৭ রকম উপায়ে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আজকের কন্টেন্ট টি হলো কয়েকটি নিয়ম ফলো করে কিভাবে একটি আর্টিকেল লিখতে হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে এবং নিয়মগুলো ফলো করে আর্টিকেল লিখলে আপনিও ভালো মানের আর্টিকেল রাইটার হতে পারবেন।
এছাড়াও এই আর্টিকেলের মধ্যে আর্টিকেল স্প্যানিং এবং স্ক্রাপিং কি এর বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এবং বাইন কিওয়ার্ড করে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এই সমস্ত সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনকি আর্টিকেলের টপিক খোঁজা থেকে শুরু করে লং টেল কি ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যাপার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাই দেরি না করে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
পোস্ট জুড়ে সূচিপত্রঃ ৭ রকম উপায়ে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- আর্টিকেল স্পিনিং কি এবং এর বিশ্লেষণ
- আর্টিকেল স্ক্রেপিং কি এবং এর বিশ্লেষণ
- বায়িং কিওয়ার্ড র্যাংক করে টাকা আয়
- লং টেল কিওয়ার্ড কি এবং এর বিশ্লেষণ
- আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি কিভাবে খুঁজবেন
- আর্টিকেল লেখার জন্য টপিক কোথায় খুঁজবেন
- আর্টিকেলের কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস করার নিয়ম
আর্টিকেল স্পিনিং কি এবং এর বিশ্লেষণ
আর্টিকেল স্পিনিং বিষয়টা হলো কোন একটি পোস্ট কে তার বিপরীত শব্দ দিয়ে লেখা। যেমন ধরেন আপনি আপনার সাইডে একটি কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট লিখে রেখেছেন। সেই কিওয়ার্ডেরই আরেকটি পোস্ট অন্যরকম ভাষা দিয়ে লিখতে চাইছেন। আর এই অন্যরকম ভাষা প্রয়োগ করে আরেকটি নতুন পোস্ট লেখাকেই বলা হয় আর্টিকেল স্পিনিং। আর্টিকেল স্পিনিং অনেক ভাবেই করা যায়। যেমন আপনি সেটিকে পড়ে রিসার্চ করার মাধ্যমে লিখতে পারেন। এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্টিকেল স্পেলিং করতে পারেন।
আরো পড়নঃ আর্টিকেল স্পিনিং ওয়েব সাইট সম্পর্কে জানুন
এমনও ওয়েবসাইট আছে যে ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি যেই পোস্টটিকে স্পিনিং করতে চাইছেন সেই পোস্টটুকু যদি সেখানে দিয়ে দেন তাহলে ওয়েবসাইটটি তার নিজের মত করে অন্যরকম ভাষা দিয়ে আরেকটি আর্টিকেল লিখে দিবে। তবে আপনি যদি চান আর্টিকেল লিখে বা ওয়েবসাইট থেকে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে। তাহলে আর্টিকেল স্পিনিং ভুল করেও করার চেষ্টা করবেন না। কারণ গুগল যদি বোঝা যায় যে এ আর্টিকেলটি স্পিনিং করে লেখা তাহলে সাথে সাথে আপনার google এডসেন্স বা আপনার ওয়েবসাইটটি ব্যান করে দিতে পারে। আর্টিকেল স্পিনিং বিষয়টা কি আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আর্টিকেল স্ক্যাপিং কি এবং এর বিশ্লেষণ
আর্টিকেল স্ক্যাপিং হল যে আপনার ওয়েবসাইটে যেকোনো একটা কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট
লিখে নেয়া।অনেকেই আছে আর্টিকেল স্ক্রাপিং করে পোস্ট লিখে। এমনও অনেক ওয়েবসাইট
আছে যেগুলোতে আপনি স্ক্রাপিং করে আর্টিকেল লিখতে পারেন। ওয়েবসাইটের মধ্যে
শুধু আপনার কিওয়ার্ড দিয়ে দিলেই। কিওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে একটি পোস্ট
লিখে দিবে।
