হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় - হস্তমৈথুন করলে কি ক্ষতি হয়
পোস্ট সূচীপত্রঃ হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় এবং হস্তমৈথুন করলে কি ক্ষতি হয়
- হস্তমৈথুন কাকে বলে
- হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়
- হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় দোয়া
- হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার ইসলামিক উপায়
- হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত
- হস্তমৈথুন করলে কি ক্ষতি হয়
- হস্তমৈথুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
- পোস্ট লেখকের মন্তব্য জানুন
হস্তমৈথুন কাকে বলে
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়
আপনি জানতে চেয়েছেন হস্তমৈথুন থেকে কিভাবে বাঁচা যায় এই সম্পর্কে বা হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় কি এ সম্পর্কে। আপনার প্রশ্নটির উত্তর যদি সঠিকভাবে পেতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন। হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় গুলো হলো।
আরো পড়ুনঃ বী*র্য কাকে বলে এ সম্পর্কে
এখনকার সময়ে অনেক যুবকেরা দেখা যায় পর্নোগ্রাফি দেখার মাধ্যমে হস্তমৈথনে লিপ্ত
হয়ে যায়। এই পর্নোগ্রাফি বা অশ্লীল ভিডিও দেখার মাধ্যমে যারা এই হস্তমৈথুন বা
মাস্টারবেশন এ লিপ্ত হয়েছে তাদের জন্য কিছু টিপস আছে যে টিপসগুলো ফলো করার
মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি না দেখে হস্তমৈথুন থেকে বাঁচতে পারবে। টিপস গুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নিন।
- যেহেতু ফোনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পর্নোগ্রাফি সাইট আছে তাই ইউটিউবে ভিডিও দেখার মাধ্যমে সেই পর্নোগ্রাফি সাইটগুলোকে ব্লক করে রাখুন।
- কম্পিউটারে প্রণব লগইন সফটওয়্যার ইনস্টল করে নিন। তারপর আজও ব্যক্তি পাসওয়ার্ড সেট করে রাখুন যাতে করে কিছুদিন পরে আপনি সেই পাসওয়ার্ডটি ভুলে যান।
- আপনি যদি কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফির দেখতে দেখতে হস্তমৈথনের লিপ্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কম্পিউটারটি আপনার পরিবারের সদস্যরা যেখানে থাকে সেখানে নিয়ে নিন তাহলে সবার মাঝে পর্নোগ্রাফি দেখার বা হস্তমৈথুন করার ইচ্ছা কমে যাবে।
- আপনি যাদের সাথে চলাফেরা করেন যেমন আপনার বন্ধু বান্ধব এরা যদি কোন বাজে বিষয় নিয়ে বা খারাপ মেয়েদের নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করে তাহলে তাদের এড়িয়ে চলুন বা তাদের সাথে চলাফেরা বন্ধ করে দিন।
- আপনি যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছা হচ্ছে বা করছে এমনকি নিজেকে সামলাতে পারছেন না। সেই সময় বাসা থেকে বের হয়ে জোরে জোরে হাটাহাটি করবেন এবং ব্যায়াম করা শুরু করে দিবেন।
- কখনোই খুব তাড়াতাড়ি বা সন্ধ্যার সময় ঘুমিয়ে পড়বেন না। যদি ঘুম চলে আসে তাহলে চোখে পানি দিয়ে মুভি দেখবেন বা গল্পের বই পড়বেন।
- আপনি যদি খুবই খারাপ ভাবে বা বা যেভাবে হস্তমৈথনে লিপ্ত হয়ে পড়েন। তাহলে কখনোই একা থাকবেন না। এমনকি একা একা ঘরে বেশিক্ষণ সময় থাকবেন না। বাইরে ঘোরাঘুরি করুন বা বন্ধু-বান্ধবের সাথে খেলাধুলা করুন।
- এছাড়াও আপনি কোন ভিডিও গেমিং এ যদি আসক্ত হয়ে যান তাহলে পর্নোগ্রাফি দেখার ইচ্ছা কমে যাবে এবং হস্তমৈথুন থেকে বাঁচতে পারবেন। তবে গেমটাকেও নেশা করে ফেলবেন না এতে ক্ষতি হতে পারে।
- আপনি যদি প্রতিদিন হস্তমৈথনে লিপ্ত থাকেন তাহলে একটি রুটিন করে নিন। প্রথম অবস্থায় দুই দিন পর পর হস্তমৈথুন করবেন এবং তারপর আস্তে আস্তে সময় বাড়াবেন। তাহলে কিছুদিন পর হস্তমৈথুনের চিন্তা আপনার মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে।
