জুম্মার নামাজ কয় রাকাত - জুম্মার নামাজের ফজিলত
প্রিয় পাঠক বা পাঠিকা আজকের পোস্টটি জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এবং জুম্মার নামাজের ফজিলত এই সম্পর্কে। এই পোষ্টের মধ্যে জুম্মার নামাজ সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হবে। তাই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এবং জুম্মার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
এছাড়াও এই পোস্টটি পড়ে আরো জানতে পারবেন জুম্মার নামাজ পড়লে কি কি ফজিলত পাওয়া যায়। তাই দেরি না করে চলুন পোস্টটি পড়া যাক এবং জেনে নেওয়া যাক জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এবং জুম্মার নামাজের ফজিলত এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এবং জুম্মার নামাজের ফজিলত
- জুম্মার নামাজ পড়ার সময়
- জুম্মার নামাজ কয় রাকাত
- জুম্মার নামাজে কত রাকাত ফরজ
- জুম্মার নামাজে কত রাকাত সুন্নত
- জুম্মার নামাজ পড়ার নিয়ম সমূহ
- জুম্মার নামাজের ফজিলত
- পোষ্ট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
জুম্মার নামাজ পড়ার সময়
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা কিনা জুম্মার নামাজ কখন পড়তে হয় জানিনা। আপনি যদি না জেনে থাকেন যে কখন জুম্মার নামাজ পড়তে হয় বা কিভাবে পড়তে হয় তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন। এই পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করা হবে জুম্মার নামাজ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় নিয়ে।
আরো পড়ুনঃ আসরের নামাজ পড়ার ফজিলত
তাই এ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন জুম্মার নামাজ পড়ার সময়। জুম্মার নামাজ পড়ার সময় হলো। প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন করে জুম্মার নামাজ পড়তে হয়। আর সেই একটি দিন হল শুক্রবার। প্রত্যেক শুক্রবারে জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আর এই জুম্মার নামাজটি প্রতিটি মুসলমানের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নামাজ।
প্রত্যেক শুক্রবারের যোহরের নামাজের সময় অর্থাৎ ১২ঃ৩০ মিনিটে জুম্মার
নামাজের আজান হয়।শুক্রবারের দিন যোহরের নামাজ পড়তে হয় না, জুম্মার নামাজ আদায়
করলেই হয়। তাহলে আশা করছি জুম্মার নামাজ পড়ার সময় টা বিস্তারিত জেনে গেছেন।
জুম্মার নামাজ কয় রাকাত
এতক্ষণ জেনে আসলেন জুম্মার নামাজ কখন পড়তে হয় বা জুমার নামাজ পড়ার সময় এখন
জানুন জুম্মার নামাজ কয় রাকাত। এবং এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে
জানতে পারবেন জুম্মার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাহলে এখন
জেনে নিন জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এই সম্পর্কে।জুম্মার নামাজ হলো মোট
১০ রাকাত। এবং এই ১০ রাকাত কখন কিভাবে পড়তে হয় নিম্নে বিস্তারিতভাবে
জানানো হলো।
- ৪ রাকাত সুন্নত
- ২ রাকাত ফরজ
- ৪ রাকাত সুন্নত
জুম্মার নামাজে কত রাকাত ফরজ
উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে আশা করি জেনে গেছেন জুমার নামাজ মোট ১০ রাকাত। এখন এই ১০ রাকাতের মধ্যে কোন নামাজ কত রাকাত আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন। এই ১০ রাকাতের মধ্যে শুধু ২ রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে হয়।
আর এই দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়া প্রতিটি মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক। কারন এই ২ রাকাত নামাজের মধ্যে অনেক ফজিলত রয়েছে। কারণ এটি সাপ্তাহিক প্রধান ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেক মুসলমান দেখা যায় প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করতে পারলেও শুক্রবারের দিন এই জুম্মার ২ রাকাত ফরজ নামাজ বাদ দেয় না।
তাহলে আশা করছি এতক্ষণে জেনে গেছেন জুম্মার নামাযে কত রাকাত ফরজ। এবার জানুন
এই দশ রাকাতের মধ্যে কত রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয়।
জুম্মার নামাজে কত রাকাত সুন্নত
তাহলে উপরোক্ত তথ্য পড়ার মাধ্যমে আশা করি জেনে গেছেন জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এমন কি জুম্মার নামাজে কত রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়। আপনি যদি এখনো না জেনে থাকেন জুম্মার নামাজে কত রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয় তাহলে এই পোস্টটি পড়ে জেনে নিন। জুম্মার নামাজ মোট ১০ রাকাত।
আরো পড়ুনঃ
কিভাবে নামাজ পড়তে হয়
আর এই ১০ রাকাতের মধ্যে ২ রাকাত ফরজ এবং বাকি ৮ রাকাত সুন্নত এটি রাসুলের
ইবাদত। এই ৮ রাকাত সুন্নতকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে ৪ রাকাত ৪ রাকাত
