নামাজ পড়ার নিয়ম - কিভাবে নামাজ পড়তে হয়
প্রিয় মুসলিম সম্প্রদায় আজকের আর্টিকেলটি নামাজ পড়ার নিয়ম এবং কিভাবে নামাজ পড়তে হয় সম্পর্কে। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন কিভাবে নামাজ পড়তে হয়। এই আর্টিকেল এর মধ্যে নামাজ সংক্রান্ত সমস্ত ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জানুন নামাজ পড়ার নিয়ম এবং কিভাবে নামাজ পড়তে হয় । তাই দেরি না করে চলুন আর্টিকেলটি পড়া শুরু করা যাক এবং জেনে নেয়া যাক নামাজ পড়ার নিয়ম এবং কিভাবে নামাজ পড়তে হয় এই সম্পর্কে।
পোস্ট জুড়ে সূচিপত্রঃ নামাজ পড়ার নিয়ম এবং কিভাবে নামাজ পড়তে হয়
- দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ পড়ার নিয়ম
- চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ পড়ার নিয়ম
- তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ পড়ার নিয়ম
- নামাজে পাঠকৃত সূরা এবং দোয়া
- পোস্ট লেখকের মন্তব্য
দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ পড়ার নিয়ম
আমাদের মধ্যে অনেক মুসলমান আছে যারা কিনা নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই। তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন কিভাবে নামাজ পড়তে হয় তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন। নামাজ একেক ওয়াক্তে একেক রকম ভাবে পড়তে হয়।
যেমন ফজরের নামাজে দুই রাকাত সুন্নত দুই রাকাত ফরজ এবং জোহরের নামাজে চার রাকাত সুন্নত চার রাকাত ফরজ এবং শেষে দুই রাকাত সুন্নত। এই যে নামাজগুলো চার রাকাত বিশিষ্ট এবং দুই রাকাত বিশিষ্ট। তাহলে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এবং চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ কিভাবে পড়তে হয়।
আরো পড়ুনঃ এশারের নামাজ কত রাকাত
তাহলে এখন জেনে নিন দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এবং পরবর্তীতে জানবেন চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ কিভাবে পড়তে। দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ পড়ার জন্য আপনাকে প্রথমে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে বা পশ্চিম দিকে মুখ করে জায়নামাজে দাঁড়াতে হবে। এবং নামাজে দাঁড়ানোর পর আরবীতে হোক কিংবা বাংলাতে হোক নামাজের নিয়ত বলতে হবে বা পাঠ করতে হবে।
আপনি যদি নামাজের নিয়ত না জানেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের নামাজের নিয়ত
সম্পর্কে আরেকটি আর্টিকেল লেখা আছে সে আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন। তারপরও
আমি একটি ছোট্ট করে ধারণা দিয়ে দিচ্ছি কিভাবে নামাজের নিয়ত করতে হয়। নামাজে
দাঁড়ানোর পর বাংলায় আপনি নিয়ত করতে পারেন। "হে আল্লাহ আমি পশ্চিম দিকে
দাঁড়িয়ে ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করছি আপনি নামাজটি কবুল করে নিন"
তারপর নিয়ত বাধা যখন হয়ে যাবে আপনি যদি একা একাই নামাজ পড়েন তাহলে একামত দিয়ে নেবেন, বা আপনি যদি জামাতে নামাজ পড়েন তাহলে ইমামের পিছনে যে থাকবে সে একামত দিবে। আপনি যদি একামত কি বা কিভাবে দিতে হয় না জানেন তাহলে একামত সম্পর্কিত আরেকটি আর্টিকেল পড়ে আসতে পারেন।
তারপরও সংক্ষিপ্ত আকার একটু ধারণা নিয়ে নিন কিভাবে একামত দিতে হয়। আযান যেভাবে দেয় ঠিক একই ভাবে ইকামত দিতে হয় তবে ভিন্নতা হল আযানের সব দুইবার করে বলতে হয় আর একামতে একবার বললেই হয় এছাড়াও আরেকটি যেটি পরিবর্তন সেটি হলো হাইয়া আলাল ফালার পর "কদক মাতিস শালা" এইটা দুইবার পাঠ করতে হয় তারপরে যেভাবে আযান দেয় সেভাবে একবার বললেই একামত দেয়া হয়ে যায়।
একামত দেয়া শেষে তাকবীর বা আল্লাহু আকবার বলে নামাজে দাঁড়িয়ে যাবেন। তাকবীর দেয়ার সময় অবশ্যই দুই হাত কানের কাছে নিয়ে যাবেন। তাহলে আপনার নামাজ শুরু হয়ে যাবে। তারপর আপনাকে ছানা বা সানা নামক একটি দোয়া আছে সে দোয়াটি পাঠ করতে হবে। তারপর বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম বলে। সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর তার সাথে অন্য একটি সূরা পাঠ করতে হবে। পাঠ করা হয়ে গেলে আল্লাহু আকবার তাকবীর দিয়ে রুকুতে যেতে হবে.