তবে এইভাবে পোস্ট লেখার চেতে না লেখায় শ্রেয় বা ভালো। কারণ গুগল যদি জানতে পারে যে এই আর্টিকেলটি স্ক্রাপিং করে লিখা। তাহলে সেই পোস্টটি র্যাংকিং করা বন্ধ করে দেয়। এমনকি google এডসেন্স বাতিল করে দেয়। তাই ভুল করেও কেউ পোস্ট স্ক্রাপিং করে লিখবেন না। স্ক্রাপিং বিষয়টা কি আশা করি জানতে পেরেছেন।
বায়িং কিওয়ার্ড র্যাংক করে টাকা আয়
বায়িং কিওয়ার্ড র্যাংক হলো আপনার ওয়েবসাইট থেকে কোন কিছু বা কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করাকে বোঝায়। আপনি চাইলে আপনার পোষ্টের মধ্যে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে বিজ্ঞাপন লিখতে পারে। বিজ্ঞাপন লেখার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের গুণগতমান তুলে ধরবেন। আপনার পাঠকরা যখন আপনার ওয়েবসাইটে পড়তে আসবে তখন যদি তাদের চোখে সে বিজ্ঞাপনটি পড়ে এবং তার যদি ভালো লাগে এবং সে যদি প্রোডাক্টটি কিনতে আগ্রহী হয় তাহলে আপনি প্রোডাক্টটি বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন
এছাড়াও অনেক ধরনের ই-কমার্স সাইড আছে। যারা কিনা বায়িং কিওয়ার্ডের মাধ্যমে কমিশন বোনাস দিয়ে থাকে। মনে করেন আপনি দারাজ কোম্পানির একটি প্রোডাক্ট নিয়ে আর্টিকেল লিখেছেন। সেই আর্টিকেলটি প্রোডাক্টের গুণগত মান। এবং তার দাম সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দিয়ে রেখেছেন। এমনকি সেই প্রোডাক্টটি কোথা থেকে কিনবে সেই সমস্ত লিংক ও দিয়ে রেখেছেন। এখন যদি আপনার পাঠকের সমস্ত কিছু দেখে পড়ে মনে হয় যে এই প্রোডাক্টটি কেনার দরকার আর যদি সে লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্ট কিনে তাহলে দারাজ কোম্পানি আপনাকে সেই প্রোডাক্ট এর ওপর কমিশন দিবে। আর এটা কি বলা হয়েছে বায়িং কিওয়ার্ড র্যাংক করে টাকা আয়।
লং টেল কিওয়ার্ড কি এবং এর বিশ্লেষণ
আমরা যারা আর্টিকেল নিয়ে লেখালেখি করি তারা অবশ্যই কিওয়ার্ড কি জানি। কিওয়ার্ড হলো কোন এক আর্টিকেলের টাইটেল। এই কিওয়ার্ড আবার অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমন ফোকাস কিওয়ার, লং টেল কিওয়ার্ড, শর্ট টেল কিওয়ার্ড,সাব কিওয়ার্ড ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের কিওয়ার্ড আছে। এর মধ্যে লং টেল কিওয়ার্ড নিয়ে আজকের আলোচনা।
লং টেল কিওয়ার্ড হলো কোন পোস্ট এর টাইটেলটা বড় হওয়া। আপনি যদি আর্টিকেল রাইটারের নতুন হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে লং টেল কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে। নতুন অবস্থায় সর্ট টেল কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখলে পাঠকদের সেই রকম কোন রেসপন্স পাওয়া যায় না। তাই প্রথম অবস্থায় অবশ্যই লং টেল কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে লং টেল কিওয়ার্ড আর চিনবো কিভাবে আর শর্ট-টেল কিওয়ার্ড চিনবো কিভাবে।
আপনাকে শর্ট টেল কিওয়ার্ড চেনার জন্য একটি উদাহরণ দেয়া হলো। মনে করেন আপনি গুগলের সার্চ দিলেন কিওয়ার্ড কি এই ছোট্ট শব্দটাকেই শর্ট টেল কিওয়ার্ড বলা হয়েছে। এবং লং টেল কিওয়ার্ড চেনার উপায়। একইভাবে আপনি যখন গুগলের সার্চ দিবেন কিওয়ার্ড কি এবং কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয় এই যে একটি বড় শব্দ দিয়ে সার্চ করলেন এই শব্দটাকে লং টেল কিওয়ার্ড বলা হয়েছে। লং টেল কিওয়ার্ড কি আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি কিভাবে খুঁজবেন
আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি হলো কিওয়ার্ড নির্বাচন করা। আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখবেন কিন্তু কি নিয়ে লিখবেন ভেবে পাচ্ছেন না। এর জন্য আপনাকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে সার্চ করে দেখতে হবে পাঠকরা কি নিয়ে বেশি পড়তে আগ্রহী।
আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল সর্টিং করার সমস্ত নিয়মকানুন
সেই সমস্ত কিওয়ার্ড নিয়ে আপনি যদি আর্টিকেল লিখেন। তাহলে অল্প দিনে অনেক ভালো কিছু করতে পারবেন। আপনি যদি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে শুধু ক লিখেন। তাহলে ক নিয়ে মানুষ কি কি সার্চ দেয় সেই সমস্ত কিওয়ার্ড আপনার সামনে চলে আসবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য স্ট্রাটেজি টা কিভাবে খুঁজবেন। আপনার বোঝার সুবিধার্থে স্ক্রিনশট শেয়ার করা হলো।
আর্টিকেল লেখার জন্য টপিক কোথায় খুঁজবেন
এমন অনেক মানুষ আছে তারা তাদের গোপন সমস্যার কথাগুলো পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেনা। সেই সমস্ত গোপন তথ্যগুলো গুগলে সার্চ করার মাধ্যমে জানতে চাই। আপনি যদি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে সার্চ করে দেখতে যান তাহলে দেখবেন মানুষ কি কি নিয়ে সাজ দেয় যেটা আপনার ধারণার বাইরে। এই সমস্ত টপিকগুলো নিয়ে যখন আপনি আর্টিকেল লিখবেন। তখন পাঠকরা আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হবে।
আপনি যে টপিক নিয়ে আর্টিকেল লিখতে চাইছেন সেই টপিকটি এনালাইসিস করে দেখে নেবেন
যে আদৌ এই টপিক নিয়ে মানুষ সার্চ দেয় কিনা। যদি মনে হয় বা দেখতে পান যে
এই টপিকটি নিয়ে মানুষ সার্চ দেয় বা খোঁজাখুঁজি করে তাহলে নির্দ্বিধায় সেই টপিক
নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন। তাই মনে রাখবেন আর্টিকেল লেখার জন্য টপিক খোঁজার
একমাত্র স্থান হচ্ছে গুগল সার্চ ইঞ্জিন। আর্টিকেল লেখার জন্য টপিক কোথায়
খুঁজবেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আর্টিকেলের কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস করার নিয়ম
আপনি যে আর্টিকেল বা কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর্টিকেলটি লেখার আগে সেই টপিক বা কিওয়ার্ড নিয়ে একটু রিসার্চ করে নিবেন। যে টপিকটি নিয়ে লিখছেন সেই টপিকটি কি গুগলের সার্চ হয় কিনা। যদি দেখেন সে টপিকটি গুগলে সার্চ হয় না। তাহলে সেই টপিক নিয়ে আর্টিকেল না লেখাই ভালো। সেই টপিক নিয়ে যদি আর্টিকেল লিখতে যান তাহলে আপনার শুধু সময় নষ্ট হবে । সে আর্টিকেল দিয়ে ভালো কিছু করতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল রাইটার হওয়ার জন্য কি কি করতে হয়
যখন আপনি কিওয়ার্ডটি ভালোভাবে এনালাইসিস করার মাধ্যমে আর্টিকেল লিখতে যাবেন। জানতে পারবেন যে মানুষ এই টপিকের মাধ্যমে কি কি জানতে চাই। সেই সমস্ত টপিক গুলো আপনার পোষ্টের মধ্যে যখন ইমপ্লিমেন্ট করবেন। কেবল তখনই আপনি আপনার পোস্ট থেকে ভাল কিছু আশা করতে পারবেন। আর্টিকেল কিওয়ার্ড এনালাইসিস করার নিয়ম টা কি আশা করি জানতে পেরেছেন। আপনার বোঝার সুবিধার্থে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করা হলো।
আশা করি আপনার না জানা তথ্যগুলো এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এমন আরো
অনেক আপনার না জানা তথ্যগুলো জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে
থাকুন। ধন্যবাদ।
ড্রিম সেন্টার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url