বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম - বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল ইত্যাদি সহ
বিভিন্ন ধরনের সিম ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। আজকে
আর্টিকেলটি বেসিক্যালি বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে লেখা হয়েছে। যারা
বিভিন্ন একাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমা রাখতে চান এবং লেনদেন করতে চান তাদের জন্য
আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বিকাশ
একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এছাড়াও আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বিকাশ নিয়ে যত তথ্য সমস্ত তথ্যগুলো জেনে নিতে
পারবেন। আর্টিকেলটি দ্বারা বিকাশ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কের যত তথ্য আছে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রকাশ
করা হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং একটি বিকাশ একাউন্ট খোলার
নিয়ম জেনে নিন। তাই দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
সমস্ত পোস্ট জুড়ে সূচিপত্রঃ বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জানার আগে অবশ্যই কাস্টমার কেয়ার বা বিকাশ সম্পর্কে
সমস্ত তথ্য জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি বিকাশ সম্পর্কিত
সমস্ত তথ্য না জেনে বিকাশ একাউন্ট খুলে ফেলেন তাহলে বিকাশ কিভাবে কি ব্যবহার করতে
হয় সেই সম্পর্কে কোন ধারণা পাবেন না।তাই আপনাকে বিকাশের ওয়েবসাইটে গিয়ে
তাদের সমস্ত নীতিমালা পড়ে আপনাকে অ্যাকাউন্ট খোলা দরকার।
বিকাশ যে সমস্ত
নীতিমালা গুলো একাউন্ট খোলার ব্যাপারে যুক্ত করে রেখেছে সেই সমস্ত নীতিমালা গুলো
যদি আপনি মানতে পারেন তাহলেই বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। বিকাশ একাউন্ট খোলার
জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া জানার জন্য তাদের হেল্পলাইন বা কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এ
যোগাযোগ কর। বিকাশ কাস্টমার কেয়ার বা হেল্পলাইন নাম্বারঃ ১৬২৪৭
বিকাশ একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম বা সঠিক নিয়ম। ২০২৩ সালে এসে বিকাশ একাউন্ট
খোলার নিয়মটা খুবই সহজ করে দিয়েছে বিকাশ অপারেট। কারণ সব ধরনের
কাস্টমারই যেন বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে পারে এবং সহজভাবে বিকাশে লেনদেন করতে
পারে। এখন তো ঘরে বসেই একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। হাতে শুধু
এন্ড্রয়েড ফোন থাকলেই হবে। আর কিছু প্রসেস জানা লাগবে তাহলে একটি বিকাশ একাউন্ট
খোলা সম্ভব।
তাছাড়া যাদের এন্ড্রয়েড ফোন নাই তারা কাস্টমার কেয়ারে
বা আশেপাশের কোন বিকাশ এজেন্টের দোকানে গিয়ে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টটি খুলে
নিতে পারেন সঠিক নিয়ম। বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য এখন শুধু প্রয়োজন মোবাইল
নাম্বার আরেকটি ভোটার আইডি কার্ড। যার নামে বিকাশ একাউন্টটি খুলবেন
তার ভোটার আইডি কার্ড হলেই হবে। বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আশা করি
কিছুটা ধারণা পেয়ে গেছেন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম টা জেনে নিন। প্রথমত
আপনাকে বিকাশের অফিশিয়াল যে অ্যাপসটি আছে সেটি আপনাকে ইন্সটল করতে
হবে। অ্যাপসটি ইনস্টল হওয়ার পর অ্যাপস এ প্রবেশ করতে হবে। বিকাশ অ্যাপ
এ প্রবেশ করার পর একটি রেজিস্ট্রেশন অপশন আসবে।রেজিস্ট্রেশন অপশনে চাপ
দিয়ে পরের প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করুন। রেজিস্ট্রেশন বাটনে প্রেস করার পর