রুকুতে যাওয়ার নিয়ম হল দুই হাত হাঁটুতে রেখে নিচের দিকে তাকানো। নিচের দিকে তাকানো অবস্থায় "সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম" এই দোয়াটি তিন থেকে সাত বার পাঠ করতে হবে। দোয়াটি পাঠ করা হয়ে গেলে "সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা" বলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। দাঁড়ানোর পর এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে "রাব্বানা লাকাল হাম হামদাম কাসিরান তাইয়েবান মোবারকান ফি"। দোয়াটি পাঠ করা হয়ে গেলে আল্লাহু আকবার তাকবীর দিয়ে সেজদায় যেতে হবে।সেজদা দেয়ার সময় অবশ্যই আপনার নাক এবং কপাল মাটিতে ঠেকানো থাকবে। তারপর নাক এবং কপাল মাটিতে ঠেকানো অবস্থায় "সুবহানা রাব্বিয়াল আলা" এই দোয়াটি তিন থেকে সাতবার পাঠ করতে হবে। দোয়াটি পাঠ করা হয়ে গেলে আল্লাহু আকবার বলে বৈঠকে বসতে হবে। বৈঠকে বসার পর "ত্রুটি এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে। দোয়াটি পাঠ করার পর আল্লাহু আকবার তাকবির দিয়ে আবার সেজদায় যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ জুম্মার নামাজ কয় রাকাত
সেজদায় যে দোয়াটি তিন থেকে সাতবার পাঠ করেছিলেন আবার সেই দোয়াটি পাঠ করতে হবে। দোয়াটি পাঠ করা হয়ে গেলে আবার আল্লাহু আকবার তাকবীর দিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। আবার একইভাবে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য একটি সূরা বলার পর। রুকুতে যাবার পর। দুই সেজদার পর বৈঠকে বসতে হবে। বৈঠকের বসার পর আত্তাহিয়াতু, দুরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা এই দোয়া গুলো পাঠ করার পর। সালাম ফেরাতে হবে।
সালাম ফেরানোর নিয়ম হল। প্রথমের ডান দিকে ঘুরে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে। দোয়াটি পাঠ করা হয়ে গেলে আবার একইভাবে বাম দিকে মাথা ঘুরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে। তাহলেই আপনার দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ সমাপ্ত হয়ে যাবে। নামাজ শেষ হওয়ার পর অবশ্যই একবার "আল্লাহু আকবার" এবং তিনবার "আস্তাগফিরুল্লাহ" পাঠ করবেন। এগুলা পাঠ করার পর আরো অনেক দোয়া আছে সেই দোয়াগুলা পাঠ করবেন।
দোয়াগুলো পাঠ করা হয়ে গেলে তসবি গুনবেন। তসবি গোনার নিয়ম হলো ৩৩ বার "সুবহানাল্লাহ" এবং ৩৩ বার "আলহামদুলিল্লাহ" এবং ৩৪ বার "আল্লাহু আকবার" বলবেন। তসবি গোনা হয়ে গেলে আপনার যদি ইচ্ছা হয় তাহলে একা একাই মোনাজাত করবেন। তবে জামাতে দাঁড়িয়ে সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে মোনাজাত করা একেবারেই বিদআত। তাই সম্মিলিতভাবে মোনাজাত না করে একা একাই মোনাজাত করব।
আশা করি দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে গেছে। এখন
আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে যে সমস্ত ওয়াক্ত গুলো তে দুই
রাকাত বিশিষ্ট ফরজ এবং সুন্নত নামাজ আছে সে নামাজগুলো আদায় করতে
পারবেন। তাহলে এবার জেনে নিন যে সমস্ত ওয়াক্ত গুলোতে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ
এবং সুন্নত নামাজ আছে সেই নামাজ গুলো কিভাবে পড়তে হয়।
চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ পড়ার নিয়ম
এতক্ষণ জানলেন দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয়। এবার জানবেন চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয় বা কিভাবে পড়তে হয়। উপরোক্ত নিয়মে যেভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করার নিয়ম দেখানো হয়েছে। ঠিক একই ভাবেও চার রাকাত নামাজ আদায় করা যায় তবে এখানে একটু পরিবর্তনের ব্যাপার হলো।
আরো পড়ুনঃ আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি সম্পর্কে
দুই রাকাত নামাজ শেষ করে যে বৈঠকে বসে আত্তাহিয়াতু দুরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করেছিলেন। সেই বৈঠকে বসে শুধু আত্তাহিয়াতু পাঠ করার পর আবার আল্লাহু আকবার তাকবীর দিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। এই দুই রাকাতে শুধু ফাতেহা সূরা পাঠ করতে হবে। সূরা ফাতেহা পাঠ করার পর আর কোন সূরা পাঠ করতে হয় না।
তারপর ঠিক একইভাবে রুকুতে যেতে হবে তারপর সেজদায় যেতে হবে। তারপর দুই রাকাত শেষে যে বৈঠক। সেই বৈঠকে বসে আত্তাহিয়াতু দুরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা এই দোয়াগুলো পাঠ করে সালাম ফেরাতে হবে। তাহলেই চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তাহলে আশা করি চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বা স্বচ্ছ একটি ধারণা পেয়ে গেছেন।
তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ পড়ার নিয়ম
নামাজের মধ্যে তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুইবার পড়তে হয়। প্রথমটি হল মাগরিবের