- কখনোই কোন মেয়ের দিকে খারাপ নজরে তাকাবেন না। বিয়ের আগে সব সময় মেয়েদের মা-বোন মনে করবেন। তাহলে তাদের প্রতি আর কোন খারাপ চিন্তা ভাবনা আসবে না।
- যখনই দেখবেন আপনার মাথায় হস্তমৈথুন বা পর্নোগ্রাফি নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা চলে এসেছে তখনই অন্য কোন কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ুন সেই চিন্তাটা দূর করার জন্য।
- যখন তখন ঘরে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়বেন না। এবং কোথাও বসলে সবার সাথে বসবেন একা একা বসার চেষ্টা করবেন না। যতদিন না এই হস্তমৈথুনের কবল থেকে বাঁচতে পারছেন।
- এছাড়াও যতটা পারেন নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেন। সব সময় কোন না কোন কাজে লিপ্ত থাকুন তাহলে এ সমস্ত খারাপ চিন্তা ভাবনা আপনার মাথায় আসবে না।
- আপনি যদি বাথরুমে গোসল করতে করতে সেই হস্তমৈথনে অভ্যাস করে রাখেন। তাহলে বাথরুমে বেশিক্ষণ সময় থাকবেন না। এমনকি বাথরুমের বাইরে সবার মাঝে গোসল করার চেষ্টা করবেন।
- সব সময় চেষ্টা করবেন খারাপ মুভি বা অশ্লীল কোন ভিডিও না দেখার। এবং এই সমস্ত মুভি বা ভিডিওগুলো যদি আপনার সামনে চলে আসে তাহলে ব্লক করে রাখতে পারেন।
- এমন কিছু করুন যে কাজগুলো আপনি কোনদিন করেন নাই। সে সমস্ত কাজে যদি লিপ্ত থাকেন তাহলে এ সমস্ত খারাপ কাজগুলো আপনার মাথায় কখনোই আসবেনা।
- গার্লফ্রেন্ডে সাথে বেশিক্ষণ সময় থাকবেন না এবং হাত ধরে বা শরীর স্পর্শ করে হাটাহাটি করবেন না এ সমস্ত কাজগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় দোয়া
আপনি যদি হস্তমৈথুনের মত খারাপ একটি কাজে লিপ্ত হয়ে যান, তাহলে এই কাজ থেকে
দূরে যাওয়ার জন্য বা ক্ষতির হাত থেকে বাচার জন্য একটি দোয়া আছে এই দোয়াটি
নিয়মিত পাঠ করলে। অবশ্যই আপনাকে আল্লাহ তা'আলা এই খারাপ কাজ থেকে বিরত
রাখবেন। তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে এই দোয়াটি পাঠ
করার। দোয়াটি এবং দোয়ার অর্থ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
নিম্নে।
ওয়েবসাইট ত্রুটি
আরো পড়ুনঃ যৌ*ন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে
তাহলে আশা করছি উপরোক্ত তথ্যটা পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন হস্তমৈথুন
থেকে বাঁচার উপায় এবং হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার জন্য কোন দোয়া পাঠ করতে হয় এ
সম্পর্কে। আশা করি এই দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করার মাধ্যমে হস্তমৈথুনের মতো
খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারবেন।
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার ইসলামিক উপায়
উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে জেনে আসলেন হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়। তাহলে
এবার জানুন হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার ইসলামিক উপায় বা ইসলামিক উপায়ে কিভাবে
হস্তমৈথুনকে উপেক্ষা করে জীবন পরিচালনা করা যায় এ সম্পর্কে। নিম্নে কয়েকটি
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার ইসলামিক উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
- এই অভ্যাস থেকে বাঁচার প্রেরণা যেন আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী হয় এবং তার অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা হয়।
- এ হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার স্থায়ী একটি সমাধান হলো বিয়ে করে নেওয়া। তাহলে এই অভ্যাসকে প্রতিরোধ করা যাবে একদম স্থায়ীভাবে। আর এই কথাটাই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যুবকদের উদ্দেশ্যে বলে গেছেন।