আপনার মোবাইল নাম্বারটি চাই যে নাম্বারে আপনার বিকাশ একাউন্টটি করতে
চাইছেন।
তারপর অপারেটর চাইবে অপারেটরটি সিলেক্ট করে দিবেন। এবং যে
নাম্বারটি একাউন্ট খোলার জন্য দিয়েছেন সেই নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে
ভেরিফিকেশন কোডটি বসিয়ে দিন। তারপর বিকাশের কিছু শর্তাবলী আসবে শর্তাবলী
গুলো পড়ে নিয়ম ও শর্তাবলীতে সম্বোধন করছে এই বাটনে প্রেস করুন। তারপর তিনটি
অপশন আসবে ভোটার আইডি কার্ডের ফ্রন্ট এর পিকচার এবং ব্যাকে পিকচার চাইবে
পিকচারগুলো চুল ভোটারের আসল আইডি কার্ডের ছবি তুলে দিবেন।
এবং
পিকচারগুলো সাবমিট করার পর আপনারা ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য
দেখাবে।তারপর পরবর্তী অপশনে ক্লিক করে কিছু তথ্য চাইবে সঠিক তথ্য গুলো
দিয়ে দিবেন। তারপর যার নামে একাউন্ট হবে তার একটি সেলফি তুলতে
হবে। তারপর একাউন্ট সাবমিট হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ সময় নিবে কিছুক্ষণ সময়
নেওয়ার পর নতুন পিন সেট করতে বলবে।
যে পি্নটি দিবেন অবশ্যই পিনটি মনে
রাখবেন। পিন সেট করার পর পরবর্তী অপশনে চলে যাবেন।তারপর আপনার নাম
চাইবে নামটি লিখে দিবেন। এবং আপনি চাইলে আপনার বিকাশে একটি প্রোফাইল পিক সেট করতে
পারেন। তাহলে সঠিক নিয়মে একটি বিকাশ একাউন্ট খোল হয়ে গেছে।বিকাশ
একাউন্ট খোলার জন্য সঠিক নিয়ম কি আশা করি জানতে পেরেছি। আপনার বুঝার সুবিধা
থেকে কয়েকটি স্ক্রিনশট শেয়ার করা হলো।
বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করার সুবিধা ও অসুবিধা
বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য অসুবিধার চেয়ে সুবিধা অনেক। বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার
করার মাধ্যমে আপনি যে কোন প্রসেস অত তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন। কোন লেনদেন
করার জন্য সহজে অনেক কিছু আইকনের মাধ্যমে অতি দ্রুতই লেনদেন করতে
পারবেন। আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে যে সমস্ত লেনদেন গুলো করছেন সেই সমস্ত
লেনদেন সমূহের একটি নোটিফিকেশন চলে আসবে। এমনকি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে অনেক ধরনের
অফার এসে থাকে অফার গুলোর মাধ্যমে আপনার বিকাশ একাউন্টের অনেক টাকায় সাশ্রয়ি
হবে। তারপর বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট মেথডে অনেক ধরনের অফার থাকে। এমনকি
ক্যাশব্যাক অফার থাকে। তাই বিকাশ অ্যাপ এ অসুবিধার চেয়ে সুবিধা অনেক।
বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য। একটি বিকাশ একাউন্ট
খুলতে কি কি কাগজ প্রয়োজন হয় এটাও জেনে নেয়া দরকার। এখন একটি বিকাশ একাউন্ট
খোলার জন্য শুধুমাত্র মোবাইল নাম্বার এবং একটি ভোটার আইডি কার্ড থাকলেই হবে।
তাছাড়া সেরকম কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হয় না। বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য কি কি
কাগজপত্র লাগে আশা করি বুরেছেন।
পার্সোনাল এবং এজেন্ট একাউন্ট এর মধ্যে পার্থক্য
ঝতে পেপার্সোনাল এবং এজেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য গুলো কি কি জেনে নিন। আপনার পার্সোনাল একাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমানো ওঠানো পেমেন্ট করা ও রিচার্জ করা
সব কিছু পার্সোনাল ভাবে করা যায়। এবং এজেন্ট একাউন্ট থেকে বিভিন্ন
পার্সোনাল নাম্বারে টাকা পাঠানো যায় এবং তাদের ক্যাশ আউটের টাকা প্রদান করাও
যায় ও পেমেন্টের সমস্ত টাকা গ্রহণ করা যায়। পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট
জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এবং একটি এজেন্ট