নামাজের ফরজ নামাজ তিন রাকাত। এবং এশার নামাজের বা রাতের শেষ নামাজ বেতেরের
নামাজ তিন রাকাত। এখন জানবেন তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ কিভাবে আদায় করতে
হয়।
উপরোক্ত নিয়মগুলো ফলো করার মাধ্যমে যেভাবে দুই রাকাত বা চার রাকাত বিশিষ্ট
নামাজ আদায় করতে হয় ঠিক একই নিয়মে তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ আদায় করা
যায়। তবে দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর বৈঠক শেষ করে আর এক রাকাত নামাজ
পড়ে আত্তাহিয়াতু, দুরুদ শরিফ এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করে
সালাম ফিরিয়ে নিলেই তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
তবে রাতের শেষ নামাজ বেতেরের নামাজে তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ পড়ার সময় শেষ
রাকাতে রুকু থেকে ওঠার পর। দাঁড়িয়ে থেকে মোনাজাত করার মত দুই হাত সামনে ধরে
দোয়া কুনুত পাঠ করতে হয়। তারপর ঠিক একইভাবে বৈঠকে গিয়ে দোয়া
পড়ে সালাম ফিরিয়ে নিতে হবে। তাহলে রাতের শেষ নামাজ বেতের নামাজ আদায় হয়ে
যাবে। আশা করি তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয়
বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন।
নামাজে পাঠকৃত সূরা এবং দোয়া
এতক্ষণ জানলেন কিভাবে দুই রাকাত, চার রাকাত এবং তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজগুলো আদায় করতে হয়। এখন জানবেন এই নামাজগুলোর মধ্যে যে দোয়াগুলো পাঠ করতে হয় বা সুরা গুলো পাঠ করতে হয় সেই সূরাগুলো সম্পর্কে। উপরোক্ত নিয়মে শুধু দোয়া এবং সূরার নাম দেয়া আছে। এখন এই সূরা এবং দোয়া গুলো দেখে বিস্তারিতভাবে মুখস্ত করে নামাজ আদায় করুন।
সানাঃ "সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারকাসমুকা ওয়া তাআ'লা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলাহা গাইরুকা"
সূরা ফাতিহাঃ "আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন। আররহমা-নির রাহি-ম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন।ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম। সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।আমিন"।
যে কোন সূরার মধ্যে সূরা এখলাছঃ "কুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুচ্চামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ"।
আত্তাহিয়াতুঃ "আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু, ওয়াত্ তাইয়িবাতু। আস্সালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন। আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্হাদু আননা মুহাম্মাদান আদুহু ওয়া রাসুলুহু"।
দরুদ শরীফঃ "আললাহুম্মা সাললিআলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলি মুম্মাদিন কামা সাললাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজীদ। আললাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ"।
দোয়া মাসুরাঃ "আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুল্মান কাসীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা; ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রাহীম"।
দোয়া কুনুতঃ "আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাইনুকা ওয়া নাসতাগফিরুকা ওয়া নুমিনুবিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইর; ওয়া নাশকুরুকা ওয়া লা নাকফুরুকা; ওয়া নাখলাঊ ওয়া নাতরুকু মাইঁইয়াফঝুরুকা; আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না'বুদু; ওয়া লাকা নুসাল্লি ওয়া নাসঝুদু; ওয়া ইলাইকা নাসআ ওয়া নাহফিদু; নারঝু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা আজাবাকা; ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মুলহিক্ব"।
আয়াতুল কুরসীঃ "আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম"।
পোস্ট লেখকের মন্তব্য
এতক্ষণ যে পোস্টটি পড়ছিলেন সেই পোস্টটি নামাজ পড়ার নিয়ম এবং কিভাবে নামাজ পড়তে হয় সম্পর্কে। আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে দুই রাকাত বিশিষ্ট এবং চার রাকাত বিশিষ্ট অথবা তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজ আদায় করতে পারবেন। এমনকি এই নামাজের মধ্যে যে সমস্ত সূরা এবং দোয়াগুলো পাঠ করতে হয় সেই দোয়াগুলো মুখস্থ করে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটুও ভালো লেগে থাকে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করুন তাহলে তারাও নামাজ পড়ার নিয়ম এবং কিভাবে নামাজ পড়তে হয় সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবে। এছাড়াও
এমন আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন।
ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url