ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম - ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম
আজকের যে আর্টিকেলটি আলোচনা করা হবে সে আর্টিকেলটি হল ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ম সম্পর্কে। এই পোষ্টের মধ্যে ঈদের নামাজ নিয়ে যত প্রশ্ন আছে আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। তাই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এছাড়াও এই পোষ্টের মধ্যে ঈদের নামাজের মধ্যে যে সমস্ত দোয়া গুলো পাঠ করতে হয় সে সমস্ত দোয়া গুলোর উচ্চারণ ও অনুবাদ সমস্ত কিছু তুলে ধরা হবে। এমনকি ঈদের নামাজের নিয়ত সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আর্টিকেলটি পড়ুন এবং জানুন ঈদের নামাজে পড়ার নিয়ম বা ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ম সম্পর্কে।
পোষ্টের মধ্যে যা যা আলোচনা করা হবে বা পোস্ট সূচিপত্রঃ ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম - ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম
- ঈদের নামাজ কখন পড়তে হয়
- ঈদুল ফিতর কোন নামাজকে বলা হয়
- ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত অর্থসহ
- ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ম
- ঈদুল ফিতরের নামাজ কত রাকাত
- ঈদের নামাজ কি ফরজ না ওয়াজিব
- ঈদের খুতবা শোনা কি ওয়াজিব
- পোস্ট সম্পর্কে রাইটারের মন্তব্য
ঈদের নামাজ কখন পড়তে হয়
প্রতিটি মুসলমানের জীবনে প্রতি বছর দুইটি ঈদ আসে। এর মধ্যে হল ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযাহা। এই দুইটি ঈদ প্রতি বছর এসে থাকে। আরবি বছরের রমজান মাসে ৩০ দিন রোজা রাখার পর ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ কোরআন তেলাওয়াত এর ফজিলত
এবং আরবি বছরের জিলহজ মাসের ঈদুল আযাহার বা কোরবানির ঈদ এর নামাজ আদায় করতে হয়। আশা করি ঈদের নামাজ কখন পড়তে হয় জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন আপনি জানতে পারবেন ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে।
ঈদুল ফিতর কোন নামাজকে বলা হয়
আরবি বছরের রমজান মাসে ৩০ দিন রোজা রাখার পর যে ঈদের নামাজ টি অনুষ্ঠিত হয়
সেই নামাজকেই ঈদুল ফিতরের নামাজ বলা হয়। রমজান মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ
পর্যন্ত রোজা পালন করা হয়। এবং শাওয়াল মাসের এক তারিখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়
করতে হয়। ঈদুল ফিতর কোন নামাজকে বলা হয় আশা করি জানতে পেরেছেন। কি পড়তে
থাকুন তাহলেই জানতে পারবেন ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং ঈদুল ফিতরের নামাজের
নিয়ম সম্পর্কে।
ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত অর্থসহ
বছরের প্রথম ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম জানার জন্য আর্টিকেল পড়তে থাকুন। প্রত্যেক নামাজের আগে নিয়ত আরবিতে অথবা বাংলাতে পড়তে হয়। এখন জানবেন ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত অর্থসহ।
ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত বাংলাঃ
ইমামের পেছনে কেবলা মুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম
ঈদের দিন ফজরের নামাজের পর গোসল করে ভালো কাপড় পরিধান করে ঈদগাহ ময়দানে অবস্থান
করবেন সবার আগে। ঈদগাহ ময়দানে যাবার সময় অবশ্যই হেঁটে হেঁটে যাবেন এবং এই
দোয়া পাঠ করবেন। "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু
আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ" এই দোয়াটি পাঠ করতে করতে ঈদগাহ
মাঠে প্রবেশ করবেন।
আরো পড়ুনঃ রমজান মাসের ফজিলত
তারপর ইমামের কাছাকাছি বসার চেষ্টা করবেন। নামাজের সময় পায়ে পা কাঁধে কাঁধ
মিলিয়ে নামাজ আদায় করবেন। নামাজ শেষ করে ইমামের দেয়া খুতবা মনোযোগ সহকারে
শুনবেন। খুতবা শোনার পর আপনার যদি ইচ্ছা হয় মোনাজাত করবেন ইচ্ছা না হলে করবেন
না। মোনাজাত করার তেমন কোন বাধ্যতামূলক নয়।
ঈদের দিনের কিছু সুন্নত ও মুস্তাহাব গুলো সম্পর্কে জেনে নিনঃ