করে। জুমার দিন খুতবার পূর্বে ৪ রাকাত এবং জুম্মার দুই রাকাত ফরজ
নামাজ আদায় করার পর ৪ রাকাত । এই হল ৮ রাকাত সুন্নত। আশা করি জেনে
গেছেন জুম্মার দিন কত রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয়।
জুম্মার নামাজ পড়ার নিয়ম সমূহ
এতক্ষণে আশা করি জেনে গেছেন জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এবং এ নামাজে কত রাকাত ফরজ এবং কত রাকাত সুন্নত আছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাহলে এবার জেনে নিন এই ১০ রাকাত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে এবং জুমার দিন একজন মুসলমানের কি কি করণীয় সেই সম্পর্কে।
জুম্মার দিন প্রতিটি মুসলমানকে খুব তাড়াতাড়ি গোসল করে ভাল পোশাক পরিধান করে শরীরের সুগন্ধি লাগিয়ে আযানের পূর্বেই মসজিদে প্রবেশ করতে করা। মসজিদে প্রবেশ করার পর এবং আযান হওয়ার পরে ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে নেওয়া। এরপর ইমামের খুব কাছাকাছি একটি স্থানে কাউকে কোন কষ্ট না দিয়ে বসে যাওয়া। তারপর ইমামের খুতবা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা বা শোনা।
খুতবা শেষ হবার পর ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে জামাতের সাথে একামত দেয়ার মাধ্যমে ২ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করে নেওয়া। জামাতের সাথে দুই রাকাত ফরজ নামাজ শেষ হবার পর দোয়া কালমা পাঠ করা শেষ করে। একা একা ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে নেওয়া। তারপর আপনার মন যদি চাই মোনাজাত একা একাই করে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ নামাজ পড়ার নিয়ম
তাহলেই আপনার জুম্মার নামাজ আদায় সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তাহলে আশা করছি
জুম্মার নামাজ পড়ার নিয়ম সমূহ এবং জুমার দিন আপনার কি কি করণীয় সম্পর্কে
বিস্তারিত ভাবে জেনে গেছেন। আরো জানুন জুম্মার দিন বা জুম্মার নামাজের ফজিলত
সম্পর্কে।
জুম্মার নামাজের ফজিলত
এতক্ষণে আশা করছি জু জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন। তাহলে এবার জেনে নিন জুম্মার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত। জুম্মার দিন বা জুম্মার নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে।
জুম্মার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয়। আবার জুম্মার দিনকে গরিবের হজের দিনও বলা হয়। জুম্মার দিনের সওয়াব এবং এর মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার মতই। এই জুম্মার দিনে ইসলাম ইতিহাসে বড় বড় ও মহৎ কিছু ঘটনা উল্লেখ করা আছে বা ঘটনা ঘটেছে। আল্লাহ তাআলার কাছে এই জুম্মার দিনটা এত গুরুত্বপূর্ণ যে কোরআন মাজিদে জুম্মা নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাযিল করা হয়েছে।
এমনকি শুক্রবারের এই জুমার দিনে ইমাম সাহেব মেম্বারে দাঁড়িয়ে যে সমস্ত আলোচনাগুলো করবে বা খুতবা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবে। সেই খুতবা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করলে এবং খুতবা অনুযায়ী জীবনের বাকিটা পথ চলাফেরা করলে অধিক থেকে অধিকতর ফজিলত হাসিল করবেন।
এছাড়াও এই জুমার নামাজ না পড়া নিয়ে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত আছে যে হাদীসগুলোর মধ্যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) অনেক কিছুই এরশাদ করে রেখেছেন যা মুসলমানের জন্য জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসূলের বর্ণিত অসংখ্য হাদিসের মধ্যে কয়েকটি হাদিস আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হলো।
আরো পড়ুনঃ যোহরের নামাজ কয় রাকাত
তাহলে আশা করছি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এবং জুম্মার
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা পেয়ে গেছেন। এমনকি জুম্মার
নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে বা আল্লাহ তাআলা তার জন্য কি ব্যবস্থা করে রেখেছেন
সেই সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে তথ্য পেয়ে গেছেন।
পোষ্ট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
এতক্ষণ যে পোস্টটি পড়ছিলেন সেই পোস্টটি জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এবং জুম্মার নামাজের ফজিলত এই সম্পর্কে। আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে জুম্মার নামাজ নিয়ে আপনার যত প্রশ্ন ছিল সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। এই পোস্টটি আপনার কাছে যদি একটুও ভালো লেগে থাকে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন তাহলে তারাও জুম্মার নামাজ কয় রাকাত এবং জুম্মার নামাজের ফজিলত জানতে পারবে। এমনকি এ ধরনের আরো পোস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url