেটি হচ্ছে বিল্লাহ এবং এর ইংরেজি উচ্চারণ হলো Billlah তাহলে এটিকে একত্রে উচ্চারণ করলে হবে নাউজুবিল্লাহ Nauzubillah তাহলে আশা করছি নাউজুবিল্লাহ এর ইংরেজি বানান এবং উচ্চারণ কেমন হয় তা জানতে পেরে গেছেন।

নাউজুবিল্লাহ বলার ফজিলত

নাউজুবিল্লাহ বলার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে নাউজুবিল্লাহ এর অর্থ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছে। এখন এই দোয়াটি দৈনন্দিন জীবনের যদি খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য পাঠ করেন। অবশ্যই আপনার হিসাবের খাতায় অনেক নেকি লেখা হবে। ইসলামে বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি যদি খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য খাসদিলে আল্লাহ তায়ালার দিকে তাকিয়ে এই দোয়াটি পাঠ করে তাহলে আল্লাহ তাকে সেই খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।

আরো পড়ুনঃ বিসমিল্লাহ অর্থ কি সম্পর্কে

এমনকি হাদিসে পাওয়া গেছে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সা.) তার শত্রুদের আনন্দ থেকে দুঃখ পাওয়া থেকে ও বালা মুসিবতের কষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় আমাদের নবী তার শত্রুদের জন্যেও এ দোয়াটি পাঠ করতেন। তাহলে আশা করছি এতটুকু পড়ার মাধ্যমে জেনে গেছেন নাউজুবিল্লাহ বলার ফজিলত সম্পর্কে।

পোস্ট লেখকের মন্তব্য

আপনি যে পোস্টটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি হল নাউজুবিল্লাহ অর্থ কি এবং নাউজুবিল্লাহ কখন বলতে হয় এই সম্পর্কে। পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আশা করি আপনার অজানা তথ্যগুলো জেনে ফেলেছেন। পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন তাহলে তারা উপকৃত হতে পারবে। এমনকি এ ধরনের আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url