- অবশ্যই চেষ্টা করবেন নানারকম কু-চিন্তা বা খারাপ চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকার। ও এবং চেষ্টা করবেন দুনিয়া ও আখিরাত নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকার। আপনি যদি আপনার ক-চিন্তা থাকে বাড়তে দেন। তাহলে এই কু-চিন্তায় আপনাকে একদিন খারাপ কাজে লিপ্ত করে দেবে।
- দৃষ্টিশক্তি সব সময় নত করে রাখবেন। এই দৃষ্টিশক্তি পারে আপনাকে এই সমস্ত খারাপ কাজে লিপ্ত করতে। কারন এই দৃষ্টি দিয়ে আপনি খারাপ দৃশ্য দেখেন এবং উলঙ্গ মেয়েদের ছবি দেখেন এবং তার ফলেই আপনার মাথায় খারাপ চিন্তা ভাবনা হওয়ার করে। তাই চেষ্টা করবেন দৃষ্টিশক্তিকে নত করার। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন, "মুমিনবান্দাদের কে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে"। এবং হাদিসে এও পাওয়া যায় আমাদের নবী এরশাদ করেন, "তুমি দৃষ্টির পর দৃষ্টি দিবেনা"।
- সবসময় আল্লাহতালা নির্দেশ গুলো পালন করার চেষ্টা করবেন। এবং ইসলাম অনুযায়ী জীবনটাকে পরিচালনা করবেন। খারাপ কোন চিন্তা-ভাবনা মাথায় আসলে নামাজে দাঁড়িয়ে যাবেন। বা উপরোক্ত যে দোয়াটি উপস্থাপন করা হয়েছে সেই দোয়াটি পাঠ করবেন।
- খারাপ কোন চিন্তাভাবনা মাথায় চলে আসলে আমাদের আল্লাহ তাআলা এবং তার প্রিয় বন্ধু হযরত মুহাম্মদ এ সম্পর্কে কি বলেছেন সেই কথাগুলো ভাববেন।
- আপনার কঠিন ইচ্ছা এবং শক্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে আপনি নিজেকে সংযত বা সুরক্ষিত রাখুন। কখনোই শয়তানের কাছে হার মানবেন না। কখনোই একাকী রাত পার করবেন না। হাদিসে বর্ণনা করা আছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পুরুষদেরকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন।
- চেষ্টা করবেন ঘুমানোর সময় ইসলামিক যে নিয়মকানুন গুলো আছে সেই নিয়ম কানুন গুলো পালন করে ঘুমানোর। এমনকি ঘুমানোর আগে যে সমস্ত দোয়া দরুদ গুলো পাঠ করার কথা বলা হয়েছে সেই সমস্ত দোয়া দরুদ গুলো পাঠ করার পর ঘুমানো।
- আপনি যদি এই গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়েন এবং এই কোন হাটি করে ফেলেন তাহলে অবশ্যই দ্রুতই তওবা করবেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন। এমনকি চেষ্টা করবেন সব সময় বা বেশি বেশি আল্লাহ তালাকে স্মরণ করার। বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করলে এই সমস্ত গুনাহ থেকে অবশ্যই মুক্তি পাবেন।
- সবশেষে যে কাজটি করবেন সব সময় আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তার ইবাদতে লিপ্ত থাকবেন। তার কাছে ক্ষমা চাইবেন এবং দোয়ার মাধ্যমে তার কাছে মিনতি করবেন। এবং তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবেন যেন এই কু অভ্যাস বা খারাপ চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে রাখে। কেননা আল্লাহ তায়ালা যে ব্যক্তির দোয়া মাধ্যমে থাকে তাকে অবশ্যই বা তার ডাকে অবশ্যই সাড়া দেন।
তাহলে আশা করছি উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় বা
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার ইসলামিক উপায় গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে
গেছেন। এই উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে অবশ্যই আপনি হস্তমৈথুন নামক খারাপ
কাজ থেকে বিরত থাকতে পারবেন।
হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত
যদিও ইসলামে হস্তমৈথুনকে একদম নিষিদ্ধ করা আছে বা এটিকে হাদিসের মাধ্যমে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই অবশ্যই আমরা এই খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করব। এবং এই হস্তমৈথুনকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেক যৌ*ন রোগীদের ডাক্তাররা হস্তমৈথুন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রচলিত একটি শব্দ। যে শব্দ থেকে চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি ইসলামে একদম নিষিদ্ধ। এই কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বিয়ে নামক পবিত্র কাজে আবদ্ধ হতে বলা হয়েছে। যদিও আপনি প্রশ্ন করেছেন হস্তমৈথুন কতদিন পর করা উচিত তাহলে প্রশ্নটির উত্তর জেনে নিন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে কথা অনুযায়ী চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকে সপ্তাহে ৩ বার হস্তমৈথুন করা। আবার অনেক চিকিৎস বলেন সপ্তাহে ৫ বার হস্তমৈথুন করা।
তবে আপনারা চেষ্টা করবেন এই খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার। যদি আপনার যৌ*ন উত্তেজনা
কমানোর জন্য তুই খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে থাকেন তাহলে চেষ্টা করবেন মাসে ১
বার করে হস্তমৈথুন করা বা বিয়ে করে নেয়ার। তাহলে আশা করছি উপরক্ত
তথ্যগুলো করার মাধ্যমে হস্তমৈথুন কতদিন পর করা উচিত এই সম্পর্কে মোটামুটি একটি
ধারণা পেয়ে গেছেন।
হস্তমৈথুন করলে কি ক্ষতি হয়
উপরোক্ত তথ্যগুলো করার মাধ্যমে আশা করি জানতে পেরেছেন হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় গুলো সম্পর্কে এমনকি হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার ইসলামিক উপায় গুলো সম্পর্কে এছাড়াও আরো জানতে পেরেছি হস্তমৈথুন কতদিন পর করা উচিত এ সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ দীর্ঘদিন সহ*বাস না করলে কি ক্ষতি হয়
এবার তাহলে জেনে নিন হস্তমৈথুন করলে কি ক্ষতি হয় বা এই হস্তমৈথুন করার
মাধ্যমে কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন এই সম্পর্কে। এছাড়াও এখন জেনে
নিন হস্তমৈথুন করার মাধ্যমে আপনার শারীরিক কতটা ক্ষতি হতে পারে। আবার বিয়ের পর
স্ত্রী সহ*বাসের জন্য কতটা খারাপ প্রভাব পড়তে পারে এই সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা।
অতিমাত্রায় বা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে মূলত আপনার শরীরে দুই ধরনের সমস্যা
দেখা দিতে পারে। সেই সমস্যাগুলো হল প্রথম সমস্যাটি হলো শারীরিক সমস্যা এবং
দ্বিতীয়টি সমস্যাটি হল মানসিক সমস্যা।
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে আপনার লিঙ্গ ছোট এবং চিকন হয়ে যেতে পারে। এবং আপনার বী*র্যে শুক্রানুর সংখ্যা অনেক কমে যেতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণা হলে জানা গেছে একজন স্বাভাবিক পুরুষের বীর যে শুক্রাণুর সংখ্যা থাকে ৪২কোটি।
এবং অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে সেই শুক্রানুর সংখ্যা কমে ২ কোটি হয়ে
যায়। আবার এটিও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণায় প্রমাণিত, যে ব্যক্তির
বী*র্যের শুক্রানু ২০ কোটির কম সে ব্যক্তির বাচ্চা জন্ম দেয়ার ক্ষমতা
অনেক কম। এছাড়াও অতিরিক্ত হস্তমৈথনের ফলে অধিক সময় ধরে সহ*বাস করতে পারবেন
না। অতি দ্রুতই বী*র্যপাত হয়ে যাবে।
আপনার অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার মাধ্যমে আপনার যৌ*নাঙ্গের পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ গুলো কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যার ফলে আপনি ঘন ঘন শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করবেন এবং আপনার শরীরে রোগ ক্ষতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
কারণ এটি একটি নার্ভার সিস্টেম, হার্ড, ডাইজেস্টিভ সিস্টেম, ইউরিনারী সিস্টেম
ইত্যাদিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলতে পারে। যার ফলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাধতে
পারে।
