মেয়েদের পর্দা করার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আজকের ব্লক পোস্টটি মেয়েদের পর্দা করার উপকারিতা সম্পর্কে। পোষ্টের মধ্যে মেয়েরা পর্দা করলে কি কি উপকার লাভ করতে পারবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন মেয়েদের পর্দা করার উপকারিতা সম্পর্কে।
এছাড়াও এই পোষ্টের মধ্যে মেয়েদের পর্দা না করলে কি কি অপকারিতা লাভ করবে সেই সম্পর্কের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হবে। আপনার যদি জানা না থাকে মেয়েদের পর্দা করার উপকারিতা সম্পর্কে তাহলে পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। তাই দেরি না করে চলুন ব্লক পোস্টটি পড়া শুরু করা যাক।
পুরো পোস্ট জুড়ে সূচিপত্রঃ মেয়েদের পর্দা করার উপকারিতা
- পর্দা কাকে বলে
- কতটুকু পর্দা করা ফরজ
- নারীদের পর্দা করার ক্ষেত্রে
- মেয়েদের পর্দা সম্পর্কে ওয়াজ
- ইসলামে পর্দার বিধান
- মেয়েদের পর্দা করার উপকারিতা
- পর্দা না করলে কি হয়
- পর্দার বিধান কত হিজরীতে নাযিল হয়
- পোস্ট সম্পর্কে রাইটারের মন্তব্য
পর্দা কাকে বলে
এমনও অনেক মুসলিম আছে যারা কিনা পর্দা কাকে বলে তাই জানে না। সেই সমস্ত মুসলিমদের জন্য আজকের পোস্টটি। এখন জানতে পারবেন পর্দা কাকে বলে। পর্দা বা হিজাব এর অর্থ হল ঢেকে রাখা, আড়াল করা, অন্তরায় রাখা, আচ্ছাদন বস্তাবি দ্বারা সৌন্দর্য ঢেকে নেওইয়া, এবং আবৃত করা বা গোপন করার ইত্যাদি। এছাড়াও ইসলামী পরিভাষায় নারী ও পুরুষের উভয়ের চারিত্রিক পবিত্রতা অর্জনের জন্য উভয়ের মাঝে যে শরীয়তকৃত নির্ধারিত আড়াল বা আবরণ রয়েছে তাকেই পর্দা বলা হয়। আশা করি এখন পর্দা কাকে বলে জানতে পেরেছেন।
কতটুকু পর্দা করা ফরজ
আমাদের ইসলামে ছেলে ও মেয়েদের উভয়ের উপর পর্দা করা ফরজ রয়েছে। ইসলামের বিধান
অনুযায়ী দুই লিঙ্গের মানুষকেই অবশ্যই পর্দা করা দরকার। ছেলে এবং মেয়েদের মাঝে
পর্দা করার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন ছেলেদের ক্ষেত্রে আল্লাহতালা সূরা নূহের
মধ্যে ছেলেদের পর্দা করার কথা আগে বলেছেন। পুরুষ যে জিনিসটা বেশি পর্দা করবে
সেটি হচ্ছে তার যৌনাঙ্গ এবং চোখ। এই দুইটি জিনিসের গুনা অনেক বড় ক্ষতিকর।
পুরুষরা যদি সব সময় কোরআন তেলাওয়াত করে তাহলে তাদের কাছে দুনিয়ার চাকচিক্যময়
আলোকসজ্জা তার কাছে কিছুই মনে হবেনা। সুবহানাল্লাহ।
আরো পড়ুনঃ রমজান মাসের ফজিলত
নারীদের পর্দা করার ক্ষেত্রে
ইসলামে নারীদের পর্দা করার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ নারীদের আল্লাহতালা অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন। তাদের সৌন্দর্যতা অনেক। নারীদের সব সময় পর্দার মধ্যে থাকতে ইসলামের হুকুম দেয়া হয়েছে। তাই অবশ্যই নারীদের পুরো শরীরের পর্দা করে থাকতে হবে অপরিচিত করে পুরুষের সামনে যাওয়া যাবে না। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।
মেয়েদের পর্দা সম্পর্কে ওয়াজ
ইসলাম হলো বিশ্ব জীবনে এক চিরন্তন শ্বাসত্ব পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ইসলামে রয়েছে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও নারীর মর্যাদা ও সম্মান এবং সকল অধিকারের স্বীকৃতি ও রয়েছে তাদের সতীত্ব সুরক্ষা মর্যাদা। এবং নারীদের সম্মান ও মর্যাদা ও সতীত্ব রাখতে ইসলাম তাদের ওপর আরোপ করেছে হিজাব ও পর্দা পালনের বিধান নিয়ে।
মূলত এই হিজাব ও পর্দা নারীর সৌন্দর্য ও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এবং নারীর সতীত্ব ও ইজ্জত রক্ষাকবচ ও বলা যায়। নারী পুরুষের উভয়ের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার জন্য সহজ ও কার্যক্রম উপায় এই পর্দা।
মুসলমানদের ইসলামে পর্দা পালনের যে বিধানটি নির্ধারণ করেছে তা মূলত এই সমাজের অশ্লীলতা ও ব্যভিচার নিরসনের লক্ষ্যে। এবং সামাজিক যে অনিষ্ঠা ও ফিতনা-ফাসাদের থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্যই এই পর্দার আরপ করা হয়েছে। এ পর্দার বিধান কোন প্রকার অবিচার কিংবা বৈষম্য সৃষ্টির জন্য করা হয়নি।
আরো পড়ুনঃ কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত
এছাড়াও এই পবিত্রতা ও সতীর্থ রক্ষার্থে তাদের উপর এ বিধানের পূর্ণ অনুসরণের অপরিহার্য করা হয়েছে।
ইসলামে পর্দার বিধান
মুসলিম সমাজের নারীদের ক্ষেত্রে পর্দা একটি ফরজ বিধান। এবং নারীদের নিরাপত্তা
নিশ্চিতকরণে এই পর্দার কথা বলা হয়েছে আমাদের ইসলামে। আবার নারীদের নিরাপত্তার
অংশ হিসেবে বলা হয়েছে আমাদের পবিত্র কোরআনে। ইসলামে পর্দা সাধারণত ২ টি ক্ষেত্রে
ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেয়েদের শারীরিক বিচ্ছিন্নতা এবং শরীরকে আবৃত করার
প্রয়োজনীয়তা যাতে মেয়েরা তাদের ত্বক এবং রূপকে গোপন করতে পারে। যে মেয়ে বা
নারীরা পর্দার সহি চলাফেরা করে তাদেরকে পর্দাশীল নারী বলা
হয়ে থাকে। আশা করি ইসলামে পর্দার বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে
গেছেন।
মেয়েদের পর্দা করার উপকারিতা
আমাদের ইসলামে মেয়েদের সম্মান অনেক দেয়া হয়েছে। মেয়েরা যদি পর্দা করে তাহলে তাদের উপকারের অভাব থাকবে না এমনটাই অনেক হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে। যে নারী পর্দা করে চলবে সেই নারী ইসলামে বলা হয়েছে জান্নাতের সুগন্ধ পাবে। ইসলামে এও বর্ণনা করা আছে নারী তিনটি কাজ করলেই জান্নাতে। প্রথমটা হচ্ছে নামাজ আদায় করা দ্বিতীয়টা হচ্ছে স্বামীর খেদমত করা আর তিন নাম্বারটা হচ্ছে পর্দা করা।
এই তিনটি আদেশ যদি একটি নারী প্রতিনিয়ত পালন করতে পারে তাহলে ওই নারীর মৃত্যুর পর জান্নাত নিশ্চিত। এমনকি নারীরা পর্দা করার মাধ্যমে অনেক সম্মান ও মর্যাদা লাভ করে। রাস্তাঘাটে অনেক বেপর্দা নারী দেখা যায়। তারা যদি জানতো ইসলাম তাদের কতটা মর্যাদা দিয়েছে। তাহলে হয়তো রাস্তাঘাটে এমন বেপর্দা হয়ে ঘুরে বেড়াতে পারতো না। তাই অবশ্যই প্রতিটি মেয়েকে পর্দার সহিত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েদের পর্দা করার মধ্যে অনেক লাভ আছে যে লাভগুলো দুনিয়াতে না পেলেও মৃত্যুর পর অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তাকে দেবেন। আশা করি পর্দা করার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন।
পর্দা না করলে কি হয়
এতক্ষণ যে বিষয়টি জানলেন বিষয়টি হলো মেয়েদের পর্দা করার উপকারিতা সম্পর্কে। এবার জানবেন মেয়েরা যদি পর্দা না করে তাহলে তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। হাদিসে মূলত বর্ণনা করা আছে, যে নারীরা পর্দা সহিত চলাফেরা করবেন না।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
রাস্তাঘাটে বেপর্দা অবস্থায় চলাফেরা করবে। সেই নারীদের জন্য জান্নাতে
প্রবেশ নিষেধ। এমনকি সেই নারী জান্নাতের সুঘ্রাণ ও পাবেনা। এবং তাদের
জন্য পরকালে বা মৃত্যুর পর জাহান্নাম অপেক্ষা করছে। এমন কিছু কথায় বেপর্দা
নারীদের উদ্দেশ্যে হাদিসে বর্ণনা করা আছে। মেয়েরা পর্দা না করলে কি
অপকারিতা লাভ করবে সেই সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পেয়ে গেছেন।
পর্দার বিধান কত হিজরীতে নাযিল হয়
মুসলমানদের জন্য পর্দার বিধান কত হিজরীতে নাযিল হয়েছে এ সম্পর্কে এখন বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আমাদের মুসলিমদের জন্য পর্দার বিধান নাযিল করা হয় পঞ্চম হিজরীতে ৬২৭ খ্রিস্টাব্দে। তবে এই ফতোয়াটি আল্লামা ইবনে কাসির তিনি নাইুল আওতার গ্রন্থকার থেকে বলেন। এছাড়াও তাফসীরে রুহুল মায়াানিতে তিনি বলেছেন তৃতীয় হিজরীতে ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে পর্দা ফরজ করা হয়েছে মুসলমানদের জন্য। আশা করি মুসলমানদের জন্য পর্দার বিধান কত হিজরীতে নাজিল করা হয়েছিল সেই সম্পর্কে তথ্য পেয়ে গিয়েছেন।
পোস্ট সম্পর্কে রাইটারের মন্তব্য
এতক্ষণ যে পোস্টটি পড়ছিলেন পোস্টটি হলো মেয়েদের পর্দা করার উপকারিতা সম্পর্কে। লাইন বাই লাইন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আশা করি মেয়েদের পর্দা করার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে গেছেন। পোস্টটি পড়ে আপনার যদি একটু উপকারে আসে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন। এমন আরো পোস্ট পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url