- ঈদের দিন সকালে মেসওয়াক করা সুন্নত
- ঈদের দিন সকালে গোসল করা সুন্নত
- গোসল করার পর সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত
- ঈদের দিন সকালে কিছু খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নত। তবে ইসলামে বলা আছে খেজুর অতি উত্তম খাদ্য।
- ঈদের দিন ঈদগায়ে হেঁটে যাওয়া উত্তম। এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা মুস্তাহাব।
- ঈদগাহে যাওয়ার সময় নিচু স্বরে তাকবীর পড়ার সুন্নাত (আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ)
- নিজের সাধ্যমত উত্তম ও পরিপাটি পোশাক পরিধান করা মুস্তাহাব
- নামাজের উদ্দেশ্যে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সাতগায়ে ফিতর আদায় করা সুন্নত।
- ঈদের দিন সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলা মুস্তাহাব
- ঈদের দিন সবার সাথে আনন্দ অভিবাদন বিনিময় করাও মুস্তাহাব
উপরোক্ত তথ্যগুলো দ্বারা আশা করি ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন।
ঈদুল ফিতরের নামাজ কত রাকাত
আপনারা অনেকেই জানেন আবার জানেন না ঈদুল ফিতরের নামাজ কত রাকাত। যারা জানেন না তাদের জানানোর জন্য আর্টিকেলটি লেখা। ঈদুল ফিতরের নামাজ দুই রাকাত। ছয় তাকবীর এর মধ্য দিয়ে এই নামাজটি শুরু করা হয়। অন্যান্য যেসব নামাজ আদায় করা হয় সেই সমস্ত নামাজের মতই ঈদুল ফিতরের নামাজ।
তবে ঈদুল ফিতরের নামাজে কোন আজান বা একামত নাই। এই নামাজেও ইমামকে
উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে। এমনকি প্রথম তাকবীরের পর ছয় তাকবীর এর মধ্য
দিয়ে নামাজ পড়তে হয়। ঈদুল ফিতরের নামাজ কত রাকাত আশা করি আপনি জানতে
পেরেছেন।
ঈদের নামাজ কি ফরজ না ওয়াজিব
ঈদের নামাজ কি ফরজ না ওয়াজিব এমন প্রশ্ন অনেকেরই না জানা আছে। তবে এই উত্তরটি আপনার জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের নামাজ সম্পর্কে অনেক ধরনের মতবাদ আছে। ইসলামে যারা হানাফী মাযহাব তারা ঈদের নামাজকে ওয়াজিব বলে গণ্য করেন। আবার যারা মালিকি ও সাইফী মোজাহাব তারা ঈদের নামাজকে সুন্নাতে মক্কাদা হিসেবে গণ্য করেন।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
এছাড়াও হাম্ববলী মাযহাব এরা ঈদের নামাজ কে ফরজ হিসেবে গণ্য করে। তবে বিভিন্ন ইসলামিক পন্ডিতের মতে ঈদের নামাজকে ফরজে আইন আবার কোন কোন ইসলামিক পন্ডিতের মতে ঈদের নামাজকে ফরজে কেফায়া বলা হয়েছে। আবার এটাও জানা গেছে কারো কারো মতে ঈদের দুই রাকাত নামাজকে নফল বলা হয়। তাই ঈদের নামাজ কি এক এক স্থানে একেক রকম ভাবে গণ্য করা হয়। ঈদের নামাজ সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
ঈদের খুতবা শোনা কি ওয়াজিব
এতক্ষণ জানলেন ঈদের নামাজ ফরজ নাকি ওয়াজিব এই সম্পর্কে। এখন জানবেন ঈদের নামাজের
পর যে খুতবা হয় সেই খুতবা সোনা কি ওয়াজিব কিনা। জুমার নামাজের আগে খুতবা
এবং ঈদের নামাজের পর যে খুতবা হয় সে খুতবা কে ওয়াজিব বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া
আর যত খুতবা হয় সেগুলো হল সুন্নত। আশা করি ঈদের খুতবা সোনা কি ওয়াজিব কিনা
এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছে। এমনকি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে ঈদের
নামাজ পড়ার নিয়ম এবং ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে
গেছেন।
পোস্ট সম্পর্কে রাইটারের মন্তব্য
এতক্ষণ যে পোস্টটি পড়লেন সেই পোস্টটি হল ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম এবং ঈদুল ফিতরের
নামাজের নিয়ম সম্পর্কে। এই পোষ্টের মধ্যে ঈদের নামাজ সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে। উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার পর আশা করি ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন। পোস্টটি আপনার কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন তাহলে তারাও উপকৃত হবে। এছাড়াও আপনার আরও
অনেক অজানা তথ্যগুলো জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে
পারেন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url