এছাড়া নিয়মিত হস্তমৈথুন করার মাধ্যমে আপনার কোন কাজে মন বসবে না। সব সময় শরীরে চিন্তা করতে করতে আপনার শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার সুস্বাস্থ্যের অনেকটা ঘাটতি দেখা দিবে। যার ফলে আপনি অল্প দিনের মধ্যেই রোগা পাতলা হয়ে যেতে পারেন।
এছাড়াও আপনি নিয়মিতভাবে যদি হস্তমৈথুন করেন তাহলে আপনার বাচ্চা জন্ম দেয়ার
ক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী সপ্তাহে দুই থেকে তিন
দিন হস্তমৈথুন করলে স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকবেন কিন্তু এর অধিক যদি আপনি
হস্তমৈথনে লিপ্ত হয়ে যান তাহলে আপনার বাচ্চা জন্ম দেয়ার ক্ষমতা কমে যাবে।
হস্তমৈথুন করার ফলে শরীর থেকে অনেক স্পার্ম বেরিয়ে যাওয়ায় আপনার শরীরে পরপর
টে টেসটোস্টেরণ হরমোনের অনেকটাই ঘাতটি দেখা যায়। এই হরমোনটি আপনার শরীরে
হজম ও বেশি জোর বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। আর আপনি যখন ঘন ঘন হস্তমৈথুন
করবেন তখন আপনার শরীর থেকে এই হর মনের ওপর অনেক প্রভাব ফেলবে। যার ফলে
আপনার হজম শক্তি কমে যাবে। বেশি দুর্বল হয়ে যাবে। শরীরের মধ্যে থাকবে সব সময়
ঝিমঝিম ভাব।
আবার অতিরিক্ত হস্তমৈথনের ফলে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন অল্প
বয়সেই আপনি চোখে কম দেখতে শুরু করেন। এবং সারা শরীর ব্যথা সৃষ্ট হয় বিশেষ করে
পা এবং আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের
ফুলে।
তাহলে আশা করছি উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে জেনে গেছেন হস্তমৈথুন করলে কি
ক্ষতি হয় এই সম্পর্কে। ক্ষতিগুলো জানার পর অবশ্যই আপনি হস্তমৈথুনের না
বলে দিবেন। তাহলে আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা বয়ে আনবে।
হস্তমৈথুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে আশা করি জেনে গেছেন হস্তমৈথুনের উপকারিতা গুলো কি কি এবং এর অপকারিতা গুলো কি কি। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে হস্তমৈথুনকে চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করে এর উপকারিতা দেখানো হয়েছে। আবার ইসলামে কিছু হাদিস দ্বারা এই হস্তমৈথুনকে হারাম বলে ঘোষণা করে এর অপকারিতা দেখানো হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ বিয়ের পর কেন স্বপ্নদোষ হয়
আপনি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন হস্তমৈথুন করার ফলে
উপকারের চেয়ে অপকারিতা বেশি। তাই হস্তমৈথুন থেকে অবশ্যই বিরত থাকার চেষ্টা
করবেন। যদি আপনার অতিরিক্ত যৌ*ন চাহিদা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বিয়ে করে
ফেলবেন। বিয়েতেই একমাত্র হস্তমৈথুন থেকে স্থায়ীভাবে বাঁচার উপায়
জর্জরিত আছে।
পোস্ট লেখকের মন্তব্য জানুন
প্রিয় পাঠক আপনি যে পোস্টটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন সেই পোস্টটি হল হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় এবং হস্তমৈথুন করলে কি ক্ষতি হয় সম্পর্কে। এতক্ষণে আশা করছি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে হস্তমৈথুন নিয়ে যত ধরনের প্রশ্ন ছিল সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। তাই আমাদের পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
কারন আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে তারাও হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় এবং হস্তমৈথুন করলে কি ক্ষতি হয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবে এবং আপনার মত তারাও অনেক উপকৃত হবে। এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আরও বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পড়তে চাইলে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url