একাউন্ট নির্দিষ্ট কোন ব্যবসায়ীর জন্য প্রযোজ্য। পার্সোনাল এবং
এজেন্ট একাউন্ট এর মধ্যে পার্থক্য গুলো কি কি আশা করি জানতে পেরেছেন।
বিকাশ একাউন্টের পিন ও ভেরিফিকেশন কোড এর গুরুত্ব
আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন ও ভেরিফিকেশন কোড এর গুরুত্ব অনেকটাই। পিন বা
ভেরিফিকেশন কোড এর মাধ্যমে আপনার বিকাশ একাউন্টের সমস্ত তথ্য গোপন
থাকে। আপনার বিকাশ একাউন্ট যদি কোন হ্যাকার এর হাতে পড়ে তাহলে আপনার
জন্য সমস্ত একাউন্টের টাকা উঠিয়ে নিতে পারবে।
তাই যেখানে লেনদেন করুন
আপনার পিন বা ভেরিফিকেশন কোড টা গোপন ভাবে ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন বিকাশ
একাউন্টের পিন বা ভেরিফিকেশন কোড বিকাশ কখনোই জানতে চাই না। তাই কাউকে
আপনার পিন বা ভেরিফিকেশন কোড বলবেন না। এটা একান্ত আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়
তথ্য।
বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম
বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা দুই ধরনের পদ্ধতি আছে। আপনি আপনার
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অ্যাপের মাধ্যমে অনেক সহজেই আপনার ব্যালেন্স চেক করতে
পারবেন। তাছাড়া বাটন ফোনে আপনি অনেক কি প্রেস করে বা ডায়াল করে আপনি
আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
বাটন ফোনের মাধ্যমে
ব্যালেন্স চেক করার যে ডায়াল করার নাম্বার হল *247# । এই নাম্বারে ডায়াল করার
পর। My Bkhas অপশনে বা 9 নাম্বার ডায়াল করবেন। 9 নাম্বার ডায়াল করার পর
Chek Blance 1 নাম্বারে ডায়াল করবেন। তারপর আপনার বিকাশের পিন নাম্বার
সেট করে দিলেই আপনার ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনের
বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম হলো। পিন নাম্বার সেট করার পর
বিকাশ অ্যাপ প্রবেশ করার পর ব্যালেন্স দেখুন অপশনের ট্যাগ করলে আপনার
ব্যালেন্স কত সেটা দেখিয়ে দিবে। বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করার
সমস্ত প্রক্রিয়াগুলো আশা করি জানতে পেরেছেন
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে করণীয় কি
একটি বিকাশ একাউন্ট করে বন্ধ হয়ে গেলে আপনার করণীয় কি হবে তা জেনে
নিন। বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে আপনার বিকাশের হেল্পলাইন বা কাস্টমার কেয়ারের
নাম্বারে ফোন দিতে হবে। তারা যে সমস্ত টিপস বা নিয়মাবলী বলে দিবে সেই মোতাবেক
কাজ করবেন। এমনকি আপনি চাইলে আপনার আশেপাশের যেকোন কাস্টমার কেয়ার
সেন্টারে গিয়ে আপনার বিকাশের সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারেন। এটার লক্ষ্য
রাখবেন আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে অতি দ্রুতই সমস্যার সমাধান
করার চেষ্টা করবেন।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
একটি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য প্রথমে আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স 00
করে রাখতে হবে। তারপর যেই নামে বিকাশ একাউন্টটি খোলা হয়েছিল সেই নামের
ভোটার আইডি কার্ডটি আর সাথে দুই কপি ছবি নিয়ে আপনার পার্শ্ববর্তী কোন বিকাশ
কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এবং তারা আপনার কাছে
বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে চাইবে সঠিক তথ্যগুলো দেয়ার মাধ্যমে আপনার বিকাশ
একাউন্টটি বন্ধ করে দেয়া হবে। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম গুলো কি কি
আশা করি জানতে পেরেছেন।
বিকাশ নিয়ে যত তথ্য জানার ছিল আশা করি জানতে পেরেছেন। এ সমস্ত আরও
তথ্য জানার জন্য ওয়েব সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url